সফলতা । উন্নতি। সুখ। শান্তির জন্য অত্যন্ত চমৎকার ৭টি আমল





দুনিয়ার সুখী জিন্দেগীর জন্য আরেকটি গুরুত্বপুন উপায় হল তাকওয়া অবলম্বন করা ব্যপারে তফসীরে ইবনে আব্বাস এর সুরা তালাক এর - নং আয়াতের তফসিরে বলা হয়েছে একটা চমৎকার ঘটনা তা হল এক নওযোয়ান সাহাবীকে রোম প্রদেশে যুদ্ধে গেলে সেখানে তাকে গ্রেফতার করা হয় আর তাকে বড় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হল, সে সাহাবীর মা বাবা নবী করিম (দঃ) এর কাছে দৌঁড়ে দৌঁড়ে আসল আর বলল এয়া রাসুলাল্লাহ এখন আমরা কি করব তখন নবী করিম (দঃ) পরামশ দিলেন বেশী বেশী এসতেগফার কর, মা বাবা ছেলের মুক্তির জন্য রাত দিন এত বেশী এসতেগফার পড়তে লাগল আর এর পরনীতিতে সে সন্তানের পায়ের শিকল হঠাৎ করে ভেঙ্গে গেল আর সে একটা উট নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেল আর সে উটের পিছনে পিছনে সেখানকার সমস্ত উট তার সাথে চলে আসল, ঘরে পৌঁছে সে মা বাবাকে সালাম দিল মা বাবা ঘর থেকে বের হলেন দেখলেন ছেলে অনেকগুলো উট সহ উপস্থীত, ছেলে সব ঘটনা বলল তখন মা বাবা বুঝতে পারল যে এটা একমাত্র এসতেগফার এর ফযিলত কামালিয়াত

যুবক ছিল মুত্তাকি তাই সে সকালে নবী করিম (দঃ) এর কাছে গেল আর ঘটনা বলল আর জিজ্ঞাসা করল যে এসব উট আমি কি করব? তখন সুরা তালাক এর - নং আয়াত নাজিল হল

مَن كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَن
يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا


এতদ্দ্বারা যে ব্যক্তি আল্লাহ পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন [ সুরা তালাক ৬৫: ]

وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَن يَتَوَكَّلْ
عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ
لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا


এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন [ সুরা তালাক ৬৫: ]

সুতরাং সকল দুঃখ বিপদ, থেকে বাঁচার জন্য এবং ধারনাতিত জায়গা থেকে রিযিক পাওয়া যা দুনিয়ার সুখ শান্তির জীবনের জন্য খুবই প্রয়োজন আর তার একটা উপায় হল তাকওয়া আর তাকওয়া হল আল্লাহর নিষেধকৃত কাজ গুনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকা



) দুনিয়ার সুখের জীবনের জন্য আরেকটি গুরুত্বপুন উপায় হল নামাজ সহিহ মুসলিম শরীফের
1083
নং হাদীস নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন বান্দা সবচেয়ে বেশী আল্লাহর নিকটতম হয় সিজদার হালতে সুতরাং তোমরা আললাহর কাছে সিজদা অবস্থায় দোয়া কর আর আল্লাহর কাছে যাওয়ার রাস্তা হল সিজদা আর সিজদা আসে নামাজের মধ্যে


আর আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারা ১৫৩ নং আয়াতে এরশাদ করেন (এয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানুস্তাঈনু বিসসাবরে ওয়াসসালাহ)হে ঈমানদারগন সবর নামাজের দ্বারা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও সুতরাং সব ধরনের পেরেশানী দুর করার জন্য নামাজকে আপন করে নিন বিশেষ করে ফরয নামাজের পাশাপাশি যে কোন বিপদ মসিবত পেরেশানী দুর করার জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ খুবই কাযকরী 



) উত্তম দুনিয়ার জিন্দেগীর আর িএকটি উপায় হল দোয়া করা জামে তিরমিযি শরীফের ৩৫৫৬ নং হাদীস নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যখন কোন বান্দা আল্লাহর দিকে হাত তুলে তখন সে হাত খালি ফিরিয়ে দিতে আল্লাহ তায়ালা লজ্জা করেন 

