দুই লোক যাদেরকে আল্লাহ সম্পদের পাহাড় দান করেন
রিযিকের পাহাড়
আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত ২ জন লোকের হাতে রাখেন, প্রথম সে লোক যার অভ্যাস বেশী বেশী গুনাহ
মাফ চাওয়া, এসতেগফার পাঠ করা,
তওবা এসতেগফার
কারী লোককে আল্লাহ মাহরুম করেন না, তাঁদের হাতে রিযিকের ভান্ডার দৌলতের ভান্ডার সম্পদের
ভান্ডার দিয়ে দেন। যেমন আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করছেন-
فَقُلْتُ
اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا
অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। [ সুরা নূহ ৭১:১০ ]
يُرْسِلِ
السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا
তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন, [ সুরা নূহ ৭১:১১ ]
وَيُمْدِدْكُمْ
بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ত তি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন। [ সুরা নূহ ৭১:১২ ]
مَّا لَكُمْ لَا
تَرْجُونَ لِلَّهِ وَقَارًا
তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহ তা'আলার শ্রেষ্টত্ব আশা করছ না। [ সুরা নূহ ৭১:১৩ ]
সুরা নুহের এ চারটি আয়াতে স্পষ্ট ঘোষনা হচ্ছে যারা এসতেগফার করবে, গুনাহ
মাফ চাইবে, তওবা করবে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমার পুরস্কার, মুষলধার বৃষ্টিধারার নেয়ামত,
ধন সম্পদের নেয়ামত, সন্তান সন্ততির নেয়ামত, বাগান উদ্যানের নেয়ামত।
২য় প্রকারের লোক
যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা ধন দৌলতে মালামাল করে দেন তারা হলেন মুত্তাকি, পরহেযগার লোক,
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন
]
وَلَوْ أَنَّ
أَهْلَ الْقُرَى آمَنُواْ وَاتَّقَواْ لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاء
وَالأَرْضِ وَلَـكِن كَذَّبُواْ فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُواْ يَكْسِبُونَ
আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেযগারী অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানী ও পার্থিব নেয়ামত সমূহ উম্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি তাদের কৃতকর্মের বদলাতে। [ সুরা আরাফ ৭:৯৬ ]
সুরা আরাফের ৯৬ নং আয়াতে স্পষ্ট ঘোষনা করা হচ্ছে ঈমানদান ও পরহেগার
যারা তাদের জন্য আসমানী নেয়ামতের দরজাও খুলে দেয়া হয় এবং জমিনের খাজানার দরজাসমুহও
তাঁদের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়।
সুতরাং আসুন আমরা ধন দৌলতে
মালামাল হওয়ার জন্য, রিযিকে বরকত হাসিলের জন্য, দুনিয়া ও আখেরাতের নেয়ামত দ্বারা নিজেদের
ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করার জন্যে বেশী বেশী তওবা এসতেগফার পড়ি, এবং আল্লাহকে ভয় করি।
কোন মন্তব্য নেই