জ্বীন এক সুন্দরী নারীর আশেক হয়ে গেল মনের আশা পুরণের সব বিপদ থেকে বাঁচার আমল
জ্বীন এক সুন্দরী নারীর আশেক হয়ে গেল
আল্লামা মক্কী হেজাজী কুরআনের সুরা তালাকের তফসীর করতে গিয়ে এক অপরুপ সুন্দরীর প্রতি এক জ্বীনের আসক্ত হওয়ার আজব ঘটনা বয়ান করেন।
তিনি আজিব ও গরীব এক ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন- কিছু লোক কিস্তিতে করে সফরে যাচ্ছিল, হঠাৎ এক গায়েবী আওয়াজ আসল, যদি তোমরা ১ হাজার দিনার দিয়ে দাও তাহলে আমি এক এমন কুরআনি ওয়াজিফা বলে দিব যা তোমাদের সকল বিপদে কাজে আসবে।
তখণ কিস্তির সকলেই চুপ হয়ে বসে রইল। এর মধ্যে একজন যুবক বলে উঠল আমি দিব, গায়েব থেকে আওয়াজ আসল ১ হাজার দিনার দরিয়ায় ফেলে দাও আমি পেয়ে যাব। যুবকটি ১ হাজার দিনারের থলে সমুদ্রে ফেলে দিল, তখন কিস্তির অন্যান্যরা সে যুবককে বোকা বলে ধিক্কার দিতে লাগল, কিন্তু কিছুক্ষন পর সমুদ্রে ঝড় তুফান উঠল, এতে সে কিস্তিটি ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে গেল, সকলেই সমুদ্রে ডুবে মরে গেল কিন্তু যুবকটি একটি তক্তার উপর ভাসতে ভাসতে সমুদ্রের কিনারায় গিয়ে এক নির্জন দ্বীপে পৌঁছল, সে দ্বীপে এক সুন্দর মহল দেখতে পেল, সে মহলের দরজার কড়া নারলে এক অপরুপ সুন্দরী নারী দরজা খুলে দিল,
যুবক নারীকে প্রশ্ন করল এই নির্জন দ্বীপে এত সুন্দর মহল কোথা থেকে এবং সে কিভাবে এখানে এল? সে নারী জবাব দিল এক দুষ্ট জ্বীন আমার প্রতি আসক্ত হয়ে আমাকে এখানে এনে কয়েদ করে রেখেছে, তবে সে এখনো আমাকে ভোগ করতে পারেনি, আমি সদা আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, এই মহল এই হিরা জহরত সব কিছু সে জ্বীনের। সে এখন মহলে নাই তবে সন্ধ্যায় আসবে, সে বড়ই জালিম সে যদি এসে তোমাকে দেখতে পায় তাহলে তোমাকে সে হত্যা করবে, তুমি মনে হয় ক্ষুধার্থ তাই তাড়াতাড়ি কিছু খেয়ে এখান থেকে চলে যাও। সে যুবক পেট ভরে খাবার খেল, আর সে নারীকে অভয় দিয়ে বলল তুমি চিন্তা করিওনা আমি সে জ্বীনের কাছ থেকে আজ তোমাকে মুক্ত করেই নিয়ে যাব।
সন্ধ্যায় সে জ্বীন এসে হাজির হল। মহলে এক আজনবী যুবককে দেখে সে শয়তান জ্বীন তাঁকে আক্রমন করতে উদ্ব্যত হল তখন সে যুবক সমুদ্রে যে ১ হাজার দিনার ফেলে দিয়েছিল তার বিনিময়ে এক কুরানি দোয়া পেয়েছিল তা পাঠ করতে লাগল- তা হল সুরা তওবার ২-৩ নং আয়াত
وَ مَنۡ یَّتَّقِ اللّٰہَ یَجۡعَلۡ لَّہٗ مَخۡرَجًا ۙ﴿۲﴾
আর যে কেউ আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন।
৬৫:৩ وَّ یَرۡزُقۡہُ مِنۡ حَیۡثُ لَا یَحۡتَسِبُ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ فَہُوَ حَسۡبُہٗ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بَالِغُ اَمۡرِہٖ ؕ قَدۡ جَعَلَ اللّٰہُ لِکُلِّ شَیۡءٍ قَدۡرًا ﴿۳﴾
এবং তিনি তাকে তার ধারণাতীত উৎস হতে দান করবেন রিযিাক। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।(১) আল্লাহ তার ইচ্ছে পূরণ করবেনই; অবশ্যই আল্লাহ সবকিছুর জন্য স্থির করেছেন সুনির্দিষ্ট মাত্রা।
এটা পড়ার সাথে সাথে সে জ্বীনটি জ্বলে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেল, আর সে যুবক সে নারীকে নিয়ে মহল থেকে প্রচুর সোনা দানা হিরা জহরত নিয়ে রওয়ানা হয়ে গেল আর সমুদ্র কিনারায় এসে এক কিস্তি পেয়ে গেল সে কিস্তিতে করে তারা সমুদ্র পার হয়ে সে নারীকে যুবকটি তার বাড়ীতে পৌঁছে দিল, সে নারীর মুখে তার মা বাবা সব কথা শুনে সে নারীকে সে যুবকের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করে দিল এবং সে নারীর মা বাবা তাদের সমস্ত সম্পদ হিরা জহরত সবকিছু মেয়েকে আর মেয়ের জামাইকে দিয়ে দিল।। তখন সে যুবক চিন্তা করল আল্লাহর উপর ভরসা করার ফলে মহান আল্লাহ তায়ালা ধারনাতীত জায়গা থেকে এমন রিযিক ও সম্পদ দান করলেন যা সে কল্পনাও করেনি এবং মনের সকল আশা পুরণ করে দিলেন। আলহামদুলিল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই