দরুদ শরীফের হাজারো বিষ্ময়কর ফজিলত ও নিয়মাবলী



সুপ্রিয় সুধী দরুদ শরীফ পাঠ নিয়ে আমরা অসংখ্য প্রশ্নের সম্মুখিন হই, নানা ধরনের চিন্তা আমাদের মনে ঘুরপাক খায়, যার সমাধান আমরা খুঁজতে খুঁজতে সবশ্রেষ্ট ফজিলতময় দরুদের জিকির থেকে আমরা বঞ্চিত হয়ে যাই, আসুন আজ কিছুক্ষন সময় ব্যয় করে এ দরুদ শরীফ সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের উত্তর জেনে নিই এবং এর অভুতপূর্ব ফজিলতসমুহ জেনে দরুদের ব্যপারে নিজেদের আকিদাকে শুদ্ধ করে জান্নাতের দরজায় পৌঁছার সহজ পন্থা দরুদ শরীফ পাঠের বিষয়ে সেঠিক পন্থা জেনে নিই। আলোচনাটা শেষ পযন্ত যদি না শুনেন আমি বলব আপনি অনেক বড় ধরনের জানার বিষয় না জেনে মারাত্মক ভুল করছেন। তাই আসুন আলোচনার শেষ পযন্ত ধৈর্য্যসহকারে শ্রবণ করি। 
আল্লাহ্ পাক পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল করে হুকুম করলেন, 'ইন্নাল লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউছাল্লুনা আলান নাবীই, ইয়া আইয়ুহাল লাজিনা আমানু ছাল্লু আলাইহি ওয়াসাল্লামু তাছলীমা''

''
নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ্) স্বয়ং এবং আমার ফেরেস্তাগণ নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরুদ পাঠ পূর্বক সালাম প্রেরণ করিয়া থাকি; হে মুমিনগণ তোমরাও তাঁহার উপর দরুদ পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ কর'' (পবিত্র কোরআন-২২ পারা, সূরা আহযাব- রুকু-, আয়াত-৫৬)

এ আয়াতে যেহেতু আল্লাহ তায়ালা দরুদ পাঠের হকুম এরশাদ করেছেন তাই জীবনে একবার হলেও দরুদ পাঠ করা ফরয। আর যখনই নবী করিম (দঃ) এর নাম মোবারক আমরা উচ্চারন করি কিংবা অন্য কেহ উচ্চারন করে আমরা নবী করিম (দঃ) এর নাম মোবারক শুনতে পাই তখন দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন আযানে (আশহাদুআন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্লাহ) শুনে ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম বলা ওয়াজিব। আর যদি কোন মজলিশে বার বার নবীর জিকির হচ্ছে সেখানে হকুম হল প্রথম বার নবীর নাম শুনে দরুদে পাক পড়া ওয়াজিব। আর সে মজলিশে যতবার নাম মোবারক শুনবেন ততবার দরুদ পাঠ পড়া মুস্তাহাব।
ওয়াজিব ও ফরয তরক করলে গুনাহ হয় আর মুস্তাহাব তরক করা গুনাহ নয় তবে ফযিলত থেকে বঞ্চিত হবে। সুতরাং কোন মাহফিলে অসংখ্য বার নবীর নাম উচ্চারন হলে সেখানে যদি আমরা একবারও দরুদ না পড়ি তাহলে ওয়াজিব তরক হওয়ার কারনে গুনাহগার হব। আর যদি প্রথমবার পাঠ করে নিয়ে বাকী সময় না পড়ি তাহলে গুনাহগার হব না তবে ছাওয়াব থেকে বঞ্চিত হব। তাই উত্তম হল ওয়াজিবও পুরন করা এবং মুস্তাহাবের উপর আমল করেও অসীম ছাওয়াব হাছিল করা।

এবার আসুন বাচ্চারা দরুদ পাঠ করতে হবে কিনা সে সম্পর্কে জানা যাক-
মনে রাখবেন যে সব লোক আকেল ও বালেগ তারাই শরীয়তের বিধান পালনের জন্য বাধ্য। আল্লাহ তায়ালার সকল হকুম আহকাম পালনের মুকাল্লাফ হলেন শুধু আকেল ও বালেগগন তাই দরুদ পাঠের যে হকুম তা বাচ্চাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। তবে বাচ্চারা যদি পাঠ করে তাহলে অবশ্যই ছাওয়াব হবে তবে যদি একদম দরুদ পাঠ না করে তাহলে বাচ্চারা গুনাহগার হবে না।

এবার আসুন সুরা আহযাবে যে বলা হয়েছে আল্লাহর দরুদ ও ফেরেশতাদের দরুদ এটা কোন ধরনের দরুদ তা জানা যাক-
মনে রাখবেন যদি দরুদ এর সম্পর্ক আল্লাহর দিকে করা হয় তখন দরুদ এর অর্থ হবে রহমত নাযিল করা। অথ্যাৎ আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় মাহবুবের প্রতি রহমত নাযিল করেন, রহমত প্রেরণ করেন।
আর যখন এর সম্পর্ক ফিরিশতাদের প্রতি করা হয় তখন এর অর্থ বুঝতে হবে যে দোয়ায়ে মাগফিরাত করা। অথবা ফেরেশতাদের দরুদ পাঠ করার অর্থ হল, হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উচ্চ মর্যাদা আরো বৃদ্ধি হওয়ার জন্য দোয়া করা।

আর দরুদ এর নিছবত যখন সাধারণ মানুষের দিকে করা হয় তখন এর অর্থ হবে রহমতের দোয়া করা।
সুতরাং এ আয়াতটির অর্থ দাঁড়ায় এমন যে- নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তার হাবিব (দঃ) এর রহমত নাযিল ফরমান। আর ফেরেশতারা তার জন্য মাগফেরাত তলব করেন। হে ঈমানদারগন তোমরা এ নবী করিম এর জন্য রহমত ও খুব বেশী ছালামতির দোয়া কর।
অনেকে বলেন যে দরুদ এমন এক এবাদত যে এবাদত বান্দাও করে আল্লাহও করে এবং ফেরেশতারাও করে।

