২৪টি কারনে সারা জীবনের নেক আমলসমুহ নষ্ট হয়ে যায়
২৪টি কু অভ্যাস আমলসমুহ বরবাদ করে দেয়
প্রিয় ইসলামী ভায়েরা কোন কি ছু ইনকাম করার পর তা যথাযথ হেফাজত করা বাঁচিয়ে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ, তেমনি নেক আমল করলাম কিন্তু তা যদি বাঁচাতে না পারি তাহলে সে নেক আমলেরও কোন ফায়দা নাই, মানুষ যখন নেক আমল করতে চায় তখন শয়তান নানান ভাবে নেক আমলে বাঁধা প্রদান করে কিন্তু তারপরও শয়তানের সকল বাঁধা অতিক্রম করে কেহ যদি নেক আমল করে ফেলে তখন শয়তানের প্রচেষ্টা থাকে সে নেক আমলকে বরবাদ করে দেয়া। এমন অনেক কাজ আছে যে সব কাজ করলে আমাদের নেক আমলসমুহ বরবাদ হয়ে যায় তেমনি ২৪টি বিষয় আজ আমি আপনাদের সামনে কোরান হাদীসের আলোকে উপস্থাপন করব ইনশা আল্লাহ।
১। বিশ্বনবীর সাথে বেয়াদবী করা: আল্লাহ তায়ালা সুরা হুজরাতের ২ নং আয়াতে এরশাদ করেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
মুমিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না।
O ye who believe! Raise not your voices above the voice of the Prophet, nor speak aloud to him in talk, as ye may speak aloud to one another, lest your deeds become vain and ye perceive not.
১। বিশ্বনবীর সাথে বেয়াদবী করা: আল্লাহ তায়ালা সুরা হুজরাতের ২ নং আয়াতে এরশাদ করেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
মুমিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না।
O ye who believe! Raise not your voices above the voice of the Prophet, nor speak aloud to him in talk, as ye may speak aloud to one another, lest your deeds become vain and ye perceive not.
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় বিশ্বনবীর শানে বেয়াদবী হয় এমন কথা কাজ লেখনি বক্তব্য আচরন থেকে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে নতুবা আমাদের সব আমল বরবাদ হয়ে যাবে যা আমরা বুঝতেও পারব না।
২। ইসলামের গন্ডি থেকে বের হয়ে মুরতাদ হয়ে যাওয়া: যারা নামের মুসলমান, কিন্তু তাদের আকিদা বিশ্বাস ইসলাম বিরোধী, কুফুরী আকিদা পোষন করেন, তার নাম আবদুল্লাহ আবদুর রহমান হলেও কাজ হবে না, তার সব আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। এ ব্যপারে সুরা বাকারার ২১৭ নং
وَمَن يَرْتَدِدْ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُوْلَـئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
(ওয়ামান এয়ারতাদিদ মিনকুম আন দিনিহি ফাএয়ামুত ওয়াহুয়া কাফিরুন ফাউলাইকা হাবিতাত আমালাহুম ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরাতি উলাইকা আসহাবুন্নারি হুম ফিহা খালিদুন)
তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।
وَمَن يَرْتَدِدْ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُوْلَـئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
