যে সব নারীর চুল চিরনিতে থেকে যায়। তারা অবশ্যই শুনবেন।







যে সব মহিলা চিরনি দিয়ে চুল
আচরানোর পর চিরনিতে চুল লেগে থাকে, তাদের জন্য এই ভিডিওটি খুবই গুরুত্বপূণ
প্রতিটি কথা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে
মনযোগ দিয়ে শুনার অনুরোধ রইল,
আমার পাশের পরিচিত একজনের বাসায়
পাওয়া গেলো শিশির ভিতর কিছু আরবি লেখা সম্বলিত কাগজ ও লোহা, চিরনি দাঁত ও চুল এবং হাবিজাবি
কিছু । কাগজটিতে ফেরাউন, হামান, কারুন জাতীয় নাম পড়া যাচ্ছে বাকী লেখা গুলি কিছুই বুঝলাম
না । আমি নিঃসন্দেহে বললাম, আপনাদের কেউ কুফরি কালাম বা কালো জাদু করেছে ।

আজকের যুগের শিক্ষিত মানুষরা এই সব জাদুটোনা মোটেও বিশ্বাস করতে চান না। তাদের কাছে
এগুলো সব গাজাখুরী কথাবার্তা। যেই জিনিসের কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই, সেটা তাদের
কাছে কোনোভাবেই সত্যি হতে পারে না।
 হাজার বছর আগে বনী ইসরাইল এই ধরনের জাদু ব্যবহার করে
নিজেদের পরিবার এবং সমাজ ধ্বংস করে গেছে। আজকের যুগেও এই ধরনের জাদুটোনা অহরহ ব্যবহার
হচ্ছে। যদিও পত্রিকায় যেসব বিজ্ঞাপন দেখা যায়, যেখানে নারী বশীকরণ, স্বাস্থ্য উদ্ধার,
প্রেমে সফলতা, বিদেশে চাকরির নিশ্চয়তা ইত্যাদি সমস্যার সমাধানে নানাধরনের জাদুর ব্যবহার
দেখা যায়, তবে এগুলোর প্রায় সবই ভূয়া। জাদুর মাধ্যমে মানুষের সমস্যার সমাধান তো দূরের
কথা, উল্টো ঈমান ধ্বংস করে দুনিয়া এবং আখিরাতের জীবনকে ধ্বংস করে ফেলা ছাড়া আর কিছুই
হয় না।

মানুষ যখন আল্লাহর কিতাবকে ভুলে যায়, তখন তারা এই সব দুই নম্বরী (!) পদ্ধতি নিয়ে ব্যস্ত
হয়ে পড়ে। বান মারা, জাদুটোনা করা। এই সব চাহিদা মানুষের মধ্যে তখনি আসে, যখন তার জীবনে
কুরআনের শিক্ষা, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর আস্থা — এসব কিছু
হারিয়ে যায়। তখন সে তার দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে এইসব জঘন্য
পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। কিন্তু এগুলো করে তার জীবনে সমস্যা দূর হওয়া তো দুরের কথা, সে তার
জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে ফেলে এবং আল্লাহর প্রতি কুফরী করে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়ে
যায়।
কুফরি যাদু যা আরো কয়েকটি নামে পরিচিত যেমন: কালো যাদু, ব্লাক ম্যাজিক, বান মারা, তাবিজ করা ইত্যাদি তবে আমাদের দেশে 'বান মারা' কথাটিই বেশি প্রচলিত এবং সাধারনত গ্রাম-অঞ্চলে এই ব্যাপারটি বেশি ঘটে থাকে
আমাদের সমাজে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা শয়তানের পুজারী, শয়তানের ইবাদত করে শয়তানকে খুশি করে তারা নানা রকমের কাজ হাসিল করে নেয় আর শয়তান মানে কেবল ইবলিশ শয়তান নয় তার অনেক অনুসারী আছে যারা খারাপ জিন আর আমরা জানি যে, জিনেরা জন্মগতভাবে আল্লাহ প্রদত্ত কিছু বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকে তো এই বিশেষ ক্ষমতাকেই খারাপ কাজে ব্যাবহার করা হয়
তাহলে ব্যাপারটি দাঁড়াচ্ছে, আল্লাহর আদেশ না
মানলে বা আল্লাহ
যে কাজগুলি নিষেধ
করেছেন সেগুলিই করলে
শয়তান সবচেয়ে বেশি
খুশি হয়। তাই
কুফরি যাদু করার
সময় বলি দেওয়া,
আগুন পুজা করা,
পায়খানা খাওয়া, শয়তানকে মনে
প্রাণে ভক্তি ভরে
ডাকার মতো ঘটনা
ঘটে। এতে আল্লাহর
হুকুমের বরখেলাপ হয়
এবং শয়তান খুশি
হয়। শয়তান খুশি
হয়েই তার অনুগত
জিনদের দ্বারা কাজ
করিয়ে দেয়। আবার
অনেক সময় মৃত
প্রাণীর হাড়, কয়লা
বা এই জাতীয়
জিনিষ উপহার দিয়ে
সরাসরি খারাপ জিনদের
দ্বারাও কাজ করানো
হয়
আর এসব যাদু বা বান মারার জন্য মাথার চুলকে ব্যবহার করা হয়, যেমন
আমাদের প্রিয় নবীকে এক ইহুদী তাঁর চুল মোবারককে কাজে লাগিয়ে এই ধরনের যাদু করেছিল
সে ব্যপারে বুখারী শরীফের হাদীস প্রনিধান যোগ্য
হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত, লাবিদ ইবনুল আ’সাম রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যাদু করেছিল, এবং জিব্রাঈল (আ:) সূরায়ে ফালাক্ব
ও নাস দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন। এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুব
দ্রুত সুস্থ হয়ে গেলেন।

(সহীহ বুখারী)
যাদু বহু প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা একটি কুফুরী প্রথা। স্বয়ং
রাসূলুল্লাহর উপরও ইহুদীরা হিংসা করে যাদু করেছিল। এর মাধ্যমে তাকে পৃথিবীর বুক
থেকে চিরদিনের জন্য সড়ানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। সূরা নাস, ফালাক্ব দিয়ে তাঁকে ঝাড়ফুঁক
করা হয়েছিল। সুলাইমান (আঃ) এর যুগে যাদুর ব্যাপক প্রচলন ছিল। পূর্বে বানী ইসরাইলের
মাঝে পরীক্ষার জন্য হারূত ও মারূত নামে দু'জন ফেরেস্তাকে প্রেরণ করা হয়েছিল।
কুফুরী যাদু মানুষের উপর খুব ধীর গতিতে প্রভাব ফেলে।
অতএব আপনি যদি আমার এই কথাগুলি শুনে থাকেন তাহলে আপনাকে বলছি আপনার
চুল আচরানোড় পর তা চিরনি থেকে ভালো করে বের করে নিন এবং কোন নিরাপদ স্থানে সামলে
রাখুন, অথবা কোন নিরাপদ জায়গায় পুথে ফেলুন। যাতে আপনার দুষ্ট শত্রু আপনার চুলের
নাগাল না পায়।
আর এসব অনিষ্ট থেকে বাঁচার
জন্য সকাল সন্ধ্যার যে সব মাসনুন দোয়া জিকিরসমুহ আছে তা নিয়মিত পালন করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.