এ কথাটা সম্পূণ ভুল কথা। যদি আমরা বলি আল্লাহ তায়ালা দরুদ পড়ছেন তাহলে আমাদের মনে এ ধারনা আসবে যে আল্লাহরও ঠোট আছে মুখ আছে তিনি সে মুখ দিয়ে সে দরুদ পাঠ করছে এ ধরনের খেয়াল আসবে,  তেমনি ভাবে যদি বলে আল্লাহ তায়ালা সে আমল করছেন যে আমল আমরা করছি তা বলাও মারাত্মক ভুল হবে। কারন আল্লাহর প্রতি দরুদ এর নিছবত করা হলে এর অথ হবে রহমত নাযিল করা। আর বান্দার দরুদ পাঠের অর্থ হল রহমতের দোয়া করা। সুতরাং এদিক থেকেও আল্লাহ ও বান্দা একই আমল করেন কথাটা শুদ্ধ নয়। আর যদি কেহ বলে আল্লাহ একটিই এবাদত করেন তা হল দরুদ পাঠ। এ কথা বলাটা মারাত্মক ধরনের ভুল, দরুদ হল আল্লাহর এবাদত কেহ যদি এমনটি ধারনা করেন তাহলে সে ইসলামের গন্ডি থেকেও বের হয়ে যাবে।
মোটামোটি সহিহ কথা হল আল্লাহ তায়ালা দরুদ পাঠ করেন না বরং আল্লাহ তায়ালা তার হাবিব (দঃ) এর উপর দরুদ পাঠান অথ্যাৎ রহমত নাযিল করেন।

এবার আসুন দরুদ পাঠ এর ফযিলত সংক্রান্ত কয়েকটি হাদীস জেনে নিই-

১।মেশকাত শরীফ এর হাদীস- রাসূলে পাক (দঃ) এরশাদ করেন, ''যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ্ পাক তার উপর দশটি রহমত অবতীর্ণ করবেন।

২।নাসায়ী শরীফের হাদীস- আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেন, ''যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ প্রেরণ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাহার প্রতি দশবার রহমত নাযিল করবেন এবং তাহার দশটি গোনাহ মাফ করা হবে, আর তাহার মর্যাদা দশগুণ উচ্চ করা হবে।

৩। নাসাঈ শরীফের অপর বর্ণনায় আছে- হযরত আবু দারদা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন যে, রাসূলে করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, আমার উম্মতের যে কোনো লোক যদি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ্ পাক তার প্রতি দশটি রহমত নাজিল করেন, দশটি উচ্চ মর্যাদা দান করন, আমলনামায় দশটি নেকি লেখা হয় এবং দশটি গুনাহ মাফ করে দেন।

৪। বায়হাকী শরীফের হাদীস- হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার কবরের নিকট আমার উপর দরুদ পাঠ করবে, আমি তা নিজ কানে শুনবো, আর যে ব্যক্তি আমার উপর গায়েবানা (অর্থাৎ দূরে থেকে) দরুদ পাঠ করবে, তা আমার নিকট পৌঁছে দেয়া হবে।

৫।নাসায়ী ও দারমী শরীফের হাদীস- হযরত রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেন, ''আল্লাহ্ তায়ালার বহু ফেরেশতা যমীনে ভ্রাম্যমাণ রয়েছে, যারা আমার নিকট আমার উম্মতের পক্ষ থেকে তাদের সালাম পৌঁছে দেয়।

৬।মুয়াত্তা শরীফের হাদীস- হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ''কোনো ব্যক্তি দরুদ শরীফ পড়া মাত্র একজন ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা আমার দরবারে উপনীত হয়ে খবর দেয়, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! অমুকের সন্তান অমুক আপনার উপর এত মোর্তবা দরুদ শরীফ পাঠ করেছেন। অমনি আমি ও তার ওপর ঠিক তত মোর্তবা দরুদ পাঠ করি। অতঃপর সেই ফেরেশতা আল্লাহর দরবারে আরজি পেশ করে- হে মাবুদ! অমুকের সন্তান অমুক আপনার হাবীবের ওপর এত মর্তবা দরুদ পাঠ করেছেন। তৎক্ষণাৎ আল্লাহ্ পাক তাকে জানিয়ে দেন, ''উত্তম কিরামান ও কাতেবীনকে বলে দাও, তার প্রত্যেক মোর্তবা দরুদ পাঠের পরিবর্তে যেন তার আমলনামা থেকে দশটি করে গোনাহ্ কেটে দেয় এবং আমার তরফ থেকে প্রত্যেক কাটা স্থানে দশটি করে নেকী লিখে রাখে।
৭। তিরমিযি শরীফের হাদীস- হযরত আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ''সেই ব্যক্তি কৃপণ, যার সম্মুখে আমার নাম উল্লেখ হয়, অথচ সে আমার নামে দরুদ পাঠ করে না।
৮।তাবারানী শরীফের হাদীস- হযরত আবু দাররা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ''যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা আমার ওপর দশবার দরুদ পড়বে সে কেয়ামতের দিন আমার শাফায়াত লাভ করবে।
৯।মুসলিম শরীফের হাদীস- হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তি ওযু করে আদবের সাথে বসে আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করলে, আল্লাহ্তায়ালা তাহার ওপর দশবার দরুদ  প্রেরণ করেন। যদি আমার ওপর কেউ দশবার দরুদ পাঠ করেন তবে আল্লাহ্তায়ালা তার ওপর একশতবার দরুদ প্রেরণ করেন। কেউ একশত বার আমার ওপর দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ্পাক তার উপর একহাজার বার দরুদ শরীফ প্রেরণ করেন এবং তার জন্য বেহেশত হালাল ও দোযখ হারাম করে দেন।

১০।(তিরমিযী শরীফের হাদীস হযরত ইবনে মাস্উদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার উপর সর্বাধিক দরুদ পাঠকারী কিয়ামতের দিন লোকদের মধ্যে আমার সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে।
১১।তিরমিযি শরীফের হাদীস হযরত উবাই ইবনে কা'ব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদা আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি আপনার নামে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করি; অতএব দরুদ পাঠের জন্য আমি কতটুকু সময় নির্দিষ্ট করব?
_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ''যতটুকু তুমি চাও। আমি বললাম, ''এক চতুর্থাংশ সময়। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ''যতটুকু তুমি চাও; আর যদি আরও বেশি কর, তবে তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম, অর্ধেক সময়? আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও' আর যদি আরও বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম_ তবে দুই তৃতীয়াংশ সময়। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যতটুকু তুমি চাও আর যদি আরও বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য ভালো হবে। আমি বললাম, আমি আপনার উপর দরুদ পাঠের জন্য আমার সমুদয় সময় নির্দিষ্ট করব। আঁ_ হযরত ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে তোমার যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার দ্বীন ও দুনিয়ার সকল উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে আর তোমার সমস্ত গোনাহ্ মাফ হবে। (তিরমিযী)

১২। মুসলিম শরীফের হাদীস- রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার সুপারিশের পূর্বে কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না কিন্তু যারা আমার ওপর সব সময় দরুদ শরীফ পাঠ করেছে, তারা আমার সুপারিশের পূর্বেই জান্নাতে চলে যাবে। তাদের জন্য আমার কিছুমাত্র সুপারিশের প্রয়োজন হবে না। (মুসলিম শরীফ)।

