জানেন কখন অসময়ে কাজা করে নামাজ পড়া উত্তম?





মুজদালেফায় মাগরীব ও এশার নামাজ একত্রে পড়া


এবার আসুন আর একটি  অতি
চমৎকার বিষয় তা হল যারা হজ্বে যান তারা আরাফাতের ময়দান থেকে পায়ে হেটে মুজদালেফায়
গমন করেন, মুজদালেফায় গিলে মাগরীবের ওয়াক্ত চলে যাওয়া সত্বেও সেখানে মাগরীবের
নামাজ কাজা পড়েনা বরং এশারের ওয়াক্তে এশারের আগে মাগরীবের নামাজ আদায় করে,  মাগরীবের ওয়াক্ত হয়ে গেলেও কেহ মাগরীবের ওয়াক্তে
সেদিন মাগরীবের নামাজ পড়ছেনা কারন আমাদের প্রিয়নবী পড়েন নি।
মুসলমানগণ আল্লাহর হুকুম প্রতিপালনে সর্বদা সময়মতো নামাজ আদায়
করেন। কিন্তু হাজী সাহেবান আরাফাত ময়দানে জোহর এবং আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করেন।
এটা এ জন্য যে, আল্লাহপাকের প্রিয়তম পয়গাম্বর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম আরাফাত ময়দানে জোহর এবং আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করেছিলেন, সুতরাং তার এই
সুন্নাতের পায়রবি করা প্রত্যেক আম ও খাস লোকের জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে। তারপর
মাগরিবের সময় এসে যায়। মুসলমানগণ সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজ আদায় করার পাবন্দ।
আরাফার মাঠে এই পাবন্দি বেকার হয়ে গেছে। মাহবুবে খোদা রাসূল আকরাম সা. মুজদালিফায়
গমন করে মাগরিবের নামাজ এশার নামাজের সঙ্গে আদায় করেছিলেন। এ জন্য হজ আদায়কারীগণও
মুজদালিফায় পৌঁছে উভয় নামাজকে একসাথে আদায় করেন।
ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পরও নামাজ কাজা ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পরও প্রিয় নবী
প্রথমে আলী (রাঃ) এর জন্য করেছিলেন আর হজ্বে কেয়ামত পর্যন্ত সকলের জন্য করে দিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.