বাথরুমে যে ৫টি কাজ করা মারাত্মক ভুল

বাথরুমে যে ৫টি কাজ করা মারাত্মক ভুল
খতিব মাওলানা এস. এম. নিজাম উদ্দীন 
[এম,এ ফাষ্ট ক্লাস এম,এম ফাষ্ট ক্লাস]


আমি আগে গোসলের সুন্নত তরিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, আপনি যদি নাপাক হয়ে থাকেন, গোসলের আগে বিসমিল্লাহ পাঠ করা সুন্নত, এখন বাথরুমে ঢুকে যেহেতু বিসমিল্লাহ পাঠ করা নিষেধ, তাই বাথরুমে প্রবেশের আগে কুলি করে নিবেন।এরপর আপনি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে বাথরুমে প্রবেশ করতে পারবেন। মনে রাখবেন কুলি করা ছাড়া নাপাক অবস্থায় বিছমিল্লাহ পড়া বা জিকিরে এলাহি পাঠ করা মাকরুহে তানজিহি আর মাকরুহে তানজিহি বলা হয় যে কাজ শরীয়ত অপছন্দ করে তবে কেহ যদি সে কাজ করে ফেলে তাহলে সে গুনাহগার হবে না। তাই উত্তম হল কুলি করার পর বিছমিল্লাহ পড়ে বাথরুমে প্রবেশ করবেন।

বাথরুমে প্রবেশের সময় বাম পা আগে রাখবেন। ডান পা দিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করবেন না।
গোসল করে পাক হতে হয় অনেকে মনে করে গোসল করে কলমা পাঠ না করা র্পযন্ত নাপাকি থেকে পাক হবে না, এটা একটা ভুল ধারনা বরং পাক হওয়ার জন্য আপনি গোসলের ৩টি ফরয আদায় করে নিলেই যথেষ্ট। আর ৩টি ফরয হল (১) গড়গড়া সহ কুলি করা, (২) নাকে এতটুকু পরিমান পানি পৌঁছানো যেন নাকের ভিতরের শক্ত হাড্ডী পর্যন্ত পানি পৌঁছে এবং (৩) মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সারা শরীরে কমপক্ষে ১ বার পানি প্রবাহিত করে দেয়া। এখন আপনি যদি এ ৩টি ফরয আদায় না করে সারাদিন কালমা পাঠ করতে থাকেন তবুও আপনি নাপাক থেকে যাবেন।

বাথরুমে প্রবেশের পর কোন ধরনের জিকির দোয়া পাঠ করা যাবে না। কেননা এটা জিকিরের স্থান নয়। এমনকি বাথরুমে সতর খোলার পর জিকিরে এলাহি করাতো দুরের কথা বরং কোন ধরনের কথাবার্তা বলাও নিষেধ, কারন মানুষ যখন সতর খুলে তখন মানুষের সাথে থাকা ফেরেশতারা লজ্জার কারনে সেখান থেকে দুরে সরে যায়, কিন্তু যখন মানুষ কথা বলতে থাক তখন ফেরেশতা ফিরে আসে, আর ফেরেশতা এসে যদি দেখে সে লোক ওয়াশরুমে সতর খোলা অবস্থায় কথা বলছে তখন ফেরেশতারা কষ্ট পায়। অনেকে ওয়াশরুমে ঢুকে গান গাইতে থাকে চিৎকার করতে থাকে, কথা বলতে থাকে যা ফেরেশতাদের কষ্টের কারন হয়।

ওয়াশরুমে প্রবেশের পর সতর খোলার পর কেবলার দিকে মুখ করা কিংবা কেবলার দিকে পিট করা উভয়ই নাজায়েজ এবং গুনাহের কাজ। সুতরাং ওয়াশরুমে প্রবেশের পর যদি সতর খোলা থাকে তখন খেয়াল রাখবেন আপনার ডানে কিংবা বামে যেন কেবলা হয়। আপনার সামনে কিংবা পিছনে যেন কেবলা না হয়। এখন আপনার ওয়াশরুমের শাওয়ার যদি এমন ভাবে স্থাপিত যে আপনার কেবলার দিকে মুখ বা পিঠ করতে হয় তখন আপনি প্রয়োজনে বালতিতে পানি নিয়ে গোসল করবেন কিংবা সরাসরি কেবলার দিকে না ফিরে কোনাকোনি করে দাঁড়াবেন। মোটামোটি আপনার সম্মুখ ও পিছন দিক যেন কাবা ঘরের দিকে না হয়।

অতএব সারাংশ হল ফরয গোসলের জন্য বাথরুমে ঢুকার আগে কুলি করে বিসমিল্লাহ পাঠ করে নিবেন, কুলি ছাড়া বিসমিল্লাহ পড়বেন না।  বাম পা দিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করবেন।বাথরুমে কোন ধরনের জিকির দোয়া পাঠ করবেন না। বাথরুমে কোন ধরনের কথাবার্তাও বলবেন না। ফরয গোসল করে পাক হওয়ার জন্য কলমা পাঠ করতে হবে এমন ধারনা ভুল। ওয়াশরুমে সতর খোলা অবস্থায় কিবলার দিকে মুখ ও পিঠ করবেন না।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.