রমজানের শেষ জুমা। জুমাতুল বিদা।গাড়ী বাড়ী ধন দৌলতে অফুরন্ত বরকতেরদ ওয়াজিফা







সম্মানিত দর্শক শ্রোতা মন্ডলী, আমরা জানি রিযিক ধন দৌলতের মালিক
আল্লাহ আবার আবার আমাদের রিযিকে যা আছে আমরা তার চািইতে বেশী হাছিল করতে পারব না,
তাই প্রত্যেকের উপর হালাল উপায় অবলম্বন করা কারন আমার নসিবে যা আছে তা আসবেই,
সুতরাং হারাম পন্থা অবলম্বন করার দরকার কি? তাছাড়া আল্লাহ বান্দাকে বিশেষ বিশেষ
দিনে স্পেশাল রহমত দ্বারা ঢেকে নেন, বান্দার সকল ফরিয়াদ কবুল করেন, সকল আরজি পুরা
করেন, সে সব দিনের মধ্যে রয়েছে শবে ক্বদর শবে বরাত জুমার দিন আর জুমার দিনের মধ্যে
শ্রেষ্ট জুমার দিন হল রমজানের আখেরী বা শেষ জুমা, আর সে দিন বান্দা সারা মাস রোজা
রেখে অনেকটা গুনাহ থেকে পাক সাফ হয়ে যান, আর এমন বান্দা যখন রমজানের রোজা মুখে
রেখে নিজের নেক আরজি আল্লাহর বারেগাহে পেশ করেন তখন আল্লাহ বান্দার সকল হাজত সকল
দোয়া কবুল করেন, আমরা জানি আগামী কাল জুমাতুল বিদা, এ জুমা আগামী এক বছর পর আমাদের
কাছে পুনরায় ফিরে আসবে, তাই এ ফজিলতময় দিনটিকে আমাদের যা চাওয়ার চেয়ে নিতে হবে, আজ
জুমাতুল বিদার জন্য ২টি ওয়াজিফা আপনাদের সামনে পেশ করব, যা আপনার নেক দোয়া নেক
হাজত পুরন অভাব অনটন দুর করার জন্য খুবই কার্যকরী ওয়াজিফা।
১ম ওয়াজিফা হল-
আল্লাহ তাআলার তাঁর পরিচয় দিয়ে যে সুরা পেশ করেছেন তা হলো সুরা আল-ইখলাস সুরায় আল্লাহ তাআলা সুরায় তাঁর গুণ পরিচয় তুলে ধরেছেন তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহুস সামাদ বা আল্লাহ অমুখাপেক্ষী
হাদিসে পাকে আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামের জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিলের ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষ যদি আল্লাহর সুন্দর সুন্দর গুণবাচক নামগুলোর যথাযথ আমল করে তবে ফজিলত লাভের পাশাপাশি অনেক উপকৃত হবে। আর তাঁর গুণবাচক নামের জিকিরের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো পরকালে জান্নাত লাভ




রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি গুণবাচক নামগুলোর জিকির করবে; সে জান্নাতে যাবে।
আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে (اَلصَّمَدُ) ‘আস-সামাদুএকটি। 

গুণবাচক নামের আমেল দুশমনের আক্রমণ এবং ক্ষুধার যন্ত্রণাসহ অনেক কল্যাণ লাভ হয়
আল্লাহর গুণবাচক নাম (اَلصَّمَدُ) ‘আল-সামাদু’-এর জিকিরের আমল ফজিলত তুলে ধরা হলো-

উচ্চারণ : ‘আল-সামাদু

অর্থ : ‘তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন; অভাবমুক্ত; স্বয়ংসম্পূর্ণ; সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী
মনে রাখতে হবে

মানব যখন ভয়ে-আতংকে মুষড়ে পড়ে তখন তাঁর কাছে ছুটে গেলে তিনি তাতে প্রশান্তির সুধা ঢেলে দেন। আনন্দ-বেদনায়, সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় হৃদয় তাঁর দিকেই ধাবিত হয়। মানুষ তাঁর কাছেই খুঁজে পায় অনাবিল শান্তি
ফজিলত

>> যে ব্যক্তি সাহরির সময় অথবা মধ্যরাতে সেজদায় গিয়ে আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلصَّمَدُ) ‘আল-সামাদু’-১১৫ বার পাঠ করে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সত্যবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং দুশমনের হাত তার শরীরে লাগবে না অর্থাৎ দুশমনের আক্রমণ থেকে তাঁকে রক্ষা করবেন
>> যে ব্যক্তি সব সময় আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلصَّمَدُ) ‘আল-সামাদুপাঠ করে; সে ব্যক্তি কখনো ক্ষুধার্ত হবে না
সুতরাং আজকে সুয ডুবার পর যে রাত আসবে সেটি হল জুমার রাত এ রাতে
আপনি যখন সেহেরী খেতে উঠবেন তখন তাহাজ্জুদ নামাজ পরে সিজদায় গিয়ে (আস সামাদু) ১১৫
বার পড়বেন এরপর সিজদা থেকে উঠে দরুদ শরীফ পাঠ করে আপনার সকল হাজতের জন্য আল্লাহর
বারেগাহে কেঁদে কেঁদে দোয়া করবেন। ইনশা আল্লাহ তায়ালা আপনার সকল আশা আকাংখা আরজি
পুরণ করে দিবেন।

আরেকটি ওয়াজিফা হল
আগামীকাল জুমার দিন সুয উঠার পর থেকে  জুমার নামাজের আগ পর্যন্ত ৩১৩ বার এ জিকির বা কুরানের
সুরা হাশরের এ আয়াতের অংশ বিশেষ পাঠ করবেন আগে পরে ৩ বার দরুদ শরীফ পড়বেন (জিকিরটি
হল- হুয়াল্লাহুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু)তিনিই আল্লাহ তা'আলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য
নেই
, এর পর কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন দারিদ্রতা দুর, অভাব দুর,
পেরেশানি দুর, এভাবে আপনার সকল হাজত পুরনের জন্য দোয়া করবেন ইনশা আল্লাহ আপনার সকল
দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন। এবং আপনার মনের আশা আকাংখা পুরণ করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.