নামাজে ও ঘুমে শয়তানকে থুথু মারার ফজিলত ও নিয়ম
নামাজে ও ঘুমে শয়তানকে থুথু মারার ফজিলত ও নিয়ম
Video Link:
বুখারী ৪১৬, মুসলিম ৫৪৮, আহমাদ ৮২৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৭৮৩, নং হাদীস
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে যেন তার সামনের দিকে থুথু না ফেলে। কারণ যতক্ষণ সে তার জায়নামাযে থাকে ততক্ষণ আল্লাহর সাথে একান্ত আলাপে রত থাকে। সে তার ডান দিকেও ফেলবে না, কারণ সেদিকে মালাক (ফেরেশতা) আছে। (থুথু যদি নিবারণ করতে না পারলে) সে যেন থুথু ফেলে তার বাম দিকে অথবা তার পায়ের নীচে, তারপর মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়,
ডানদিকে থুথু ফেলবে না, কেননা ডানদিকে মালাক এসেছে। এখানে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে, ডান দিকে মালাক থাকার কারণে থুথু ফেলা নিষেধ কিন্তু বাম দিকেও মালাক থাকে, এতদসত্ত্বেও ‘‘বাম দিকে থুথু ফেলে’’ বলার তাৎপর্য কী। উক্ত প্রশ্নের উত্তর নিম্নরূপ হতে পারে-
০১. নিশ্চয় ডান দিকের মালায়িকাহ্ সালাত আদায়কারীর ভালো ‘আমলসমূহ লিখেন আর সালাত হচ্ছে শারীরিক ‘ইবাদাতসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ,
এটি খারাব ও গর্হিত কাজ হতে বিরত রাখে। সুতরাং সালাতের মধ্যে বাম দিকে অন্যায় কাজের হিসাবরক্ষকের কোন ভূমিকা নেই।
০২. প্রত্যেকের সাথে শায়ত্বন (শয়তান) রয়েছে। তার অবস্থান বামদিকে, যেমন আবূ ‘উমামার হাদীস ত্ববারানীতে।
তার সামনে আল্লাহ ডানদিকে মালাক এবং বামদিকে শায়ত্বন (শয়তান)। থুথু ফেললে শায়ত্বনের (শয়তানের) উপর পড়বে।
বাম দিকে শয়তানকে থুথু মারার অপর একটি হাদীস আছে যেমন
বুখারী শরীফের ৩০৬২ নং হাদীস
قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ
بْنُ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
" الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ مِنَ اللَّهِ، وَالْحُلُمُ مِنَ الشَّيْطَانِ
فَإِذَا حَلَمَ أَحَدُكُمْ حُلُمًا يَخَافُهُ فَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ،
وَلْيَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّهَا، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".
আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সৎ ও ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আর মন্দ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। অতএব তোমাদের কেউ যখন ভীতিকর মন্দ স্বপ্ন দেখে তখন সে যেন তার বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করে আর শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্যয় প্রার্থনা করে। তা হলে এরূপ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
তাহলে বুঝা যায় শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে বাঁচার জন্য শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার জন্য আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম পড়ে বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করতে হয়। এখন যে সব ভাই বোনের মনে নামাজে দাঁড়ালে নানা ধরনের ওয়াস ওয়াসা আসে তাদের জন্য প্রথম করনীয় হয় যে সব কারনে ওয়াস ওয়াসা আসে সে সব কারন খতম করে দেয়া, যেমন আপনি নামাজে দাঁড়ালে ফেসবুক ইউটিউবে সোসেল মিডিয়াতে যা দেখেছেন তা চোখের সামনে ভাসে এখন আপনাকে এসব থেকে বিরত থাকতে হবে, সম্পূণ ছাড়তে না পারেন অন্তত নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার অন্তত ১ ঘন্টা আগে থেকে এসব দেখা থেকে বিরত থাকবেন, তারপর আস্তে আস্তে আরো পরিমান বারাবেন। তারপর নামাজে দাঁড়ানোর পর নিয়ত বাঁধার আগে আউজুবিল্লাহ পড়ে ৩ বার বাম দিকে থু থু থু করবেন। তাহলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা দুর হয়ে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই