আপনার সব বিপদ, দুঃখ, মছিবত, দুশ্চিন্তা, অসহায়ত্ব, পেরেশানির সমাধান কুরানেই আছে আসুন জেনে নিই কোথায় সে সমাধান?
আপনার সব বিপদ, দুঃখ, মছিবত, দুশ্চিন্তা, অসহায়ত্ব, পেরেশানির সমাধান কুরানেই আছে আসুন জেনে নিই কোথায় সে সমাধান?
আলহামদুল্লিাহি রাব্বিল আলামিন ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা সাইয়্যিদিল মুরসালিন আম্মা বায়াদ ফাউজু বিল্লাহি মিনাশায়ত্বানির রাজিম বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় সুধীমন্ডলী
আজ কুরানের আযব ঘটনার ১৪ তম পব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে, তবে আজকের ঘটনার সাথে সাথে রয়েছে কুরানী আযীব ও গরিব ওয়াজিফা। আসুন গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাওয়ার মত অদ্ভুৎ ঘটনার সাথে কুরানী ওয়াজিফাও জেনে নিই।
পবিত্র কুরানে কিছুটা এভাবে বর্ণিত আছে- সুরা তালাকের ২-৩ নং আয়াত
وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا
وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا
আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতি/ মুক্তির পথ করে দেবেন।
এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।
হাদীসে পাকে আছে নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন আমি এমন এক আয়াত জানি যদি লোকজন এ আয়াতটি গ্রহণ করে তাহলে তা তাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। আর সে আয়াত হল যা আমি আগে পাঠ করেছি সুরা তালাকের ২-৩ নং আয়াত। সুবহানাল্লাহ।
আল্লামা আযহুরী (রহঃ) তাঁর রচিত কিতাব ফাযায়েলে রমযানে লিখেন- এক বার কিছু লোক সমুদ্রে বোট নিয়ে সফরে বের হল, তখন সমুদ্র থেকে এক আওয়াজ আসল, সে আওয়াজ থেকে এ কথা ভেসে আসল যে যদি কেহ আমাকে ১০ হাজার দিনার দিয়ে দেয় তাহলে আমি তাকে এমন একটি ওয়াজিফা বলে দিব যদি সে ধ্বংসের দোর গোড়ায় পৌঁছে যায় আর সে যদি সে ওয়াজিফা পাঠ করে তাহলে তার সমস্ত বলা মসিবত দুর হয়ে যাবে। তখন বোট আরোহীদের মধ্য থেকে একজন বলল আস আমি তোমাকে ১০ হাজার দিনার দিব। এবংেআমাকে সে ওয়াজিফা বলে দাও, তখন গায়েবী আওয়াজ আসল দিনারগুলি সমুদ্রে ঢেলে দাও আমি পেয়ে যাব। তখন সে লোকটি ১০ হাজার দিনার সমুদ্রে ফেলে দিল। তখন গায়েব থেকে কুরানের সুরা ত্বালাকের ২-৩ নং আয়াত পাঠ করে শুনানো হল যার অথ হল-
আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতি/ মুক্তির পথ করে দেবেন।
এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।
এ আয়াত শুনার পর নৌকার অন্যান্য যাত্রীরা সে লোকটিকে বলল তুমি বোকা কারন তুমি তোমার ১০ হাজার দিনার নষ্ট করে ফেললে? তখন লোকটি জবাব দিল আমি বোকা নই কারন এ কুরানী ওয়াজিফা অবশ্যই আমার জন্য উপকারে আসবে।
এভাবে কিছুদুর বোটটি সমুদ্রে চলার পর সমুদ্রবুকে তুফান শুরু হল আর এ তুফানে বোটটি তছনছ হয়ে গেল সকলে ডুবে গেল আর বোটের সকল যাত্রী তাতে মৃত্যু বরণ করল, কিন্তু সে ১০ হাজার দিনার খরচকারী বোটের একটি তকতা ধরে সমুদ্রের বুকে ভাসতে থাকল, ভাসতে ভাসতে সে লোকটি একটি দ্বীপে গিয়ে উঠল সে দ্বীপে গিয়ে কিছুদুর অগ্রসর হয়ে সে দেখল তাতে এক শানদার মহল দাঁড়িয়ে আছে। আর সে মহলে সব ধরনের দামী দামী হিরা জহরত দামি দামি পাথর পড়ে আছে।েআর তাতে এক সুন্দরী নারী একলা বসে আছে। তখন সে নারী তাঁকে প্রশ্ন করল তুমি কে আর এখানে কিভাবে এসেছ? তখন লোকটি উল্টা প্রশ্ন করল তুমি কে? আর এ নির্জন দ্বীপে তুমি একা একা কি করছ?