(ওয়ামান এয়ারতাদিদ মিনকুম আন দিনিহি ফাএয়ামুত ওয়াহুয়া কাফিরুন ফাউলাইকা হাবিতাত আমালাহুম ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরাতি উলাইকা আসহাবুন্নারি হুম ফিহা খালিদুন)
তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।
৩। উপকার করে খোটা দেয়া: কারো কোন উপকার করে তা দেখিয়ে দেয়া অনেক খারাপ অভ্যাস, এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারার ২৬৪ নং আয়াতে এরশাদ করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تُبْطِلُواْ صَدَقَاتِكُم بِالْمَنِّ وَالأذَى كَالَّذِي يُنفِقُ مَالَهُ رِئَاء النَّاسِ وَلاَ يُؤْمِنُ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَيْهِ تُرَابٌ فَأَصَابَهُ وَابِلٌ فَتَرَكَهُ صَلْدًا لاَّ يَقْدِرُونَ عَلَى شَيْءٍ مِّمَّا كَسَبُواْ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تُبْطِلُواْ صَدَقَاتِكُم بِالْمَنِّ وَالأذَى كَالَّذِي يُنفِقُ مَالَهُ رِئَاء النَّاسِ وَلاَ يُؤْمِنُ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَيْهِ تُرَابٌ فَأَصَابَهُ وَابِلٌ فَتَرَكَهُ صَلْدًا لاَّ يَقْدِرُونَ عَلَى شَيْءٍ مِّمَّا كَسَبُواْ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ
হে ঈমানদারগণ!তোমরা অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান খয়রাত বরবাদ করো না সে ব্যক্তির মত যে নিজের ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে না। অতএব, এ ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত একটি মসৃণ পাথরের মত যার উপর কিছু মাটি পড়েছিল। অতঃপর এর উপর প্রবল বৃষ্টি বর্ষিত হলো, অনন্তর তাকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দিল। তারা ঐ বস্তুর কোন সওয়াব পায় না, যা তারা উপার্জন করেছে। আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।
৪। হাসদ বা হিংসা: হিংসার ফলেও নেক আমল নষ্ট হয়ে যায় এ ব্যপারে বিশ্বনবী (দঃ) এরশাদ করেন (ইয়্যাকুম ওয়াল হাসাদা ফাইন্নাল হাসাদা এয়াকুলুল হাসানাতে কামা তাকুলু নারুল খাতাব) অথ্যাৎ হিংসা থেকে বেঁচে থাক কারন তা নেকিসমুহকে এমনভাবে খেয়ে ফেলবে, যেরুপ আগুন শুকনা লাকড়িকে জ্বালিয়ে ফেলে।
৫। মাল মওজুদ করে মুল্য বৃদ্ধির কিংবা দুর্ভিক্ষের আকাংখা করা: সরকারে মদিনা (দঃ) এরশাদ করেন যে আমার উম্মতের একরাত দুর্ভিক্ষের আকাংখা করবে তার ৪০ বছরের এবাদত নষ্ট হয়ে যাবে।
৬। পুত পবিত্র নারীর উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া: এ ব্যপারে বিশ্বনবী (দঃ) এরশাদ করেন “কোন পুত পবিত্র নারীর উপর মিথ্যা অপবাদ লাগানোর ফলে ১০০ বছরের এবাদত নষ্ট হয়ে যায়”। আল মুজামুল কাবির-৩০২৩।
মিথ্যা অপবাদ গীবত থেকেও মারাত্মক একটি গুনাহ। অপবাদ ও অপপ্রচারকারীদের দুনিয়া ও আখেরাতের জীবন ধ্বংস এবং তারা অভিশপ্ত। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
إِنَّ الَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
যারা সতী-সাধ্বী, নিরীহ ঈমানদার নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা ইহকালে ও পরকালে ধিকৃত এবং তাদের জন্যে রয়েছে গুরুতর শাস্তি। [ সুরা নুর ২৪:২৩ ]
