কুরআন পড়ে মৃত মা বাবাকে বখশিশ করার নিয়ম- ইছালে ছাওয়াব করার নিয়ম
কুরআন পড়ে মৃত মা বাবাকে বখশিশ করার নিয়ম-
ইছালে ছাওয়াব করার নিয়ম
কুরআন পড়ে কিংবা কোন নেক আমল করে সে আমলের ছাওয়াব মৃতদের দে বখশিশ করা
যায়, ইছালে ছাওয়াব যাকে বলে, এই ইছালে ছাওয়াব কিভাবে করবেন, এবং এই ইছালে ছাওয়াব
করলে যেমন আপনি ১ খতম কুরআন পাঠ করলেন এখন এর ছাওয়াব আপনি কতজনকে ইছাল করতে
পারবেন, ইছাল করার পর এর ছাওয়াব আপনি পাবেন কিনা এসব বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশা
আল্লাহ।
প্রথমত> যদি আপনি পড়ার আগেই নিয়ত করে নেন যে আমি এই কুরাআন পাঠ করছি
আমার অমুক অমুক মৃতদেরকে ইছালে ছাওয়াব করার জন্য, তখন আপনি এদিকে পড়তে থাকবেন আর
তার ছাওয়াব তাদের রুহে পৌঁছতে থাকবে।
এ সময় কুরআন পড়ার পর যদি আপনি কোন দোয়া নাও করেন তবুও এর ছাওয়াব আপনি
যাদের নিয়ত করেছেন তাদের রুহে পৌঁছে যাবে।
কেননা হাদীসে মোবারকে আছে (ইন্নামাল আমালু বিননিয়্যাহ) আমলের নেকি
(দারুমাদার) নিয়তের উপর নির্ভর করে।
দ্বিতীয়ত- যদি আপনি মৃত পিতা মাতা বা অন্য কারো ইছালে ছাওয়াবের নিয়তে পড়েন
নি, এমনিতেই পাঠ করেছেন আর পড়ার পর আপনি যদি এই দোয়া করেন যে আমার এই কুরআন পড়ার
ছাওয়াব আমার অমুক অমুক মৃতদেরকে বখশিশ করলাম, এভাবে দোয়া করলেও আপনার সে ছওয়াব
মৃতদের রুহে পৌঁছে যাবে।
তৃতীয়ত- কুরআন বা নেক আমল করে তার ছাওয়াব বখশিশ করে দিলে পাঠ কারী বা
আমলকারীর কাছে কি ছাওয়াব বাকী থাকে?
হ্যাঁ অবশ্যই ছাওয়াব পাঠকারীও পাবেন, আলা হযরত লিখেন যদি কেহ ১ বার কুরআন
খতম করে ১০ জন মৃতকে বখশিশ করে সকলের পুরা পুরা ১ কুরআনের ছাওয়াব পৌঁছবে। এমনটি নয়
যে ভাগ ভাগ হয়ে টুকরা টুকরা হয়ে ১০ জন ছাওয়াব পাবে। এবং ১০ জনকে বখশিশ করলে যিনি
পাঠ করেছেন তার আমলনামায় ১০ বার কুরআন পড়ার ছাওয়াব জমা হবে।
সুতরাং এ থেকে ঐ সব ভাই ও বোনেরা শিক্ষা গ্রহণ করুন যারা পুরা মেহনত করে ১
খতম কুরআন পড়ে বলে এটি আমার বাবার জন্য, আবার আরোক খতম করে বলে এটি আমার মায়ের
জন্য,
কোন মন্তব্য নেই