সারা রাত এবাদত ও সদকার ছাওয়াব। ঘুমানোর দোয়া ও আমল।





দোয়া পড়ে ঘুমান
ঘুমের মধ্যেও নেকী হবে
রাসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি রাতে খাটের দিকে যায়
অর্থ্যাৎ ঘুমাতে যায় আর নিয়ত করে রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বে, কিন্তু ঘুমানোর পর
এত বেশী গভীর নিদ্রা চলে আসে যে সে রাতে আর উঠতে পারে না, এমনকি ঘুমের মাঝে সকাল হয়ে
যায়
সে লোক তাহাজ্জুদ পড়তে না পারলেও তার নিয়তের কারনেই আল্লাহর
হকুমে ফেরেশতারা তার আমলনামায় তাহাজ্জুদের সাওয়াব লিখে দেন। এমনকি তার সারা রাতের ঘুমটাকেও
তার আমল নামায় সদকা হিসেবে লিখে দেয়া হয়।
নিয়ত করে শুয়ে যাবেন, অজু করে শুয়ে যাবেন।
রাসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন যে লোক অজুসহকারে জিকির করে করে ঘুমায় আল্লাহর পক্ষ
থেকে এক ফেরেশতা তার বিছানায় রাত কাটান, তাকে দেখা শুনা করেন, হেফাজত করেন, সারা রাত
ফেরেশতা ডিউটি করেন, এবং সে ফেরেশতা তার জন্য সারারাত দোয়া করে হে প্রভু এ বান্দার
সৃষ্টিকর্তা এ লোক ঘুমিয়েছেন কিন্তু অজু সহকারে ঘুমিয়েছেন হে আল্লাহ আমার দোয়া তুমি
তাঁকে ক্ষমা করে দাও, ফেরেশতা সারা রাত এ বান্দার গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করেন। সুতরাং
জিকির করে শুয়ে পড়ুন (আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমুতু ওয়া আহিয়া) (সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার,
আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার আল্লাহুআকবর ৩৪ বার পড়ুন) সুরা মুলুক পড়তে ভুলবেন না এ সুরা
কবরের আযাব থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।কেয়ামতের দিন পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে। যতক্ষন
পাঠকারী জান্নাতে প্রবেশ না করবেন ততক্ষন আল্লাহর সাথে সুরা মুলুক তাঁর পক্ষে জিদ করবে।মিসওয়াক
করে শুবেন, প্রিয় নবী শুবার সময় পাশে মেওয়াক রাখতেন, আর আমরা রাখি মোবাইল, রিমোর্ট,
রাত জেগে ফেইসবুক চালালে কিভাবে তাহাজ্জুদে উঠবেন? আমাদের নবী যখনই ঘুমাতে যেতেন মিসওয়াক
নিজের বালিশের পাশে রেখে শুয়ে যেতেন, হুযুর (দঃ) যখন জাগ্রত হতেন নিজের হাত মোবারক
দ্বারা নিজের চেহেরা মোবারক মাসেহ করে নিতেন,  

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.