টাকা পয়সা। ধন সম্পদে অফুরন্ত বরকতের জন্য শবে ক্বদরের দোয়া ও ওয়াজিফা।
শবে ক্বদরে ধন সম্পদ, টাকা পয়সায় অফুরন্ত বরকতের ওয়াজিফা
সম্মানিত দর্শক মন্ডলী আসসালামু
আলাইকুম, আগামী ২১,২৩,২৫,২৭,২৯ রমজান শবে ক্বদর এ ৫টি রাতের যে কোন ১ রাতে শবে ক্বদর,
আজ আমি শবে ক্বদরের রাতে যে আমলটি করলে আপনার সকল আশা আকাংখা পুরণ হবে, সকল অভাব অনটন
দুর হয়ে যাবে, আপনার টাকা পয়সা ধন সম্পদে আল্লাহ অফুরন্ত বরকত দান করবেন সে বিষয়ে আলোচনা
করব, এ মহান রাতটি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন
আলাইকুম, আগামী ২১,২৩,২৫,২৭,২৯ রমজান শবে ক্বদর এ ৫টি রাতের যে কোন ১ রাতে শবে ক্বদর,
আজ আমি শবে ক্বদরের রাতে যে আমলটি করলে আপনার সকল আশা আকাংখা পুরণ হবে, সকল অভাব অনটন
দুর হয়ে যাবে, আপনার টাকা পয়সা ধন সম্পদে আল্লাহ অফুরন্ত বরকত দান করবেন সে বিষয়ে আলোচনা
করব, এ মহান রাতটি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন
এ রাত এমন রাত যে রাতটি হাজার মাস
থেকে উত্তম অর্থ্যাৎ এ শবে ক্বদরের এক রাতেই আপনি এবাদত করে কামাই করতে পারেন হাজার
মাস রাত জেগে এবাদত করার সাওয়াব,
থেকে উত্তম অর্থ্যাৎ এ শবে ক্বদরের এক রাতেই আপনি এবাদত করে কামাই করতে পারেন হাজার
মাস রাত জেগে এবাদত করার সাওয়াব,
নুজহাতুল মাজালিস নামক কিতাবের
১ম খন্ড ১৬৭ নং পৃষ্ঠায় একটি হাদীস রয়েছে যাতে হযরত আলী (রাঃ) বলেন যে কেউ শবে ক্বদরের
দিন সুরা ক্বদর ৭ বার পড়বে আল্লাহ তাকে প্রত্যেক বালা মুসিবত থেকে নিরাপত্তা দান করবেন,
আর সত্তার হাজার ফেরেশতা তার জন্য জান্নাত প্রাপ্তির দোয়া করবেন। সুবহানাল্লাহ আসুন
আমরা দেখি সুরা ক্বদর কি
১ম খন্ড ১৬৭ নং পৃষ্ঠায় একটি হাদীস রয়েছে যাতে হযরত আলী (রাঃ) বলেন যে কেউ শবে ক্বদরের
দিন সুরা ক্বদর ৭ বার পড়বে আল্লাহ তাকে প্রত্যেক বালা মুসিবত থেকে নিরাপত্তা দান করবেন,
আর সত্তার হাজার ফেরেশতা তার জন্য জান্নাত প্রাপ্তির দোয়া করবেন। সুবহানাল্লাহ আসুন
আমরা দেখি সুরা ক্বদর কি
(িইন্না আনযালনাহু ফি লাইলাতিল
কাদরি, --- মাতলাঈল ফাযর) অথ্যাৎ আমি সেটাকে (কুরআন) ক্বদর রাত্রিতে নাযিল করেছি। আপনি
জানেন ক্বদর কি? ক্বদর রাত হচ্ছে হাজার মাস থেকে উত্তম। এতে ফেরেশতাগণ ও জিব্রাইল ফেরেশতা
অবতির্ণ হয়, আপন রবের নির্দেশে, প্রতিটি কাজের জন্য, তা হচ্ছে- শান্তি ভোর চমকিত হওয়া
পর্যন্ত।
কাদরি, --- মাতলাঈল ফাযর) অথ্যাৎ আমি সেটাকে (কুরআন) ক্বদর রাত্রিতে নাযিল করেছি। আপনি
জানেন ক্বদর কি? ক্বদর রাত হচ্ছে হাজার মাস থেকে উত্তম। এতে ফেরেশতাগণ ও জিব্রাইল ফেরেশতা
অবতির্ণ হয়, আপন রবের নির্দেশে, প্রতিটি কাজের জন্য, তা হচ্ছে- শান্তি ভোর চমকিত হওয়া
পর্যন্ত।
সহিহ বুখারী শরীফের হাদীস নবী করিম
(দঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি এ রাতে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে জাগ্রত থেকে েএবাদত করেছে,
তার সারা জীবনের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
(দঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি এ রাতে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে জাগ্রত থেকে েএবাদত করেছে,
তার সারা জীবনের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
এ রাতে জিবরাইল ফেরেশতা ও অসংখ্য