তখন সে নারী তার কিসসা শুনালো, সে বলল আমি বসরার এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর কন্যা। আমি আমার পিতার সাথে সমুদ্রের সফরে যাচ্ছিলাম। সমুদ্রে আমাদের নৌকা ডুবে গেল। আর আমাকে হঠাৎ করে নৌকা থেকে কেউ একজন উঠিয়ে নিল। সে আমাকে এ মহলে নিয়ে আসল। সে হল দুষ্ট জিন শয়তান আর সে আমাকে এ মহলে বন্ধী করে রেখেছে, আর প্রতি ৭ম দিবসে সে এখানে আসে এবং আমার সাথে জবরদস্তি করে। আর আজ তার আসার দিন, সুতরাং সে আসার আগে তুমি এখান থেকে পালিয়ে যাও। না হয় সে এসে তোমাকে মেরে ফেলবে। যখন মেয়েটি কথাগুলি শেষ করল তখন চারদিক কেমন যেন অন্ধকার হয়ে গেল। তখন মেয়েটি বলল জলদি পালাও সে শয়তান আসছে। কথা শেষ হতে হতেই সে শয়তান এসে গেল আর এ লোকটি সেখানেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সে কুরানী ওয়াজিফা সুরা তালাকের ২-৩ নং আয়াত পড়তে শুরু করল। শয়তান এতে জমিনে এমন জোড়ে আছরে পরল যে যেন মনে হল পাহাড় ধ্বসে পরছে। আর সেখানে শয়তান জ্বলে পুরে খাক হয়ে গেল। তখন মেয়েটি খুব আনন্দীত হল আর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করল। আর মেয়েটি সে লোকটিকে বলল এসব দামীদমী পাথর মতি জহরত গুলি থলেতে ভরে নাও। এবং এ মহল থেকে আমাকে নিয়ে সমুদ্রের নিকট চল। দেখি কোন জাহাজ কিংবা নৌকার সন্ধান পাই কিনা। কথামত উভয়ে নানা রকম দামী পাথর হিরা মহি জহরত গুলি সাথে নিয়ে মহল থেকে বের হয়ে সমুদ্রের পাড়ে আসল। সেখানে গিয়েই তারা বসরা গামী একটি নৌকা পেয়ে গেল। উভয়ে গিয়ে বসরায় পৌঁছল মেয়েটির ধনাঢ্য মা বাবা তাদের হারানো মেয়েকে পেয়ে খুশী হল। আর সে ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ের ব্যবস্থা করল। তারা যে সব হিরা জহরত েএনেছিল সেগুলির কারনে তারা যুগের ধনীতে পরিণত হল আর উভয়ে স্বামী স্ত্রী হিসেবে সুখে বসবাস করতে লাগল। তাদের কয়েকজন সন্তানও হল।
হযরত আউফ বিন মালিক (রাঃ) এর একজন সন্তান ছিল যার নাম ছালিম । তাঁকে অমুসলিমরা গ্রেফতার করে ফেলল। তখন আউফ বিন মালিক (রাঃ) নবী করিম (দঃ) এর দরবারে হাজির হলেন। এবং অত্যন্ত কাকুতি মিনতির সাথে দরবারে রেসালতে অভিযোগ পেশ করলেন। বললেন অমুসলিমরা আমার সন্তানকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। যার শোকে তার মা খুবই অসুস্থ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আমাদের কি করা উচিৎ? তখন নবী করিম (দঃ) তাঁকে ফরমালেন তুমি ছবর বা ধৈয্য ধারন কর এবং পরহেযগারীর জিন্দেগী অবলম্বন কর। এবং বেশী বেশী (ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম) পাঠ কর এবং সন্তানের মাকেও বলে দাও সেও যেন বেশী বেশী এ ওয়াজিফা পাঠ করতে থাকে। এ কথা শুনে আউফ বিন মালিক তাঁর ঘরে ফিরে গেল। এবং নিজের স্ত্রীকেও এ ওয়াজিফা শিখিয়ে দিলেন, এবার স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে রাত দিন শুধু এ ওয়াজিফা পাঠ করতে লাগল।
এর ফলাফলে দেখা গেল একদিন অমুসলিমরা তাদের বন্ধী সন্তান ছালিম এর দিক থেকে অমনযোগী হয়ে গেল। আর এ সুযোগ ছালিম অমুসলিমদের বন্ধীশালা থেকে পালিয়ে বের হয়ে আসল। আর ছালিম এর পিছে পিছে সে অমুসলিমদের ৪ হাজার ছাগল এবং ৫০ টি উট সাথে সাথে চলে আসল। সে ঘরে ফিরে এসে দরজার কড়া নাড়ল। ছালিমের মা বাবাদ দরজা খুলে দেখেন তাঁদের আদরের সন্তান ফিরে এসেছে। তারা নিজের সন্তান ফিরে আসায় খুশীতে আত্মহারা হয়ে গেল। এবং প্রিয় নবীর দরবারে গিয়ে সন্তান ফিরে আসার খবর দিল এবং এ প্রশ্ন করল যে এয়া রাসুলাল্লাহ আমার ছেলের পিছে পিছে যে ছাগল ও উট চলে এসেছে তাকি আমাদের জন্য হালাল হবে? তখন নবী করিম (দঃ) তাঁকে এজাজত দিয়ে দিলেন এবং বললেন এসব উট ও বকরী তুমি যেভাবে চাও ব্যবহার কর।
প্রিয় ইসলামী ভাই ও বোনেরা এ ঘটনা থেকে কি বুঝা গেল? যে কুরানী আয়াত ও ওয়াজিফার মধ্যে অনেক বড় বড় ফজিলত ও তাছির রয়েছে। তবে শত হল এর উপর আপনার ঈমান ও আকিদা সহিহ হতে হবে। আপনার রিযিক হারাম থেকে পাক ও সাফ হতে হবে। আমলে এখলাছ থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ এসব কুরান হাদীসের ওয়াজিফার দ্বারা অনেক বড় বড় আযিব আযিব তাছির প্রকাশ হবে। সকল মসিবত, দুঃখ, বিপদ, সংকট, পেরেশানি দুর হয়ে যাবে। সুতরাং আজ থেকে এ দুটি ওয়াজিফা পালন করতে থাকুন। আল্লাহ আপনার সকল পেরেশানি দুর করে দিবেন। ইনশা আল্লাহ। আগামী র্পবে আবার মোলাকাত হবে নতুন একটি কুরানী আযব ঘটনা নিয়ে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ হাফেজ।
প্রিয় সুধীমন্ডলী
আজ কুরানের আযব ঘটনার ১৪ তম পব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে, তবে আজকের ঘটনার সাথে সাথে রয়েছে কুরানী আযীব ও গরিব ওয়াজিফা। আসুন গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাওয়ার মত অদ্ভুৎ ঘটনার সাথে কুরানী ওয়াজিফাও জেনে নিই।
পবিত্র কুরানে কিছুটা এভাবে বর্ণিত আছে- সুরা তালাকের ২-৩ নং আয়াত
وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا
وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا
আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতি/ মুক্তির পথ করে দেবেন।
এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।
হাদীসে পাকে আছে নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন আমি এমন এক আয়াত জানি যদি লোকজন এ আয়াতটি গ্রহণ করে তাহলে তা তাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। আর সে আয়াত হল যা আমি আগে পাঠ করেছি সুরা তালাকের ২-৩ নং আয়াত। সুবহানাল্লাহ।
আল্লামা আযহুরী (রহঃ) তাঁর রচিত কিতাব ফাযায়েলে রমযানে লিখেন- এক বার কিছু লোক সমুদ্রে বোট নিয়ে সফরে বের হল, তখন সমুদ্র থেকে এক আওয়াজ আসল, সে আওয়াজ থেকে এ কথা ভেসে আসল যে যদি কেহ আমাকে ১০ হাজার দিনার দিয়ে দেয় তাহলে আমি তাকে এমন একটি ওয়াজিফা বলে দিব যদি সে ধ্বংসের দোর গোড়ায় পৌঁছে যায় আর সে যদি সে ওয়াজিফা পাঠ করে তাহলে তার সমস্ত বলা মসিবত দুর হয়ে যাবে। তখন বোট আরোহীদের মধ্য থেকে একজন বলল আস আমি তোমাকে ১০ হাজার দিনার দিব। এবংেআমাকে সে ওয়াজিফা বলে দাও, তখন গায়েবী আওয়াজ আসল দিনারগুলি সমুদ্রে ঢেলে দাও আমি পেয়ে যাব। তখন সে লোকটি ১০ হাজার দিনার সমুদ্রে ফেলে দিল। তখন গায়েব থেকে কুরানের সুরা ত্বালাকের ২-৩ নং আয়াত পাঠ করে শুনানো হল যার অথ হল-
আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতি/ মুক্তির পথ করে দেবেন।
এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।
এ আয়াত শুনার পর নৌকার অন্যান্য যাত্রীরা সে লোকটিকে বলল তুমি বোকা কারন তুমি তোমার ১০ হাজার দিনার নষ্ট করে ফেললে? তখন লোকটি জবাব দিল আমি বোকা নই কারন এ কুরানী ওয়াজিফা অবশ্যই আমার জন্য উপকারে আসবে।
এভাবে কিছুদুর বোটটি সমুদ্রে চলার পর সমুদ্রবুকে তুফান শুরু হল আর এ তুফানে বোটটি তছনছ হয়ে গেল সকলে ডুবে গেল আর বোটের সকল যাত্রী তাতে মৃত্যু বরণ করল, কিন্তু সে ১০ হাজার দিনার খরচকারী বোটের একটি তকতা ধরে সমুদ্রের বুকে ভাসতে থাকল, ভাসতে ভাসতে সে লোকটি একটি দ্বীপে গিয়ে উঠল সে দ্বীপে গিয়ে কিছুদুর অগ্রসর হয়ে সে দেখল তাতে এক শানদার মহল দাঁড়িয়ে আছে। আর সে মহলে সব ধরনের দামী দামী হিরা জহরত দামি দামি পাথর পড়ে আছে।েআর তাতে এক সুন্দরী নারী একলা বসে আছে। তখন সে নারী তাঁকে প্রশ্ন করল তুমি কে আর এখানে কিভাবে এসেছ? তখন লোকটি উল্টা প্রশ্ন করল তুমি কে? আর এ নির্জন দ্বীপে তুমি একা একা কি করছ?
তখন সে নারী তার কিসসা শুনালো, সে বলল আমি বসরার এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর কন্যা। আমি আমার পিতার সাথে সমুদ্রের সফরে যাচ্ছিলাম। সমুদ্রে আমাদের নৌকা ডুবে গেল। আর আমাকে হঠাৎ করে নৌকা থেকে কেউ একজন উঠিয়ে নিল। সে আমাকে এ মহলে নিয়ে আসল। সে হল দুষ্ট জিন শয়তান আর সে আমাকে এ মহলে বন্ধী করে রেখেছে, আর প্রতি ৭ম দিবসে সে এখানে আসে এবং আমার সাথে জবরদস্তি করে। আর আজ তার আসার দিন, সুতরাং সে আসার আগে তুমি এখান থেকে পালিয়ে যাও। না হয় সে এসে তোমাকে মেরে ফেলবে। যখন মেয়েটি কথাগুলি শেষ করল তখন চারদিক কেমন যেন অন্ধকার হয়ে গেল। তখন মেয়েটি বলল জলদি পালাও সে শয়তান আসছে। কথা শেষ হতে হতেই সে শয়তান এসে গেল আর এ লোকটি সেখানেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সে কুরানী ওয়াজিফা সুরা তালাকের ২-৩ নং আয়াত পড়তে শুরু করল। শয়তান এতে জমিনে এমন জোড়ে আছরে পরল যে যেন মনে হল পাহাড় ধ্বসে পরছে। আর সেখানে শয়তান জ্বলে পুরে খাক হয়ে গেল। তখন মেয়েটি খুব আনন্দীত হল আর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করল। আর মেয়েটি সে লোকটিকে বলল এসব দামীদমী পাথর মতি জহরত গুলি থলেতে ভরে নাও। এবং এ মহল থেকে আমাকে নিয়ে সমুদ্রের নিকট চল। দেখি কোন জাহাজ কিংবা নৌকার সন্ধান পাই কিনা। কথামত উভয়ে নানা রকম দামী পাথর হিরা মহি জহরত গুলি সাথে নিয়ে মহল থেকে বের হয়ে সমুদ্রের পাড়ে আসল। সেখানে গিয়েই তারা বসরা গামী একটি নৌকা পেয়ে গেল। উভয়ে গিয়ে বসরায় পৌঁছল মেয়েটির ধনাঢ্য মা বাবা তাদের হারানো মেয়েকে পেয়ে খুশী হল। আর সে ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ের ব্যবস্থা করল। তারা যে সব হিরা জহরত েএনেছিল সেগুলির কারনে তারা যুগের ধনীতে পরিণত হল আর উভয়ে স্বামী স্ত্রী হিসেবে সুখে বসবাস করতে লাগল। তাদের কয়েকজন সন্তানও হল।
