চেয়ারে বসে ও ইশারায় নামাজ পড়ার ৪টি সহজ ও সঠিক প্রেকটিক্যাল নিয়ম
চেয়ারে বসে ও ইশারায় নামাজ পড়ার ৪টি সহজ ও সঠিক প্রেকটিক্যাল নিয়ম
আগে মানুষ সাওয়াবের নিয়তে মসজিদে কার্পেট দিত, জায়নামাজ দিত, আজকাল মানুষ সাওয়াবের নিয়তে চেয়ারও দেয়, আর সে চেয়ারে যে কেউ এসে বসে বসে নামাজ আরম্ভ করে দেন। কিন্তু অনেকে আছেন যারা জানেন না যে চেয়ারে বসে তার মুল্যবান নামাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যারা চেয়ারে বসে নামাজ পড়েন তাঁদের অধিকাংশ লোকের চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার উপযুক্ত কারন নাই, অধিকাংশ লোক সামান্য কারনেই চেয়ারে বসে যায়।
প্রথমত মনে রাখবেন যারা চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করেন তাঁদের উচিত স্থানীয় কোন মুফতির কাছে চেয়ারে বসার বিধান জেনে নেয়া। তারপর চেয়ার ব্যবহার করা।
আজ আমি চেয়ারে বসে নামাজ পড়া ও ইশারায় নামাজ পড়ার ৪টি প্রেকটিক্যাল পদ্ধতি দেখাব।আসুন ভিডিওটি দেখে শিখে ফেলি চেয়ারে বসে কিংবা ইশারায় নামাজের ৪ ধরনের পদ্ধতি।
প্রথমত মনে রাখবেন যারা চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করেন তাঁদের উচিত স্থানীয় কোন মুফতির কাছে চেয়ারে বসার বিধান জেনে নেয়া। তারপর চেয়ার ব্যবহার করা।
আজ আমি চেয়ারে বসে নামাজ পড়া ও ইশারায় নামাজ পড়ার ৪টি প্রেকটিক্যাল পদ্ধতি দেখাব।আসুন ভিডিওটি দেখে শিখে ফেলি চেয়ারে বসে কিংবা ইশারায় নামাজের ৪ ধরনের পদ্ধতি।
মনে রাখবেন যে কোন সুন্নত ও নফল নামাজ কোন ওজর না থাকলেও বসে বসে পড়া যায় তবে এতে সাওয়াব অধেক হবে। আর ফরয নামাজ, ফজরের সুন্নত নামাজ, ওয়াজিব নামাজ এর জন্য দাঁড়ানোটা ফরয। যদি কোন নামাজি সিজদা করতে পারে না, কোন ওজরের কারনে জমিনে কপাল রাখতে পারে না এমনকি জমিন থেকে ১২ আংগুল উঁচু কিছুতেও সিজদা করার ক্ষমতা রাখে না তাহলে তার জন্য হকুম হল সে সিজদার পরিবর্তে ইশারা করবে। অর্থ্যাৎ যে ব্যক্তি জমিনে সিজদা করতে অক্ষম তাঁর উচিত জমিনে ১২ আংগুল উঁচু কোন কিছুতে সেজদা করা যায় কিনা তা চেষ্টা করা যদি জমিন থেকে ১২ আংগুল উঁচু কোন কিছুর উপরও সিজদা করতে অক্ষম হয় তাহলে এ ধরনের লোকের জন্য নামাজে যে দাঁড়ানো ফরয সে দাঁড়ানোর ফরযও রহিত হয়ে যায়। তারপরও সে যদি দাঁড়াতে সক্ষম হয় তাহলে দাঁড়াবে সুরা কেরাত দাঁড়িয়ে করবে আর রুকুতে বেশী ঝুকবে না বরং কম ঝুঁকবে এবং সিজদার জন্য নিয়ম মোতাবেক বসবে যেহেতু সে জমিনে সিজদা করতে অপারগ এখন সে রুকুতে যতটুকু ঝুকেছিল সিজদার বেলায় তার চেয়ে একটু বেশী ঝুকবে।
