2022 সালের সেরা ওজিফা। সকল অভাব দুর করার আমল ও ওজিফা। Dua wazifa for problem solve

 

লাইফ চেঞ্জিং আমল ও ওজিফা ২০২২ সালের সেরা ওজিফা



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য, তিনিই নেক লোকদের বন্ধু। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদে বরহক নাই। তিনি এক তার কোন শরিক নাই। তিনিই সব মাখলুকাতের মাবুদে বরহক। আর আমি এটাও সাক্ষী দিচ্ছি আমাদের নবী (দ) আল্লাহর বান্দা ও তার রাসুল।

তিনি তামাম আম্বিয়া কেরাম ও রাসুলদের সরদার। হে আল্লাহ নবীর উপর তার আহলে বায়ত ও তামাম সাহাবায়ে কেরামের উপর রহমত সালামতি ও বরকত নাজিল ফরমাও।

আসসালামু আলাইকুম জা আল হকের প্রিয় বন্ধুরা। আজকের ওজিফা যা আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হয়েছি। তা খুবই লা জাওয়াব ওজিফা

এটি সুরা হা মিম সিজদার এমন শক্তিশালী ওজিফা যে ওজিফার বলে মুসলমানরা সারা বিশ্বে রাজত্বি করেছিল, যে ওজিফার ফলে কম সংখ্যক মুসলমান বেশী সংখ্যক মুসলমানদের উপর বিজয়ী হয়েছিল, যে ওজিফার বলে মুসলমানরা সারা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ছিল সবচেয়ে জ্ঞানী ছিল, যে ওজিফার বলে মুসলমানরা সমুদ্রের বুকে ঘোড়া দৌড়িয়েছিল কিন্তু তাদের ঘোড়ার খুর পযন্ত পানিতে ভিজে নাই। এটি সে ওজিফা যে ওজিফার কারনে মুসলমানরা বিশ্ববাসীর ত্রানকর্তা রুপে ছিল আর অন্যান্য ধর্মের লোকেরা মুসলমানদের মুখাপেক্ষি ছিল। এটি সে ওজিফা যে ওজিফার বলে মুসলমান যা চাইত সেটাই হয়ে যেত, মুসলমান যেটা বলত সেটাই কবুল হত।

১টি যুদ্ধে মুসলমান সাহাবীরা খ্রিষ্ট্রানদের দুর্গে কিছুতেই ঢুকতে পারছিলনা, তখন হযরত সুরাকা (রা) বললেন তোমরা মিনজানিকে করে আমাকে দুর্গের ভিতর নিক্ষেপ কর আমি ভিতরে গিয়ে দরজা খুলে দিব, তখন সকলে বলল তুমি ভিতরে গিয়ে পড়ার সাথে সাথে তোমার হাড়গোড় ভেঙ্গে যাবে, তাছাড়া খ্রিষ্ট্রান ষৈন্যরা তোমাকে কি আস্ত রাখবে? কিন্তু সুরাকা নিবিকারে বলল আমার কিচছু হবেনা আমি ঠিকই তোমাদের জন্য দরজা খুলে দিব আর খ্রিষ্ট্রানরা আমার ১টা চুলও বাকা করতে পারবেনা, এমন আত্মবিশ্বাস দেখে সত্যি সত্যি তাকে মিনজানিকের মাধ্যমে দুর্গের ভিতর নিক্ষেপ করে দিলেন আর তিনি ভিতর থেকে বিনা বাধায় দুর্গের দরজা খুলে দিলেন, কিছুক্ষন যুদ্ধ হওয়ার পর সে যাত্রায় মুসলমানরা বিজয়ী হল, তখন সকলে সুরাকাকে প্রশ্ন করল তুমি এত আত্ম বিশ্বাসের সাথে কিভাবে বললে যে তোমার কিছু হবেনা? তখন সুরাকা বলল হিজরতের রাতে হুজুর (দ) আমাকে বলেছেন হে সুরাকা একদিন মুসলমানরা পারস্য দখল করবে সেখান থেকে অসংখ্য ধন সম্পদ মদীনায় আনা হবে তাতে রাজার ২টি বালাও থাকবে পোষাক থাকবে আর সে বালা ও পোষাক তোমাকে পরানো হবে।আমার নবীর সেকথার উপর আমার পূণ বিশ্বাস আছে বলে আমি আস্তার সাথে বলতে পেরেছি যে আমার কিছুই হবেনা। সুবহানাল্লাহ।

এমনই অবিচল ছিল সাহাবাদের ঈমান ও আকিদা

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِي كُنتُمْ تُوعَدُونَ

নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন। [সুরা হা-মীম - ৪১:৩০]

মনে রাখবেন যখন মানুষের একিন মজবুত হয় তখন তার এবাদাতও মজবুত হয়, আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিদান পাওয়ার বিশ্বাসও যদি মজবুত হয় তার আল্লাহর রাস্তায় খরচ করাও মজবুত হয়,

সে জন্য নবী করিম (দ) এরশাদ করেন কানযুল উম্মাল এর হাদীস- ফরমান একিন সেভাবে শিখ যেভাবে তোমরা কুরআন শিখ।

ইমাম গাজ্জালী (রহ) এই হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেণ একিনে কামেল ওয়ালা লোকদের কাছে বস যাতে তোমাদেরও একিনে কামেল নসিব হয়। সে সব লোকদের পাশে বসিওনা যারা ডাবল মাইন্ডেন্ড থাকে। সে সব লোক আপনাকে দ্বিধা দন্দ্বে ফেলে দেয়, েআপনার আত্মবিশ্বাসকে দুর্বল করে দেয়।

আজ আমাদের মাঝে একটি দুর্বলতা খুব বেশী ছেয়ে গেছে আর তা হল মুসলমানরা দুর্বল তারা আর কোন দিন ঘুরে দাঁড়াতে পারবেনা। এসব হতাশাগ্রস্থ কথা প্রচার করা হচ্ছে। এসবই একিনের দুর্বলতা।

একই কথা আরবের মুসলমানদের ব্যপারেও প্রচার করা হয়েছিল, আরবের এসব বদ্দুকি বীজয়ী হবে? কিন্তু সে সব আরবীরা আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্তা ও বিশ্সাস নিয়ে যখন বের হল আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে গোটা দুনিয়ার ইমাম বানিয়ে দিলেন।

আজো মুসলমানরা যদি আল্লাহর উপর পূণ একিনে কামেল এর সাথে দাঁড়িয়ে যায় গোটা দুনিয়া মুসলমানদের পায়ের তলায় চলে আসবে।

হযরত সালমান ফারসি (রা) বলেন খন্দকের যুদ্ধের দিন মুসলমানদের জন্য খুবই কঠিন দিন ছিল, তখন মুসলমানদের মধ্যে অভাব অনটন চলছিল, মদীনার ভিতর বাহিরের শত্রু যাতে আসতে না পারে চারদিকে খন্দক খননের কাজ চলছিল, যে সব সাহাবাগন খন্দক খনন করছিল তাদের পেটে পাথর বাঁধা ছিল, ফরমালেন এয়া রাসুলাল্লাহ (দ) পেটে পাথর বেঁধেছি ক্ষুধার জ্বালায়। তখন হুজুর নিজের জামা উঠিয়ে দেখালেন আর ফরমালেন তোমরা ১টি পাথর বেঁধেছ আর আমি ২টি বেঁধেছি। এমন ছিলনা যে গরীবদেরকে এলান করে দিল অভাব ও দুর্ভিক্ষ আর লিডারের ঘরের মধ্যে খাবারের কোন অভাব নাই, বরং গরীব সাহাবী ১টি বেঁধেছে আর নবী ডাবল পাথর বেঁধে রেখেছেন।

