শিশুর নবীপ্রেম। Children Love for Prophet







হুযুরের প্রতি শিশুদের মহব্বত
শিশু ওমায়ের ও চাচা জুল্লাছ বিন ছুবেদ
সুরা তওবার ৭৪ নং আয়াত নাযিল হয়
يَحْلِفُونَ بِاللّهِ مَا
قَالُواْ وَلَقَدْ قَالُواْ كَلِمَةَ الْكُفْرِ وَكَفَرُواْ بَعْدَ إِسْلاَمِهِمْ
তারা কসম খায় যে, আমরা
বলিনি
, অথচ নিঃসন্দেহে তারা বলেছে কুফরী বাক্য এবং মুসলমান হবার পর
অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী হয়েছে।  [
 সুরা তাওবা ৯:৭৪ ]

মদীনার এক ছোট শিশু যে তার চাচার সাথে হুযুরের মজলিশে উপস্থিত হতেন মসজিদে নববীতে যেতেন, সে হুযুরের ওয়াজ নসিহত শুনত, খুবই বুদ্ধিদ্বীপ্ত ছিল ছেলেটি, সে কখনো কখনো একা একাই মসজিদে নববীতে চলে যেত, একদিন চাচা জুল্লাছ গেল না শিশুটি মসজিদে নববীতে চলে গেল আর হুযুরের ওয়াজ শুনল, সেদিন হুযুর (দঃ) কেয়ামতের বয়াবহতার ব্যপারে জবরদস্ত ওয়াজ করলেন, সে যখন মসজিদ থেকে ঘরে আসল চাচাকে দেখে বলল হে চাচা আজ হুযুর (দঃ) কেয়ামতের ভয়াবহতার সম্পর্কে ওয়াজ করেছেন, হুযুর কেয়ামতের এমন ওয়াজ করেছেন যে কেয়ামতের নকশা আমার চোখের সামনে ভাসছে
কিন্তু ছেলেটির চাচা জুল্লাছ ছিল মুনাফেক, সে যখন শিশুর মুখে হুযুরে ওয়াজের কথা শুনল সে বলল (ওয়াল্লাহে লাউ কানা মুহাম্মাদুন ছাদেকান লানা নাহনু শাররুন মিনাল হেমার) আল্লাহর কসম যদি মুহাম্মদ সত্যবাদী হয় তাহলে আমরা গাধা থেকেও অধম চাচার মুখে যখন কথা শুনল তখন সে শিশুটি যেন আকাশ থেকে পড়ল, তার পায়ের নিচ থেকে যেন মাটি সরে যেতে লাগল, আমার চাচা এসব কি বলছেন, ইনিই তো আমার আঙ্গুল ধরে মসজিদে নববীতে নিয়ে যেতেন, সে আজ এটা কি বলে দিল? এতো মুনাফেক শিশুটি তার চাচাকে বলল (এয়া আম্মি ওয়াল্লাহে ইন্নাকা কুনতা মিন আহাব্বিন্নাছে লা কালবি) আল্লাহর কসম এতদিন আমার কাছে আপনি সম্মানি ছিলেন কারন আপনি আমাকে হাত ধরে হুযুরের কাছে নিয়ে যেতে (ওয়াল্লাহে লাকাদ আসবাহতা আলআন আবগাদাহুম ইলা কালবি জামিআ)  কিন্তু তুমি হুযুরের শানে বেয়াদবী করার সাথে সাথে এখন আমার মনে তোমার মত নিকৃষ্ট লোক আর কেউ নাই (এয়া আম্মি আনা বাইনাল ইছনাতাই) হে আমার চাচা আমার সামনে এখন ২টি রাস্তা খোলা আছে, 
একটা রাস্তা হল আমি আল্লাহ তাঁর রাসুলের সাথে খেয়ানত করব, আর আপনি যে নবীর শানে বেয়াদবীমুলক কথা বলেছেন তা নবীজি বলব না,
আর ২য় রাস্তা আমার জন্য এটা যে যা তুমি বলেছ তা হুযুরকে বলে দিব তার পরিনাম যাই হউক না কেন
তখন ছেলেটির চাচা জুল্লাছ বলল তুমি খুব ছোট তোমার কথা কে বিশ্বাস করবে? যাও যা ইচ্ছা কর
ছেলেটি উঠল আর হুযুরের মজলিশে পৌঁছে গেল, আর হুযুরের সামনে আরজ করল (এয়া রাসুলাল্লাহ আল জুল্লাছুবনু ছুবেদ খানাল্লাহা ওয়া রাসুলাহু) হুযুর জুল্লাছ বিন ছুবেদ আল্লাহ তাঁর রাসুলের সাথে খেয়ানত করেছেন তিনি আমার চাচা , হুযুর আমি আল্লাহর সামনে এবং আপনার সামনে তার প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছি  হুযুর আজ থেকে আমার চাচার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই আমি আল্লাহকে বলছি হে আমার মওলা আমার চাচার সাথে আমার আজ থেকে কোন সম্পর্ক নাইকেননা সে তোমার মাহবুবের দুষমন
