যে স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবে না। স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা। স্বপ্বে কি দে...
এমন স্বপ্ন দেখলে কাউকে বলে বিপদ ডাকবেন না
অনেক সময় আমরা স্বপ্ন দেখি, ভালো স্বপ্নগুলি আমরা তেমন মনে রাখিনা, কিন্তু যদি কোন খারাপ বা ভীতিকর স্বপ্ন দেখি তখন সেটা আমরা বেশী মনে রাখি এবং মানুষকে বলে থাকি।
যখন আপনি কারো ব্যপারে বা কাউকে নিয়ে কোন খারাপ স্বপ্ন দেখেন তা কখনো তাকে বলবেন না। এটা বড়ই বেওকুফি এবং প্রথম পর্যায়ের বোকামি। আমরা কাউকে স্বপ্নে উল্টা পা্ল্ট দেখলে সাথে সাথে টেলিফোন করে বলে দিই যে আমি আপনাকে এমন এমন স্বপ্ন দেখেছি।
প্রবাসীরা এখান থেকে কিছু কিনুন
যেমন এক লোক তার এক বন্ধুর ব্যপারে স্বপ্ন দেখল যে আমি স্বপ্ন দেখেছি তুমি তোমার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিয়েছ। বলে হা হা হা করে হাসতে লাগল। অথচ এ ধরনের স্বপ্ন বলা উচিত নয়। মনে রাখবেন ভালো স্বপ্ন বলা উচিত কিন্তু মন্দ স্বপ্ন বলা থেকে বিরত থাকতে হবে, আর স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া জাতিয় স্বপ্ন মোটেও উচিত নয়। অনেক সময় স্বপ্ন দেখে মানুষ সেটাকে এতটাই বিশ্বাস করে বসে যে কুরান ও হাদীসকেও এতটা বিশ্বাস করেনা, ফলে কারো ব্যপারে যদি কোন মন্দ স্বপ্ন দেখে তাকে সেটা বলেন তাহলে তার মধ্যে সে স্বপ্নের একটা প্রভাব সৃষ্টি হবে এবং এতে বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
রাসুল (সা.) বলেছেন, যদি কেউ অপছন্দনীয় তথা ভয় বা খারাপ কোনো স্বপ্ন দেখে তাহলে সে যেন তাড়াতাড়ি অজু করে নামাজে দাঁড়িয়ে যায় এবং দর্শিত স্বপ্নের ব্যাপারে অনভিজ্ঞ কাউকে কিছু না বলে। [আবু দাউদ]
মানুষ স্বপ্ন দেখে। ভাল স্বপ্ন দেখে, বলে সুন্দর স্বপ্ন দেখেছি। খারাপ স্বপ্ন দেখে বলে আমি ভয়ানক এক স্বপ্ন দেখেছি। আবার কখনো বলে একটি বাজে স্বপ্ন দেখেছি। অথচ স্বপ্ন তিন প্রকার: এক. মনে মনে যা সারাদিন কল্পনা করে তার প্রভাবে ঘুমের মধ্যে ভাল-মন্দ কিছু দেখা। এগুলো আরবীতে আদগাছু আহলাম বা অলীক স্বপ্ন বলে। দুই. শয়তানের কুমন্ত্রণা ও প্রভাবে স্বপ্ন দেখা। সাধারণত এ সকল স্বপ্ন ভীতিকর হয়ে থাকে। তিন. আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ইশারা, ইঙ্গিত হিসাবে স্বপ্ন দেখা।
আবু সায়ীদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন: তোমাদের কেউ যদি এমন স্বপ্ন দেখে যা সে পছন্দ করে, তাহলে জানবে যে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে। তখন সে যেন আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে ও অন্যদের কাছে বর্ণনা করে।অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, এ স্বপ্নের কথা শুধু তাকে বলবে, যে তাকে ভালোবাসে। আর যদি স্বপ্ন অপছন্দের হয়, তাহলে বুঝে নেবে এটা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়েছে। তখন সে শয়তানের ক্ষতি থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে আর এ স্বপ্নের কথা কারো কাছে বলবে না। কারণ খারাপ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।(বর্ণনায় : বুখারি ও মুসলিম) এ হাদিস থেকে আমরা জানতে পারলাম : এক. যা কিছু ভাল স্বপ্ন, সেটা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের কুমন্ত্রণা ও প্রভাবের কারণে দেখে থাকে। দুই. ভাল স্বপ্ন দেখলে এমন ব্যক্তির কাছে বলা যাবে, যে তাকে ভালোবাসে। যে ভালোবাসে না, এমন ব্যক্তির কাছে কোনো স্বপ্নের কথা বলা যাবে না। হতে পারে সে ভাল স্বপ্নটির একটি খারাপ ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে দেবে। তিন. ভাল স্বপ্ন দেখলে আলহামদুলিল্লাহ বলে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করতে হবে। চার. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারো কাছে বলা উচিত নয়। পাঁচ. খারাপ স্বপ্ন দেখলে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়া মাত্র আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে বলতে হবে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম।
আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবি কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: সুন্দর স্বপ্ন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে। কেউ স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে বাম পাশে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করবে আর শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। ( এভাবে বলবে, আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম) তাহলে এ স্বপ্ন তাকে ক্ষতি করতে পারবে না।(বর্ণনায় : বুখারি ও মুসলিম)
এ হাদিস থেকে আমরা জানতে পারলাম : এক. ভাল স্বপ্ন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। দুই. খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে এসে থাকে। তিন. খারাপ স্বপ্ন দেখলে সাথে সাথে তিনবার বাম দিকে থুথু ফেলে আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানের রাজীম বলতে হবে। তবে সত্যিকার থুথু ফেলবে না। মানে মুখ থেকে পানি নির্গত হবে না। শুধু আওয়াজ করবে। কেননা হাদিসে নাফাস শব্দ এসেছে। যার অর্থ এমন হাল্কা থুথু যাতে পানি বা শ্লেষ্মা নেই। চার. এই আমলটা করলে খারাপ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না। অপর হাদীসে আছে পাশ্ব পরিবর্তন করে শুবে
পার্শ্ব পরিবর্তন করা মানে হল, ডান কাতে শুয়ে থাকলে বাম দিকে ফিরবে। তেমনি বাম কাতে শুয়ে থাকলে ডানে ফিরবে।
স্বপ্ন ভাল হলে তা শুভাকাংখী ব্যতীত অন্য কারো কাছে বলা ঠিক নয়। এ কারণে ইয়াকুব আ. তার ছেলে ইউসূফ কে বলেছিলেন, হে আমার বৎস! তোমার স্বপ্নের কথা তোমার ভাইদের কাছে বলো না। (সূরা ইউসুফ : ৫)
অনেক সময় আমরা স্বপ্ন দেখি, ভালো স্বপ্নগুলি আমরা তেমন মনে রাখিনা, কিন্তু যদি কোন খারাপ বা ভীতিকর স্বপ্ন দেখি তখন সেটা আমরা বেশী মনে রাখি এবং মানুষকে বলে থাকি।
যখন আপনি কারো ব্যপারে বা কাউকে নিয়ে কোন খারাপ স্বপ্ন দেখেন তা কখনো তাকে বলবেন না। এটা বড়ই বেওকুফি এবং প্রথম পর্যায়ের বোকামি। আমরা কাউকে স্বপ্নে উল্টা পা্ল্ট দেখলে সাথে সাথে টেলিফোন করে বলে দিই যে আমি আপনাকে এমন এমন স্বপ্ন দেখেছি।
এখানে লিংকে ক্লিক করে এবছরের সেরা বেইটি কিনুন
যেমন এক লোক তার এক বন্ধুর ব্যপারে স্বপ্ন দেখল যে আমি স্বপ্ন দেখেছি তুমি তোমার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিয়েছ। বলে হা হা হা করে হাসতে লাগল। অথচ এ ধরনের স্বপ্ন বলা উচিত নয়। মনে রাখবেন ভালো স্বপ্ন বলা উচিত কিন্তু মন্দ স্বপ্ন বলা থেকে বিরত থাকতে হবে, আর স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া জাতিয় স্বপ্ন মোটেও উচিত নয়। অনেক সময় স্বপ্ন দেখে মানুষ সেটাকে এতটাই বিশ্বাস করে বসে যে কুরান ও হাদীসকেও এতটা বিশ্বাস করেনা, ফলে কারো ব্যপারে যদি কোন মন্দ স্বপ্ন দেখে তাকে সেটা বলেন তাহলে তার মধ্যে সে স্বপ্নের একটা প্রভাব সৃষ্টি হবে এবং এতে বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
কোন মন্তব্য নেই