সুতরাং সদা সবদা আল্লাহ কাছে দোয়া করা চাই চাইতে হবে, আল্লাহ তায়ালা দোয়া ভাবে কবুল করেন হয়ত যা চাইলেন তাই দিবেন হয়ত যা চাইলেন তার পরীবতে অন্য কোন নেয়ামত দিবেন কিংবা যে দোয়া করলেন তার বদলা আখেরাতে দিবেন আর আখেরাতে যখন বান্দা দোয়ার বদলা পাবে তখন বান্দা আফসুস করে বললে হায় আল্লাহ তুমি যদি আমার কোন দোয়াই দুনিয়ায় কবুল না করতে আর তার বদলা আখেরাতে দিতে তাই আমার জন্য ভাল হত



দুনিয়ার উত্তম জিন্দেগীর আর একটি উসুল হল আল্লাহর জিকির করা তিরমিযি ২৫১৬ নং হাদীস নবী করিম (দঃ) যখন হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস কে ছোট বেলায় নসিহত করেছেন আর বলেছেন হে বাচ্চা সুখ সচ্ছলতার সময় আল্লাহকে স্মরন করিও তাহলে তোমার দুঃখ অভাবের সময় আল্লাহ তোমাকে স্মরন করবে

সুতরাং পিবদে দুঃখে অভাবে আল্লাহর সংগ পাবার জন্য সুখের সময় সুস্থতার সময় সদা সবদা আল্লাহর জিকির এর দ্বারা নিজের জিহ্বাকে তাজা রাখবেন, ছোট ছোট জিকির যেমন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ



দুনিয়ার সুখের জন্য আরেকটি ইনপুটেন্ট বিষয় হল সদা আল্লাহর উপর ভরসা রাখা, বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা সুরা তালাক এর নং আয়াতে বলেন

وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَن يَتَوَكَّلْ
عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ
لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا


যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট 

আর তিরমিযি শরীফের ২৩৪৪ নং হাদীস নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যদি তোমরা পাখির মত আল্লাহ উপর ভরসা কর যে পাখি সকালে খালি পেটে তার বাসা থেকে বাহিরে যায় আর সন্ধ্যায় ভরা পেটে বাসায় ফিরে আসে তাহলে আল্রাহ তায়ালাও তোমাদেরকে তেমনই রিযিক এর ব্যবস্থা করবেন যেমন করে পাখিগুলিকে দেন

আমরাও যদি প্রকৃত ভাবে আল্লাহর উপর ভরসা করি তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জিন্দেগীকে বদলে দিবেন হযরত আবদুল্লাহ বিন আউফ প্রথমে খুব গরীব ছিলেন মদীনায় কখনো কারো সহযোগীতা নিতেন না নিজেই আল্লাহর উপর ভরসা করে সকালে বের হতেন সন্ধ্যায় পানি আর খেজুর নিয়ে ফিরতেন নিজে খেটে কাজ করতেন, আর তিনি মৃত্যুর সময় এত পরিমান স্বন মুদ্রা রেখে যান তা ভাঙ্গার জন্য লোকদের হাতে ফোসকা পরে গিয়েছিল



) সুখী জীবনের আর একটি নুসকা হল কেনায়াত আর সাহাবায়ে কেরাম এত বেশী কেনায়াত পছ্দ করতেন আর কেনায়াত বলা হয় নিজে যেমন আছেন তাতে খুশী থাকা, যতটুকু আছে ততটুকুতে সন্তুষ্ট থাকা



) সুখী সুন্দর জীবনের আর একটি উসুল হল অপর মুসলমান ভাইকে সাহায্য করা মসনদে আহমদ হাদীসের ভাষা হল নবীকরিম (দঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি এটা চায় যে তার দোয়া কবুল হউক এবং তার পেরেশানি দুর হউক তাহলে সে যেন অপর অভাবী ভায়ের পেরেশানিকে দুর করে দেয়, তাহলে আল্লাহ তার পেরেশানী দুর করে দিবেন



আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ১২টি উপায় বা উসুল এর মাধ্যমে আমাদের দুনিয়ার কামিয়াব জিন্দেগী নসিব করুন আমিন

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.