কখন বিয়ে করা ফরয? কখন বিয়ে করা হারাম?
Best Age of Marriage
ছেলেদের বিয়ের উপযুক্ত সময় কখন? রাসুলুল্লাহ
(দঃ) এর প্রথম বিয়ে ২৫ বছর বয়সে হয়েছিল। এখন ছেলেদের জন্য কি এই ২৫ বছর বয়সকে সুন্নত
হিসেবে ধরা যাবে কিনা?
এই ব্যপারে ওলামায়ে কেরাম বলেন আমাদের প্রিয়
নবী করিম (দঃ) যখন ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেন তা ইসলামের পূর্বের ঘটনা, আর যেহেতু তা ইসলামী
শরীয়তের প্রবর্তনের পূর্বের ঘটনা তাই সে সময়কার প্রিয় নবীর প্রতিটি আমল আমাদের জন্য
অনুসরন জরুরী নয়।
আমাদের দয়াল নবী যখন ইসলাম প্রচার শুরু করলেন
ইসলামী শরীয়তের বিধান প্রবর্তন করছেন তখন কি হকুম দিয়েছেন সেটাই আমাদের জন্য ফলো করতে
হবে অনুসরন করতে হবে।
ইসলামী শরীয়তে বিয়ের জন্য নিদৃষ্ট করে বয়সের
কোন সীমা ফিক্স করে দেয়নি। তবে যদি ছেলে বালেগ হয় এবং বিয়ে করার যোগ্যতা ও সামথ থাকে
তাহলে দেরী করা উচিত নয়। এ ব্যপারে ৪ প্রকারের হকুম
১। বালেগ হওয়ার পর যদি ছেলে কোন গুনাহের দিকে
ধাবিত না হয়, এবং সে বিয়ে করলে স্ত্রীর হকসমুহও ঠিক মত আদায় করতে পারবে এবং স্ত্রীর
ভরন পোষন দেয়ারও যোগ্যতা রাখে তখন সে ছেলের জন্য বিয়ে করা তখন সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।
২। আর যদি বালেগ হওয়ার পর স্ত্রীর হক আদায় করার
ও স্ত্রীর ভরন পোষন দেয়ার সামর্থ রাখে এবং বিয়ে না করলে যেনাতে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে, ১০০% সিওর না বরং যেনাতে লিপ্ত হওয়ার সন্দেহ দেখা যায়, তখন সে ছেলের জন্য বিয়ে
করা ওয়াজিব।
৩। আর যদি বালেগ হওয়ার পর স্ত্রীর হক আদায় করার ও স্ত্রীর ভরন পোষন দেয়ার সামর্থ
রাখে এবং বিয়ে না করলে সত্যি সত্যি ১০০% সিওর যেনাতে লিপ্ত হয়ে যাবে, তখন তার জন্য
বিয়ে করা ফরয।
৪। আর যদি বালেগ হওয়ার পর স্ত্রীর হক আদায় করার
কুদরত না রাখে, ভরন পোষন দিতে পারবে না বলে সন্দেহ হয় তার জন্য বিয়ে করা মাকরুহে তাহরিমি।
৫। আর যদি ১০০% সিওর সে তার স্ত্রীর হক ও ভরনপোষন
আদায় করতে পারবে না তখন তার জন্য বিয়ে করা হারাম।
আর যে ছেলে বিয়ে করার পর স্ত্রীর হক ভরন পোষন
আদায় করার সামথ না রাখে, কিন্তু গুনাহে লিপ্ত হতে পারে এমন সম্ভাবনা দেখা দেয়, তার
জন্য শরীয়তের হকুম হল সে রোযা রাখবে। এবং নেককার ও পবিত্র লোকদের সোহবতে থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই