যে প্রেম ভালোবাসায় জান্নাত পাবে নারী। আদর্শ নারী। Jaalhaq
আজ চতুর্দিকে প্রেম ভালবাসার বাজার খুবই গরম। এই সব অবৈধ প্রেম
ভালোবাসার জাল হল মুলত শয়তানের ফাঁদ । আর এই ফাঁদে পড়ে কত ঘর উজাড় হচ্ছে তার কোন হিসাব
নাই। কত পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে তার কোন সীমা নাই, তার সবচেযে তাজা উদাহারন হল বরগুনার
মিন্নি ও তার কতিথ ঘটনা।
ভালোবাসার জাল হল মুলত শয়তানের ফাঁদ । আর এই ফাঁদে পড়ে কত ঘর উজাড় হচ্ছে তার কোন হিসাব
নাই। কত পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে তার কোন সীমা নাই, তার সবচেযে তাজা উদাহারন হল বরগুনার
মিন্নি ও তার কতিথ ঘটনা।
যা আজ আমাদের সকলের সামনে জলন্ত উদাহারণ। যে প্রেম মানুষকে
অপমানিত করে অপদস্ত করে, এমনকি মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে যায় আর আখেরাতেও এই প্রেমের কারনেই
মানুষ সাজা ভোগ করতে হবে। পক্ষান্তরে এমনও প্রেম আছে যার ফলে এই দুনিয়াতেও আছে শান্তি
সুখ ও সম্মান আখেরাতে আছে জান্নাত।
অপমানিত করে অপদস্ত করে, এমনকি মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে যায় আর আখেরাতেও এই প্রেমের কারনেই
মানুষ সাজা ভোগ করতে হবে। পক্ষান্তরে এমনও প্রেম আছে যার ফলে এই দুনিয়াতেও আছে শান্তি
সুখ ও সম্মান আখেরাতে আছে জান্নাত।
স্বামী স্ত্রীর এই সম্পর্ককে
আল্লাহ তায়ালা তার নিদর্শন সমুহের মধ্যে একটি নিদর্শন বলে ঘোষনা করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা তার নিদর্শন সমুহের মধ্যে একটি নিদর্শন বলে ঘোষনা করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা এ ধরনের অনেক নিদর্শনের
কথা কুরআনে বয়ান করেছেন তাদের সাথে সাথে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককেও আল্লাহ নিদর্শন
বলে আখ্যায়িত করেছেন।
কথা কুরআনে বয়ান করেছেন তাদের সাথে সাথে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককেও আল্লাহ নিদর্শন
বলে আখ্যায়িত করেছেন।
Islamic books for kids amazon
যেমন আল্লাহ বলেন-
* জমিন ও আসমানের সৃষ্টি আমার
অনেক বড় নিদর্শন।
অনেক বড় নিদর্শন।
* তোমাদের শুয়ে যাওয়া ও জাগ্রত
হওয়া আমার অনেক বড় নিদর্শন
হওয়া আমার অনেক বড় নিদর্শন
* আমার অনেক বড় নিদর্শন বজ্রপাত,
বৃষ্টি, মেঘ ইত্যাদি
বৃষ্টি, মেঘ ইত্যাদি
* জমিন আসমানের স্থিরতা আমার
অনেক বড় নিশানি
অনেক বড় নিশানি
* গরম বাতাস একদম ঠান্ডা হয়ে
মেঘ বৃষ্টি নিয়ে আসা আমার নিদর্শন
মেঘ বৃষ্টি নিয়ে আসা আমার নিদর্শন
আল্লাহ তায়ালা যে সব বড়বড় নিদর্শনের
ঘোষনা দিয়েছেন তার সাথে আরো একটি বিষয় বড় নিদর্শন হিসেবে ঘোষনা করেন তা হল
ঘোষনা দিয়েছেন তার সাথে আরো একটি বিষয় বড় নিদর্শন হিসেবে ঘোষনা করেন তা হল
(মিন আয়াতিহি আন খালাকালাকুম
মিন আনফুছিকুম আজওয়াজা লিতাসকুনু ইলাইহা ইলা আখিরিল আয়াত)
মিন আনফুছিকুম আজওয়াজা লিতাসকুনু ইলাইহা ইলা আখিরিল আয়াত)
আল্লাহ বলেন আমার অনেক বড় নিদর্শন
আমি স্বামী -স্ত্রীর বন্ধন সৃষ্টি করেছি।
আমি স্বামী -স্ত্রীর বন্ধন সৃষ্টি করেছি।
আল্লাহর এই কথাটাকি কখনো চিন্তা
করেছেন?
করেছেন?