হযরত আউফ বিন মালিক (রাঃ) এর একজন সন্তান ছিল যার নাম ছালিম । তাঁকে অমুসলিমরা গ্রেফতার করে ফেলল। তখন আউফ বিন মালিক (রাঃ) নবী করিম (দঃ) এর দরবারে হাজির হলেন। এবং অত্যন্ত কাকুতি মিনতির সাথে দরবারে রেসালতে অভিযোগ পেশ করলেন। বললেন অমুসলিমরা আমার সন্তানকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। যার শোকে তার মা খুবই অসুস্থ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আমাদের কি করা উচিৎ? তখন নবী করিম (দঃ) তাঁকে ফরমালেন তুমি ছবর বা ধৈয্য ধারন কর এবং পরহেযগারীর জিন্দেগী অবলম্বন কর। এবং বেশী বেশী (ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম) পাঠ কর এবং সন্তানের মাকেও বলে দাও সেও যেন বেশী বেশী এ ওয়াজিফা পাঠ করতে থাকে। এ কথা শুনে আউফ বিন মালিক তাঁর ঘরে ফিরে গেল। এবং নিজের স্ত্রীকেও এ ওয়াজিফা শিখিয়ে দিলেন, এবার স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে রাত দিন শুধু এ ওয়াজিফা পাঠ করতে লাগল।
এর ফলাফলে দেখা গেল একদিন অমুসলিমরা তাদের বন্ধী সন্তান ছালিম এর দিক থেকে অমনযোগী হয়ে গেল। আর এ সুযোগ ছালিম অমুসলিমদের বন্ধীশালা থেকে পালিয়ে বের হয়ে আসল। আর ছালিম এর পিছে পিছে সে অমুসলিমদের ৪ হাজার ছাগল এবং ৫০ টি উট সাথে সাথে চলে আসল। সে ঘরে ফিরে এসে দরজার কড়া নাড়ল। ছালিমের মা বাবাদ দরজা খুলে দেখেন তাঁদের আদরের সন্তান ফিরে এসেছে। তারা নিজের সন্তান ফিরে আসায় খুশীতে আত্মহারা হয়ে গেল। এবং প্রিয় নবীর দরবারে গিয়ে সন্তান ফিরে আসার খবর দিল এবং এ প্রশ্ন করল যে এয়া রাসুলাল্লাহ আমার ছেলের পিছে পিছে যে ছাগল ও উট চলে এসেছে তাকি আমাদের জন্য হালাল হবে? তখন নবী করিম (দঃ) তাঁকে এজাজত দিয়ে দিলেন এবং বললেন এসব উট ও বকরী তুমি যেভাবে চাও ব্যবহার কর।
প্রিয় ইসলামী ভাই ও বোনেরা এ ঘটনা থেকে কি বুঝা গেল? যে কুরানী আয়াত ও ওয়াজিফার মধ্যে অনেক বড় বড় ফজিলত ও তাছির রয়েছে। তবে শত হল এর উপর আপনার ঈমান ও আকিদা সহিহ হতে হবে। আপনার রিযিক হারাম থেকে পাক ও সাফ হতে হবে। আমলে এখলাছ থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ এসব কুরান হাদীসের ওয়াজিফার দ্বারা অনেক বড় বড় আযিব আযিব তাছির প্রকাশ হবে। সকল মসিবত, দুঃখ, বিপদ, সংকট, পেরেশানি দুর হয়ে যাবে। সুতরাং আজ থেকে এ দুটি ওয়াজিফা পালন করতে থাকুন। আল্লাহ আপনার সকল পেরেশানি দুর করে দিবেন। ইনশা আল্লাহ। আগামী র্পবে আবার মোলাকাত হবে নতুন একটি কুরানী আযব ঘটনা নিয়ে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই