আদম এর পা মোবারকের চিহ্নের রহস্য #শ্রিলংকা
শ্রিলংকায় আদম (আঃ) এর পা মোবারকের
রহস্য
সম্মানিত সুধী আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা হাজার লক্ষ বছর আগে আসমানী ধামাকার
কারনে যখন জমিন ও আসমান পৃথক পৃথক হয়ে গেল, আমাদের এ সৌর জগত বাস্তব রুপ ধারন করল,
এবং সৃষ্ট তারকাসমুহ ও গ্রহসমুহ নিজ নিজ পথে চলতে চলতে যখন আস্তে আস্তে ঠান্ডা হয়ে
গেল, এসবের মধ্যে আমাদের এ পৃথিবীও বাসস্থানের উপযোগী হয়ে গেল।
এদিকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন তখন এ পৃথিবী
বসবাসের উপযুক্ত হয়ে গেল। আল্লাহর হেকমত মোতাবেক যখন আদম ও হাওয়া (আঃ) কে দুনিয়ায় প্রেরণ
করা হল। তাঁদের দুজনকে দুনিয়ার ২টি প্রাণ্তে নামানো হল।
আজকের এ ভিডিওতে আমি সে স্থানের বিষয়ে আলোচনা করব যে জমিন সবপ্রথম হযরত আদম
(আঃ) এর কদমকে চুম্বন করা সৌভাগ্য অজন করেছে। মনে রাখা উচিত এ বিষয়ে মুসলমানের মধ্যে
কোন মতপাথ্যক নাই। কিন্তু এ জন্য আমাদের টিম কুরান ও হাদীসের থেকে কোন রেফারেন্স খুঁজে
পাইনি।
তবে দুনিয়ার সকল ধর্মের লোকেরাই কদম মোবারকের এ চিহ্নকে নিজ নিজ ধর্ম মোতাবেক
সম্মান করে। প্রিয় সুধী সে স্থান হল কুহে আদম। যাকে ইংরেজিতে ‘এডম পিক’ ও বলা হয় যা শ্রিলংকায় অবস্থিত। সবুজে ঘেরা পাহাড়ের
পাদদেশে অনেক বড় এক পায়ের চিহ্ন সেখানে দেখা যায়। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ ফুটের চেয়ে সামান্য
বেশী। আর এ বিশালাকৃতির পায়ের চিহ্ন থেকে বুঝা যায় যে ব্যক্তির এটি পায়ের চিহ্ন তিনি
লম্বায় প্রায় ৬০ ফুটের মত হবেন।
প্রিয় দর্শকমন্ডলী এটি সে পাহাড়ের পাদদেশ যেখানে পায়ের চিহ্নটি অবস্থিত যাকে
প্রত্যেক ধর্মের লোকেরাই সম্মানের চোখে দেখে থাকেন। আর এ বিষ্ময়কর চিহ্ন দেখার জন্য
এখানে দুনিয়ার সকলস্থান থেকে ভ্রমনকারীরা এখানে দর্শনার্থী হিসেবে আসেন। েএ পাহাড়ের
চুড়ায় চড়ার ও নামার জন্য ২টি আলাদা আলাদা রাস্তা রয়েছে। যাকে হযরত আদম ও হাওয়ার নামে
নির্ধারণ করা হয়েছে। সে চিহ্ন পর্যন্ত পৌঁছার জন্য শ্রিলংকা সরকার সিড়ি তৈরী করে রেখেছে।
যাতে সিড়ির ধাপ সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৮ শত। এ পাহাড়ে উঠতে স্বাভাবিক ভাবে প্রায় ৪ ঘন্টা
সময় লাগে।
তবে মুসলমানগন এ কদমটি হযরত আদম (আঃ) এর চিহ্ন বলে মানলেও খ্রিষ্টানরা একজন
হাওয়ারীর পায়ের চিহ্ন বলে মান্য করে। অন্যদিকে বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরা এ কদমটি তাদের গুরুত্ব
গৌতম বুদ্ধের কদম বলে মান্য কর্।
যদি আপনার কখনো এ কদমের চিহ্নের জেয়ারত করা সৌভাগ্য নসিব হয়, তাহলে আপনি দেখবেন
সেখানে মুসলিম খৃষ্টান ও বৌদ্ধ ধর্মের লোকের আনাগোনা সমসময় থাকে।
প্রিয় সুধীবৃন্ধ এ বিশালাকৃতির কদমের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট এবং প্রস্থ ২ ফুট সে জন্য
এ দৃশ্য দেখার জন্য সব ধর্মের লোকই এখানে যাতায়াত করে।
এ পাহাড়টি ৭ হাজার ৩শ ফুট উঁচু আর দর্শনাথীরা বেশীরভাগ রাতের বেলাকেই পাহাড়টিতে
চড়ার জন্য পছন্দ করেন। কেননা এমন উঁচু পাহাড় থেকে সুর্য উদয় হওয়ার দৃশ্য খুবই মনোরম
হৃদয়কারা হয়ে থাকে। এ হাড়ারে ২টি গুহা ১টি ঝর্ণাও রয়েছে। আর এ ঝর্ণাকে হযরত খিজির আ
এর জাতের সাথে সম্পর্কিত করা হয়। আর এ ঝর্ণার উপরের দিকেই সে কদমের চিহ্ন অবস্থিত।
যে চিহ্ন একটি বড় ও কালো পাথরের উপর চিহ্নিত। যাকে একটি সুন্দর কেইচের মধ্যে সংরক্ষন
করে রাখা হয়েছে।
প্রিয় সুধী এটাই হল এ সম্মানিত কদম মোবারকের বর্ণনা যা বলা হয়ে থাকে। আমি আগেই
বলেছি মুসলমাদের অধিকাংশ এটিকে হযরত আদম (আঃ) এর সাথে সম্পর্কিত করে থাকেন। তবে এ বিষয়ে
আমাদের কাছে তেমন কোন রেফারেন্স নাই, বাকী আল্লাহ তায়ালাই এ ব্যপারে ভাল জানেন। এর
সাথেই আজকের ভিডিও সমাপ্তি করছি ভিডিও দেখে একে লাইক করে আমাদেরকে উৎসাহিত করবেন, এবং েএ তথ্যগুলি আপনার অন্যান্য বন্ধুদের কাছে শেয়ার
করবেন। আগামীতে আবার নতুন নলেজ নিয়ে আপনাদের সামনে আসব, ততক্ষনের জন্য অনুমতি চাচ্ছি।
নিজের, আত্মিয়স্বজনের প্রতি খেয়াল রাখবেন। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই