বিয়ের আগে যিনার হকুম আবার সে নারীকে বিয়ে করা কেমন।যিনাকারীকে বিয়ে করা কি...
যেনাকারী নারীকে বিয়ে করা হারাম?
বিয়ের আগে জেনা সে নারীকে বিয়ে করা কেমন?
الزَّانِي لَا
يَنكِحُ إلَّا زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً وَالزَّانِيَةُ لَا يَنكِحُهَا إِلَّا
زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ وَحُرِّمَ ذَلِكَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ
يَنكِحُ إلَّا زَانِيَةً أَوْ مُشْرِكَةً وَالزَّانِيَةُ لَا يَنكِحُهَا إِلَّا
زَانٍ أَوْ مُشْرِكٌ وَحُرِّمَ ذَلِكَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ
ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।
[ সুরা নুর ২৪:৩ ]
[ সুরা নুর ২৪:৩ ]
উপরিউক্ত আয়াতে কারীমাটি অবতীর্ণ হয়েছে বিশেষ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ঘটনা হল, জাহেলী যুগে আনাক নামের এক মহিলার সাথে হযরত মারছাদ ইবনে আবূ মারছাদ মক্কায় আসেন। তখন ঐ মহিলা তাঁকে পূর্বের মত কাছে পেতে চায়। দীর্ঘ দিনের লালিত কুপ্রস্তাবে রাজি করাতে ব্যর্থ চেষ্টা করে। কিন্তু হযরত মারছাদ [রা.] দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দেন- আজ ইসলাম তোমার-আমার মাঝে অন্তরায় হয়ে গেছে। তারপরও তুমি চাইলে আমি রাসূলুল্লাহ [সা.]-এর অনুমতি পাওয়ার পরই কেবল তোমাকে বিয়ে করতে পারি। পরবর্তীতে হযরত মারছাদ [রা.] রাসূলে কারীম [সা.]-এর কাছে উক্ত বিবাহের অনুমতি প্রার্থনা করলে উপরিউক্ত আয়াতে কারীমাটি অবতীর্ণ হয় এবং চিরতরে মুশরিক ও ব্যভীচারী নারীকে বিয়ে করা হারাম হয়ে যায়।
আরেকটি বিষয়- আল্লাহ না করুন কোন লোকের সাথে কোন নারীর
অবৈধ সম্পক হল সে লোকটি সে নারীর সাথে যিনাও করে নিল, সে নারী অন্য কারো সাথে জেনা
করেনি, এখন সে লোকটি যদি সে নারীকে বিয়ে করে
তাহলে সে বিবাহ বৈধ হবে কিনা? এ ব্যপারে ওলামায়ে কেরাম ফতোয়া দিয়েছেন এমন ক্ষেত্রে
এরা দুজনে যদি তওবা করে নেয় এবং তওবা করার পর বিয়ে করা জায়েজ হবে।
অবৈধ সম্পক হল সে লোকটি সে নারীর সাথে যিনাও করে নিল, সে নারী অন্য কারো সাথে জেনা
করেনি, এখন সে লোকটি যদি সে নারীকে বিয়ে করে
তাহলে সে বিবাহ বৈধ হবে কিনা? এ ব্যপারে ওলামায়ে কেরাম ফতোয়া দিয়েছেন এমন ক্ষেত্রে
এরা দুজনে যদি তওবা করে নেয় এবং তওবা করার পর বিয়ে করা জায়েজ হবে।
হযরত আবু বকর (রাঃ) এর জামানায় এক লোক এক নারীর সাথে
জিনা করল, দুজনকেই ১শত করে কোরা মারার পর তাদের দুজনকে বিয়ে দেয়া হল, এবং ১ বছরের জন্য
শহর থেকে বের করে দেয়া হল, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন প্রথমে জেনা তারপর জেনা এর
উদাহারন হল এক লোক একটি বাগান থেকে ফল চুরি করল, আবার সে বাগানের মালিক থেকে ফল কিনে