রহমতের ফেরেশতা নাযিল হন তারা এবাদতকারীদের সাথে মুছাফাহা করেন, যার সাথে জিবরাইল মুছাফাহা
করেন তার চোখ থেকে পানি ঝড়ে,
রহমতের ফেরেশতা নাযিল হন তারা এবাদতকারীদের সাথে মুছাফাহা করেন, যার সাথে জিবরাইল মুছাফাহা
করেন তার চোখ থেকে পানি ঝড়ে,
এ রাতটি এতই বরকতময় রাত যারা এ
রাতে অবহেলা করে তাদের ব্যপারে ইবনে মাজাহ শরীফের হাদীস প্রিয় নবী এরশাদ করেন “তোমাদের
নিকট একটি মাস এসেছে যাতে একটি রাত এমনও রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি
এ রাত থেকে বঞ্চিত রইলো, সে যেনো সব কিছু থেকে বঞ্চিত রইল। আর এর কল্যাণ থেকে যে বঞ্চিত
থাকে একমাত্র সেই প্রকৃতপক্ষে বঞ্চিত।
রাতে অবহেলা করে তাদের ব্যপারে ইবনে মাজাহ শরীফের হাদীস প্রিয় নবী এরশাদ করেন “তোমাদের
নিকট একটি মাস এসেছে যাতে একটি রাত এমনও রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি
এ রাত থেকে বঞ্চিত রইলো, সে যেনো সব কিছু থেকে বঞ্চিত রইল। আর এর কল্যাণ থেকে যে বঞ্চিত
থাকে একমাত্র সেই প্রকৃতপক্ষে বঞ্চিত।
তফসীরে কুরতীর ১০ খন্ডে ৯৩ পৃষ্ঠার
একটি হাদীস হযরত আবু বকর (রাঃ) বলেন হযরত সুলাইমানের অধীনে ৫শত শহর ছিল, আর যুল কারনাইনের
অধীনে ৫ শত শহর ছিল, এভাবে এ দুজনের রাজ্যে এক হাজার শহর ছিল। আল্লাহ তায়ালা উম্মতে
মুহাম্মদীকে শবে কদরে এক রাতে এবাদতের যে প্রতিদান দিবেন তা এ দুজন এর ১ হাজার শহরের
অপেক্ষাও উত্তম। সুবহানাল্লাহ
একটি হাদীস হযরত আবু বকর (রাঃ) বলেন হযরত সুলাইমানের অধীনে ৫শত শহর ছিল, আর যুল কারনাইনের
অধীনে ৫ শত শহর ছিল, এভাবে এ দুজনের রাজ্যে এক হাজার শহর ছিল। আল্লাহ তায়ালা উম্মতে
মুহাম্মদীকে শবে কদরে এক রাতে এবাদতের যে প্রতিদান দিবেন তা এ দুজন এর ১ হাজার শহরের
অপেক্ষাও উত্তম। সুবহানাল্লাহ
প্রিয় ইসলামী ভাই ও বোনেরা এ রাত
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রহমতই রহমত। মুফাসসীরগণ বলেন এ রাতে সাপ বিচ্ছু বিপদাপদ ও শয়তান
থেকেও মানুষ নিরাপদ, এ রাত শুধু শান্তি আর শান্তি। এমনকি এ রাতে আল্লাহর এত বেশী রহমত
নাযিল হয় যে সমুদ্রের লোনা পানিও এ রাতে মিষ্টি হয়ে যায়,
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রহমতই রহমত। মুফাসসীরগণ বলেন এ রাতে সাপ বিচ্ছু বিপদাপদ ও শয়তান
থেকেও মানুষ নিরাপদ, এ রাত শুধু শান্তি আর শান্তি। এমনকি এ রাতে আল্লাহর এত বেশী রহমত
নাযিল হয় যে সমুদ্রের লোনা পানিও এ রাতে মিষ্টি হয়ে যায়,
আসুন এ বরকতময় রাতে আমরা আমাদের
ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করি অধিক পরিমানে গুনাহ সমুহ থেকে তওবা করে এসতেগফার পরি, নিজের
অতীত জীবনের সকল গুনাহ সমুহ খেয়াল করে দু চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা
প্রার্থনা করি কারন এ রাতে ক্ষমা প্রার্থনা করতে আমাদের প্রিয় আঁকা শিক্ষা দিয়েছেন,
এ ব্যপারে তিরমিযি শরীফের হাদীস মা আয়েশা (রাঃ) প্রিয় নবীকে প্রশ্ন করল যদি আমি শবে
ক্বদর পেয়ে যাই তাহলে কি দোয়া পাঠ করব? তখন নবীজি এরশাদ করলেন তখন তুমি এ ভাবে দোয়া
করবেন (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি) হে আল্লাহ নিশ্চয় তুমি
ক্ষমাশীল তুমি ক্ষমা পছন্দ কর সুতরায় আমাকে ক্ষমা কর।
ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করি অধিক পরিমানে গুনাহ সমুহ থেকে তওবা করে এসতেগফার পরি, নিজের
অতীত জীবনের সকল গুনাহ সমুহ খেয়াল করে দু চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা
প্রার্থনা করি কারন এ রাতে ক্ষমা প্রার্থনা করতে আমাদের প্রিয় আঁকা শিক্ষা দিয়েছেন,
এ ব্যপারে তিরমিযি শরীফের হাদীস মা আয়েশা (রাঃ) প্রিয় নবীকে প্রশ্ন করল যদি আমি শবে
ক্বদর পেয়ে যাই তাহলে কি দোয়া পাঠ করব? তখন নবীজি এরশাদ করলেন তখন তুমি এ ভাবে দোয়া
করবেন (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি) হে আল্লাহ নিশ্চয় তুমি
ক্ষমাশীল তুমি ক্ষমা পছন্দ কর সুতরায় আমাকে ক্ষমা কর।
এ ক্ষমা চাওটাই মুলত শবে ক্বদরের
সবচেয়ে বড় ওয়াজিফা আর ক্ষমা চাওয়ার ফলে আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে, আপনার রিযিকে বরকত
হবে, এর সমর্থনে পবিত্র কুরানের সুরা নুহের ১০-১২ নং আয়াতে এরশাদ
করছেন-
সবচেয়ে বড় ওয়াজিফা আর ক্ষমা চাওয়ার ফলে আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে, আপনার রিযিকে বরকত
হবে, এর সমর্থনে পবিত্র কুরানের সুরা নুহের ১০-১২ নং আয়াতে এরশাদ
করছেন-
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ
إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا
إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا
يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم
مِّدْرَارًا
مِّدْرَارًا
وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ
وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا
وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ত তি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন। [ সুরা নূহ ৭১:১২ ]
সুবহানাল্লাহ, আমাদের প্রিয় আঁকা শবে ক্বদরের দোয়ায় মা আয়শাকে শিখালেন
ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া অপর দিকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের জন্য কতগুলি
সুসংবাদ দিলেন দেখুন
ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া অপর দিকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের জন্য কতগুলি
সুসংবাদ দিলেন দেখুন
১। ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ রহমতের বারিধারা বর্ষন করবেন
২।ধন সম্পদ বাড়িয়ে দিবেন
৩। সন্তান সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন
৪। বাগানের ফসলে বরকত দান করবেন
৫।পানির অভাব দুর করে দিবেন।
সুতরাং শবে ক্বদরে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা অন্যান্য
নেয়ামতের পাশাপাশি আপনাকে ধন সম্পদের নেয়ামত দ্বারাও মালামাল করে দিবেন। আল্লাহ তায়ালা
আমাদেরকে বেশী বেশী গুনাহ মাফ চাওয়ার গুনাহ সমুহ থেকে তওবা করার এবং তাকওয়া এখতেয়ার
করার মাধ্যমে শবে ক্বদরে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার তৌফিক দান করুন। আমিন
নেয়ামতের পাশাপাশি আপনাকে ধন সম্পদের নেয়ামত দ্বারাও মালামাল করে দিবেন। আল্লাহ তায়ালা
আমাদেরকে বেশী বেশী গুনাহ মাফ চাওয়ার গুনাহ সমুহ থেকে তওবা করার এবং তাকওয়া এখতেয়ার
করার মাধ্যমে শবে ক্বদরে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার তৌফিক দান করুন। আমিন
কোন মন্তব্য নেই