১৩। অপর এক হাদীসে আছে- নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যদি তুমি কোন কিছু ভুলে যাও তাহলে আমার উপর দরুন পাঠ কর ইনশা আল্লাহ সে ভুলে যাওয়া জিনিষ তোমার মনে পড়ে যাবে।
আপনারা নিজেরাই পূণ বিশ্বাসের সাথে এ হাদীসের উপর আমল করতে পারেন, ধরুন আপনি ঘরে কোন কিছু কোথাও রেখেছেন পরে ভুলে গেছেন তখন আপনি আন্তরিকতার সাথে দরুদে পাক পাঠ করতে থাকুন দেখবেন আপনার মনে হবে কেউ যেন আপনার কানে কানে এসে বলে দিল যে তুমি অমুক জায়গায় বস্তুটি রেখেছ।
তেমনিভাবে যে সব ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষার্থী তারা পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্ন আসার সাথে সাথে ১১ অথবা ১২ বার দরুদ পাঠ করলে এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ১১/১২ বার দরুন পাঠ করলে ইনশা আল্লাহ পরীক্ষা ভাল হবে। অনেকে পরীক্ষার হলে গিয়ে মুখস্থ পড়া ভুলে যায় সে সমস্যাও ইনশা আল্লাহ দরুদে পাকের বরকতে সমাধান হয়ে যাবে।
১৪। অভাব দুর করার জন্য সবচেয়ে আফযল অজিফা হল দরুদে পাক পাঠ করা। নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন আমার উপর ৫০০ বার দরুন পাঠ করবে তাঁর সকল অভাব অনটন দুর হয়ে যাবে।
১৫। অপর এক রেওয়ায়েতে আছে নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যখনই তোমাদের কোন পেরেশানি আসে তখন তোমরা আমার উপর বেশী বেশী দরুদ পাঠ কর তাহলে আল্লাহ তাবারাকা ওয়াতায়ালা তোমাদের পেরেশানি দুর করে দিবেন। আর বেশী দরুদ এর সংখ্যার ব্যপারে ওলামায়ে কেরাম বলেন ৩০০ বার অথবা ৩১৩ বার। অথ্যাৎ কেহ দিনে ৩ শত বা ৩১৩ বার দরুদ পাঠ করে তাহলে সে অধিক দরুদ পাঠকারী হিসেবে গণ্য হবে।
১৬। অপর এক রেওয়ায়েতে আছে নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি প্রতিদিন হাজার বার দরুদ পাঠ করে সে ততক্ষন মৃত্যু বরণ করবে না যতক্ষন নিজের স্থান জান্নাতে দেখতে না পাবে। হাদীসের ব্যখ্যাকারী গণ বলেন এটা মুলত জান্নাতে প্রবেশের সুসংবাদ।
১৭। অপর এক রেওয়ায়েতে আছে নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন- আমি স্বপ্নে দেখলাম আমার এক উম্মত পুলসিরাতে এসেছে। আর সে পুলসিরাত পার হচ্ছিল হঠাৎ তার পা কেঁপে উঠল। এমন সময় সে পুলসিরাত থেকে জাহান্নামে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হল। এমন সময় সে দুনিয়ায় মহব্বতের সাথে আমার উপর যে দরুদ পাঠ করেছিল সে দরুদ এসে উপস্থিত হয়ে গেল আর সে উম্মতের হাত ধরে তাঁকে পুলসিরাত পার করে দিল।
১৮। ইমাম কস্তুলানি (রহঃ) যিনি সহিহ বুখারীর শরাহ লিখেছেন তাঁর প্রসিদ্ধ কিতাব মাওয়াহেবে লুদুন্নিয়া নামক কিতাবে তিনি একটি চমৎকার হাদীস নকল করেন তা হল
একদা রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে বসেছিলেন। এ সময় চারজন প্রধান ফেরেশতা এসে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় দেখে প্রশ্ন করলেন, ''হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কী চিন্তা করছেন? রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ''আমার উম্মতের চিন্তা করছি, কীভাবে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতে নেওয়া যায়। এই কথা শুনে

প্রথম ফেরেশতা আজরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ''আপনার ওই উম্মত যে সকালে দশবার এবং সন্ধ্যায় দশবার আপনার প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করবে, আমি মৃত্যুর সময় তার জান সম্মান ও ইজ্জতের সাথে সহজে কবজ করব।

দ্বিতীয় ফেরেশতা ইসরাফিল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আপনার যে উম্মত সকাল-সন্ধ্যা দশবার করে আপনার উপর দরুদ ও সালাম ভেজবে, আমি তার জন্য হাশরের ময়দানে আল্লাহর আরশের নিচে সেজদারত অবস্থায় তার জন্য গুনাহ মাফির জন্য প্রার্থনা করব এবং প্রার্থনা কবুল না হওয়া পর্যন্ত সেজদা থেকে মাথা তুলব না।

 তৃতীয় ফেরেশতা মিকাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আপনার যে উম্মত প্রাতে দশবার এবং সন্ধ্যায় দশবার আপনার প্রতি দরুদ ও সালাম জানাবে, আমি হাশরের ময়দানে তাকে নিজ হাতে হাউজে কাউসারের পানি পান করাব।

চতুর্থ ফেরেশতা জিব্রাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাসূলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাহু ধরে বললেন, অনুরূপ দরুদ পাঠকারীকে আমি এভাবে পুলসিরাত পার করে জান্নাতে পৌঁছে দেবো।
মোটকথা হাদীস শরীফের দ্বারা সংক্ষেপে দরুদ পাঠের যে সব ফযিলত চোখে পড়ার মত তা হল-
দরুদ শরীফ পাঠে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। সর্বাবিধ বিপদ-আপদ দূরীভূত হয়। দেহ রোগমুক্ত থাকে। স্বাস্থ্য অটুট হয়। হায়াত বৃদ্ধি পায়। যাবতীয় অভাব-অভিযোগ মোচন হয়। ইহকাল এবং পরকালের কল্যাণসহ দ্বীন-দুনিয়ার সকল মক্বসূদ হাসিল হয়। নিয়মিত বেশি বেশি দরুদ পাঠকারীর হাশরের মাঠে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুপারিশ প্রাপ্তি ও মুক্তি লাভের আশা করা যায়। দরুদ শরীফ পাঠের সর্বাপেক্ষা স্বাদের ও মধুর বিশেষত্ব এই যে, দরুদ শরীফ পাঠের উছিলায় পাঠক উন্নতির পথে অগ্রসর হয়। তার সমগ্র জীবনের সকল প্রকার গুনাহ্ মাফ হয়ে যায় এবং স্বপ্নযোগে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দীদার নছিব হয়। অর্থাৎ জিয়ারত বা দর্শন লাভ হয়। আর সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তির জন্য দোযখ হারাম এবং বেহেস্ত অনিবার্য হয়ে যায়।

এবার আসুন দরুদ শরীফের ফযিলত সংক্রান্ত চমৎকার ১টি ঘটনা শুনি
এক বুযুর্গ ব্যক্তি ঘন জঙ্গলে চলে যাচ্ছিলেন। জঙ্গলের আশে পাশের লোকজন বুযুর্গকে জঙ্গলের ভিতর যেতে নিষেধ করলেন। কারন জঙ্গলটি খুবই ভয়ানক, কারন সেখানে হিংস্র প্রাণীরা প্রতি পদে পদে আক্রমণ করতে পারে। বুযুগ জবাব দিলেন আমার মালিক আল্লাহ সুতরাং আমার কোন ভয় নাই। বুযুর্গ ব্যক্তিটি গ্রামের লোকজনের কথায় কান না দিয়ে জঙ্গলে চলে গেলেন রাতে আর ফিরে এলেন না। তখন গ্রামের লোকজন সকালে সে বুযুর্গের খোঁজে সকলে জঙ্গলে ঢুকে গেল, তারা ভাবল বুযুর্গকে বনের হিংস্র প্রাণি মেরে খেয়ে ফেলেছে। কিন্তু গ্রামের লোকজন বনের গভিরে দেখল সে বুযুর্গ ঘন জঙ্গলের ভিতর আল্লাহর এবাদতে মশগুল। সকলে বুযুর্গকে সাথে নিয়ে গ্রামে চলে এল। সকলেই বুযুর্গকে প্রশ্ন করল হুযুর এমন ভয়ানক জঙ্গলে আপনি কিভাবে রাত কাটালেন? তিনি জবাব দিলেন আমি খুব আরামে বিনা টেনশনে সারা রাত কাটিয়েছি। সকলে প্রশ্ন করল আপনাকে কি বনের ভয়ংকর প্রাণী ও ভয়ানক জ্বিনেরা কষ্ট দেয় নি? ভয় লাগায়নি? তখন বুযুর্গ জবাব দিল আমি একটি হাদীস শুনেছি যে কেহ যদি নবী করিম (দঃ) এর উপর একবার দরুন পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার উপর ১০টি রহমত নাযিল করেন। আমি এ হাদীসের উপর পূর্ণাঙ্গ ঈমান নিয়ে দরুদ পাঠ করে আমি সে জঙ্গলে সারা রাত কাটিয়েছি কারন যার উপর মহান রবের ১০ রহমত নাযিল হচ্ছে তাঁকে দুনিয়ার কোন শক্তি কিভাবে ক্ষতি করতে পারবে? আল্লাহ তায়ালা আমার এ একিন ও বিশ্বাসের কারনে আমাকে হেফাজত করেছেন দরুদ শরীফের বরকতে আল্লাহর রহমতে এখনও আমি আপনাদের সামেন ছহি ছালামত আছি। সুবহানাল্লাহ।