নিলে, প্রথমে যে চুরি করে ফল খেয়েছে তা হারাম আর পরে যে কিনে ফল খেয়েছে তা হালাল।
জিনা করল, দুজনকেই ১শত করে কোরা মারার পর তাদের দুজনকে বিয়ে দেয়া হল, এবং ১ বছরের জন্য
শহর থেকে বের করে দেয়া হল, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন প্রথমে জেনা তারপর জেনা এর
উদাহারন হল এক লোক একটি বাগান থেকে ফল চুরি করল, আবার সে বাগানের মালিক থেকে ফল কিনে
নিলে, প্রথমে যে চুরি করে ফল খেয়েছে তা হারাম আর পরে যে কিনে ফল খেয়েছে তা হালাল।
মনে রাখবেন যে নারী জেনাকারী হিসেবে প্রসিদ্ধ, সকলেই
জানে যে সে নারী জেনাকারী তাহলে তাকে বিবাহ করা থেকে বিরত থাকবেন।
জানে যে সে নারী জেনাকারী তাহলে তাকে বিবাহ করা থেকে বিরত থাকবেন।
আরেকটি প্রশ্ন কুরানে বলা হয়েছে জেনানারী জেনাকারীকেই
বিয়ে করে, অথচ দেখা যায় অনেক সময় নেককার লোক বিয়ে করে ফেলল জেনাকারীকে, অথবা জেনাকারী
লোক বিয়ে করে নিয়ে আসল একজন নেককারকে,
বিয়ে করে, অথচ দেখা যায় অনেক সময় নেককার লোক বিয়ে করে ফেলল জেনাকারীকে, অথবা জেনাকারী
লোক বিয়ে করে নিয়ে আসল একজন নেককারকে,
এর ব্যাখ্যায় মুফাসসিরীনগন বলেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই
গুনাহগার গুনাহগারকেই তালাশ করে তবে অল্প স্বল্প ক্ষেত্রে এর বিপরীতও হয়ে যায়।
গুনাহগার গুনাহগারকেই তালাশ করে তবে অল্প স্বল্প ক্ষেত্রে এর বিপরীতও হয়ে যায়।
এ যুগের ১টি উদাহারন দ্বারা কুরানের এই কথাটা বুঝা
খুবই সহজ যেমন- আজকালকার মুক্তমনা ফ্যাশনপুজারী, আল্ট্রামর্ডান নারী একজন নামাজী কালামি,
দাঁড়ি ওয়ালা এবাদতগুজার লোককে কখনো বিয়ে করতে রাজি হয় না, বরং সে তারই মত একজন ফাছেক
মুক্তমনা ফ্যাশনজাদা পুরুষকে বিয়ে করতে রাজি হয়। তাছাড়া আয়াতের হকুমটি হল জেনারেল।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এমনটিই হয়। যেমন বলা হল নেক কাজ শুধু পরহেজগার লোক করে অথচ কখনো
কখনো ফাসেক লোকও নেককাজ করে। তেমনি ভাবে এই আয়াত দ্বারা এরকমই উদ্দেশ্য যে জেনাকারী
নারী জেনাকারী পুরুষ কেবল তাঁদের মত লোকই বিয়ে করতে পছন্দ করে।
খুবই সহজ যেমন- আজকালকার মুক্তমনা ফ্যাশনপুজারী, আল্ট্রামর্ডান নারী একজন নামাজী কালামি,
দাঁড়ি ওয়ালা এবাদতগুজার লোককে কখনো বিয়ে করতে রাজি হয় না, বরং সে তারই মত একজন ফাছেক
মুক্তমনা ফ্যাশনজাদা পুরুষকে বিয়ে করতে রাজি হয়। তাছাড়া আয়াতের হকুমটি হল জেনারেল।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এমনটিই হয়। যেমন বলা হল নেক কাজ শুধু পরহেজগার লোক করে অথচ কখনো
কখনো ফাসেক লোকও নেককাজ করে। তেমনি ভাবে এই আয়াত দ্বারা এরকমই উদ্দেশ্য যে জেনাকারী
নারী জেনাকারী পুরুষ কেবল তাঁদের মত লোকই বিয়ে করতে পছন্দ করে।
কোন মন্তব্য নেই