কুরবানীর নিয়ম কানুন। ৩০ টি ভুল।
কুরবানীর ৩০টি মারাত্মক ভুল সমুহ!!!!
প্রিয় ইসলামী ভাই ও বোনেরা প্রত্যেক বছর মুসলমানদের ঈদ উৎসব হিসেবে কোরবানী আমাদের কাছে ঘুরে ফিরে আসে, আর সে ঈদ উৎসবে মহান আল্লাহকে খুশী করার উদ্দেশ্যে সামথবান যারা তারা কোরবানী দিয়ে থাকেন আর কোরবানীকে ঘিরে জ্ঞানের অভবে কিংবা ইচছাকৃত প্রতিনিয়ত আমরা অহরহ ভুলভ্রান্তি করে থাকি যার ফলে আমাদের কষ্টার্জিত সম্পদ খরচতো হয়ে গেল কিন্তু এর পিছনে যে উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি তা হাসিল হয় না। কিন্তু আমরা যদি জেনে নিই কি কারনে আমাদের কোরবানী কবুল হয় না, কোন ভুলের কারনে আমাদের কোরবানীর সাওয়াব কমে যায়, কিংবা কি ভুল করলে আমাদের কুরবানী হয় না তাহলে আমরা সতক হয়ে যেতে পারব, সুতরাং আসুন আজ কোরবানী সংক্রান্ত ৩০টি ভুল সংশোধন করে নিই।
প্রিয় ইসলামী ভাই ও বোনেরা প্রত্যেক বছর মুসলমানদের ঈদ উৎসব হিসেবে কোরবানী আমাদের কাছে ঘুরে ফিরে আসে, আর সে ঈদ উৎসবে মহান আল্লাহকে খুশী করার উদ্দেশ্যে সামথবান যারা তারা কোরবানী দিয়ে থাকেন আর কোরবানীকে ঘিরে জ্ঞানের অভবে কিংবা ইচছাকৃত প্রতিনিয়ত আমরা অহরহ ভুলভ্রান্তি করে থাকি যার ফলে আমাদের কষ্টার্জিত সম্পদ খরচতো হয়ে গেল কিন্তু এর পিছনে যে উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি তা হাসিল হয় না। কিন্তু আমরা যদি জেনে নিই কি কারনে আমাদের কোরবানী কবুল হয় না, কোন ভুলের কারনে আমাদের কোরবানীর সাওয়াব কমে যায়, কিংবা কি ভুল করলে আমাদের কুরবানী হয় না তাহলে আমরা সতক হয়ে যেতে পারব, সুতরাং আসুন আজ কোরবানী সংক্রান্ত ৩০টি ভুল সংশোধন করে নিই।
১। আপনি নিজে সম্পদের মালিক চাই আপনি নারী হউন কিংবা পুরুষ চাই যুবক হউন কিংবা নববধু, চাই আপনি আয় করুন কিংবা বেকার যদি আপনি কুরবানীর দিন সমুহে নেসাবের মালিক হন তাহলে আপনার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব এখন আপনি কুরবানী না দেয়াটা মারাত্মক ভুল কিংবা আপনি নিজের কুরবানী না দিয়ে ছাগল একটি কিনে আপনার বাবার কিংবা মায়ের জন্য কোরবানী দিলেন এটাও একটা মারাত্মক ভুল। উত্তম হল প্রথমে আপনি নিজের ওয়াজিব কুরবানী করুন এরপর মা-বাবা, কিংবা অন্য যে কারো পক্ষ থেকে যদি তৌফিক থাকে তাহলে কুরবানী আাদায় করুন।
২। যারা শরীকে কুরবানী করেন তাদের মধ্যে কেহ যদি চোরাকারবারী যেমন চুরির বস্তু বেচা কেনা করে এমন ব্যক্তি শরিক হয় কিংবা জেনে শুনে চুরি করে বিক্রী করা পশু কুরবানীর জন্য ক্রয় করা মারাত্মক ভুল।
৩। গরীব কিংবা যিনি সাহেবে নিসাব নন যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় লোক লজ্জার ভয়ে ধার কজ করে কুরবানী করাও একটি ভুল। গরীবরা কিংবা যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় তারা জিলহজ্ব মাসের ১০ দিন নখ চুল কাটা থেকে বিরত থাকবেন তাতেই কুরবানীর সাওয়াব পাবেন।
৪। ৯ই জিলহজ্ব রোযা রাখার ফযিলত রয়েছে, এ রোযা আপনি যে দেশে আছেন সে দেশের ৯ই জিলহজ্বই রাখতে হবে, অনেকে এ ধারনা দিয়ে থাকে যে, যে দিন আরাফায় হাজ্বিরা অবস্থান করে সেদিনই বাংলা দেশে রোযা রাখতে হবে, এটা একটা ভুল ধারনা বরং বাংলাদেশে যেদিন ৯ই জিলহজ্ব হবে সেদিনই রোযা রাখতে হবে।
৫। কুরবানী দেয়া যাবে ১০ ১১ এবং ১২ জিলহজ্ব তারিখ পযন্ত এর পর কুরবানী দেয়া যাবে না। জিলহজ্বের ১২ তারিখের পর কুরবানী করলে তা আদায় হবে না, কেহ যদি করে থাকে তা মারাত্মক ভুল।
৬। জিলহজ্বের ৯ তারিখের ফজর থেকে ১৩ তারিখের আছর পযন্ত তকবীর (আল্লাহু আকবর---হামদ) মোট তেইশ ওয়াক্তের নামাযের পর একবার করে তাকবীরটি বলা ওয়াজিব। জামাতে নামায পড়া হোক বা একাকি, পুরুষ বা নারী, মুকীম বা মুসাফির সকলের উপর ওয়াজিব। কেহ যদি না পড়ে তা হবে মারাত্মক ভুল।
৭। কুরবানীর পশু রুষ্টপুষ্ট, সুন্দর, আকষনীয়, হওয়া ভাল কিন্তু তা হতে হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কিন্তু কেহ যদি লোক দেখানোর জন্য, মানুষের কাছ থেকে বাহবা পাওয়ার জন্য, এলাকায় নিজেকে ধনী জাহির করার নিয়তে বেশী টাকা খরচ করে বাজারের সেরা পশুটি ক্রয় করে আনে তা হবে মারাত্মক ভুল।
৮। অনেকে কুরবানী আসলে বাজারে বাজারে ঘুরতে থাকে কত ওয়াক্ত ফরয নামাজ কাজা করে ফেলে তার কোন হিসাব থাকে না, এটা একটা মারাত্মক ভুল। বাজারে গেলেও নামাজের ওয়াক্ত হলেই সময়মত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে নিতে হবে।
৯। কুরবানীর সাথে আকিকা দেয়া যাবে না এমন ধারনা করা মারাত্মক ভুল। কুরবানীর সাথে আকিকাও দেয়া যাবে।
১০। কারো ঘরে একজন কর্মচারী আছে যার বেতন হল ৫ হাজার টাকা এবং সাথে ৩ বেলা খাবার, এখন এ ধরনের কমচারীকে কোরবানীর গোস্ত দিয়ে খাবার দেয়া মারাত্মক ভুল,
আপনাকে যতদিন কুরবানীর গোস্ত দিবেন ততদিন তাকে অন্য একটি তরকারীও সাথে দিতে হবে কিংবা যতদিন কুরবানী গোস্ত দিবেন ততদিন তাকে আলাদা করে খাবারের টাকা দিয়ে দিতে হবে। (রদ্দুল মুখতার)
১১। কুরবানীর পশু জবেহকারীকে পারিশ্রমিক হিসেবে কুরবানীর গোস্ত কিংবা পশুর চামড়া দেয়া মারাত্মক ভুল।
১২। কুরবানীর পশুকে কষ্ট দেয়া মারাত্মকভুল, এক পশুকে অন্য পশুর সামনে জবেহ করাও উচিত নয়,
১৩। কুরবানীর গোসত তিনদিনের অধিক খাওয়া যাবে না বলে অনেকে মনে করে কিন্তু শরীয়তে এমন কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
১৪। ১টি ছাগল কিনে একের অধিক লোক বা ২ জনের পক্ষ থেকে কুরবানী করলে তেমনি গরু ও মহিষ ৭ জনের অধিক লোকের পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া মারাত্মক ভুল।
১৫। শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করা মারাত্মক ভুল। কয়েকজন মিলে কুরবানী দিলে তাদের মধ্যে একজনের নিয়ত যদি গোশত খাওয়ার নিয়ত হয় তাহলে কারো কোরবানী হবে না।
১৬। হারাম উপাজন দিয়ে কুরবানী করা মারাত্মক ভুল, শরীকে যারা কুরবানী করেন তাদের মধ্যে কেহ যদি হারাম টাকা দেয় তাহলে কারো কুরবানী হবে না।
১৭। এমন দুবল পশু যা জবাইয়ের স্থান পযন্ত হেটে যেতে অক্ষম েএমন পশু দ্বারা কুরবানী করা মারাত্মক ভুল
১৮।যে পশুর এত বেশী দাঁত পড়ে দেছে যে ঘাস বা খাদ্য চাবাতে পারে না এমন পশু দিয়ে কুরবানী করা মারাত্মক ভুল।
১৯। কুরবানীর পশু নিজে জবেহ করতে না পারলে অন্যকে দিয়ে জবেহ করা জায়েজ কিন্তু নিজে জবেহ করতে সক্ষম হলে অন্যকে দিয়ে জবেহ করা ভুল।
২০। জবেহকারী অর্ধেক জবেহ করে ছেড়ে দিল বাকী টুকু কসাই জবাই সম্পন্ন করল এমতাবস্থায় কসাই বিছমিল্লাহি আল্লাহু আকবর না পড়া মারাত্মক ভুল।
২১। কুরবানীর জন্য কেনা পশু দিয়ে হালচাষ করা, সেটার থেকে দুধ দোহন করে দুধ পান করা এমনি নানান ভাবে কুরবানীর পশু থেকে উপকৃত হওয়া মারাত্মক ভুল।
২২। মৃত ব্যক্তি কুরবানীর অসিয়ত করে গেলে সে মৃত ব্যক্তির অসিয়ত মত তার সন্তানরা যদি তার পক্ষ থেকে কুরবানী করে সে কুরবানীর গোসত খাওয়া মারাত্মক ভুল। মৃত ব্যক্তির অসিয়তের কারনে কুরবানী করলে সে কুরবানীর গোশত পুরাটাই গরীবদের সদকা করে দিতে হবে। তবে অসিয়ত করা ছাড়া এমনিতেই মৃতের পক্ষ থেকৈ কুরবানী করলে তা নিজেরাও খেতে পারবে আত্মিয় স্বজনকেও দিতে পারবে।
২৩। কয়েকজনে মিলে কুরবানী করলে অনুমান করে গোস্ত বন্টন করা মারাত্মক ভুল। ওজন করে গোস্ত ভাগ করতে হবে।
২৪। পশু জবেহ করার পর নিস্তেজ হওয়ার আগেই চামড়া খসানো মারাত্মক ভুল।
২৫। কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রী করে দিলে সে টাকা নিজের জন্য খরচ করা মারাত্মক ভুল, এ বিক্রীত টাকা পয়সা গরীবকে দান করে দিতে হবে।
২৬। যে এলাকায় ঈদের নামাজ হয় সেখানে ঈদের নামাজের আগে কুরবানী করা মারাত্মক ভুল।
২৭। কয়েক জন মিলে কুরবানী করলে তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১ অংশের কুরবানীর জন্য শরীক হতে হেবে, কেহ যদি অধেক অংশের জন্য শরীক হয় তা হবে মারাত্মক ভুল।
২৮। কুরবানীর জন্য ১ বছরের কম বয়সের ছাগল ক্রয় করা মারাত্মক ভুল, ২ বছরের কম বয়সের গরু ও মহিষ ক্রয় করা মারাত্মক ভুল।
২৯। কুরবানীর পশু কুরবানীর দিনসমুহে জবেহ করতে না পারলে পশুটি সদকা করে দিতে হবে, সদকা না করা মারাত্মক ভুল।
৩০। হানাফী মাযহাব মতে ৬তকবীরের সাথে ঈদের নামাজ, শাফেয়ী মাযহাব মতে ১২ তকবীরের সাথে ঈদের নামাজ, আর হাম্বলিী ও মালেকী মাযহাব মতে ১১ তবীরের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে, প্রত্যেক ফিকহী স্কলারের নিজ নিজ মতের পক্ষে দলিল রয়েছে, যে যে মাযহাবের অনুসারী সে সে নিয়মে নামাজ আদায় করবে এখন এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ির চিন্তা আমাদের মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা দরকার। বর্তমানে কিছু লোক এসব নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ী করে বলে ৬ তকবীরে ঈদের নামাজ হবে না, ১১ তকবীরে হবে না এ ধরনের বাড়াবাড়ী মারাত্মক ভুল। মক্কা শরীফে হাম্বলী মাযহাব মোতাবে ১১ তকবীরে ঈদের নামাজ হয় মদীনা শরীফে মোলেকি মাযহাব মোতাবেক ১১ তকবীরে ঈদের নামায হয়, আমাদের বাংলাদেশ, ভারত পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশে হানাফি মাযহাব মোতাবেক ৬ তকবীরের সাথে ঈদেরনামায হয়। সুতরাং এসব বিষয়ে নতুন করে বাড়াবাড়ী করে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার অবকাশ নাই।
আল্লাহ পাক সকলের পক্ষ থেকে কুরবানী কবুল করুন, আমিন।
২। যারা শরীকে কুরবানী করেন তাদের মধ্যে কেহ যদি চোরাকারবারী যেমন চুরির বস্তু বেচা কেনা করে এমন ব্যক্তি শরিক হয় কিংবা জেনে শুনে চুরি করে বিক্রী করা পশু কুরবানীর জন্য ক্রয় করা মারাত্মক ভুল।
৩। গরীব কিংবা যিনি সাহেবে নিসাব নন যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় লোক লজ্জার ভয়ে ধার কজ করে কুরবানী করাও একটি ভুল। গরীবরা কিংবা যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় তারা জিলহজ্ব মাসের ১০ দিন নখ চুল কাটা থেকে বিরত থাকবেন তাতেই কুরবানীর সাওয়াব পাবেন।
৪। ৯ই জিলহজ্ব রোযা রাখার ফযিলত রয়েছে, এ রোযা আপনি যে দেশে আছেন সে দেশের ৯ই জিলহজ্বই রাখতে হবে, অনেকে এ ধারনা দিয়ে থাকে যে, যে দিন আরাফায় হাজ্বিরা অবস্থান করে সেদিনই বাংলা দেশে রোযা রাখতে হবে, এটা একটা ভুল ধারনা বরং বাংলাদেশে যেদিন ৯ই জিলহজ্ব হবে সেদিনই রোযা রাখতে হবে।
৫। কুরবানী দেয়া যাবে ১০ ১১ এবং ১২ জিলহজ্ব তারিখ পযন্ত এর পর কুরবানী দেয়া যাবে না। জিলহজ্বের ১২ তারিখের পর কুরবানী করলে তা আদায় হবে না, কেহ যদি করে থাকে তা মারাত্মক ভুল।
৬। জিলহজ্বের ৯ তারিখের ফজর থেকে ১৩ তারিখের আছর পযন্ত তকবীর (আল্লাহু আকবর---হামদ) মোট তেইশ ওয়াক্তের নামাযের পর একবার করে তাকবীরটি বলা ওয়াজিব। জামাতে নামায পড়া হোক বা একাকি, পুরুষ বা নারী, মুকীম বা মুসাফির সকলের উপর ওয়াজিব। কেহ যদি না পড়ে তা হবে মারাত্মক ভুল।
৭। কুরবানীর পশু রুষ্টপুষ্ট, সুন্দর, আকষনীয়, হওয়া ভাল কিন্তু তা হতে হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কিন্তু কেহ যদি লোক দেখানোর জন্য, মানুষের কাছ থেকে বাহবা পাওয়ার জন্য, এলাকায় নিজেকে ধনী জাহির করার নিয়তে বেশী টাকা খরচ করে বাজারের সেরা পশুটি ক্রয় করে আনে তা হবে মারাত্মক ভুল।
৮। অনেকে কুরবানী আসলে বাজারে বাজারে ঘুরতে থাকে কত ওয়াক্ত ফরয নামাজ কাজা করে ফেলে তার কোন হিসাব থাকে না, এটা একটা মারাত্মক ভুল। বাজারে গেলেও নামাজের ওয়াক্ত হলেই সময়মত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে নিতে হবে।
৯। কুরবানীর সাথে আকিকা দেয়া যাবে না এমন ধারনা করা মারাত্মক ভুল। কুরবানীর সাথে আকিকাও দেয়া যাবে।
১০। কারো ঘরে একজন কর্মচারী আছে যার বেতন হল ৫ হাজার টাকা এবং সাথে ৩ বেলা খাবার, এখন এ ধরনের কমচারীকে কোরবানীর গোস্ত দিয়ে খাবার দেয়া মারাত্মক ভুল,
আপনাকে যতদিন কুরবানীর গোস্ত দিবেন ততদিন তাকে অন্য একটি তরকারীও সাথে দিতে হবে কিংবা যতদিন কুরবানী গোস্ত দিবেন ততদিন তাকে আলাদা করে খাবারের টাকা দিয়ে দিতে হবে। (রদ্দুল মুখতার)
১১। কুরবানীর পশু জবেহকারীকে পারিশ্রমিক হিসেবে কুরবানীর গোস্ত কিংবা পশুর চামড়া দেয়া মারাত্মক ভুল।
১২। কুরবানীর পশুকে কষ্ট দেয়া মারাত্মকভুল, এক পশুকে অন্য পশুর সামনে জবেহ করাও উচিত নয়,
১৩। কুরবানীর গোসত তিনদিনের অধিক খাওয়া যাবে না বলে অনেকে মনে করে কিন্তু শরীয়তে এমন কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
১৪। ১টি ছাগল কিনে একের অধিক লোক বা ২ জনের পক্ষ থেকে কুরবানী করলে তেমনি গরু ও মহিষ ৭ জনের অধিক লোকের পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া মারাত্মক ভুল।
১৫। শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করা মারাত্মক ভুল। কয়েকজন মিলে কুরবানী দিলে তাদের মধ্যে একজনের নিয়ত যদি গোশত খাওয়ার নিয়ত হয় তাহলে কারো কোরবানী হবে না।
১৬। হারাম উপাজন দিয়ে কুরবানী করা মারাত্মক ভুল, শরীকে যারা কুরবানী করেন তাদের মধ্যে কেহ যদি হারাম টাকা দেয় তাহলে কারো কুরবানী হবে না।
১৭। এমন দুবল পশু যা জবাইয়ের স্থান পযন্ত হেটে যেতে অক্ষম েএমন পশু দ্বারা কুরবানী করা মারাত্মক ভুল
১৮।যে পশুর এত বেশী দাঁত পড়ে দেছে যে ঘাস বা খাদ্য চাবাতে পারে না এমন পশু দিয়ে কুরবানী করা মারাত্মক ভুল।
১৯। কুরবানীর পশু নিজে জবেহ করতে না পারলে অন্যকে দিয়ে জবেহ করা জায়েজ কিন্তু নিজে জবেহ করতে সক্ষম হলে অন্যকে দিয়ে জবেহ করা ভুল।
২০। জবেহকারী অর্ধেক জবেহ করে ছেড়ে দিল বাকী টুকু কসাই জবাই সম্পন্ন করল এমতাবস্থায় কসাই বিছমিল্লাহি আল্লাহু আকবর না পড়া মারাত্মক ভুল।
২১। কুরবানীর জন্য কেনা পশু দিয়ে হালচাষ করা, সেটার থেকে দুধ দোহন করে দুধ পান করা এমনি নানান ভাবে কুরবানীর পশু থেকে উপকৃত হওয়া মারাত্মক ভুল।
২২। মৃত ব্যক্তি কুরবানীর অসিয়ত করে গেলে সে মৃত ব্যক্তির অসিয়ত মত তার সন্তানরা যদি তার পক্ষ থেকে কুরবানী করে সে কুরবানীর গোসত খাওয়া মারাত্মক ভুল। মৃত ব্যক্তির অসিয়তের কারনে কুরবানী করলে সে কুরবানীর গোশত পুরাটাই গরীবদের সদকা করে দিতে হবে। তবে অসিয়ত করা ছাড়া এমনিতেই মৃতের পক্ষ থেকৈ কুরবানী করলে তা নিজেরাও খেতে পারবে আত্মিয় স্বজনকেও দিতে পারবে।
২৩। কয়েকজনে মিলে কুরবানী করলে অনুমান করে গোস্ত বন্টন করা মারাত্মক ভুল। ওজন করে গোস্ত ভাগ করতে হবে।
২৪। পশু জবেহ করার পর নিস্তেজ হওয়ার আগেই চামড়া খসানো মারাত্মক ভুল।
২৫। কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রী করে দিলে সে টাকা নিজের জন্য খরচ করা মারাত্মক ভুল, এ বিক্রীত টাকা পয়সা গরীবকে দান করে দিতে হবে।
২৬। যে এলাকায় ঈদের নামাজ হয় সেখানে ঈদের নামাজের আগে কুরবানী করা মারাত্মক ভুল।
২৭। কয়েক জন মিলে কুরবানী করলে তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১ অংশের কুরবানীর জন্য শরীক হতে হেবে, কেহ যদি অধেক অংশের জন্য শরীক হয় তা হবে মারাত্মক ভুল।
২৮। কুরবানীর জন্য ১ বছরের কম বয়সের ছাগল ক্রয় করা মারাত্মক ভুল, ২ বছরের কম বয়সের গরু ও মহিষ ক্রয় করা মারাত্মক ভুল।
২৯। কুরবানীর পশু কুরবানীর দিনসমুহে জবেহ করতে না পারলে পশুটি সদকা করে দিতে হবে, সদকা না করা মারাত্মক ভুল।
৩০। হানাফী মাযহাব মতে ৬তকবীরের সাথে ঈদের নামাজ, শাফেয়ী মাযহাব মতে ১২ তকবীরের সাথে ঈদের নামাজ, আর হাম্বলিী ও মালেকী মাযহাব মতে ১১ তবীরের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে, প্রত্যেক ফিকহী স্কলারের নিজ নিজ মতের পক্ষে দলিল রয়েছে, যে যে মাযহাবের অনুসারী সে সে নিয়মে নামাজ আদায় করবে এখন এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ির চিন্তা আমাদের মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা দরকার। বর্তমানে কিছু লোক এসব নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ী করে বলে ৬ তকবীরে ঈদের নামাজ হবে না, ১১ তকবীরে হবে না এ ধরনের বাড়াবাড়ী মারাত্মক ভুল। মক্কা শরীফে হাম্বলী মাযহাব মোতাবে ১১ তকবীরে ঈদের নামাজ হয় মদীনা শরীফে মোলেকি মাযহাব মোতাবেক ১১ তকবীরে ঈদের নামায হয়, আমাদের বাংলাদেশ, ভারত পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশে হানাফি মাযহাব মোতাবেক ৬ তকবীরের সাথে ঈদেরনামায হয়। সুতরাং এসব বিষয়ে নতুন করে বাড়াবাড়ী করে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার অবকাশ নাই।
আল্লাহ পাক সকলের পক্ষ থেকে কুরবানী কবুল করুন, আমিন।

surah maun bangla translation | সূরা আল-মাউন | Noor
উত্তরমুছুন