আর এরই মধ্যে বিশাল ১টি পাথর দেখা গেল যা কেহ ভাঙ্গতে পারছিলনা, নবীজি নিজেই হাতুরি নিয়ে যখন সে পাথরে আঘাত করছিলেন তা থেকে ১টি স্ফুলিংঙ্গ বের হল আর হুজুর (দ) ঘোষনা দিলেন (উতিতু মুফাতেহিল এয়ামান) এখনও মক্কাও বিজয় হয়নি কিন্তু হুজুর (দ) ঘোষনা দিয়ে দিলেন আল্লাহ ইয়েমেন এর চাবী মুসলমানদেরকে দিয়ে দিয়েছেন।

এভাবে ২য় আঘাত করলেন আর ফরমালেন আল্লাহ পারস্যও মুসলমাদেরকে দান করলেন, ৩য় আঘাত করে বললেন মুলকে শামও আল্লাহ আমাদেরকে দান করবেন। হুজুর (দ) এক একটি আঘাত করতেন আর এক একবার এক একটি বড় বড় রাস্ট্র জয় করার খোশ খবরী দিতেন। যখনই হুজুর বলতেন সাথে সাথে সাহাবায়ে কেরাম নারা লাগাতে লাগল, হুজুরের কথায় তাদেরও একিনে কামেল ছিল। আর হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেন খন্দকের দিন হুজুরের সে ভবিষ্যৎ বানী অনুযায়ী সে সব দেশ আমরা ওমরের (রা) জামানায় মুসলমানদের কব্জায় আসতে দেখে নিলাম। নবী (দ) এর যেমন একিনে কামেল ছিল, সাহাবায়ে কেরামেরও একিনে কামেল ছিল। ঈমান নড়বড়ে দুবল ছিলনা। তাই তারা সফল হয়েছে। আজ আমাদেরও আল্লাহর উপর আল্লাহর রাসুলের উপর কুরআন ও হাদীসের বাণী সমুহের উপর একিনে কামেল থাকা খুবই জরুরী। তাহলে বিজয় অবশ্য আসবে।

আমরা সদা চিন্তা করি কিভাবে হবে? কেমনে হবে? হযরত মুসা (আ) এর কওম এসে পানি চাইলেন মুসাকে আল্লাহ বললেন পাথরে লাঠি দিয়ে আঘাত করার জন্য, অথচ আমরা জানি পানি বের হয় নদী থেকে সাগর থেকে, আর আল্লাহ নির্দেশ দিচ্ছেন পাথরে আঘাত করার জন্য হযরত মুসা (আ) একিনে কামেলের সাথে যখন পাথরে আঘাত করলেন তা থেকে ১২টি ঝণা বের করে দিলেন। কেননা মুসা (আ) এর একিন মজবুত ছিল তাই তিনি প্রশ্ন করেননি হে আল্লাহ পাথর থেকে কিভাবে পানি রেব হবে? এভাবেই আল্লাহর উপর পূণ আস্থা রাখলে আল্লাহ এমন জায়গা থেকে সমস্যার সমাধান করে দেন যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা। আমাদের দরকার শুধু একিনে কামেল। 

তেমনি হাজেরা কে শিশু ইসমাইল সহ যখন মক্কায় পাহাড়ে রেখে আসছিল তখন হাজেরাও আল্লাহর উপর একিনে কামেল নিয়ে সেখানেই রয়ে গেলেন আর সে স্থান কিয়ামত পযন্ত আল্লাহ এমন আবাদ করলেন যা সকলের চোখের সামনে।

সে জন্য অন্তরে মজবুত একিন পয়দা করুন আর দুর্বলতা হতাশা বিলকুল মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন, নব উদ্যমে নতুন বছরে আল্লাহর উপর পূণ ভরসা করে জীবন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ুন

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِي كُنتُمْ تُوعَدُونَ

নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন। [সুরা হা-মীম - ৪১:৩০]

একিনে কামেল আল্লাহর উপর পূণ আস্তা অনেক বড় শক্তি অনেক বড় তাকত সে শক্তিকে ধারন করতে পারলে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবেনা। আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।

1 টি মন্তব্য:

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.