শবে ক্বদরের ২০ টি ফজিলত।Sobe Qadar।Lailatul Qadar
শবে কদরের ২০টি ফযিলত ১৪টি দোয়া ও আমল
১) লায়লাতুল ক্বদর একটি বরকত ময় রাত
২) এ রাতে সারা বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা হয় (তফসিরে সাভি ৬ষ্ঠ খন্ড
৩)ক্বদর এর আরেক অথ হল সম্মান বা সম্মানিত রাত (তফসিরে নঈমি)
৪)এটা এমন এক রাত যে রাতে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে।
৫) ক্বদরের রাতে দৃনিয়াতে এত অধিক সংখ্যক ফেরেশতা নাযিল হয় যে পৃথিবীতে জায়গা সংকুলনা হয় না।
৬) এ রাতের এবাদতের দ্বারা সারা জীবনের গুনাহ মাফ হয়ে যায় ( বুখারী হাদীস ২০১৪)
৭) এ এক রাতের এবাদতের ফলে ১ হাজার মাস এবাদতের চেয়ে বেশী সাওয়াব পাওয়া যায় কিংবা ৮৪ বছর ৪ মাস অপেক্ষাও বেশী এবাদতের সাওয়াব হাসিল করা যায়।
৮) এ রাতে এবাদত কারীদের সাথে ফেরেশতাদের সরদার হযরত জিবরাইল (আঃ) মোসাফাহা করেন।
৯) এ মোবারক রাতে প্রতিটি মুহুত শান্তি আর শান্তি যা একমাত্র উম্মতে মুহাম্মদীকে আল্লাহ রব্বুল আলামিন প্রিয় নবীর উসিলায় দান করেছেন।
১০) শবে ক্বদর এমন এক রাত যে রাতের বননা দিতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা গোটা ১টি সুরা নাযিল করেছেন সুরা ক্বদর।
১১) প্রিয় নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি এ রাত থেকে বঞ্চিত রইল সে যেন সব কল্যান থেকে বঞ্চিত( ইবনে মাজাহ ১৬৪৪)
১২) তফসিরে কুরতুবিতে বনিত রয়েছে এ রাতে এবাদত হাজার মাস রাত জাগা, দিনে রোযা রাখা, জান মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করা এবং নিজের ১ হাজার সন্তান শহীদ হওয়ার পর নিজে শহীদ হওয়া থেকেও উত্তম।
১৩) তফসিরে কুরতুবিতে আরো উল্লেখ রয়েছে, হযরত সুলায়মান (আঃ) ও যুলকারনাইন এর ১ হাজার রাজ্য ছিল, আর শবে কদরে এবাদত এ ১ হাজার রাজ্য অপেক্ষাও উত্তম।
১৪) সম্মানিত মুফাসিরগন বলেন এ রাতে এত রহমত আর রহমত যে সাপ বিচ্ছু ও বিপদাপদ থেকে বান্দা নিরাপত্তা লাভ করে।
১৫) এ রাতে সিদরাতুল মুনতাহার ফেরেশতারা জিবরাইল ফেরেশতার নেতৃত্বে ৪টি পতাকা নিয়ে অবতিন হয় আর ১টি পতাকা মদীনা শরীফ নবীর রওজার উপর, ১টি পতাকা বায়তুল্লাহর উপর, ১টি পতাকা বায়তুল মুকাদ্দাস এর উপর ১টি পতাকা তুরে সিনার উপর উড়িয়ে দেয়া হয়।
১৬) এ রাতে ফেরেশতারা প্রত্যেক মুমিনদের ঘরে গিয়ে তাদেরকে সালাম পেশ করে।
১৭) এ রাতে যে সব বান্দা দোয়া করে তাদের দোয়ার সাথে ফেরেশতারা আমিন বলে।
১৮) এ রাতে প্রত্যেকটা সাধারন লোককে ক্ষমা করে দেয়া হয়। তবে মদপানকারী, মাতাপিতার অবাদ্য, আত্মীয়তার সম্পকছিন্নকারী, হিংসাপোষনকারীকে ক্ষমা করা হয় না।
১৯) তফসিরে রুহুল বয়ানে উল্লেখ রয়েছে এ রাত হল নিরাপত্তাময়ী রাত, এ রাতে রোগ শোক, অনিষ্ট বিপদাপদ থেকে নিরাপত্তা রয়েছে।
২০) এ রাতে শয়তানের অনিষ্ট করারও ক্ষমতা থাকে না এবং এ রাতে যাদুটোনা কারীদের যাদু টোনাও কাজ করে না। এ রাত শান্তি আর শান্তি (তফসিরে রুহুল বয়ান ১০ খন্ড)
এবার আসুন শবে ক্বদরের রাতে আমরা কোন ধরনের এবাদত জিকির ও দোয়া পাঠ করব তা সংক্ষেপে জেনে নিই।
কোন মন্তব্য নেই