সন্তানকে নামাজি বানানোর নিয়ম। ১০ বছরে নামাজ পড়ানোর কৌশল। Namaz Sikkha Ja...
বাচ্চা নামাজ না পড়লে কি পরিমান মারা যাবে?
আমরা দেখি বাচ্চারা খেলাধুলার প্রতি বেশী ধাবিত, তারা নামাজের টাইম হলে কখনো কখনো পড়ে কখনো কখনো ছেড়ে দেয়, আমাদের প্রিয় নবীজির ফরমান বাচ্চা যখন ৭ বছর হয় তখন তাদের নামাজের হকুম দাও আর যখন ১০ বছর হয় তখন তাদের মেরে মেরে নামাজ পড়াও।
এখন এই মারার যে নির্দেশ অনেকে জানে না কি ধরনের মার মারতে হবে? মার মানে ঐ মার নয় যে মার দ্বারা বাচ্চা ইনজুর হয়ে যায়, হাড্ডি ভেঙ্গে যায়, অনেক সময় বাচ্চাকে মা বাবা বা ওস্তাদ অল্প দুস্টমির কারনে এত বেশী মারে যে হাড্ডি পযন্ত ভেঙ্গে যায়। আমাদের প্রিয় নবী চেহেরায় মারতে নিষেধ করেছেন, হাড্ডি ভেঙ্গে যায় এমন ভাবে মারত মানা করেছেন। এবং এমন মারধর করতে নিষেধ করেছেন যার ফলে শরীরে দাগ হয়ে যায়।
সুতরাং এখানে নামাজের জন্য হুযুর (দঃ) এর যে ফরমান তা শুধু ধমকানোর জন্যই বলা হয়েছে। হাকিকতান বাচ্চাকে শারিরিক কষ্ট পৌঁছানো মকসদ নয়।
বতমান সময়ে বাচ্চাদের নামাজের দিকে ধাবিত করার সহজ পদ্ধতি হল মারধর না করে, অত্যন্ত মহব্বতের সাথে তাদের বুঝাতে হবে, নিজের সাথে সাথে মসজিদে নিয়ে যেতে হবে, এবং নামাজের জন্য পুরস্কারের ঘোষনা দিতে পারেন, যেমন কোন একটি নিউজ হয়ত আপনারা শুনেছেন যে এক শহরের মসজিদের পক্ষ থেকে ঘোষনা করা হয়েছে যারা ৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামাতে পড়বে ৪০ দিন যাবৎতাদের সাইকেল দেয়া হবে, দেখা গেল সে এলাকার সব ছেলেগুলি নামাজে অভ্যস্থ হয়ে গেল। আপনিও সে ধরনের পুরস্কারের কথা ঘোষনা করতে পারেন।
এভাবে যখন আপনার সামর্থ্য মোতাবেক বাচ্চাকে নামাজের জন্য পুরস্কার দিতে থাকেন এক সময় দেখবেন সে নামাজে অভ্যস্থ হয়ে যাবে। ৮/৯/১০ বছর বয়সে এভাবে বাচ্চাদের নামাজের দিকে ধাবিত করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই