দিনে কতবার দরুদ পাঠ করলে মহানবী (দঃ) এর হক আদায় হয়
দিনে কতবার দরুদ পাঠ করলে মহানবীর
হক আদায় হয়
হক আদায় হয়
দুরূদ শরীফ যত বেশি পরিমাণ সম্ভব পাঠ করা উচিত। আমরা যে কোন সময় দুরূদ পড়তে পারি, ওযূ না থাকলেও দুরূদ পড়তে পারি তবে ওযূ অবস্থায় পড়া উত্তম, মহিলারা অপবিত্র অবস্থায়ও দুরূদ পড়তে পারেন। বুযুর্গানে কিরাম বলেন দৈনিক কমপক্ষে দুইশতবার দুরূদ শরীফ পাঠ না করলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর হক আদায় হয় না। সে জন্যে আউলিয়ায়ে কিরাম দালাইলুল খায়রাত কিতাব পড়ার কথা বলেন। এই কিতাবে সপ্তাহের সাত দিনের অংশ ভাগ করে দেওয়া আছে। প্রতিদিন একাংশ পাঠ করলে দৈনিক দুরূদ শরীফের হক আদায় হয়। কিতাবখানা লিখার পিছনে একটি ঘটনা আছে। কিতাবের লিখক শায়খ সুলাইমান আল-জাজুলী (র.) উচু স্তরের একজন বুযুর্গ ছিলেন। একদিন তিনি তাঁর মুরীদীনসহ সফরে বের হলেন। পথিমধ্যে আসরের সময় হলো। কিন্তু তাদের সাথে কোন পানি নেই যা দিয়ে ওযূ করবেন। আশপাশে খোঁজ করে একটি কুয়া পাওয়া গেল কিন্তু কুয়ার পানি অনেক নিচে। পানি উঠানোর কোন পাত্র নেই। সুলাইমান আল জাজুলী পেরেশান হয়ে গেলেন। তখন কুয়ার পাশের একটি কুটির থেকে একজন ছোট বালিকা এসে কুয়ায় থুথু ফেললো। সাথে সাথে পানি উপরে উঠে এলো। নামায শেষ করে শায়খ জাজুলী বালিকাকে আল্লাহর নামে কসম দিয়ে বললেন কোন আমলের কারণে তোমার জিহ্বায় এত বরকত আল্লাহ দান করেছেন। বালিকা বললেন আমি নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর উপর একটি দুরূদ পাঠ করি। দুরূদটি হলো-
اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰي سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا
مُحَمَّدٍ صَلٰوةً دَائِمَةً مَّقْبُوْلَةً تُؤَدِّيْ بِهَا عَنَّا حَقَّهُ الْعَظِيْمِ.
এই দুরূদকে “দুরূদে বী’র” বলা হয়। এরপর সুলাইমান আল জাজুলী ইচ্ছা করলেন দুরূদ শরীফের একটি কিতাব লিখবেন। তখন লিখলেন দালাইলুল খায়রাত।
اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰي سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا
مُحَمَّدٍ صَلٰوةً دَائِمَةً مَّقْبُوْلَةً تُؤَدِّيْ بِهَا عَنَّا حَقَّهُ الْعَظِيْمِ.
এই দুরূদকে “দুরূদে বী’র” বলা হয়। এরপর সুলাইমান আল জাজুলী ইচ্ছা করলেন দুরূদ শরীফের একটি কিতাব লিখবেন। তখন লিখলেন দালাইলুল খায়রাত।
কোন মন্তব্য নেই