হযরত আয়শার ( রাঃ) বাথরুমে সাপ ও স্বপ্নে কথাবার্তা। সাপ মারার ইসলামীক নিয়ম।
সাপ আয়শা (রাঃ) কে স্বপ্নে এসে কি বলল শুনুন
সাপ মারার ইসলামীক নিয়মনীতি
দরছে বুখারী হাদীস ১৮৩০
হযরত আবদুল্লাহ বর্ণনা করেন যখন
আমরা নবী করিম (দঃ) এর সাথে মিনার এক গুহায় ছিলাম, তখন তাঁর উপর সুরা ওয়াল মুরসালাত
নাযিল হল, তিনি সে সুরাটি তেলাওয়াত করছিলেন আর আমি তাঁর মুখ থেকে শুনে শুনে তা শিখতেছিলাম,
এমন সময় হঠাৎ করে একটি সাপ আমাদের উপর পরল, নবী করিম (দঃ) ফরমালেন সাপটিকে মেরে ফেল।যখন
আমরা সাপটিকে মারার জন্য উদ্যত হলাম সাপটি পালিয়ে গেল। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেনঃ রক্ষা পেল সাপটি তোমাদের অনিষ্ট থেকে যেমন তোমরা রক্ষা পেলে
এর অনিষ্ট থেকে।
আমরা নবী করিম (দঃ) এর সাথে মিনার এক গুহায় ছিলাম, তখন তাঁর উপর সুরা ওয়াল মুরসালাত
নাযিল হল, তিনি সে সুরাটি তেলাওয়াত করছিলেন আর আমি তাঁর মুখ থেকে শুনে শুনে তা শিখতেছিলাম,
এমন সময় হঠাৎ করে একটি সাপ আমাদের উপর পরল, নবী করিম (দঃ) ফরমালেন সাপটিকে মেরে ফেল।যখন
আমরা সাপটিকে মারার জন্য উদ্যত হলাম সাপটি পালিয়ে গেল। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেনঃ রক্ষা পেল সাপটি তোমাদের অনিষ্ট থেকে যেমন তোমরা রক্ষা পেলে
এর অনিষ্ট থেকে।
এ হাদীসে স্পষ্ট নির্দেশ সাপটিকে
মারার জন্য, অথচ আমাদের নবী হলেন সকলের জন্য রহমাতুল্লিল আলামিন, তবুও তিনি যে সাপটিকে
মেরে ফেলার হকুম দিলেন তাতে বুঝা যায় কোন ক্ষতিকর প্রাণী যা মানুষকে কষ্ট দিবে, মেরে
ফেলবে, সে ধরনের প্রাণী থেকে মানুষ বাঁচার জন্য এমনতর ক্ষতিকর প্রাণীকে মারতে পারে
আর সে জন্য ক্ষতিকর এ প্রাণী মারতে বলা সেটা রহমতের বিপরীত নয় বরং এটাও ক্ষতি থেকে
বাঁচানোও একপ্রকার রহমাতই বটে।
মারার জন্য, অথচ আমাদের নবী হলেন সকলের জন্য রহমাতুল্লিল আলামিন, তবুও তিনি যে সাপটিকে
মেরে ফেলার হকুম দিলেন তাতে বুঝা যায় কোন ক্ষতিকর প্রাণী যা মানুষকে কষ্ট দিবে, মেরে
ফেলবে, সে ধরনের প্রাণী থেকে মানুষ বাঁচার জন্য এমনতর ক্ষতিকর প্রাণীকে মারতে পারে
আর সে জন্য ক্ষতিকর এ প্রাণী মারতে বলা সেটা রহমতের বিপরীত নয় বরং এটাও ক্ষতি থেকে
বাঁচানোও একপ্রকার রহমাতই বটে।
সাপ মারার ব্যপারে বুখারী শরীফের
৩০৭৯ নং হাদীস ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি সাপ মেরে ফেলতেন। এরপর আবূ
লুবাবা তাঁকে একটি হাদীস শোনালেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে বসবাসকারী সাপ মারতে
নিষেধ করেছেন। ফলে তিনি সাপ মারা বন্ধ করে দেন।
৩০৭৯ নং হাদীস ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি সাপ মেরে ফেলতেন। এরপর আবূ
