পরকীয়া ও ইসলাম


একজন বদ চলন নারীর ওয়াকেয়া আপনাদেরকে শুনাব। 


বনি ইসরাইলের এলাকায় এক পাহাড় ছিল, যে পাহাড়টিকে তারা খুবই সম্মানিত মনে করত। এবং সেটিকে খুব সম্মান করত।এবং কোন কথার ফয়সালা করার সময়, যদি কসম উঠাতে হত তখন তারা সে পাহাড়ের উপর উঠে কসম খেত আর অন্যরা তখন সে কথাটিকে সত্য হিসেবে মেনে নিত। সে শহরে এক সুন্দরী রমনি ছিল তার সাথে এক নওজোয়ানের সাথে নাজায়েজ সম্পক ছিল।নারীটি তাকে তার ঘরে ডাকতে লাগল। তখন মহিলার স্বামীর সন্দেহ হতে লাগল, আর স্বামী বলল আমার সন্দেহ হচ্ছে আমার অনুপস্থিতিতে কেহ তোমার কাছে আসে। মহিলাটি অস্বিকার করল। তখন স্বামী বলল যদি তুমি সত্যবাদী হও তাহলে পাহাড়ের উপর উঠে কসম কর যে তোমার সাথে কারো নাজায়েজ সম্পক নাই।
 মেয়েটি বলল ঠিক আছে আমি আগামীকাল পাহাড়ের উপর চড়ে কসম খেতে প্রস্তুত। আর মেয়েটি গোপনে তার সে প্রেমিককে বলল যে আগামীকাল তুমি পাহাড়ের নিচে একটি গাধা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমি আর আমার স্বামী পাহাড়ের উপর উঠার জন্য সেখানে আসব, আর আমি আমার স্বামীকে বলব, পাহাড়ের উপর চড়তে আমার কষ্ট হবে, সে বাহানায় তোমার গাধাটি ভাড়ায় নিয়ে আমি সে পাহাড়ের উপর চরব। তুমি গাধার বেশধরে সেখানে উপস্থিত থাকবে। আর গাধার উপর আমাকে সওয়ার করে আমার সাথে পাহাড়ে উঠবে। যখন ২য় দিন স্বামী স্ত্রী পাহাড়ে চড়ার জন্য ঘর থেকে বের হল। আর চলতে চলতে সে পাহাড়ের নিকট পৌঁছল সেখানে তার প্রেমিক গাধাওয়ালার বেশে গাধা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।

 মহিলাটি তার স্বামীকে বলল আমি চলতে চলতে হয়রান হয়ে গেছি। আমাকে এ গাধাটি ভাড়া করে দাও, স্বামী গাধাওয়ালার সাথে ভাড়া ঠিক করে নিল। আর স্ত্রীকে গাধার উপর সওয়ার করে ৩ জনই পাহাড়ে চড়তে লাগল। যখন সে স্থানে পৌঁছল যেখানে মানুষ কসম খেত, সেখানে সে ধোকাবাজ নারী গাধার উপর থেকে পরে গেল। আর সে বাহানায় নিজের কাপড় এমন ভাবে উপরে তুলে ফেলল যেন তার সতর খুলে যায়্, আর এমন ভাবে পরল যে স্বামী সত্যি সত্যি মনে করল যে তার স্ত্রী গাধা থেকে পরে গেছে।আর এতে অসতকতা বশত সে উলঙ্গ হয়ে গেছে। এরপর মহিলাটি দ্রুত উঠে দাঁড়িয়ে গেল আর পাহাড়ের কসম খাওয়ার জায়গায় দাঁড়িয়ে বলল আমি কসম করে বলছি আমার সতর তুমি ছাড়া এবং এ গাধা ওয়ালা ছাড়া আর কেহ দেখে নি। কসম খাওয়ার পর স্বামী স্ত্রীর উপর বিশ্বাস করে নিল। কেননা স্বামী মনে করল এ গাধাওয়ালা এইমাত্র স্ত্রীর যে সতর খুলে গিয়েছিল তখনই দেখেছে। এ ঘনটায় বুঝা যায় নারীরা চালাকির দ্বারা অনেক সময় স্বামীকে বেওকুফ বানিয়ে ফেলে। কিন্তু সে সব নারীদের এটা জানা নাই যে আজ কোন চালাকির দ্বারা নিজের গুনাহকে সাময়িক গোপন করে নিল, যাতে কারো সন্দেহও সৃষ্টি হল না।কিন্তু কাল কেয়ামতের দিন এ কথা গোপন থাকবে না। কারন আল্লাহর সবকিছুই জানা আছে।আল্লাহর কাছে কোন কাজ লুকানো নাই। দুনিয়াওয়ালাদের নিকট লুকানো থাকতে পারে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা থেকে গোপন থাকতে পারে না।

ইসলামী শরীয়তে বিবাহিত ব্যাভিচারের শরয়ী শাস্তি হল, পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা। আর যদি দু’জনই বিবাহিত হয়, তাহলে দুজনেরই শাস্তি হল, পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদন্ড। যাতে সে তার কুকর্মের উপযুক্ত ফলাফল ভোগ করতে পারে।
মনে রাখতে হবে, এ শাস্তি কেবল ইসলামী রাষ্ট্রেই দেওয়া যাবে এবং সে দেশের শরীয়া সরকার ইসলামী আইন অনুসারে সেটা প্রয়োগ করবে। ব্যক্তি পর্যায়ের কেউ নয়।
পরকীয়ার আগ্নেয় থাবায় বিপর্যয়ের মূখে সংসার ও পরিবার প্রথা।  অনেকেই সমাজ, লোকসজ্জা ও সন্তানের বভিষ্যত চিন্তা করে নিরবে সহ্য করে যাচ্ছে স্বামী বা স্ত্রীর এই নিষিদ্ধ প্রণয় । অনেকেই আবার এর অনল যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ঘটাচ্ছেন বিবাহ বিচ্ছেদ । কেউবা আবার বেছে নিচ্ছে অত্মহননের মতো অভিশপ্ত পথ।
এ বিপর্যয় ঠেকাতে পারে একমাত্র ইসলামের পর্দার বিধান। এর বিকল্প সকল ব্যবস্থা বা প্রেসক্রিপশন হবে ভন্ডুল। পর্দা মূলত নারীর মান সম্মান আর ইজ্জত আবরুর রক্ষা প্রাচীর । নারীর অমূল সম্পদ রক্ষায় পর্দার অপরিহার্যতাকে অনিবার্য কর্তব্য বলে ঘোষণা করেছে ইসলাম।

৪টি মন্তব্য:

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.