বেড বিছানা সোফা গদিতে নাপাক লাগলে কি করবেন? বেডি বিছানা পাক করার নিয়ম।

নাপাক বেড পাক করার নিয়ম

বিছানায় মোটা
মোটা বেড বিছানো থাকে, আর তাতে অনেক সময় বাচ্চারা পেশাব করে দেয়, অথবা নাপাক লেগে যায়,
সোফা বাচচার পেশাব পায়খানার কারনে নাপাক হয়ে যায়, এখন এত বড় বেড বিছানা সোফা কিভাবে
পাক করতে হবে তা আমরা বুঝতে পারি না।

মনে রাখবেন- শরীয়ত
কোন কিছুকে পাক করার দাবী তখনই করে যখন সেটি ছাড়া আপনি কোন এবাদত করতে পারেন না, যেমন
কাপড় নাপাক হলে তা পাক করতে হবে কারন কাপড় পরিধান করে আপনাকে নামাজ পড়তে হবে, তেমনি
আপনার শরীরে যদি নাপাক লেগে থাকে যেহেতু এই শরীর নিয়ে আপনি নামাজ পড়বেন তাই তা পাক
করা আপনার জন্য ওয়াজিব।

যদি এমন কিছু
না হয় তাহলে শরীয়ত সেটিকে পাক করার দাবীও করে না, যেমন সোফার গদীতে বাচ্চা পেশাব করে
দিল, এখন আপনি তা ধুয়ে পাক করতে পারবেন না, তাই কোন ভাবে তা শুকিয়ে নিবেন আর গন্ধ দুর
করে নিবেন তাই যথেষ্ট হবে, শরীয়ত আপনাকে বলবে না যে আপনি সোফার গদিকে সম্পূণ ধুয়ে পাক
করুন, তাই আপনি যদি এটাকে না ধুয়ে এভাবে ছেড়ে দেন তাহলে আপনি গুনাহগার হবেন না, তবে
যেখানে পেশাব করেছে সে গদি শুকিয়ে গেলেও তার উপর যেন ভিজা হাত না লাগে বা কেহ ঘামে
ভিজে গিয়ে ভিজা গায়ে সে গদির উপর বসলে নাপাক হয়ে যাবে, এবং সে গদির উপর বসে কোন জিকিরে
এলাহি থেকে বিরত থাকবেন।

তেমনি ধরুন বিছানার
বেডে  বাচ্চা পেশাব করে দিয়েছেন এখন এত বড় বেড
ধোয়া সম্ভব নয়, তাই যে কোন ভাবে ফ্যানের বাতাসে কিংবা রোদে দিয়ে তা শুকিয়ে নিবেন এবং
সে বেডের উপর যে চাদর আছে তা পরিবতন করা সম্ভব সুতরাং চাদর পরিবতন করে পরিস্কার চাদর
বিছিয়ে দিবেন, তবে এরপরও যদি সে বেডে যেখানে বাচচা পেশাব করেছে যদিও তা শুকিয়ে গেছে
এখন আপনার শরীর যদি ভিজা হয় ধরুন আপনার শরীর ঘামে সম্পূণ ভিজা আর আপনি সে ভিজা শরীরে
বিছানায় শুয়ে গেলেন আর আপনার ভিজা শরীর সে নাপাক স্থানে লেগে যদি নাপাক স্থানটি ভিজে
যায় যেখানে বাচ্চা পেশাব করেছিল আর তা আপনার কাপড়ে বা শরীরে লেগে যায় তাহলে আপনার শরীর
ও কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। আর আপনার শরীর যদি শুকনা থাকে এবং বিছানাও পেশাবের স্থান শুকিয়ে
যায় তাতে কোন পার্থ্যক্য আসবে না।

মোট কথা বেড বিছানা সোফা
ধোয়া সম্ভব না হলে শুকিয়ে নিবেন, যে কোন উপায়ে গন্ধ দুর করে নিবেন, তবে ভিজা শরীর ভিজা
হাত দ্বারা সে নাপাক স্থানে ধরবেন না।