বরতন ধোয়ার সময় ১টি কাজ করলে ঘর থেকে বরকত চলে যায়। আদর্শ নারী।Adorso Nari...
নারীদের এই কাজ গোটা ঘরকে বরবাদ করে দেয়
রাসুল (সা.)-এর কোনো সুন্নতই অনর্থক নয়। প্রতিটি সুন্নতেই আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সুন্নত হলো, খাবারের পর আঙুল চেটে খাওয়া। খাবারের অপচয় থেকে বিরত থাকা। কেননা খাবার হলো মহান আল্লাহর নিয়ামত। এর অপচয় কোনোভাবেই কাম্য নয়।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) খাওয়ার পর তাঁর তিনটি আঙুল চেটে নিতেন। তিনি বলতেন, তোমাদের কারো খাবারের লোকমা নিচে পড়ে গেলে সে যেন তার ময়লা দূর করে তা খেয়ে নেয় এবং শয়তানের জন্য তা ফেলে না রাখে। (বর্ণনাকারী বলেন) আমাদের তিনি থালাও চেটে খাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের খাদ্যের কোন অংশে বরকত রয়েছে, তা তোমাদের জানা নেই। (তিরমিজি, হাদিস : ১৮০৩)
উল্লিখিত হাদিসের যথাযথ আমল করা গেলে একদিকে যেমন রাসুল (সা.)-এর একটি সুন্নত পালনের সওয়াব পাওয়া যাবে, তেমনি পৃথিবীও মুক্তি পাবে মহাবিপর্যয় থেকে। কারণ পৃথিবীব্যাপী খাবারের অপচয়ের ফলে দ্রব্যমূল্য বিদ্যুতের গতিতে বেড়েই চলছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অপচয় হয়, যার পরিমাণ বছরে প্রায় ১৩০ কোটি টন। অথচ অপচয় হওয়া বিপুল পরিমাণ এই খাবারের এক-চতুর্থাংশও যদি বাঁচানো যায়, তাহলে তা দিয়ে ৮৭ কোটি দুস্থ মানুষের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব, যা আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার পাঁচ গুণ বেশি।
পৃথিবীজুড়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটায় কোটি কোটি মানুষ। অথচ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অপচয় হওয়া খাদ্যগুলো চলে যায় ডাস্টবিনে কিংবা নর্দমায়। শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়েই খাবারের অপচয় হয় না, বিপণন পর্যায়েও পণ্যের মান বিবেচনা করতে গিয়ে নষ্ট করা হয় প্রচুর খাদ্য।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলে ঘোষণা করেছেন। সুরা আরাফের ৩১ নং আয়াতে আরো ঘোষনা করেন
يَا بَنِي آدَمَ خُذُواْ زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ وكُلُواْ وَاشْرَبُواْ وَلاَ تُسْرِفُواْ إِنَّهُ لاَ يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ
হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [ সুরা আরাফ ৭:৩১ ]
হযরত আলী (রাঃ) কাছে এক মহিলা প্রশ্ন করল হে আলী নারীদের কোন কাজের দরুন ঘর থেকৈ বরকত চলে যায়? হযরত আলী (রাঃ) ফরমালেন যে সব নারী খাবার অপচয় করে, অথচ তারা থালা বাসন পরিস্কার করার সময় বেঁচে যাওয়া খাবার ময়লার বাক্সে ফেলে দেয়, যা না বরকতির কারন, তখন সে মহিলা প্রশ্ন করলেন হে আলী তাহলে আমরা সে উচ্ছিষ্ট খাবার গুলি কি করব? হযরত আলী (রাঃ) বলেন যখন খাবার উচ্ছিষ্ট হয় তা এমন জায়গায় রাখ যেখানে আল্লাহর অন্য সৃষ্ট প্রাণি তা খেতে পারে, কেননা যখন কোন রিযিক কোন আল্লাহর মাখলুক খায় তখন সে রিযিক আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন আর যখন কেহ রিযিক অপচয় করে তখন সে রিযিক আল্লাহর দরবারে বদদোয়া করে হে আল্লাহ এই ঘর থেকে রিযিককে খতম করে দাও কেননা এই ঘরের লোকেরা তোমার রিযিকের সম্মান করে না।
কোন মন্তব্য নেই