লুবাবা তাঁকে একটি হাদীস শোনালেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে বসবাসকারী সাপ মারতে
নিষেধ করেছেন। ফলে তিনি সাপ মারা বন্ধ করে দেন।
তেমনিভাবে বুখারী শরীফের ৩০৭৮
নং হাদীস
নং হাদীস
ইবনু আবূ মূলায়কা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু উমর (রাঃ) প্রথমে সাপ মেরে ফেলতেন। পরে মারতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার তাঁর একটি দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। তাতে তিন সাপের খোলস দেখতে পান। তখন তিনি বললেন, দেখ! কোথায় সাপ আছে? লোকেরা দেখল (এবং তাঁকে জানাল) তিনি বললেন, একে মেরে ফেল। এ কারণে আমি সাপ মেরে ফেরতাম। এরপর আবূ লুবাবার সাথে আমার দেখা হল। তিনি আমাকে জানালেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিঠের উপর দু’টি রেখা বিশিষ্ট এবং লেজকাটা সাপ ব্যতীত অন্য কোন সাপকে তোমরা মেরা না। কেননা এগুলো গর্ভপাত ঘটায় এবং চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয়। তাই এ জাতীয় সাপ মেরে ফেল।
তেমনি ভাবে বুখারী শরীফের ৩০৭৭
নং হাদীস আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
লেজ কাটা সাপকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন, আর বলেছেন, এ জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তি
নষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটায়।
নং হাদীস আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
লেজ কাটা সাপকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন, আর বলেছেন, এ জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তি
নষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটায়।
আবার বুখারীর ৩০৭৬ নং হাদীসে
দেখা যায় আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, পিঠে দু’টি সাদা রেখা বিশিষ্ট সাপকে মেরে ফেল। কেননা এ জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তিকে
নষ্ট করে আর গর্ভপাত ঘটায়।
দেখা যায় আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, পিঠে দু’টি সাদা রেখা বিশিষ্ট সাপকে মেরে ফেল। কেননা এ জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তিকে
নষ্ট করে আর গর্ভপাত ঘটায়।
তাহলে সাপ মারার ব্যপারে আমরা
হাদীস শরীফের আলোকে জানতে পারলাম সাপ যদি বাহিরের
সাপ হয় তা মারা যাবে, পিঠে ২টি সাদা রেখা বিশিষ্ট সাপ এবং লেজকাটা সাপ ক্ষতিকারক তাই
এ ধরনের সাপ মারা যাবে, তবে সাপ যদি ঘরে থাকে তাহলে সে সাপটিকে মারার আগে কিছু কাজ
আছে তা আমরা তিরমিজি শরীফের হাদীসে জানতে পারি তিরমিজি শরীফের ১৪৯১ নং হাদীস আবূ লায়লা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বাসস্থানে কোন সাপ দেখা গেলে একে লক্ষ্য করে বলবে, আমরা নূহ (আঃ)-এর ওয়াদা ও সুলায়মান ইবনু দাউদ (আঃ)-এর ওয়াদার ওয়াসীলায় তোমার কাছে বলছি যে, তুমি আমাদের কষ্ট দিবে না। এরপরও যদি সে আসে তবে এটিকে হত্যা করবে।
হাদীস শরীফের আলোকে জানতে পারলাম সাপ যদি বাহিরের
সাপ হয় তা মারা যাবে, পিঠে ২টি সাদা রেখা বিশিষ্ট সাপ এবং লেজকাটা সাপ ক্ষতিকারক তাই
এ ধরনের সাপ মারা যাবে, তবে সাপ যদি ঘরে থাকে তাহলে সে সাপটিকে মারার আগে কিছু কাজ
আছে তা আমরা তিরমিজি শরীফের হাদীসে জানতে পারি তিরমিজি শরীফের ১৪৯১ নং হাদীস আবূ লায়লা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বাসস্থানে কোন সাপ দেখা গেলে একে লক্ষ্য করে বলবে, আমরা নূহ (আঃ)-এর ওয়াদা ও সুলায়মান ইবনু দাউদ (আঃ)-এর ওয়াদার ওয়াসীলায় তোমার কাছে বলছি যে, তুমি আমাদের কষ্ট দিবে না। এরপরও যদি সে আসে তবে এটিকে হত্যা করবে।
ঘরের সাপকে এ ধরনের কথা বলার কারন হল ঘরের সে সাপটি হয়ত জ্বিন হতে পারে কিংবা
সত্যিকারের সাপ হতে পারে আর জ্বিন সাপ যদি হয় তাহলে সেটি মুসলিমও হতে পারে কাফেরও হতে
পারে, এখন যদি সাপটি জ্বিন হয় তাহলে সেটি চলে যাবে আর যতি সত্যিকারের সাপ হয় তাহলে
যাবে না তখন সেটিকে হত্যা করা জায়েজ।
সত্যিকারের সাপ হতে পারে আর জ্বিন সাপ যদি হয় তাহলে সেটি মুসলিমও হতে পারে কাফেরও হতে
পারে, এখন যদি সাপটি জ্বিন হয় তাহলে সেটি চলে যাবে আর যতি সত্যিকারের সাপ হয় তাহলে
যাবে না তখন সেটিকে হত্যা করা জায়েজ।
সুতরাং কারো ঘরে যদি সাপ দেখা যায় তাহলে সে উঁচু আওয়াজে বলবে হে সাপ হযরত নুহ
ও হযরত সুলায়মান (আঃ) এর দোহায় দিয়ে বলছি তুমি আমাদেরকে কষ্ট দিবে না।
ও হযরত সুলায়মান (আঃ) এর দোহায় দিয়ে বলছি তুমি আমাদেরকে কষ্ট দিবে না।
তবে মুসলিম শরীফের হাদীস হযরত আবু সাঈদ খুদুরী (রাঃ) বর্ণনা করেন নবী করিম
(দঃ) এরশাদ করেছেন মদিনায় কিছু জ্বিন আছে যারা মুসলমান হয়েছে যদি তোমরা এসব জ্বিনদের
থেকে কাউকে দেখে থাক তাহলে ৩ দিন পর্যন্ত তাদেরকে ভয় দেখাও এরপরও যদি তোমরা তাকে দেখতে
পাও তাহলে তাকে মেরে ফেল, কারন সে মুসলমান জ্বিন নয় বরং শয়তান।
(দঃ) এরশাদ করেছেন মদিনায় কিছু জ্বিন আছে যারা মুসলমান হয়েছে যদি তোমরা এসব জ্বিনদের
থেকে কাউকে দেখে থাক তাহলে ৩ দিন পর্যন্ত তাদেরকে ভয় দেখাও এরপরও যদি তোমরা তাকে দেখতে
পাও তাহলে তাকে মেরে ফেল, কারন সে মুসলমান জ্বিন নয় বরং শয়তান।
সুতরাং বুঝা গেল ঘরে যদি সাপ দেখা যায় সে সাপ হতে পারে মুসলমান জ্বিন যা সাপের
সুরত ধরে ঘরে প্রবেশ করেছে তাই ঘরের সাপ মারার আগে ৩ দিন পর্যন্ত হযরত নুহ ও সুলায়মান
(আঃ) এর দোহায় দিয়ে ভয় লাগাতে হবে যদি সত্যিকার অর্থে সে সাপটি মুসলমান জ্বিন হয় তাহলে
সে চলে যাবে আর যদি ৩ দিন পরও সেটিকে দেখা যায় তাহলে সেটিকে মেরে ফেলা জায়েজ।
সুরত ধরে ঘরে প্রবেশ করেছে তাই ঘরের সাপ মারার আগে ৩ দিন পর্যন্ত হযরত নুহ ও সুলায়মান
(আঃ) এর দোহায় দিয়ে ভয় লাগাতে হবে যদি সত্যিকার অর্থে সে সাপটি মুসলমান জ্বিন হয় তাহলে
সে চলে যাবে আর যদি ৩ দিন পরও সেটিকে দেখা যায় তাহলে সেটিকে মেরে ফেলা জায়েজ।
এভাবে সতর্ক না করে সাপ মারলে বিপদ হতে পারে যেমন
হযরত ইবনে আবু মুলাইকা হযরত আয়শা (রাঃ) থেকে বয়ান করেন একদিন হযরত আয়শা (রাঃ)
গোসলখানায় একটি সাপ দেখলেন এবং তিনি সাপটিকে মেরে ফেললেন, সে সাপটি আয়শা (রাঃ) স্বপ্নে
আসল, সেটি বলল হে আয়শা আপনি এক মুসলমানকে হত্যা করেছেন, তখন আয়শা (রাঃ) ফরমালেন যদি
তুমি মুসলমান হতে তাহলে উম্মুল মুমিনিন এর গোসলখানায় প্রবেশ করতে না, তখন সাপটি বলল
আমি সেখানে তখন প্রবেশ করেছিলাম যখন আপনি গোসলখানায় ছিলেন না, এ স্বপ্ন দেখে হযরত আয়শা
ভয় পেয়ে গেলেন এবং ১২ হাজার দেরহাম পরের দিন সকালে সদকা করলেন।
গোসলখানায় একটি সাপ দেখলেন এবং তিনি সাপটিকে মেরে ফেললেন, সে সাপটি আয়শা (রাঃ) স্বপ্নে
আসল, সেটি বলল হে আয়শা আপনি এক মুসলমানকে হত্যা করেছেন, তখন আয়শা (রাঃ) ফরমালেন যদি
তুমি মুসলমান হতে তাহলে উম্মুল মুমিনিন এর গোসলখানায় প্রবেশ করতে না, তখন সাপটি বলল
আমি সেখানে তখন প্রবেশ করেছিলাম যখন আপনি গোসলখানায় ছিলেন না, এ স্বপ্ন দেখে হযরত আয়শা
ভয় পেয়ে গেলেন এবং ১২ হাজার দেরহাম পরের দিন সকালে সদকা করলেন।
এ ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়া এবং তা আবার স্বপ্নে মাধ্যমে দেখা এসব ছিল মুসত উম্মতে
মুহাম্মদীর জন্য শিক্ষার জন্য, যেন আমরা এ ঘটনা থেকে শিখতে পারি লোকালয়ে বাড়ীতে সাপ
দেখার সাথে সাথে যেন মেরে না ফেলি বরং সাপকে বলতে হবে হযরত নুহ ও হযরত সোলায়মান (আঃ)
কে দেয়া ওয়াদার দোহায় তুমি আমাকে কষ্ট দিবে না। তাহলে সেটি যদি মুসলমান জ্বিন হয় চলে
যাবে, আর যদি না যায় বরং কষ্ট দিতে ফিরে আসে তখন মেরে ফেলা যাবে।
মুহাম্মদীর জন্য শিক্ষার জন্য, যেন আমরা এ ঘটনা থেকে শিখতে পারি লোকালয়ে বাড়ীতে সাপ
দেখার সাথে সাথে যেন মেরে না ফেলি বরং সাপকে বলতে হবে হযরত নুহ ও হযরত সোলায়মান (আঃ)
কে দেয়া ওয়াদার দোহায় তুমি আমাকে কষ্ট দিবে না। তাহলে সেটি যদি মুসলমান জ্বিন হয় চলে
যাবে, আর যদি না যায় বরং কষ্ট দিতে ফিরে আসে তখন মেরে ফেলা যাবে।
কোন মন্তব্য নেই