অথচ আল্লাহ আরো অনেক বন্ধন সম্পর্ক
সৃষ্টি করেছেন যেমন পিতা মাতা, ভাই বোন, পুত্র কন্যা, সন্তান, এসব কিছুকে নিজের নিদর্শন
বলেননি। বলেছেন আমি স্বামী স্ত্রীর বন্ধনকে অনেক বড় নিদর্শন বানিয়েছি। এই একটি সম্পর্ককে
টিকিয়ে রাখার জন্য অসংখ্য আয়াত রয়েছে।
সৃষ্টি করেছেন যেমন পিতা মাতা, ভাই বোন, পুত্র কন্যা, সন্তান, এসব কিছুকে নিজের নিদর্শন
বলেননি। বলেছেন আমি স্বামী স্ত্রীর বন্ধনকে অনেক বড় নিদর্শন বানিয়েছি। এই একটি সম্পর্ককে
টিকিয়ে রাখার জন্য অসংখ্য আয়াত রয়েছে।
আর তালাকের প্রতি আমার নবী ঘৃণা
প্রকাশ করেছেন- হুযুর বলেন হে আলি তালাক থেকে বাঁচ যখন তালাক দেয়া হয় তখন আল্লাহর আরশ
কেঁপে উঠে।না জায়েজ তালাক। তবে একান্ত জরুরত অবস্থার জন্য এই তালাকের অপশন ইসলামে রাখা
হয়েছে, তাই কথায় কথায় তালাক দেয়া থেকে বাঁচতে হবে। সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা
করতে হবে। যে সম্পর্ককে আল্লাহ তায়ালা অনেক বড় নিদর্শন বলে ঘোষনা করেছেন।
প্রকাশ করেছেন- হুযুর বলেন হে আলি তালাক থেকে বাঁচ যখন তালাক দেয়া হয় তখন আল্লাহর আরশ
কেঁপে উঠে।না জায়েজ তালাক। তবে একান্ত জরুরত অবস্থার জন্য এই তালাকের অপশন ইসলামে রাখা
হয়েছে, তাই কথায় কথায় তালাক দেয়া থেকে বাঁচতে হবে। সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা
করতে হবে। যে সম্পর্ককে আল্লাহ তায়ালা অনেক বড় নিদর্শন বলে ঘোষনা করেছেন।
যেমন মসনদের আহমদের হাদিস
হজরত হোসাইন বিন মিহসান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমার ফুফু আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, একদিন তিনি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে কোনো প্রয়োজনে গিয়েছিলেন। প্রয়োজন শেষ হলে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন-
‘তোমার কি স্বামী আছে? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’।
তিনি (বিশ্বনবি) বললেন, তার জন্য তুমি কেমন স্ত্রী?
আমি বললাম- একান্ত অপারগ না হলে তার খেদমত করতে কোনো ত্রুটি করি না।
তিনি (বিশ্বনবি) বললেন- ভালোভাবে (স্বামীর প্রতি) খেয়াল রাখবে, তুমি তার কেমন খেদমত করে থাক। কেননা সে-ই তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম।’ অর্থাৎ তার আনুগত্য ও খেদমত করলে জান্নাতে যাবে আর অবাধ্য হলে জাহান্নামে যাবে।’ (মুসনাদে আহমাদ)
একদিন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে লক্ষ্য করে বললেন- ‘আমি কি তোমাকে মানুষের আকর্ষণীয় শ্রেষ্ঠ গুপ্তধন সম্পর্কে বলে দেব না? তা হচ্ছে- নেককার স্ত্রী। স্বামী তার দিকে তাকালে সে তাকে মুগ্ধ করে। কোনো আদেশ করলে তা পালন করে আর স্বামী কাছে না থাকলে নিজের ইজ্জতের হেফাজত করে।’
হজরত আব্দুর রহমানি ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মুসলিম নারীরা যদি যথাযথভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজানের রোজা পালন করে, নিজের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে,তখন সে ই নারীকে বলা হবে তুমি জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছে ভেতরে প্রবেশ কর।’ (মুসনাদে আহমাদ)
হজরত আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ধরণের নারী জান্নাতি; আমি কি তোমাদের বলে দেব না? তাঁরা বললেন, ‘হ্যাঁ’, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম); তিনি বললেন, তোমাদের জান্নাতি নারীরা হবে স্বামীর প্রতি প্রেমময়ী, এবং অধিক সন্তান প্রসবকারীনী।’
সুতরাং নারী-পুরুষ উভয়েল উচিত, মিথ্যা ও অবৈধ প্রেম-ভালোবাসায় একে অপরের প্রতি ধাবিত না হওয়া। কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসা লাভের চেষ্টা করার পাশাপাশি বৈধ ও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেমময় ও ভালোবাসা পূর্ণ সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। আর তাতেই মিলবে সুনিশ্চিত জান্নাত।
কোন মন্তব্য নেই