মরার আগে ৪টি কাজ অবশ্যই করে নিন



মরার আগে ৪টি কাজ অবশ্যই করে নিন
VideoLink:


শুধু একটি হাদীস শুনে রাখুন সারা দুনিয়াও আপনার আখেরাতও আপনার, আমার হুযুর (দঃ) এরশাদ করেছেন, (আরবাআন মা কুন্না ফিহে) ৪টি বানী আমার কাছ থেকে নিয়ে নাও, দুনিয়াও তোমার হয়ে যাবে আখেরাতও তোমার হয়ে যাবে। (সিদকু হাদিছিন) সদা সর্বদা সত্য বলবে। মিথ্যা কখনো বলবে না। (হিফজু আমানাতিন) আমানতের হেফাজত করবে, কাউকে ধোকা দিও না।
আমার দেশীয় অনেক ভাই লন্ডন আমেরিকায় থাকে তারা পেপার বানায় ধোকা দেয়,
একটি ঘটনা প্রসিদ্ধ- যখন এ দেশে ইংরেজদের রাজত্ব ছিল তখন এক পকেট মার তার সরদারের কাছে সন্ধ্যা বেলায় পকেটমারি করে মাত্র ২ টাকা নিয়ে গেল, তখন সরদার প্রশ্ন করল মাত্র ২ টাকা পকেট মেরেছ? তখন সে উত্তর দিল উস্তাদ আমি আজ অনেক বড় পকেটমারি করেছি, এক ইংরেজ খ্রিষ্টানের পকেট মার করেছি, কিন্তু যখন কিছুদুর আসলাম হঠাৎ আমার মনে পড়ল সে খ্রিষ্টান আমি মুসলমান যদি কেয়ামতের দিন ইসা (আঃ) আমার নবীকে লজ্জা দেয় যে আপনার উম্মত আমার উম্মতের পকেট মেরেছে, আমার কারনে যদি আমার নবী কেয়ামতের মাঠে লজ্জিত হতে হয়, সেটা চিন্তা করে আমি সে খ্রিষ্টান ইংরেজকে তার টাকা ফিরিয়ে দিলাম। এ কথা শুনে সে উস্তাদ কেঁদে দিলেন আর সে পকেট মারকে উস্তাদ তার সে আচরনের জন্য ১০ টাকা পুরস্কার দিলেন।
হে মুসলমান ভায়েরা এমন কাজ করবেন না যে জন্য আপনার আমার নবীকে লজ্জিত হতে হয়। লন্ডন ইউরোপ আমেরিকায় যেসব ভায়েরা আছেন টেক্স চুরি করবেন না, মিথ্যা পেপার বানাবেন না, ধোকা দিবেন না, মনে রাখবেন মুসলমান ধোকা দেয় না আমানতদারীর সাথে কাজ করে, ২/৪ টাকা বাঁচিয়ে কি  করবেন? মিথ্যা আপনার জন্য লানত হয়ে থাকবে, কেয়ামতের দিন চেহেরাকে কালো করে দিবে,
আমার হুযুর (দঃ) বলেছেন যে ধোকা দেয় সে আমার উম্মত থেকে বের হয়ে গেল। যে নামাজ পড়ে না সে আমার উম্মত নয় সেটি বলেন নি,  যে রোযা রাখেনা সে আমার উম্মত নয় বলেননি, বরং বলেছেন যে ধোকা দেয় সে আমার উম্মত থেকে বের হয়ে গেল।
সুতরাং ধোকা দিবেন না কারন একদিন এমন আসবে যেদিন আপনার সকল ধোকা ফ্রট খোলাখুলি প্রকাশিত হবে আর সেদিন এমন লজ্জায় পড়ে যাবেন যে লুকানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না।
আল্লাহর ওয়াস্তে এমন মুসলমান হয়ে যান যাতে আপনার দ্বারা আপনার ধর্মের সুনাম হয়। দেখুন এসব দেশ আপনাকে কতটুকু নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে, আপনার ধর্ম পালনে তারা কোন রকম বাঁধার সৃষ্টি করছে না, তাই তাদের সাথে চিটিং করবেন না, তাদেরকে ধোকা দিবেন না, আপনার টেক্স যতটুকু আসে সব টেক্স দিয়ে দিন, এর জন্য আপনি সদকার সওয়াব পাবেন। টেক্স চুরি করে ধোকা দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে কি করবেন? কবরে কতটুকু নিয়ে যাবেন?
অতএব আমার নবী বলেছেন সত্য কথা বলবে, ধোকা দিবে না, ৩য় যে কথাটা তা হল ভাল চরিত্র, সৎ চরিত্র বানাও, আর ৪র্থটি ফরমান রিযকে হালাল কামাও। হারাম কামাই করবেন না, এসব দেশে এসে শরাবের দোকানে লাভ বেশী চিন্তা করে শরাবের ব্যবসায় খুলে দিবেন না,
আগুন লাগিয়ে দেন সে রোজগারে যাতে আপনার আল্লাহ নারাজ হয়ে যান, আল্লাহর রসুল নারাজ হয়ে যান। মনে রাখবেন আপনার ১টি টাকা যা হালাল উপায়ে অর্জিত তা আপনার হারাম উপায়ে অর্জিত লক্ষ টাকা থেকে আফযল। হালাল আল্লাহ ও তার মাহবুবের পছন্দ, আর তাতেই সবচেয়ে বেশী বরকত। হারাম খেয়ে কেউ সুখে থাকতে পারে না, আল্লাহকে ভুলে থেকে আল্লাহর নাফরমানি করে পৃথিবীতে কেউ শান্তি পায়নি পাবেও না। এ চারটি কথা যদি আমরা মনে রাখি তাহলে আমাদের জীবনের এপারও সুন্দর ওপারও সুন্দর হয়ে যাবে।
#সত্য বলা # কাউকে ধোকা না দেয়া #আখলাক বা চরিত্র ভাল করা # হালাল কামাই করা হারাম থেকে বেঁচে থাকা।
হযরত সাদ বিন মাআজ বসে ছিলেন আমাদের নবীর দৃষ্টি পড়ল তার হাতের উপর তাঁর হাত খুবই শক্ত ছিল নবীজি জিজ্ঞেস করলেন তোমার হাত এত শক্ত কেন? সে বলল সন্তানদের জন্য রুটি রুজি কামাই করতে করতে হাত শক্ত হয়ে গেছে, নবীজি তার হাত ধরে সে হাতের তালুতে চুমু দিলেন, এবং ফরমারেন সন্তানদের হালাম রিজিক খাওয়ানোর জন্য কাজ করতে করতে যে হাত এমন হয়ে যায় তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়।
যে সব লোক প্রতিটি ক্ষেত্রে হালাল রুজির চিন্তা করে সে যতক্ষন এ রুজি রোজগারের কাজে থাকবে ততক্ষনই তার আমলনামায় এবাদত হিসেবে লিপিবদ্ধ হবে।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.