বিয়ের প্রথম রাতের ভুল ধারনা। Women Virginity








বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জা আল হকের প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলে
ভালো আছেন, আমাদের দোয়া আল্লাহ পাক আপনাদেরকে সুস্থ ও শান্তিতে রাখুক।
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের সমাজে আজব আজব কাহিনি ও
চিন্তা ভাবনা পাওয়া যায়, যা যুগ যুগ ধরে আমাদের পরিবারসমুহে প্রচলন হয়ে আসছে, কিন্তু
যখন এর পিছনে প্রকৃত সত্য কি তা জানার চেষ্টা করা হয় তখন এর কোন সত্যতার কোন দলিল খুঁজে
পাওয়া যায় না।
আজ যে বিষয়ে আমরা কথা বলতে যাচ্ছি, তা হল বাসর
রাতের সাথে সম্পর্কিত। বাসর রাত এমন এক বিষয় যার ব্যপারে প্রত্যেক নর নারীরই আগ্রহ
বেশী দেখা যায়। আর তাদের এই আগ্রহকে পুঁজি করে নানান মানুষ নানান ধরনের আজব আজব গল্প
তাঁদের শুনিয়ে থাকে। আর এসব শুনে শুনে তাদের দেমাগে মানুষ ভুল চিন্তা ভাবনা সৃষ্টি
করে দেয়্
আজ সে সব বিষয় জানাতেই আমাদের আজকের প্রচেষ্টা,
এ গুরুত্বপূণ বিষয়টির সঠিক তথ্য জানতে আমাদের এই ভিডিওটি না টেনে শেষ পযন্ত দেখার অনুরোধ
রইল।
আমাদের আজকের ভিডিও তাদের জন্য যাদের এখনও বিয়ে
হয়নি, এবং যাদের বিয়ে হয়েছে কিন্তু বিয়ের প্রথম রাতের ব্যপারে তাদের মনে নানা ধরনের
কু ধারনা চলে আসছে।
আজকের বিষয়বস্তু আপনার বিয়ের প্রথম রাতের ব্যপারে
অনেক ভুল ধারনা দুর করতে সহায়ক হবে।
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকে িএমন খবর পড়েছেন,
বিয়ের প্রথম রাত কনে কুমারী নয় এমন ধারনায় বর ও তার আত্মিয়রা কনেকে খুন করে ফেলেছে।
অনেক লোক এটা শুনে হয়ত চমকে উঠবেন, এ কথা চিন্তা
করে যে, কিভাবে কনেকে কুমারী কিনা তা যাচাই করা যায়? কি পদ্ধতি অবলম্বন করে এসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন
লোক কনেকে কুমারী কিনা তা জানার চেষ্টা করেন?
বন্ধুরা আপনারা জেনে আশ্চর্য্য হবেন, এমনও লোক
দুনিয়ায় আছে যারা বিয়ের প্রথম রাত কনের সাথে সহবাস করার সময় রক্ত বের হওয়াকেই কনে কুমারী
বলে ধরে নেন।
-আর বিয়ের প্রথম রাত যদি রক্ত বের না হয় তাহলে
কনেকে চালু মনে করেন।
বন্ধুরা আপনাদের এসব লোকের এমন নোংড়া চিন্তার
ব্যপারে বলছি- এরা বিয়ে করা স্ত্রীকে কি ভাবে?
এরা ঐ দল যারা বিয়ের প্রথম রাত স্ত্রীর রক্ত
না দেখে নিজের স্ত্রীকেই চালু মনে করতে থাকে। অথচ এদের মধ্যে এমন এমন বদকার বরও আছে
যারা যৌবনের বেশীরভাগ সময় বদকারীতেই কাটিয়েছে, শরাব নেশা নারীর পিছনে কেটেছে।,
আর এরাই স্ত্রীর কুমারী হওয়ার চিহ্ন খুঁজে রক্ত
প্রবাহিত হওয়াকে। অথচ যে কোন কুমারী নারী সিড়ি চড়ার সময়, দৌড়া দৌড়ি করতে সময়, সাইকেল
চালাতে সময় কিংবা যে কোন ভাবেই নারীর মধ্যে থাকা এ পাতলা ঝিল্লিটি ফেটে যেতে পারে,
সুতরাং বিয়ের প্রথম রাত যদি আপনার স্ত্রীর থেকে রক্ত বের না হয় তাতে কখনো এটা প্রমাণ
হয়না যে আপনার স্ত্রী একজন অসৎচরিত্রের নারী।
যারা এসব ভুল চিন্তা নিয়ে বিয়ে করছেন, তারা বিয়ের
আগে এসব কুচিন্তা ভুল ধারনা মন থেকে ধুয়ে সাফ করে ফেলুন, না হয় আপনার মনের এমন কু খেয়াল
আপনার পরিবারে অশান্তি নামিয়ে আনবে।
বিয়ের রাতে ২য় ভুল ধারনা হল- যারা বিয়ের প্রথম
রাত বেশী সময় ধরে কাজ করতে হবে, তাদের এই ভুল ধারনা দেমাগে সওয়ার হয়ে থাকে যে যদি বিয়ের
প্রথম রাতে ১ ঘন্টার কম সময়ে বা অল্প সময়েই ডিসচাজ হয়ে যায় তাহলে সে দুবল বলে গন্য
হবে।
এদের মধ্যে অনেক শিক্ষীত লোকও আছেন, আবার অনেকে
আছে নানা কু কর্ম করে যৌনশক্তি হারিয়ে ফেলে আর বিয়ের দিন কাছালে তারা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে
পরে। আর বিভিন্ন হাকিম কবিরাজের কাছে দৌড়াতে থাকে। কেহ কেহ এমন মেডিসিন ব্যবহার করে
যার ফলে নিজের সঙ্গীকে বিপদে ফেলে দেয়। আর এর ফলে বাসর রাতে হাসপাতালে দৌড়াতে হয়।
৩য় গ্রুপ এমন আছে যারা বিয়ের প্রথম রাত নববধুকে
বেশী কষ্ট দেয়াকে নিজের পুরুষত্বের পুনাঙ্গতা মনে করেন, তাদের ধারনা যদি বিয়ের প্রথম
রাত স্ত্রীকে কাঁদতে বাধ্য করতে পারে তাহলে তার চেয়ে শক্ত পুরুষ আর কেহ নাই। আপনারা
পাশ্ববর্তী হাসপাতাল বা ক্লিনিকে খোঁজ নিয়ে দেখবেন, প্রতি মাসে ১ বা ২টি কেইস এমন আসে
যে বিয়ের প্রথম রাত এমন পুরুষের হামলায় নববধুর অবস্থান হাসপাতালের ইমারেজন্সিতে। এসব
জানোয়াররুপি মানুষকে বুঝানো দরকার যে আপনার স্ত্রীও একজন মানুষ সেও কারো বোন বা মেয়ে।
সে যদি প্রথম রাতে অপারগ হয় তাহলে তাকে কিছু সময় দাও, এটা জরুরী নয় যে প্রথম রাতেই
এই পরীক্ষায় নববধুকে ফেলতে হবে।
৪থ গ্রুপ ঐ সব লোকের যাদের সারা জীবন নষ্ট মুভি
দেখে দেখে কেটেছে। আর তাদের দেমাগে নষ্ট ফ্লিমের সিনসমুহ সওয়ার হয়ে থাকে। আর তারা সারা
জীবন তাদের দেমাগে এসব ফ্লিমের সিনসমুহ পালন করে বিয়ের প্রথম রাতের জন্য অধির আগ্রহে
অপেক্ষা করতে থাকে। আর এসব সিনসমুহকে নিজের বাস্তব ও পবিত্র জীবনে এপ্লাই করতে গিয়ে
দুঘটনার সম্মুখিন হয়।
৫ম গ্রুপ ঐ সব লোক যারা বিয়ের প্রথম রাতে একাধিকবার
এ কাজ করতে হবে এবং পরের দিন বন্ধুদের কাছে তার বয়ান দিতে হবে,  অলিমার সকালে দুলাকে দেখতেই তার বন্ধুরা প্রশ্ন
করেন হ্যাঁ ভাই কতবার ? আর দুলাও মুচকি হেসে বন্ধুদেরকে নিজের পুরুষত্ব জাহির করতে
আঙ্গুলের ইশারায় সংখ্যা বলে দেয়। অথচ তার জানা দরকার যে স্বামী স্ত্রী একে অপরের পোষাক।
পোষাক যেমন মানুষের লজ্জা ঢাকে তেমনি স্বামীর উচিত স্ত্রীর ইজ্জত সম্মান লজ্জাকে ঢেকে
রাখা। এসব বাহাদুরীর বিষয় না, প্রকাশ করার বিষয় না। আপনি এসব প্রকাশ করে ভরা বাজারে
নিজের স্ত্রীকে খোদ উলঙ্গ করে দিলেন।
প্রিয় দোস্ত ভাগ্যের নিমম পরিহাস, আজ কাল আমরা
এমন এক সমাজে অবস্থান করি, যেখানে রাত দিন নষ্ট চিন্তা, খারাপ কথা, বলা যায় কিন্তু
এসব গুরুত্বপূণ কথা বলতে মানুষ লজ্জা পায়, যা আমাদের শিক্ষা করা জরুরী, জানানো দরকার
তা জানা থেকে দুরে কিন্তু যা জানা দরকার নাই তা নিয়েই আমরা রাত দিন ব্যস্ত, তাই আজ
আমাদের ভাই ও বোনেরা এসব বিষয় না জেনে নানা ধরনের ভুল কের থাকে ভুলে মধ্যে ডুবে থাকে।
এসব বিষয় মসজিদের ইমামরাও বলতে লজ্জা করে, মা
বাবারাও সন্তানদের এসব বিষয়ে শিখাতে লজ্জা বোধ করে, তাই আমাদের নওজোয়ানেরা এদিক সেদিকের
কথা শুনে সেটাকেই সঠিক বলে মনে করে আর চলতে ফিরতে নিজের ভিতর এক হিংস্রতা লালন পালন
করে থাকে।
বন্ধুরা এ টপিকটির বিষয় আপনাদের যদি আরো কিছু
জানা থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, এবং নতুন কোন বিষয় আপনার জানার থাকলে অবশ্যই
কমেন্ট করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.