কুরবানীর চামড়ার চমকপ্রদ বিধান। মসজিদের উন্নয়নের বিশাল সুযোগ



মসজিদ কমিটি এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মসজিদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করতে পারেন। হ্যাঁ সুপ্রিয় সুধি,
কুরবানীর খাল দান করা ওয়াজিব নয়, তাই কেহ যদি কুরবানী করে সেটির খাল নিজের ব্যবহারের জন্য দাবাগাত করে রেখে দেয় তা জায়েজ হবে, আর যদি কুরবানী দাতা খাল বিক্রী করে দেয় তাহলে সেটির টাকা কুরবানী দাতা খেতে পারবে না। বরং সদকা করে দিতে হবে।
কুরবানীর খাল একটি নফল সদকা, এটি ওয়াজিব সদকা নয়, কসাই এর কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে কুরবানীর পশুর খাল দিলেও জায়েজ হবে না।
আর যতগুলি সদকায়ে ওয়াজিব আছে যেমন জাকাত, ফিতরা, এসব সদকার জন্য কোন শরীয়ী ফকিরকে মালিক বানানো জরুরী। সুতরাং জাকাত ফিতরার টাকা ডাইরেক্ট মসজিদ এর কাজের জন্য দেয়া যাবে না। তেমনি জাকাতের টাকা দিয়ে মাদরাসা বানিয়ে দেয়াও যাবে না, কারন এসব হল সদকায়ে ওয়াজিবাত। কিন্তু নফল সদকা সবকিছুতে দেয়া যায়, আর কুরবানীর খাল হল নফল সদকার শামিল সুতরাং এটিকে ডাইরেকট মসজিদের জন্যও দিয়ে দেয়া জায়েজ হবে।
মুলকথা হল ওয়াজিব সদকা ডাইরেক্ট মসজিদে লাগানো যাবে না, কিন্তু নফল সদকা লাগানো যাবে,
জাকাত ফিতরা এসব হল ওয়াজিব সদকা সুতরাং জাকাত ফিতরা মসজিদে দেয়া যাবে না, আর কুরবানীর খাল যেহেতু নফল সদকা সুতরাং এটি মসজিদে দেয়া যাবে।
অতএব মসজিদ কমিটির লোকেরা কুরবানী দাতাদের অনুরোধ করতে পারেন যেন এলাকার লোকজন তাদের কুরবানীর পশুর খাল মসজিদের জন্য দিয়ে দেয়। আর মসজিদ কমিটির লোকজন সে খাল বিক্রী করে মসজিদের উন্নয়ন মাদরাসার উন্নয়ন ইদগাহের উন্নয়নের কাজে লাগাতে পারে। 

1 টি মন্তব্য:

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.