সুবহানাল্লাহ বলার আশ্চর্য্য ফজিলত। একটি চমৎকার ঘটনা। Power of Subhanallah





ডাকাত দলের ঘটনা
ঘটনা:  এক  শহরে  কয়েকজন    ডাকাত  ঢুকল।  ঢুকে      তারা     পরস্পরে     পরামর্শ     করল।      খুব সাবধানে কাজ করতে হবে যাতে ধরা না পড়ি। পরামর্শে   ডাকাতদের   সরদার   বলল-   তোমরা  সকলে দরবেশের বেশ ধরে ফেল। সবাই বলল- এটা  কীভাবে করব। সকলে কাপড় রঙিন  করে নাও।    তারপর    প্রত্যেকে    হাতে    একটি    করে  তাসবীহ  নিয়ে সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ করতে থাক।      যেখানেই      যাবে,      জপ      ঐ      একটাই  সুবহানাল্লাহ।  এর  বাইরে কোন শব্দই   উচ্চারণ করবে না।
পরামর্শ     মাফিক    শহরে    প্রবেশ     করে    একটি অতিথিশালায়  আশ্রয়  নিল  এবং  বৃত্তাকার  হয়ে  সকলেই  সুবহানাল্লাহ তাসবীহ জপতে লাগল। তাদের    মুখে     তখন    অন্য    কোন    শব্দ    নেই।  সরদারের       হাতে       সবচেয়ে       বড়        ও        লম্বা তাসবীহ।
এদিকে    সমগ্র     শহরে    সংবাদ    ছড়িয়ে    পড়ল  অতিথিশালায়     বিদেশ      থেকে     এক       দরবেশ এসেছে।  বিশাল  জামাত সঙ্গে। তারা   আল্লাহর জিকির    ছাড়া   আর     কোন   কথাই   মুখে   আসে না।
এবার    দলে    দলে      সাক্ষাতে    আসতে     লাগল  মানুষ। মুসাফা করছে।  নিজেদের সমস্যাবলীর  কথা  বলছে।    অবশেষে  সে  অঞ্চলের    বাদশাহ পর্যন্ত  একদিন  বিরাট   ফৌজসহ   দরবারে   এসে হাজির।   এসে   আরয   করল-   দরবেশ   সাহেব!  আপনার       ফয়েজলাভে       ধন্য       হব।      তিনি       দরবেশকে    তার    দলসহ     দাওয়াত     করলেন। দরবেশ দাওয়াত কবুল করে নিলেন।
এদিকে    বাদশাহর    এক    পুত্র     দীর্ঘদিন    যাবৎ  পাঘাতগ্রস্ত ছিল।
বহু চিকিৎসা  করিয়েছেন। কাজ হয়নি কিছুই  । খানা-পিনার   পর    বাদশাহ    দরবেশ    সাহেবের  খেদমতে     আরজ     হুজুর!     আপনিতো     আল্লাহ  তা’য়ালার  বিশেষ  মাকবুল  বান্দা!  আপনি  দয়া  করে   আল্লাহ   তা’য়ালার   দরবারে   দোয়া   করে  দিন,   যাতে  তিনি  মেহেরবাণী  করে   আমার  এ  ছেলেকে সুস্থ করে দেন। আমার জীবনের এটাই শেষ স্বপ্ন।
অবশেষে   দরবেশ   তার   সঙ্গীদেরসহ   আল্লাহর  দরবারে   হাত   তুলে   নেহায়েত   বিনয়ের   সাথে  কাঁদতে     লাগল!    হে    আল্লাহ    আমরা     সকলই পাপী, গোনাহগার। কিন্তু এতেতো কোন সন্দেহ নাই,  আমরা তোমারই বান্দা।  তোমার দরবার ছেড়ে আমরা যাব কোথায়! কোথায় গিয়ে কাঁদব আমরা। আজ আমাদের ইজ্জত রাকারী একমাত্র তুমি মাওলা।
ডাকাতদল     কান্নায়     ভেঙ্গে      পড়েছে     রহমান   রাহীমের  দরবারে।  ওদিকে  রহমতের  দরিয়ায়  জোস ওঠেছে প্রবলভাবে। দুয়া কবুল হল। সঙ্গে সঙ্গে শাহজাদা সুস্থ হয়ে উঠল।


এই   অবস্থা  দেখে    দরবেশ  মনে  মনে    ভাবতে  লাগল।    হায়!   মানুষকে   ধোকা   দেয়ার    জন্যে দরবেশির   বেশ  ধরছিলাম।  এই   ভণ্ডামির  যদি  এই        ফসল      হয়       তাহলে       সত্যিকার      অর্থে এখলাসের সাথে যদি  আল্লাহকে  ডাকি   তাহলে তার    ফসল    কত   ব্যাপক   ও    অধিক   হবে   তা কেবল আল্লাহই জানেন। একথা বলে সকলেই আল্লাহু   আকবার     বলে    চিৎকার   করে    ওঠল। শহরের     নিভৃত   অঞ্চলে  গিয়ে  আল্লাহর   স্বরণে মশগুল  হয়ে    পড়ল।  বর্ণিত  আছে,   পরে  তারা সকলেই পূর্ণ ওলী হয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.