মহানবীর (দঃ) কাছে এক অদ্ভুৎ মামলা। যিনার সন্তান কার কাছে থাকবে
আজকাল ইউরোপ আমেরিকা থেকে মুফতি সাহেবগণের কাছে প্রশ্ন করা হয়, যেহেতু তারা যেনার দ্বারা যে সন্তান হয় তাকেও সন্তানই মানে, যেনার দ্বারা যে বাচ্চা হয় সে বাচ্চার সাথে যেনাকারীর কোন সম্পর্ক ইসলাম মানে না।
এখন ইউরোপ আমেরিকার লোকেরা ঘরে বউ রেখে বাহিরে অন্য কারো সাথে যখন যেনা করে সে যেনার কারনে যখন বাচ্চা হয় সে বাচ্চা যেনাকারী পুরুষকে ধরিয়ে দেয়, আর সেখানের গভরমেন্ট ও আইন সে বাচ্চাটি যেনাকারীর বাচ্চা বলেই গন্য করে, তখন সে যেনাকারী লোকটি বাচ্চাটি ঘরে নিয়ে আসে আর নিজের ঘরের বউকে বলে একে লালন পালন কর। অথচ ওরাই নারী অধিকারের ¯েøাগান দেয়; এটা কিন্তু নারীদের প্রতি অনেক বড় জুলুম।
যেনার দ্বারা জন্মগ্রহণ করা সন্তানকে আপনি আপনার স্ত্রীর মাধ্যমে লালন পালন করাতে পারবেন না, এটা ইসলামী শরীয়ত অনুমোদন করেনা।
যেনা দ্বারা যে বাচ্চা হবে সে বাচ্চার লালন পালন এর দায়িত্ব জন্মদানকারী নারীর এবং যদি কেহ ফি সবিলিল্লাহ এমন বাচ্চা পালে তা ভিন্ন কথা। জেনাকারীর সাথে সে বচ্চার কোন ওয়ারিশি সম্পর্ক কায়েম হয়না, যেনাকারীও সে বাচ্চার উপর কর্তৃত্ব খাটাতে পারেনা, বরং ইসলাম ধর্মে যেনাকারী হল শাস্তির যোগ্য এবং বঞ্চিত। যেমন বুখারী শরীফের ২৫৫৮ নং হাদীস
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মীনি আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উতবা ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) তাঁর ভাই সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াককাস (রাঃ) কে এই বলে অসীয়াত করেন যে, যামআর দাসীর ছেলেটি আমার ঔরসজাত। তাকে তুমি তোমার অধিকারে আনবে। মক্কা বিজয়ের বছর সা‘দ (রাঃ) তাকে নিয়ে নেন এবং বলেন, সে আমার ভাতিজা (আমার ভাই) আমাকে এর ব্যাপারে অসীয়াত করে গেছেন। আবদ ইবনু যামআ (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, সে আমার ভাই এবং আমার পিতার দাসীর পুত্র। আমার পিতার বিছানায় তার জন্ম হয়েছে। তারা উভয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসেন।
সা‘দ (রাঃ) বলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে আমার ভাইয়ের পুত্র এবং তিনি আমাকে তার সম্পর্কে অসীয়াত করে গেছেন। আবদ ইবনু যামআ (রাঃ) বললেন, সে আমার ভাই এবং আমার পিতার দাসীর পুত্র। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবদ ইবনু যামআ, সে তোমারই প্রাপ্য। কেননা যার বিছানায় সন্তান জন্মেছে, সে-ই সন্তানের অধিকারী। ব্যাভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর (শাস্তি)।
আর বুখারী শরীফের ২০৭৭ নং হাদীসে এটাও আছে( الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ) আল ওয়ালাদু লিল ফেরাশ ওয়ালিল আহিরিল হাজারু- অর্থ্যাৎ বিছানা যার, সন্তান তার। ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে বঞ্চনা।র
সুতরাং যারা ব্যভিচার করল তারা ১টি অপরাধ করল আর ব্যভিচার করে যে বাচ্চা জন্ম দিল সে বাচ্চা নিয়ে এসে নিজের স্ত্রীকে পালন করতে দেয়া ২য় অপরাধ এবং জুলুম।
কোন মন্তব্য নেই