এবার আসুন প্রতিদিন কোন দরুদটি পাঠ করা উচিত তা জেনে নিই – মনে রাখবেন আমাদের নবী দরুদ শরীফ পাঠ করার জন্য তাগাদা দিয়েছেন কিন্তু কোন নির্দিষ্ট সিগাহ বলে দেন নি। এটাও উনার একটি রহমত বলা যায়। অনেকে দরুদে ইবরাহিমি ছাড়া অন্য কোন দরুদ পাঠ করাটাকে নিরুৎসাহিত করেন- এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরাম বলেন সকলের ঐক্যমতে আফযল দরুদ হল দরুদে ইবরাহিমি। নবী করিম (দঃ) সাহাবাদের আফযল দরুদ হিসেবে দরুদে ইবরাহিমির শিক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দরুদ ও ছালাম পাঠ করার হকুম দিয়েছেন এখন আমরা যদি শুধু দরুদে ইবরাহিমি পাঠ করি তাতে দরুদ আছে কিন্তু ছালাম নাই। নিঃসন্দেহে দরুদে ইবরাহিমি ফজিলতময় দরুদ, কিন্তু এতে ছালাম না থাকায় নামাজ ছাড়া অন্য সময় যখন আমরা দরুদ ও ছালাম পাঠ করব তাতে এমন ছিগাহ যুক্ত দুরুদ ছালাম পাঠ করা উচিত যাতে দরুদও আছে ছালামও আছে। সুতরাং ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম। আসসালাতু আসসালামু আলাইকা এয়া রাসুলাল্লাহ। এ সব দরুদের মধ্যে দরুদও আছে ছালামও আছে।
আবার অনেকে বলে থাকেন দরুদ পাঠ করতে হবে শুধুমাত্র যা আহাদীসে করিমা দ্বারা প্রমাণিত  এ ছাড়া অন্য কোন ছিগাহ দ্বারা তৈরী দরুদ পাঠ করা জায়েজ নাই।
এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরাম বলেন যে সব দরুদ প্রচলন আছে যা আহাদীসে করিমা দ্বারা প্রমাণিত নয়, তার অর্থের দিকে যদি খেয়াল করা যায় তাতে দেখা যায় এ সবই দরুদ ও ছালাম যা খুবই অথবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ। যা বড় বড় মশায়েখ ও বুযুগগণ ও আল্লাহওয়ালাগণ রচনা করেছেন, এমনও দেখা গেছে অনেকে এসব দরুদ রচনা করার ফলে স্বপ্নে প্রিয় নবীর পক্ষ থেকে মোবারকবাদও পেয়েছেন। উপহার পেয়েছেন। যারা এসব দরুদ পাঠ করেছেন তারা এ দরুদ ও ছালাম পাঠের ফলে উপকৃত হয়েছেন। আর তাছাড়া সুরা ফাতেহায় আল্লাহ তায়ালা এসব আল্লাহ ওয়ালা ও নেয়ামত প্রাপ্ত বান্দাদের ব্যপারে শিক্ষা দিয়েছেন (ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম সিরাতাল্লাজিনা আন আমতা আলাইহিম) হে আল্লাহ আমাদেরকে সোজা রাস্তায় চালাও তাদের রাস্তায় যারা তোমার নেয়ামত প্রাপ্ত বান্দা। সুতরাং এসব আল্লাহওয়ালাগণ যেহেতু একটা বিষয়ে আমাদেরকে তলকিন করছেন তা অনুসরনেই আমাদের জন্য বরকত রয়েছে।   
নামাজে আমরা দরুদে ইবরাহিমি পাঠ করে থাকি এ দরুদে ইবরাহিমি ব্যতীত অন্য কোন দরুদ পাঠ করা কতটুকু ফযিলত ময়?
মনে রাখবেন নামাজে দরুদে ইবরাহিমি পাঠ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। এখন কেহ যদি নামাজে দরুদে ইবরাহিমি ছাড়া অন্য কোন দরুদ পাঠ করি তাতে শরীয়তের পক্ষ থেকে কোন বাঁধা নাই। তবে যেহেতু নামাজে দরুদে ইবরাহিমি পাঠ করার ব্যপারেই নবী করিম (দরুদ) এর পক্ষ থেকে রেওয়ায়েত এসেছে তাই নামাজে এ দরুদ পাঠ করাটাই আফযল। তবে কারো যদি এ দরুদে ইবরাহিমি মুখস্থ না থাকে তাহলে সে নামাজে অন্য কোন দরুদও পাঠ করতে পারবে। যেমন ফোকাহায়ে কেরাম বলেন কেহ তার অসংখ্য নামাজ কাজা আদায় করার সময় সংক্ষিপ্ত করা ও সহজ করার জন্য যদি আত্তাহিয়্যাত পাঠ করার পর দরুদ পুরা পাঠ না করে (আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মুহাম্মাদিন) পযন্ত পাঠ করে তাহলেও যথেষ্ট হবে।  মোটকথা হল নামাজে দরুদে ইবরাহিমি পাঠ করা আফযল। তবে কেহ অন্য দরুদ পাঠ করলেও নামাজ হয়ে যাবে।
তেমনি ভাবে কত সংখ্যা পরিমান দরুদ পাঠ করতে হবে তাও তিনি নির্ধারিত করে দেন নি। তবে হযরত উবাই বিন কাব উনার সারাদিন যে সব দোয়া ওয়াজিফা পাঠ করতেন সকল দোয়া ওয়াজিফাতে শুধু দরুদ পাঠ করাকে প্রিয় নবী উৎসাহিত করেছেন এতে স্পষ্ট বুঝা যায়  নবীয়ে পাক (দঃ) তাঁর উম্মত অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করুক তা বেশী পছন্দ করতেন। কারন তিনি দরুদ পাঠের যে ফযিলত ও বরকত তা স্বচক্ষে দেখে প্রিয় উম্মতকে সে ফযিলত ও বরকত হাছিল করার জন্যই বেশী বেশী দরুদ পাঠে উৎসাহিত করেছেন।