মিথ্যা অপবাদ গীবত থেকেও মারাত্মক একটি গুনাহ। অপবাদ ও অপপ্রচারকারীদের দুনিয়া ও আখেরাতের জীবন ধ্বংস এবং তারা অভিশপ্ত। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
إِنَّ الَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
যারা সতী-সাধ্বী, নিরীহ ঈমানদার নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা ইহকালে ও পরকালে ধিকৃত এবং তাদের জন্যে রয়েছে গুরুতর শাস্তি। [ সুরা নুর ২৪:২৩ ]
৭। রিয়া বা লোক দেখানো এবাদত: আল্লাহ তায়ালা সুরা হুদের ১৫ এবং ১৬ নং আয়াতে এরশাদ করেন
مَن كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيهَا وَهُمْ فِيهَا لاَ يُبْخَسُونَ
যে ব্যক্তি পার্থিবজীবন ও তার চাকচিক্যই কামনা করে, হয় আমি তাদের দুনিয়াতেই তাদের আমলের প্রতিফল ভোগ করিয়ে দেব এবং তাতে তাদের প্রতি কিছুমাত্র কমতি করা হয় না। [ সুরা হুদ ১১:১৫ ]
أُوْلَـئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الآخِرَةِ إِلاَّ النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُواْ فِيهَا وَبَاطِلٌ مَّا كَانُواْ يَعْمَلُونَ
এরাই হল সেসব লোক আখেরাতে যাদের জন্য আগুন ছাড়া নেই। তারা এখানে যা কিছু করেছিল সবই বরবাদ করেছে; আর যা কিছু উপার্জন করেছিল, সবই বিনষ্ট হল। [ সুরা হুদ ১১:১৬ ]
مَن كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيهَا وَهُمْ فِيهَا لاَ يُبْخَسُونَ
যে ব্যক্তি পার্থিবজীবন ও তার চাকচিক্যই কামনা করে, হয় আমি তাদের দুনিয়াতেই তাদের আমলের প্রতিফল ভোগ করিয়ে দেব এবং তাতে তাদের প্রতি কিছুমাত্র কমতি করা হয় না। [ সুরা হুদ ১১:১৫ ]
أُوْلَـئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الآخِرَةِ إِلاَّ النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُواْ فِيهَا وَبَاطِلٌ مَّا كَانُواْ يَعْمَلُونَ
এরাই হল সেসব লোক আখেরাতে যাদের জন্য আগুন ছাড়া নেই। তারা এখানে যা কিছু করেছিল সবই বরবাদ করেছে; আর যা কিছু উপার্জন করেছিল, সবই বিনষ্ট হল। [ সুরা হুদ ১১:১৬ ]
লোক দেখানো ইবাদতকারী ব্যক্তির আলামাত
হল তারা লোক চক্ষুর অন্তরালে সৎ কাজে অবহেলা করে। কিন্তু
- মানুষের সামনে পূর্ণ উদ্যম ও আগ্রহের সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগি করে থাকে। বর্তমানে রিয়া বা লোক দেখানো এবাদত মহামারী আকার ধারন করেছে, যেমন হজ্বে গিয়ে সেলফি তুলে ফেইসবুকে, ওমরায় গিয়ে সেলফি, মানুষকে দান করতে গিয়ে ছবি তুলে তা পবিত্রকায় প্রকাশ করা, এভাবে প্রতিটি কাজেই আমাদের লোক দেখানোর প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, কুরবান আসলে রিয়া বা লোক দেখানো কাকে বলে তা আমরা ভাল করে উদাহারন সহ বুঝতে পারি।
৮। আত্মতুষ্টিতে ভোগা: নবী করিম (দঃ) এ ব্যপারে এরশাদ করেন (ইন্নাল ওজবা লা ইউহবিতু আমালা সাবঈনা সানা) আত্মতুষ্টি ৭০ বছরের আমলকে নিষ্ট করে দেয়। (জামেউস সাগির ২০৭৪)
হল তারা লোক চক্ষুর অন্তরালে সৎ কাজে অবহেলা করে। কিন্তু
- মানুষের সামনে পূর্ণ উদ্যম ও আগ্রহের সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগি করে থাকে। বর্তমানে রিয়া বা লোক দেখানো এবাদত মহামারী আকার ধারন করেছে, যেমন হজ্বে গিয়ে সেলফি তুলে ফেইসবুকে, ওমরায় গিয়ে সেলফি, মানুষকে দান করতে গিয়ে ছবি তুলে তা পবিত্রকায় প্রকাশ করা, এভাবে প্রতিটি কাজেই আমাদের লোক দেখানোর প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, কুরবান আসলে রিয়া বা লোক দেখানো কাকে বলে তা আমরা ভাল করে উদাহারন সহ বুঝতে পারি।
৮। আত্মতুষ্টিতে ভোগা: নবী করিম (দঃ) এ ব্যপারে এরশাদ করেন (ইন্নাল ওজবা লা ইউহবিতু আমালা সাবঈনা সানা) আত্মতুষ্টি ৭০ বছরের আমলকে নিষ্ট করে দেয়। (জামেউস সাগির ২০৭৪)
৯। অসৎ চরিত্র: শাহেনশাহে দু আলম (দঃ) এরশাদ করেন (আল খুলুকু হাসানু ইউজিবুল খাতায়া কামা ইউজিবুল মাউল জালিদা, ওয়াল খুলুকুস ছুউ ইউফছিদুল আমালা ) অথ্যাৎ সৎচরিত্র ভুলসমুহকে সেভাবে গলিয়ে ফেলে যেমন পানি বরফকে গলিফে ফেলে, আর অসৎ চরিত্র আমলসমুহকে এমনভাবে বিনষ্ট করে দেয় যেমন সিরকা মধুকে বিনষ্ট করে দেয়। (আল মুজামুল কাবির ১০৭৭৭)
১০। নামাজ না পড়া: হুযুর (দঃ) এরশাদ করেন যে ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দিল আল্লাহ তায়ালা তার আমলসমুহ নষ্ট করে দিবেন। যতক্ষন পর্যন্ত সে তওবা করে আল্লাহর দিকে পুনরায় ফিরে না আসে। (আত তারগিব- ৮২৮)
১১। অধৈর্য্যঃ ফরমানে মোস্তফা (দঃ) মসিবতের সময় অধৈর্য্য হয়ে রানের উপর হাত মারার ফলে, মসিবতের সময় ধৈর্য্য ধরার যে সাওয়াব সে সাওয়াবকে নষ্ট করে দেয়।(ফেরদৌসুল আখবার ৩৭১৭)
সুরা বাকারার ১৫৬-১৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ ছবরের ব্যপারে কতইনা সুন্দর এরশাদ করেন
الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ
যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। [ সুরা বাকারা ২:১৫৬ ]
أُولَـئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ وَأُولَـئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ
তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত। [ সুরা বাকারা ২:১৫৭ ]
সুতরাং বিপদে অধৈর্য্য না হলে ছবরের মাধ্যমে নেক আমলসমুহকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে এবং আল্লাহর অফুরন্ত রহমত অর্জন করতে হবে।
১২। গীবত করা: নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন (আল গিবাতু তাকুলুল হাছানাত) অথ্যাৎ গীবত নেকীসমুহকে খেয়ৈ ফেলে।
ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) বলেন গীবত নেকিসমুহকে যতদ্রুত জ্বালিয়ে ফেলে ততদ্রুত শুকনা লাকড়িকে আগুন জ্বালাতে পারে না।
১৩। শরীয়তের অনুমতি ছাড়া কুকুর লালন পালন করা: এ বিষয়ে বিশ্বনবী (দঃ) এরশাদ করেন যে শরীয়তের অনুমতি ছাড়া অথ্যাৎ যে পাহাড়া দেয়া, শিকারের কাজে ব্যবহার করা ছাড়া অন্য কোন কারনে কুকুর লালন পালন করবে তাহলে প্রতিদিন তার আমল থেকে ২ ক্বিরাত কমে যাবে। (বুখারী)
১৪। ফাসাদ করা: ঝগড়া ফাসাদ করাও নেক আমলকে বরবাদ করে দেয়, নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন তোমরা একে অপরের সাথে ঝগড়া ফাসাদ করা থেকে বেঁচে থাক কেননা এটা আমলকে বরবাদকারী জিনিষ। (তিরমিজি)
