দোয়া ইউনুস এর ফজিলত ও আমল


কঠিন বালা মসিবত দুর করার কোরানী আমল
আল্লাহ ও রসুল (দঃ) যে দোয়াটির প্রশংসা করেছেন

হজরত ইউনুস (আ.) নিনেভা নামক জনপদে প্রেরিত হন। কিন্তু নিনেভার লোকজন তার ডাকে সাড়া না দেওয়ায় তিনি তাদের আল্লাহর গজবের খবর দিয়ে আল্লাহর নির্দেশের অপেক্ষা না করে নিনেভা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য রওনা হন। পথিমথ্যে সমুদ্র পড়লে তা পাড়ি দেওয়ার জন্য একটি জাহাজে ওঠেন। জাহাজটি মাঝ সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়ে পড়ে। তখন জাহাজের চালক ধারণা করে যে, জাহাজে কোনো অপরাধী আছে, যে কারণে জাহাজটি বিপাকে পড়েছে। পরে সেকালের নিয়ম অনুযায়ী অপরাধীকে চিহ্নিত করতে লটারির ব্যবস্থা করা হয়। লটারিতে বার বার হজরত ইউনুস (আ.)-এর নাম ওঠে। তখন বাধ্য হয়ে তাকে সমুদ্রে ফেলে দিলে জাহাজটি বিপাক থেকে রক্ষা পায়, আর একটি বিরাট মাছ তাকে গিলে ফেলে।

তিনি সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হলে একটি প্রকাণ্ড মাছ তাকে গিলে ফেলে। কিন্তু আল্লাহতায়ালার রহমতে ওই মাছ তাকে হজম করতে সমর্থ হয়নি, এমনকি তার দেহের সামান্যতম অংশেও কোনোরূপ ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারেনি। সেই মাছের পেটের-অন্ধকারে বসে আল্লাহর নবী হজরত ইউনুস (আ.) অত্যন্ত সম্মান, বিনয় ও কাতর স্বরে যে দোয়াটি পড়েছিলেন তা দোয়া ইউনুস নামে বহুল পরিচিত। সেই দোয়াটি হচ্ছে- ‘লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজজলিমীন।’

এটি সুরা আম্বিয়ার ৮৭ নং আয়াত এ মাহাত্ব্যপূর্ণ আয়াতের ফজিলত হল জামে তিরমিজির ৩৫০৫ নং হাদীস হযরত সায়াদ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন নবী আকরাম (দঃ) এরশাদ করেন, হযরত ইউনুস (আঃ) এর দোয়া যা তিনি মাছের পেটে পাঠ করেছিলেন, এ দোয়ার দ্বারা  যখনই কোন মুসলমান দোয়া করেন আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করে নেন।

মুলকথা এ দুয়া ইউনুসটি পড়ার পর কেহ যদি কোন দোয়া করে তা আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন।
হজরত রাসূলুল্লাহ (দ) আরও ইরশাদ করেছেন, আমার ভাই ইউনুসের দোয়াটি খুব সুন্দর। এর প্রথম অংশে আছে কালিমায়ে তায়্যিবা। মাঝের অংশে আছে তাসবিহ। আর শেষের অংশে আছে অপরাধের স্বীকারোক্তি। যে কোনো চিন্তিত, দু:খিত, বিপদগ্রস্থ ব্যক্তি প্রতি দিন এ দোয়া তিন বার পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন। -কানজুল উম্মাল: ৩৪২৮

দোয়া ইউনুস এর ফজিলত স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা সুরা আম্বিয়ার ৮৮ নং আয়াতে উল্লেখ করেন-
অথ্যাৎ আমি নবী ইউনুসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছি। তাকে দু:খ থেকে মুক্তি দিয়েছি। অনুরূপভাবে যে মুমিনরা এ দোয়া পড়বে আমি তাদেরও বিভিন্ন বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি দিব।

১০টি মন্তব্য:

  1. এখানে দোয়া ইউনুস দিনে ৩ বার পড়ার জন্য বলা হয়েছে

    কেউ যদি এই দুয়া দিনে ৩ বারের বেশি/ অধিক বার পড়ে তাতে কোনো প্রব্লেম আছে কি ?

    উত্তরমুছুন
  2. দোয়া ইউনুস খতম করতে কয় বার পরতে হয়

    উত্তরমুছুন
  3. কত বার পরলে দোয়া ইউনুস খতম হয়

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. এক লক্ষ পঁচিশ হাজার বার পরলে দোয়া ইউনুস খতম হয়.

      মুছুন
    2. দোয়া ইউনুস খতমের হাদিসটা দিবেন দয়া করে

      মুছুন

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.