মাথা থেকে কুচিন্তা ওয়াসওয়াসা দুর করার আমল







বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জা আল হকের প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলে
ভালো আছেন, আমাদের দোয়া আল্লাহ পাক আপনাদেরকে সুস্থ ও শান্তিতে রাখুক।
প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের জন্য আজ এমন একটি বিষয়বস্তু
নিয় হাজির হয়েছি, যার শিকার প্রায় সকলেই। দেমাগে শয়তানি খেয়াল ও ওয়াসওয়াসা আসা।
সে সব ওয়াস ওয়াসা থেকে কিভাবে বাঁচা যাবে? প্রিয়
বন্ধুরা সে বিষয়ে কুরান ও হাদীসের আলোকে আপনাদেরকে জানাব। সে বিষয়ে হযরত আলী (রাঃ)
এর একটি রেওয়ায়েতও আপনাদের বলব।
প্রিয় বন্ধুরা প্রত্যেক মানুষের দেমাগে নানা
ধরনের চিন্তা ভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকে, আজকের আলোচনায় আপনারা জানতে পারবেন এমন ওয়াসওয়াসার
কারন কি? আমাদের আঁকা (দঃ) এই ব্যপারে কি এরশাদ করেছেন? এবং আমরা এসব ওয়াসওয়াসা থেকে
কিভাবে নাজাত পেতে পারি?
বন্ধুরা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ জানকারীর জন্য এই
ভিডিওটি না টেনে শেষ পযন্ত দেখার অনুরোধ রইল।
প্রিয় বন্ধুরা ওয়াসওয়াসা রোগসমুহ থেকে একটি রোগ।
যা শয়তান মানুষের উপর সওয়ার হওয়ার কারনে সৃষ্টি হয়। অথবা যখন নফসে আম্মারা শক্তিশালী
হলে তখন এই ওয়াসওয়াসা আসে।
বতমান যামানায় ওয়াসাওয়াসা অনেক বড় একটি রোগ।
ওয়াস ওয়াসা নষ্ট চিন্তা ভাবনা ও সন্দেহকে বলা হয়। যা শয়তান মানুষের অন্তরে ঢেলে থাকে।
এই ওয়াস ওয়াসা কখনো আকিদার ব্যপারেও আসে, যেমন
এই চিন্তা আসা -
আল্লাহ বলতে কেহ কি আছেন?
আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন?
কখনো এবাদত নামাজ ও পাক পবিত্রতার মধ্যে সন্দেহ
সৃষ্টি হয়। কখনো অজানা রোগ ব্যধীর ব্যপারে ভয়ের কারনে হয়ে থাকে। মোটামোটি নানা ধরনের
বিষয়ে নানান ধরনের ওয়াসওয়াসা মানুষের দেমাগে আসতে থাকে। কখনো এমন হয় নামাজের তাকবীরে
তাহরীমা বলার পর আমরা নানা ধরনের চিন্তায় মগ্ন হয়ে যাই, হুশ ফিরে আসে যখন ইমাম সাহেব
সালাম ফিরান তখন।
বন্ধুরা এখন প্রশ্ন হল এ ধরনের ওয়াসওয়াসা কেন
আসে? আর এই ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার জন্য আমাদের জন্য কি হকুম আছে?
আসুন শরীয়ত ও সুন্নতের আলোকে এই সমস্যার সমাধান
জেনে নিই।
# হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হুযুর (দঃ)
এর কাছে চিন্তা ও ওয়াসওয়াসার ব্যপারে প্রশ্ন করলেন, এয়া রাসুলাল্লাহ মনের মধ্যে যে
কুফুর শিরিক ফিসক ফুজুরের যে খেয়াল আসে সেটার হকুম কি? তখন নবী (দঃ) ফরমালেন এই ধরনের
ওয়াসওয়াসা খালেস ঈমানের আলামত।
আর এই হাদীসের
ব্যাখ্যায় হাদিস বিশারদগন বলেন- মুলত ওয়াসওয়াসা শয়তানের একটি কাজ,  এটা সুস্পষ্ট যে নিঃসন্দেহে শয়তান আমাদের ঈমানের
ডাকাত ও লুটেরা। আর শয়তান সে ঘরেই ডাকাতি করে যে ঘরে তার কাংখিত দৌলত মওজুদ আছে। অথ্যাৎ
যার ভিতর ঈমান আছে তার ভিতরেই শয়তান ওয়াসওয়াসা ঢালতে থাকে।
এক হাদীসে আছে-
আল্লাহ তায়ালা শয়তানের জালকে ওয়াসওয়াসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন।এর আগে বাড়তে
দেননি।
অপর এক হাদীসে
আছে- আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতের অন্তরে যে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি হয়, তা ক্ষমা করে দেন।
সুতরাং কারো মনে যে ওয়াসওয়াস সৃষ্টি হয় সন্দেহ সৃষ্টি হয় তার জন্য পাকড়াও করা হবে না,
বরং আমলের জন্য পাকড়াও করা হবে।
বন্ধুরা আপনারা
অনেক লোককে দেখবেন সকাল সন্ধ্যার জিকির আজকার ও এবাদতে অলসতা করে থাকে, তারা ঘুমানের
আগে, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ঘরে প্রবেশের সময় শরীয়তের আহকামের গুরুত্ব দেয়না, এর পিছনে
শয়তানি ওয়াসওয়াসা কাজ করে।
যখন মানুষ এসব
ছোটখাট জিকির ও সুন্নত আমলকে ছেড়ে দেয় তখন শয়তান তাদের উপর আরো বেশী শক্তিশালী হয়ে
যায়। এবং মানুষকে নানা ধরনের মানসিকভাবে বিপযস্থ করে ফেলে।
বন্ধুরা অপর এক
হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বণিত- আল্লাহর রাসুল (দঃ) ফরমায়েছেন- তোমাদের মধ্যে
কারো কারো কাছে শয়তান আগমন করে, আর বলতে থাকে অমুক জিনিষ কে সৃষ্টি করেছে? তমুক জিনিষ
কে সৃষ্টি করেছে? এক পযায়ে বলে তোমার প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে? যখন মামলা এতটুকু পযন্ত
পৌঁছে যায় তখন আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রাথনা করা। -
বুখারী ও মুসলিমের
অপর বণনায় আছে- যখন এমন চিন্তা আসে তখন যেন বান্দা বলে  আমানতু বিল্লাহি ওয়া রাসুলিহি। আমি আল্লাহ ও রাসুল
এর উপর ইমান আনলাম।
বন্ধুরা এবার আসুন
আমরা এ ধরনের কু খেয়ালা ওয়াস ওয়াসা থেকে বাঁচব কিভাবে? এ ব্যপারে ওলামা ও ফোকাহাগন
বলেছেন
ওয়াসওয়াসার চিকিৎসা
ঈমানকে শক্তিশালী করার দ্বারা হয়ে থাকে।শয়তানের রাস্তাকে দুবল করার দ্বারা এর চিকিৎসায়
সাহায্য পাওয়া সম্ভব। বেশী বেশী নেক আমল করুন, আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে পরিচালিত করুন,
বেশী বেশী জিকির তসবিহ ও এসতেগফার করুন, নামাজের যন্ত নিন এবং আল্লাহর সামনে রোনাজারি
করুন,
আর হারাম বস্তু
থেকে বেঁচে থাকুন, হারাম জিনিষের দ্বারাও ওয়াসওয়াসা বৃদ্ধি পায়, এ ব্যপারে হযরত আলী
(রাঃ) এর একটি বাণী প্রনিধানযোগ্য।
হযরত আলী (রাঃ)
এর কাছে এক লোক আসল এবং সে ওয়াসওয়াসার অভিযোগ করল, তাকে হযরত আলী (রাঃ) নসিহত করলেন
হারাম মাল ও হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাক। এবং যখন খেতে বসবে তখন হালাল খাদ্য খাওয়ার সময়
(এয়া গাফুরু এয়া আল্লাহু এয়া রাহমানু) বলে খাবারে দম কর। এই আমল দ্বারা ওয়াসওয়াসা আসা
বন্ধ হয়ে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.