তবে দরুদ পাঠের সংখ্যা ততটুকু পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিৎ যতটুকু  পরিমাণ পাঠ করাটা প্রতিদিন খুব সহজে সম্ভব হয়। কেহ একদিন হাজার বার দরুদ পাঠ করল পরের দিন ৫শ, তারপর কয়েকদিন একদম ছেড়ে দিল এ ধরনের অনিয়মিত পাঠ করতে ওলামায়ে কেরাম নিষেধ করেছেন। এর কারন হিসেবে ওলামায়ে কেরাম বলেছেন। যদি কেহ একটি নিদিষ্ট সময়ে নিদৃষ্ট পরিমাণ দরুদ পাঠ করবেন , আপনার সে দরুদে পাক আপনার ও আপনার পিতার নাম ও পরিচিতি সহ নবী করিম (দঃ) এর পাক দরবারে একজন ফেরেশতা পেশ করবেন। তাই যখন সে নিদৃষ্ট সময়টি প্রতিদিন আসে তখন নবী করিম (দঃ) সে উম্মতের দিকে রুহানী ভাবে মনোনিবেশ করেন যে এখন আমার অমুক উম্মতের দরুদ ও ছালাম আসবে। এবং এত সংখ্যক পরিমাণ দরুদ ও ছালাম আসবে। তাই প্রত্যেকের উচিৎ প্রতিদিন দরুদে পাক পাঠের জন্য একটা সময় নির্ধারণ করা এবং এমন একটা সংখ্যা নিদৃষ্ট করে নেয়া যে পরিমাণ দরুদ প্রতিদিন খুবই সহজে আদায় করা সম্ভব।
এবার আসুন দরুদ শরীফ কোন অবস্থায় পাঠ করা যায় তা জেনে নিই।
দেখুন একটি শরীয়ী উসুল মনে রাখবেন যে আল্লাহ তায়ালা কোরানে যদি কোন হকুম দেন আর তাতে যদি কোন শর্ত না লাগান তাকে মুতলাক হকুম বলা হয়। কুরানে যদি কোন হকুম মুতলাক আসে তাতে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে কোন শর্ত যোগ করে দিতে পারি না। আর দরুদের ব্যপারে আল্লাহর হকুম হল “আমার হাবিবের উপর দরুদ ও খুব ছালাম প্রেরণ কর” এখানে কোন সময় প্রেরণ করবে, কি অবস্থায় প্রেরণ করবে, একাকি নাকি সকলে মিলে? সকালে নাকি সন্ধ্যায়? নামাজের আগে নাকি নামাজের পড়ে? শুয়ে শুয়ে নাকি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে? অযু করে নাকি অযু ছাড়া? এ সব কিছু শর্ত কোরানে নাই। সুতরাং ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে যেহেতু এ হকুমে কোন ধরনের শর্ত লাগানো হয়নি, তাই দরুদ শরীফ আপনি যে কোন হালতে পাঠ করতে পারবেন। বসে, দাঁড়িয়ে, হাঁটতে হাঁটতে, অযু সহকারে, অযু ছাড়া সব অবস্থায় দরুদের বরকতে আল্লাহর রহমত নাযিল হবে। ওলামায়ে কেরাম বলেন- শুয়ে শুয়ে পড়ার সময় পা কে ছড়িয়ে পড়ার চাইতে পা গুটিয়ে পড়াটা আফযল। তেমনি ভাবে কোন দুর্গদ্ধময় স্থানেও দরুদ পাঠ করাটা আদবের খেলাফ। এ ছাড়া বাকী সময় গাড়ীতে চড়া কালিন, সফর কালিন সদা দরুদ পাঠ করতে থাকুন ইনশা আল্লাহ এর বরকতে আল্লাহর রহমত নাযিল হতে থাকবে এবং সব ধরনের এক্সিডেন্ড থেকে আল্লাহ হেফাযত ফরমাবেন।
নাপাক অবস্থায় এবং মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালিন সময় পবিত্র কুরআন শরীফ তেলাওয়াতের নিয়তে পাঠ করা নিষেধ। এ ছাড়া বাকী সব ধরনের ওয়াজিফা নাপাক অবস্থায় ও মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালিন পাঠ করতে পারবে। তবে কুলি করে নিতে হবে। সুতরাং কারো উপর যদি গোসল ফরয হয় তাহলে সে কুলি করার পর দরুদ পাঠ করতে পারবে, তেমনি ভাবে মহিলারা তাদের মাসিক চলাকালিন সময়ও কুলি করে দরুদ পাঠ করতে পারবে।
দরুদ শরীফ পড়াতে যেরুপ ফজিলত ও বরকত রয়েছে তেমনি লিখাটাও যে আমাদের প্রিয় নবী পছন্দ করতেন তা এক বুযুর্গের ঘটনা দ্বারা অনুধাবন করা যায়। ঘটনা হল-এক বুযুগ তিনি যখন আমাদের নবীর নাম লিখতেন তখন তিনি শুধু ছাল্লাল্লাহু আলাইহি লিখতেন ওয়াছাল্লাম লিখতেন না। একদিন স্বপ্নে নবীজির যেয়ারত নছিব হল তিনি সে বুযুর্গকে বললেন- তুমি যে ছাল্লাল্লাহু আলাইহি লিখ তাতে ৩০টি সাওয়াব পাও, আর যদি ওয়াছাল্লামও লিখো তাহলে ৪০টি নেকি পাবে। সে দিন থেকে সে বুযুগ যখনই নবীজির নাম লিখতেন তখনই ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম লিখতেন।
অনেকে সংক্ষেপে (সাঃ) লিখেন এ ব্যপারে আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহঃ) বলেন যে ব্যক্তি সবপ্রথম দরুদ শরীফ এর সংক্ষিপ্ত রুপের প্রচলন করল সে যুগের ঈমানদার বাদশা সে ব্যক্তির হাত কাটার নির্দেশ দিয়েছেন এবং হাত কেটে ফেলা হয়েছে। তাই নবীর নাম লেখার পর পুরা ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম লেখা প্রত্যেক উম্মতের জন্য বরকতের কারন হবে। সংক্ষেপে (সাঃ) (ছঃ) লেখা আদবের খেলাফ। ছাওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়ার আলামত। এবং এর ফলে আমাদের প্রিয় নবী অসন্তুষ্টও হতে পারেন। কোন কোন ওলামায়ে কেরাম নবীর নামের পর সংক্ষেপে (স) (ছ) ইত্যাদি লেখা হারাম বলেছেন।
এবার আসুন দরুদ শরীফ নিয়ে আরেকটি চমৎকার বিষয় তা হলে আমাদের নবী মুহাম্মদ (দরুদ) এর উপর দরুদ পাঠের বিধান রয়েছে তেমনি কি অন্যান্য নবীদের উপর কিংবা সাহাবাদের উপর দরুদ  পাঠ করা যায় কিনা?  

জেনে রাখুন আমাদের নবী মুহাম্মদ (দরুদ) এর উপর যেরুপ দরুদ পাঠ করা যায় তেমনি অন্যান্য নাবী ও রসুলদের উপরও দরুদ পাঠ করা যায়। আর যারা নবী নন যেমন সাহাবা তাদের উপর সরাসরি দরুদ পাঠ করা নিষেধ। যেমন হযরত আবু বকর ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম এভাবে বলা যাবে না। তবে প্রথমে নবীর উপর দরুদ পাঠ করার পর অন্যদের উপর পাঠ করা যাবে। যেমন আমরা বলি ‘ছাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাঈন’। মুলকথা সাহাবায়ে কেরাম আহলে বাইত এদের উপর দরুদ পাঠ করতে হলে প্রথমে নবীজির উপর দরুদ পাঠ করবে তারপর বাকীদের উপর।
তেমনি ভাবে মুহাম্মদ নামের পর যেমন ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম লেখা যায় তেমনিভাবে অন্য কোন নবীর নামের পরও ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম লেখা যায়েজ। জেনে রাখুন (ছাল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম) অথ্য হল হে আল্লাহ তাঁর উপর রহমত ও শান্তি বর্ষন করুন। অতএব এ ধরনের দরুদ অন্যান্য নবীদের জন্যও পড়া জায়েজ।
অনেকে নিজের নাম মুহাম্মদ আকরাম রাখে এখন সে যখন নিজের নাম বলে তখন সেখানে মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম আকরাম এমন বলা জায়েজ নাই। কারন এখানে সে নিজের নাম বলছে নবীর নাম বলছে না।
দরুদের ব্যপারে আরেকটি দ্বন্দ দেখা যায় যে অনেকে বলে আসসালাতু আসসালামু আলাইকা এয়া রাসুলাল্লাহ এভাবে বলাটা জায়েজ নাই, এ ব্যপারে শরীয়তের বিধান হল । যদি কেহ মদীনা শরীফ নবীজির রওজার সামনে গিয়ে আসসালাতু আসসালামু আলাইকা এয়া রাসুলাল্লাহ বলে তাতে সকলের ঐক্যমতে জায়েজ। তবে দুর থেকে যেমন বাংলাদেশ ইন্ডিয়া পাকিস্তান থেকে অন্যান দেশ সমুহ থেকে যদি কেহ আসসালাতু আসসালামু আলাইকা এয়া রাসুলাল্লাহ পাঠ করে এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরামগনের মধ্যে এখতেলাফ রয়েছে। অনেকে যুক্তি দিয়ে থাকে ‘এয়া রাসুলাল্লাহ’ বলা যাবে যিনি নিকটে আছেন তাকে। নবী যদি মদীনায় দুরে থাকে তাহলে সে নবীকে ‘এয়া রাসুলাল্লাহ’ বলাটা জায়েজ নাই।
এর জবাবে ওলামায়ে কেরাম বলেন- আমরা যখন নামাজে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে আত্তাহিয়্যাত পাঠ করি তাতে বলি ‘আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু’  হে নবী আপনার উপর ছালাম। এটাও নিকটে যিনি আছেন তাঁর জন্য বলা হয়। এখন আমরা হাজার মাইল দুর থেকে নবীকে নামাজে ছালাম দিলে সে সালাম যে ভাবে মদীনা শরীফ নবীজির রওজায় পৌঁছে থাকে তেমনি কেহ যদি হাজার মাইল দুর থেকে বলে ’আসসালাতু আসসালামু আলাইকা এয়া রাসুলাল্লাহ’ বলে সেটাও নবীজির রওজায় পৌঁছে যাবে।
দরুদের ব্যপারে আরেকটি বিষয় খুবই জরুরী তা হল দরুদ পাঠের মুস্তাহাব পদ্ধতি হল শেখ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভি (রহঃ) মাদারেজুন্নাবুওতে উল্লেখ করেন- দরুদ পাঠের মুস্তাহাব তরিকা হল গোসল করে কিংবা তাজা অযু করে জায়নামাজ বিছিয়ে পরিস্কার পরিচছন্ন কাপড় পরিধান করে, আতর লাগিয়ে, অত্যন্ত আদবের সাথে কেবলামুখী দুজানো হয়ে বসে চোখ বন্ধ করে এটা চিন্তা করতে হবে যে নবীয়ে করিম (দরুদ) আমার বিলকুল সামনে তশরীফ আছেন। যদি কেহ এভাবে আদবের সাথে প্রিয় নবীর উপর দরুদ ও ছালাম পেশ করে তাহলে ইনশা আল্লাহ অতি শিঘ্রই সে প্রিয় নবীর দিদার লাভে ধন্য হবে।
অনেক জায়গায় দেখা যায় আযানের পর কিংবা আযানের আগে দরুদ পাঠ করেন- এ ব্যপারে অনেকে বাঁধাও দিয়ে থাকেন এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরাম বলেন যে যেহেতু আল্লাহ তায়ালা দরুদ পাঠের বিষয়টি মুতলাক রেখেছেন তাতে কোন সময় স্থান ও কালের শর্ত জুড়ে দেননি, সুতরাং কেহ যদি দরুদ শরীফ আযানের আগে পাঠ করে, আযানের পরে পাঠ করে, সকালে পড়ে, সন্ধ্যায় পড়ে, রাতে পড়ে, দিনে পড়ে তাতে শরীয়তের পক্ষ থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা নাই। তবে আযানের আগে দরুদ পাঠ করার নিয়ম পূর্বযুগে ছিল না। তবে এ ব্যপারে যেহেতু নিষেধাজ্ঞাও কোরান হাদীসে নাই, তাই এটা জায়েজ। তবে এটাকে ফরয কিংবা ওয়াজিবও মনে করা যাবে না বরং মুস্তাহাব কাজ কেহ যদি আযানের আগে দরুদ পাঠ করে ছাওয়াব পাবে আর না করলে গুনাহগার হবে না। আর এ দরুদ ও ছালাম আযানের আগে আগে না দিয়ে দিয়ে আযান দেয়ার কমপক্ষে ২/৩ মিনিট আগে দরুদ পাঠ করবে যেন মানুষ এ দরুদ ও ছালামকে আযানের অংশ না ভাবে।
মুলকথা হল কেহ যদি আযানের আগে দরুদ ছালাম পড়ে তাকে নিষেধ করাও যাবে না, আর কেহ যদি দরুদ ছালাম না পড়ে তাঁকে এর জন্য বাধ্যও করা যাবে না।
আরেকটি বিষয় দরুদের ব্যপারে জানার ইচ্ছা সবার তা হল আমাদের নবীর উপর কি অন্যান্য নবীগণ দরুদ পাঠ করেছেন ? এ ব্যপারে হযরত আদম (আঃ) এর একটি ঘটনা প্রনিধানযোগ্য যে আদম (আঃ) এর সাথী হিসেবে যখন বিবি হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করা হল হযরত আদম (আঃ) বিবি হাওয়ার প্রতি হাত বাড়াতে চাইলেন তখন আল্লাহর তরফ থেকে নেদা আসল হে আদম প্রথমে মহর আদায় কর তারপর তোমার জন্য বিবি হাওয়া হালাল হবে। তখন আদম (আঃ) ফরমারেন এয়া রাব্বে কারিম মহর কি? তখন আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- আমার আখেরী নবীর উপর ৩ বার দরুদে পাক পাঠ কর আর এটাই তোমার মহর। অপর বণনায় ১১/১২ বার বণিত হয়েছে। এ থেকে বুঝা যায় আল্লাহ তায়ালা যিনি তামাম নবী ও তামাম দুনিয়ার মানব জাতির পিতা তাঁকেও দরুদে পাক পড়ার হকুম এরশাদ করেছেন এবং তিনি তা পাঠও করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
দরুদ ও ছালাম নিয়ে আরো একটি বিষয় আমাদের সমাজে বেশী দ্বন্দ্ব দেখা যায় তা হল অনেকে দরুদ ছালাম পড়তে পড়তে দাঁড়িয়ে যায় আর অনেকে বলে দরুদ ছালাম পাঠ করলে সে মজলিশে নবীয়ে পাক হাজির হয়ে যান, তাই দাঁড়িয়ে যাওয়াটাই হল আদব। এ ব্যপারে নিরপেক্ষ ও সহিহ মতামত হল। যে কোন জিকির ও নাতে রাসুলের মাহফিল হলেই তাতে আমাদের নবী হাজির হয়ে যান এ ধরনের চিন্তা করাটা ভুল কনসেপ্ট। তবে এটা অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে যদি নবী করিম (দরুদ) চান আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি সেখানে তশরীফ আনতে পারেন। আর মিলাদ মাহফিলে দেখা যায় শেষ মুহুতে সকলে দাঁড়িয়ে যায়। নবীর জিকিরের সম্মানে সমস্ত সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকাটা আদব কিন্তু এমন আদব যাতে আবার শরীর ও মন অপরাগ তাই অনেকে নবীর জিকিরের মাহফিলে জিকিরের সম্মানাথে শেষ সময়ে দাঁড়ায়। আর নবীর দরুদ ও জিকিরের সম্মানে দাঁড়ানোটা বরকতের কারন। তবে যদি কেহ এটা চিন্তা করে নবী করিম (দরুদ) মাহফিলে আসবে আর মঞ্চে ১টি চেয়ার রাখা এ জন্য যে নবী করিম (দরুদ) সে চেয়ারে বসবে এমন ধরনের কাজ যদি কেহ করে তা একটি ভুল কাজ, এ ধরনের কাজ থেকে মুসলমানদের বেঁচে থাকা জরুরী। মুল কথা আল্লাহ ইচ্ছায় যে কোন স্থানে নবীয়ে করিম (দঃ) তশরীফ নিতে পারেন, তবে কেহ মিলাদ মাহফিল কিংবা নাতে রসুলের মাহফিল করে আর বলে যে এ মাহফিলে অবশ্যই নবী করিম (দরুদ) তশরীফ আনবেন এমন ধরনের ১০০% সিউরিটি দিয়ে বলাটাও ভুল।
সর্বশেষ যে বিষয়টি তা হল অনেকে হজ্ব বা ওমরাহ করতে গিয়ে তাওয়াফ করতে সময় দোয়া সমুহ অন্যের মুখে মুখে উচ্চারন করেন অনেক সময় এত মানুষের ভিরে আরেকজনের মুখেমুখে ভুল ভাল দোয়াসমুহ পাঠ করে, আর যিনি পড়াচ্ছেন তিনিও দেখা যায় কোন বই দেখে দেখ উচ্চ আওয়াজে পাঠ করাচ্ছেন এ ধরনের েউচ্চ আওয়াজে পড়াটা ফোকাহায়ে কেরাম নিষেধ বলেছেন। তার চাইতে দোয়া মুখস্ত জানলে মুখস্থ পাঠ করাটা আফযল আর মুখস্থ না থাকলে দোয়াসমুহের পরিবর্তে দরুদ শরীফ পাঠ করাটাই আফযল। তাছাড়া মক্কা মুকাররামায় এক নেকী ১ লক্ষ নেকীর বরাবর আর যদি কেহ একবার দরুদ পাঠ করে তাহলে সে ১ লক্ষ নেকীর মালিক হবে। সুবহানাল্লাহ । তাই যারা তাওয়াফের সময় দোয়া সমুহ পারে না তারা অন্যের মুখে উচ্চা আওয়াজে এসব দোয়া পাঠ না করে বেশী বেশী দরুদ পাঠ করাটাকেই ফোকাহায়ে কেরাম উৎসাহিত করেছেন।
প্রিয় সুধী যারা প্রথম থেকে শেষ পযন্ত আলোচনা শুনেছেন তাদের শুকরিয়া আদায় করছি, আশা করি এ আলোচনা দ্বারা অনেক ধরনের প্রশ্নের উত্তর আপনারা জেনে গেছেন, দরুদ শরীফের ব্যপারে অনেক সন্দেহের অপনোদন হয়েছে। সমালোচনা বাজে কমেন্ট না করে আসুন আমরা সাধ্যমত প্রতিদিন নিদৃষ্ট সংখ্যক দরুদ ও সালাম এর নাজরানা প্রিয় নবীজির জন্য পেশ করি। আশা করি আপনারা আজ থেকে বেশী বেশী দরুদ ও ছালাম পাঠ করবেন আর এ বিষয়গুলি মানুষকে শেয়ার করবেন, যেন সদকায়ে জারিয়ে হয়ে আপনার জন্য নেকির পাল্লা ভারি করতে থাকে।

৬টি মন্তব্য:

  1. জা যানছ না তাবলবিনা দরুদ কোরানে নেই আছে ইয়ুসাল্লুনা অর্থ উতম প্রসংসা এর ফার্সি দরুদ আল্লাহ নবির উতম প্রসংসা করে সর্ব খোন বাংলা অর্থ তাই ওনার নাম হামেদ। এবং আমরা দরুদ যা মনেকরি আল্লাহূমা সাল্লেআলা। এসব না ওনি উতম প্রসংসা করেন এবং সালাম দেন সালম কিভাবেদেন আল্লাহ বলে সানতি বরসিত হোক আর বর্সিত হয়। এবং জিগির করেন সুরা ইনসেরাক ওয়ারফানালাকা জিকরাক। হে নবি আমি আপনার জিগির কে উচ্চ করিছি উচ্চ করার লো কি আইন কি জিগির করলে উচ্চ হবে

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. 50K+ Backlink Free


      Bangla Motivational Story

      আমাদের দুইটি সাইটে আপনি,
      Comment BackLink করতে চাইলে
      করতে পারেন !
      আমার সাইটের নাম

      www.webangali.com


      www.bd-express.top

      মুছুন
  2. জা যানছ না তাবলবিনা দরুদ কোরানে নেই আছে ইয়ুসাল্লুনা অর্থ উতম প্রসংসা এর ফার্সি দরুদ আল্লাহ নবির উতম প্রসংসা করে সর্ব খোন বাংলা অর্থ তাই ওনার নাম হামেদ। এবং আমরা দরুদ যা মনেকরি আল্লাহূমা সাল্লেআলা। এসব না ওনি উতম প্রসংসা করেন এবং সালাম দেন সালম কিভাবেদেন আল্লাহ বলে সানতি বরসিত হোক আর বর্সিত হয়। এবং জিগির করেন সুরা ইনসেরাক ওয়ারফানালাকা জিকরাক। হে নবি আমি আপনার জিগির কে উচ্চ করিছি উচ্চ করার লো কি আইন কি জিগির করলে উচ্চ হবে

    উত্তরমুছুন
  3. জা যানছ না তাবলবিনা দরুদ কোরানে নেই আছে ইয়ুসাল্লুনা অর্থ উতম প্রসংসা এর ফার্সি দরুদ আল্লাহ নবির উতম প্রসংসা করে সর্ব খোন বাংলা অর্থ তাই ওনার নাম হামেদ। এবং আমরা দরুদ যা মনেকরি আল্লাহূমা সাল্লেআলা। এসব না ওনি উতম প্রসংসা করেন এবং সালাম দেন সালম কিভাবেদেন আল্লাহ বলে সানতি বরসিত হোক আর বর্সিত হয়। এবং জিগির করেন সুরা ইনসেরাক ওয়ারফানালাকা জিকরাক। হে নবি আমি আপনার জিগির কে উচ্চ করিছি উচ্চ করার লো কি আইন কি জিগির করলে উচ্চ হবে

    উত্তরমুছুন
  4. দুরুদ পাঠ,,,যে এক ফজিলতময় ইবাদত আমি নিজেই তার প্রমাণ এ বছর(২০২০) রমযানের শেষ দশকে(০১টি) রাতের বেলায় (ডিউটিরত অবস্থায় আমার সেকশনে বসা এবং রুমের টাইলসটি ছিল সাদা এবং আমার তাসবীর রং ছিল নীল,সাদা) আমার তাসবীহ দানা পাঞ্জাবির পকেট থেকে বের করতেই ঝর ঝর করে পরে গেল মাত্র অল্প কিছু আমার হাতে আর পকেটে জমা রইল তখন বাকী গুলো খুঁজতে খুঁজতে ৯৪টি একত্রিত করলাম আবার খুঁজতে খুঁজতে ০৫টি পেলাম কিন্তু ০১টি না পাওয়াই আমার মন খারাপ হয়ে গেল এবং ঐ মূহুর্তে আমি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই অংশটুকু পড়তে থাকি আর ২/৪ মিনিটের মধ্যেই বাকী ঐ ০১টি ও ফিরে পাই তাই সবার উদ্দেশ্যে বলব কোরআন শরীফ দুরুদ শব্দটি থাকুক বা না থাকুক মূল- অর্থটা আমল করু।

    উত্তরমুছুন
  5. হাদীসের নাম্বার সংযুক্ত করাটা জরুরি ছিল। রেফারেন্সগুলো আরো স্ট্রং হওয়ার দরকার ছিল।

    উত্তরমুছুন

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.