হুযুর ছেলেটিকে বললেন হে বাচ্চা তোমার চাচা কি বলেছে? বাচ্চাটি সব কাহানি শুনিয়ে দিল, হুযুর (দঃ) সাহাবাগনের সাথে বাচ্চাটির কথাগুলি নিয়ে পরামর্শ করলেন, কিন্তু সাহাবাগন বললেন এখনো অবুঝ বাচ্চা তার কথার উপর নির্ভর করাটা ঠিক হবে না, জুল্লাছ বিন ছুবেদ  আমাদের সাথে নামাজ পড়েন, একজন বুযুগ লোক, এবং একজন জ্ঞানী লোক আপনি বাচ্চাটির কথাকে গুরুত্ব দিবেন না জুল্লাছ বিন ছুবেদ যখন ভাতিজার অভিযোগের কথা শুনল তিনিও কসম করতে লাগল যে আমি ধরনের কোন কথাই বলিনি তখন হুযুর (দঃ) শিশুটির কথাকে আর গুরুত্ব দিলেন না
যখন বাচ্চাটি দেখল তার কথা হুযুর (দঃ) কবুল করেনি, সে চোখের পানি ছেড়ে দিল আর আসমানের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল (আল্লাহুম্মা ইন কুনতু ছাদিকান ফাছাদ্দিকনি ওয়াইন কুনতু কাজিবান ফাকাজ্জিবনি) হে আল্লাহ আমি যদি মিথ্যাবাদী হই তাহলে আমাকে মিথ্যাবাদী বানিয়ে দাও, আর হে আল্লাহ আমি যদি সত্যবাদী হিই তাহলে আমাকে সত্যবাদীতা প্রকাশ করে দাও
বাচ্চাটি যখন দোয়াটি করল এখনো মুখে হাত ফিরায়নি এরই মধ্যে জিবরিল এসে গেল 
আর তখন সুরা তওবার ৭৪ নং আয়াত নাযিল হয়
يَحْلِفُونَ بِاللّهِ مَا
قَالُواْ وَلَقَدْ قَالُواْ كَلِمَةَ الْكُفْرِ وَكَفَرُواْ بَعْدَ إِسْلاَمِهِمْ
তারা কসম খায় যে, আমরা
বলিনি
, অথচ নিঃসন্দেহে তারা বলেছে কুফরী বাক্য এবং মুসলমান হবার পর
অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী হয়েছে।  [
 সুরা তাওবা ৯:৭৪ ]
যখন জিবরিল এসে গেল আয়াত নাযিল হল হুযুর বাচ্চাটিকে নিজের কাছে ডাকলেন আর বলনে (মারহাবান বিকুম ছাদ্দাকাহু রাব্বুহু মিন ফাউকে ছাবয়ে ছামাওয়াত) খোশ আমদেদ হে বাচ্চা যার সত্যতার স্বাক্ষী আসমানের উপরের রবও দিয়ে দিয়েছেন এরপর হুযুর সে বাচ্চার কানে ধরলেন (ওয়াফাদ উজুনুকা এয়া গোলাম ওয়া সাদ্দাকাকা রাব্বুকা ) হে বাচ্চা তোমার এই কান ঠিকই শুনেছে
হযরত ওমর (রাঃ) এর জামানায় তিনি এই ওমায়ের বিন সাদ আনসারী (রাঃ) কে  হামাছ এর গভর্নর বানিয়ে দিলেন, তিনি যখন ইন্তেকাল করেন হযরত ওমর কান্না করে করে বলেন হায় হায় আমার কাছে ওমায়ের এর মত যদি আরো লোক হত, আর আমি মুসলমানদের হেফাজতের জন্য তাকে নিযুক্ত করতাম

রহমতে আলম নূরে মুজ্জাসাম,
সাহাবিরা আতর বানায় ঐ নবীজির গাম,
বাবা শুনো মানো জানো কেমন আমার নবীজি,
যাহার পাগল চন্দ্র সূর্য তারকারাজী,
বাবা আরো শুনবানি সুন্দর কাহিনী,
জান্নাত এর ও রুমে রুমে লিখা নবীর নাম, ()
বাবা উস্তুনে হান্নানা একটা খেজুর গাছের নাম
যাকে ধরে খুতবা দিতেন রসূলে আকরাম
নবীর বিরহে গাছ কান্দিতে রহে,
হতো বাক হইল  যত সাহাবয়েকরাম


কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.