তবে এমন ব্যক্তি যদি চেয়ারে বসে নামাজ পড়ে তাও জায়েজ। তবে চেয়ারে বসার চাইতে জমিনে বসাটাই হল উত্তম। তবে যে ব্যক্তি জমিনে সিজদা করতে পারেন না সে যদি চেয়ারে বসেই নামাজ পড়ে তাহলে তারঁ জন্য দাঁড়ানোও রহিত হয়ে যায়, সুতরাং সে ব্যক্তি নামাজের সকল আহকাম চেয়ারে বসে বসেই ইশারায় আদায় করবে। আর ইশারার অর্থ হল রুকুর সময় একটু ঝুকবে আর সিজদার সময় একটু বেশী ঝুকবে। কারন সে যদি চেয়ার নিয়ে মসজিদে কাতারে দাঁড়ায় তাহলে সে পিছনে চেয়ার থাকার কারনে কাতার থেকে সামনে চলে যায়, যার ফলে কাঁতার বাঁকা হয়ে যায় আর এ ধরনের কাঁতার বাঁকা করাকে নবী করিম (দঃ) খুব শক্তভাবে নিষেধ করেছেন। যে ব্যক্তি দাঁড়াতে সক্ষম কিন্তু জমিনে সিজদা দিতে পারে না সে যদি চেয়ার নিয়ে কাতারে দাঁড়ায় তাহলে কাতারের মধ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে, তাই যে ব্যক্তি সিজদা দিতে পারে না সে যদি চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করতে চায় তাঁর জন্য নামাজের সুরা কেরাত রুকু সিজদা সবকিছু চেয়ারে বসে বসেই ইশারায় করাটাই উত্তম। এবং এরচেয়ে বেশী উত্তম হল চেয়ার একেবারেই ব্যবহার না করে দাঁড়াতে সক্ষম হলে দাঁড়িয়ে পড়বে রুকু করবে আর সিজদার জন্য জমিনে বসে রুকু থেকে একটু বেশী ঝুকবে। কিংবা চেয়ার ব্যবহার না করে সবকিছু জমিনে বসে বসেই আদায় করবে।
এবার আসুন যারা সিজদা করতে পারেন কিন্তু দাঁড়াতে পারে না তাঁদের বিধান কি জেনে নিই
মনে রাখবেন সকল ফরয নামাজ, বিতির নামাজ, দুই ঈদের নামাজ, জুমার নামাজ ও ফজরের সুন্নত নামাজে দাঁড়ানো ফরয যদি কোন লোক দাঁড়াতে সক্ষম না হয় তাহলে সে চেষ্টা করবে কারো সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে, কিংবা লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়াতে, কিংবা দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়াতে। কিন্তু সে যদি এসব কিছুর সহায়তা নিয়েও দাঁড়াতে সক্ষম না হয় তাহলে সে অল্পক্ষনও যদি দাঁড়াতে পারে তাহলে অল্পক্ষন দাঁড়িয়ে সে তাকবীরে তাহরিমা ব’লবে এবং পরক্ষনেই জমিনে বসে যাবে এবং বসে বসে বাকী নামাজ আদায় করবে এবং সামান্য ঝুঁকে রুকু করবেন এবং জমিনে সিজদা করবেন।
মনে রাখবেন যারা চেয়ার ব্যবহার করেন তারা চেয়ারে পিঠ লাগিয়ে হেলান দেয়া যাবে না।
যারা চেয়ারে বসে ইশারায় নামাজ পড়েন তারা হাঠুর উপর হাত রাখলেই হবে। অনেকে রুকুর সময় হাটুর উপর হাত রাখেন আর সিজদার সময় সামনে হাত ২টি বাড়িয়ে দিয়ে ইশারা করেন এ ধরনের ইশারার কোন প্রয়োজন নাই বরং রুকুতে একটু কম ঝুকবেন এবং সিজদার সময় বেশী ঝুকবেন।
অনেক লোক চেয়ারে বসে উঁচু কিছু যেমন টেবিল কিংবা চেয়ারের সামনে একটা উঁচু হাতল থাকে তাতে সিজদা করেন তারও প্রয়োজন নাই বরং ইশারায় পড়ার সময় রুকুতে কম ঝুকবে সিজদার জন্য বেশী ঝুকবে।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদেরকে সঠিক নিয়মে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
তবে এমন ব্যক্তি যদি চেয়ারে বসে নামাজ পড়ে তাও জায়েজ। তবে চেয়ারে বসার চাইতে জমিনে বসাটাই হল উত্তম। তবে যে ব্যক্তি জমিনে সিজদা করতে পারেন না সে যদি চেয়ারে বসেই নামাজ পড়ে তাহলে তারঁ জন্য দাঁড়ানোও রহিত হয়ে যায়, সুতরাং সে ব্যক্তি নামাজের সকল আহকাম চেয়ারে বসে বসেই ইশারায় আদায় করবে। আর ইশারার অর্থ হল রুকুর সময় একটু ঝুকবে আর সিজদার সময় একটু বেশী ঝুকবে। কারন সে যদি চেয়ার নিয়ে মসজিদে কাতারে দাঁড়ায় তাহলে সে পিছনে চেয়ার থাকার কারনে কাতার থেকে সামনে চলে যায়, যার ফলে কাঁতার বাঁকা হয়ে যায় আর এ ধরনের কাঁতার বাঁকা করাকে নবী করিম (দঃ) খুব শক্তভাবে নিষেধ করেছেন। যে ব্যক্তি দাঁড়াতে সক্ষম কিন্তু জমিনে সিজদা দিতে পারে না সে যদি চেয়ার নিয়ে কাতারে দাঁড়ায় তাহলে কাতারের মধ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে, তাই যে ব্যক্তি সিজদা দিতে পারে না সে যদি চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করতে চায় তাঁর জন্য নামাজের সুরা কেরাত রুকু সিজদা সবকিছু চেয়ারে বসে বসেই ইশারায় করাটাই উত্তম। এবং এরচেয়ে বেশী উত্তম হল চেয়ার একেবারেই ব্যবহার না করে দাঁড়াতে সক্ষম হলে দাঁড়িয়ে পড়বে রুকু করবে আর সিজদার জন্য জমিনে বসে রুকু থেকে একটু বেশী ঝুকবে। কিংবা চেয়ার ব্যবহার না করে সবকিছু জমিনে বসে বসেই আদায় করবে।
এবার আসুন যারা সিজদা করতে পারেন কিন্তু দাঁড়াতে পারে না তাঁদের বিধান কি জেনে নিই
মনে রাখবেন সকল ফরয নামাজ, বিতির নামাজ, দুই ঈদের নামাজ, জুমার নামাজ ও ফজরের সুন্নত নামাজে দাঁড়ানো ফরয যদি কোন লোক দাঁড়াতে সক্ষম না হয় তাহলে সে চেষ্টা করবে কারো সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে, কিংবা লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়াতে, কিংবা দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়াতে। কিন্তু সে যদি এসব কিছুর সহায়তা নিয়েও দাঁড়াতে সক্ষম না হয় তাহলে সে অল্পক্ষনও যদি দাঁড়াতে পারে তাহলে অল্পক্ষন দাঁড়িয়ে সে তাকবীরে তাহরিমা ব’লবে এবং পরক্ষনেই জমিনে বসে যাবে এবং বসে বসে বাকী নামাজ আদায় করবে এবং সামান্য ঝুঁকে রুকু করবেন এবং জমিনে সিজদা করবেন।
মনে রাখবেন যারা চেয়ার ব্যবহার করেন তারা চেয়ারে পিঠ লাগিয়ে হেলান দেয়া যাবে না।
যারা চেয়ারে বসে ইশারায় নামাজ পড়েন তারা হাঠুর উপর হাত রাখলেই হবে। অনেকে রুকুর সময় হাটুর উপর হাত রাখেন আর সিজদার সময় সামনে হাত ২টি বাড়িয়ে দিয়ে ইশারা করেন এ ধরনের ইশারার কোন প্রয়োজন নাই বরং রুকুতে একটু কম ঝুকবেন এবং সিজদার সময় বেশী ঝুকবেন।
অনেক লোক চেয়ারে বসে উঁচু কিছু যেমন টেবিল কিংবা চেয়ারের সামনে একটা উঁচু হাতল থাকে তাতে সিজদা করেন তারও প্রয়োজন নাই বরং ইশারায় পড়ার সময় রুকুতে কম ঝুকবে সিজদার জন্য বেশী ঝুকবে।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদেরকে সঠিক নিয়মে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আমার হাটুতে ব্যথা। আমি আসনে বসতে পারি না। সিজদা দিতে বা দাড়াতে কোন সমস্যা নাই ।। আমি কোন ভাবে নামাজ আদায় করিতে পারি ?
উত্তরমুছুনচেয়ারে বসে এবং সামনে টেবিলে সেজদা করা যাবো কিনা?
উত্তরমুছুন