১৫।গনকের কাছে যাওয়া: শাফিউল মুজনেবিন (দঃ) এরশাদ করেন যে কোন গনকের কাছে যাবে এবং তার কাছে কিছু জানতে চাইবে এর ফলে তার ৪০ রাতের নামাজ কবুল হবেনা।(মুসলিম)
১৬। স্বামীর নাশুকরী করা: সরকারে মদীনা (দঃ) এরশাদ করেন (ইজা ক্বালাতিল মেরাতু লিঝাউজিহা মা রাআইতু মিনকা খাইরান ক্বাত্তু ফাকাদ হাবাতা আমালুহা) যখন কোন মহিলা তার স্বামীকে বলবে আমি তোমার কাছ থেকে কখনো ভাল কোন কিছু পেলাম না, তাহলে সে মহিলার আমল বরবাদ হয়ে যাবে।
সুরা বাকারার ১৫৬-১৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ ছবরের ব্যপারে কতইনা সুন্দর এরশাদ করেন
الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ
যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। [ সুরা বাকারা ২:১৫৬ ]
أُولَـئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ وَأُولَـئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ
তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত। [ সুরা বাকারা ২:১৫৭ ]
সুতরাং বিপদে অধৈর্য্য না হলে ছবরের মাধ্যমে নেক আমলসমুহকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে এবং আল্লাহর অফুরন্ত রহমত অর্জন করতে হবে।
১২। গীবত করা: নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন (আল গিবাতু তাকুলুল হাছানাত) অথ্যাৎ গীবত নেকীসমুহকে খেয়ৈ ফেলে।
ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) বলেন গীবত নেকিসমুহকে যতদ্রুত জ্বালিয়ে ফেলে ততদ্রুত শুকনা লাকড়িকে আগুন জ্বালাতে পারে না।
১৩। শরীয়তের অনুমতি ছাড়া কুকুর লালন পালন করা: এ বিষয়ে বিশ্বনবী (দঃ) এরশাদ করেন যে শরীয়তের অনুমতি ছাড়া অথ্যাৎ যে পাহাড়া দেয়া, শিকারের কাজে ব্যবহার করা ছাড়া অন্য কোন কারনে কুকুর লালন পালন করবে তাহলে প্রতিদিন তার আমল থেকে ২ ক্বিরাত কমে যাবে। (বুখারী)
১৪। ফাসাদ করা: ঝগড়া ফাসাদ করাও নেক আমলকে বরবাদ করে দেয়, নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন তোমরা একে অপরের সাথে ঝগড়া ফাসাদ করা থেকে বেঁচে থাক কেননা এটা আমলকে বরবাদকারী জিনিষ। (তিরমিজি)
১৫।গনকের কাছে যাওয়া: শাফিউল মুজনেবিন (দঃ) এরশাদ করেন যে কোন গনকের কাছে যাবে এবং তার কাছে কিছু জানতে চাইবে এর ফলে তার ৪০ রাতের নামাজ কবুল হবেনা।(মুসলিম)
১৬। স্বামীর নাশুকরী করা: সরকারে মদীনা (দঃ) এরশাদ করেন (ইজা ক্বালাতিল মেরাতু লিঝাউজিহা মা রাআইতু মিনকা খাইরান ক্বাত্তু ফাকাদ হাবাতা আমালুহা) যখন কোন মহিলা তার স্বামীকে বলবে আমি তোমার কাছ থেকে কখনো ভাল কোন কিছু পেলাম না, তাহলে সে মহিলার আমল বরবাদ হয়ে যাবে।
১৭। হারাম সম্পদ অর্জন করা: সরকারে মদিনা (দঃ) এরশাদ করেন কেয়ামতের দিন কিছু লোককে হাজির করা হবে যাদের কাছে পাহাড়ের সমান নেকি হবে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাদের সকল আমল বাতিল বলে ঘোষণা দিবেন এবং তাদেরকে দোযখে নিক্ষেপ করার হকুম দিবেন। তখন সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করল এয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) এর কারন কি? তখন নবী করিম (দঃ) বলেন তারা রোযা রাখত, নামাজ পড়ত, জাকাত দিত কিন্তু যখন তাদের নিকট কোন হারাম সম্পদ আসত তারা তা নিয়ে নিত, এ জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদের আমল বাতেল করে দিলেন।
১৮। সুতরা না থাকলে নামাজীর সামনে দিয়ে হাটা: হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) এর নামাজের সামনে দিয়ে এক ব্যক্তি অতিক্রম করল তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকে আমার নামাজের সামনে দিয়ে চ লতে কিসে উদ্বুদ্ধ করেছে? তখন সে বলল তাতে কি হয়েছে? তখন আবু দারদা বললেন তুমি তোমার ভায়ের নামজের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলে আর নিজের ১ কিংবা ২ বছরের আমলের এমারত যেটা তুমি তৈরী করেছ আমলের এমারত সেটাকে তুমি ধ্বংস করে দিলে।
নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যদি কেহ জানত তার নামাজরত ভায়ের সামনে দিয়ে অতিক্রম করা কি তাহলে সে অতিক্রম না করে সেখানে ১০০ বছর দাঁড়িয়ে থাকাকে উত্তম মনে করত।(ইবনে মাজাহ)
১৯-২৪। মোট ৬টি বিষয় ধারাবাহিক ভাবে একটি হাদীসে উল্লেখ রয়েছে যা আমলসমুহকে বিনষ্ট করে দেয় যেমন (১৯) মাখলুকের দোষ ত্রুটির পিছনে লেগে থাকা (২০) কঠিন হৃদয়ের হওয়া, কোন ধরনের আদেশ উপদেশ কবুল না করা (২১)দুনিয়ার মহব্বত (২২) লজ্জাশরমের স্বল্পতা (২৩) দীর্ঘ আকাংখা করা (২৪) সীমাহীন জুলুম করা (কানজুল উম্মাল -৪৪০১৬)
১৮। সুতরা না থাকলে নামাজীর সামনে দিয়ে হাটা: হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) এর নামাজের সামনে দিয়ে এক ব্যক্তি অতিক্রম করল তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকে আমার নামাজের সামনে দিয়ে চ লতে কিসে উদ্বুদ্ধ করেছে? তখন সে বলল তাতে কি হয়েছে? তখন আবু দারদা বললেন তুমি তোমার ভায়ের নামজের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলে আর নিজের ১ কিংবা ২ বছরের আমলের এমারত যেটা তুমি তৈরী করেছ আমলের এমারত সেটাকে তুমি ধ্বংস করে দিলে।
নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যদি কেহ জানত তার নামাজরত ভায়ের সামনে দিয়ে অতিক্রম করা কি তাহলে সে অতিক্রম না করে সেখানে ১০০ বছর দাঁড়িয়ে থাকাকে উত্তম মনে করত।(ইবনে মাজাহ)
১৯-২৪। মোট ৬টি বিষয় ধারাবাহিক ভাবে একটি হাদীসে উল্লেখ রয়েছে যা আমলসমুহকে বিনষ্ট করে দেয় যেমন (১৯) মাখলুকের দোষ ত্রুটির পিছনে লেগে থাকা (২০) কঠিন হৃদয়ের হওয়া, কোন ধরনের আদেশ উপদেশ কবুল না করা (২১)দুনিয়ার মহব্বত (২২) লজ্জাশরমের স্বল্পতা (২৩) দীর্ঘ আকাংখা করা (২৪) সীমাহীন জুলুম করা (কানজুল উম্মাল -৪৪০১৬)
এ ২৪টি কারনে আমাদের আমলসমুহের নেকি নষ্ট হয়ে যায় আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এ সব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনপূর্বক আমাদের কষ্টার্জিত আমলের নেকিকে হেফাজত করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই