যুগে যুগে বেহায়াপনার আযাব। লজ্জার ফজিলত ও ভালোবাসা দিবসের হাকিকত। Jumah ...
লজ্জা শরমের গুরুত্ব ও ফজিলত, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের অশ্লিলতা,
যুগে যুগে বেহায়াপনার আযাব
আলহায়াউ শুবাতুম মিনাল ঈমান
(লজ্জা ঈমানের অঙ্গ)
রাসূল (সা.) বলেছেন, লাজুকতা ও কম কথা বলা ঈমানের দুটি বৈশিষ্ট্য। আর অশ্লীলতা ও বাচালতা মুনাফিকির দুটি বৈশিষ্ট্য।
হজরত ওমর (রা.)-এর ছেলে হজরত আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ঈমান ও লজ্জা এ দুটি ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। যখন এর একটি ছেড়ে দেয়া হয়, তখন অন্যটি এমনিতেই চলে যায়।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله
عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ "
الإِيمَانُ بِضْعٌ وَسِتُّونَ شُعْبَةً، وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ
".
আবূ
হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ঈমানের শাখা রয়েছে ষাটের কিছু বেশি। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা। (বুখারী-৯)
وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه:
أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « الإيمَانُ
بِضْعٌ وَسَبْعُونَ أَوْ بِضْعٌ وَسِتُّونَ شُعْبَةً: فَأفْضَلُهَا قَوْلُ: لاَ
إِلٰهَ إِلاَّ الله، وَأدْنَاهَا إمَاطَةُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ، وَالحَيَاءُ
شُعْبَةٌ مِنَ الإيمَانِ». متفقٌ عَلَيْهِ
আবূ
হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু
হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘ঈমানের সত্তর অথবা ষাট অপেক্ষা কিছু বেশি শাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বোত্তম শাখা
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা এবং সর্বনিম্ন শাখা
পথ থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেওয়া। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।’’ (বুখারী ও মুসলিম)
সহীহুল বুখারী ৯, মুসলিম ৩৫, তিরমিযী ২৬১৪, নাসায়ী ৫০০৪, ৫০০৫, ৫০০৬, আবূ দাউদ ৪৬৭৬, ইবনু মাজাহ ৫৭, আহমাদ ৮৭০৭, ৯০৯৭, ৯৪১৭, ৯৪৫৫, ১০১৩৪
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا كَانَ الْفُحْشُ فِي شَيْءٍ إِلاَّ
شَانَهُ وَمَا كَانَ الْحَيَاءُ فِي شَيْءٍ إِلاَّ زَانَهُ " .
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে বস্তুর মধ্যে অশ্লীলতা থাকবে, তা তাকে দূষিত করে ফেলবে, আর যে জিনিসের মধ্যে লজ্জা-শরম থাকবে, তা তাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে তুলবে।’সহীহ, ইবনু মাজাহ ৪১৮৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯৭৪
-লজ্জা গোনাহের প্রতিবন্ধক
আবু মাসউদ বদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষ পূর্ববর্তী নবীদের বাণী থেকে এ কথা জেনেছে যে, ‘যখন তোমার লজ্জা নেই তখন তুমি যা ইচ্ছা তাই কর।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৬৯)
-লজ্জা নবীদের চরিত্র
عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرْبَعٌ مِنْ سُنَنِ
الْمُرْسَلِينَ الْحَيَاءُ وَالتَّعَطُّرُ وَالسِّوَاكُ وَالنِّكَاحُ "
আবূ আয়্যূব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চারটি বিষয় হলো রাসূলগণের সুন্নাত; লজ্জা, আতর ব্যবহার, মিসওয়াক এবং বিবাহ।
-হযরত আদম ও হাওয়ার লজ্জা-
পোষাক হল আল্লাহর নেয়ামত, বিবস্ত্র বা উলঙ্গপনা আল্লাহর আযাব
হযরত আদম ও হাওয়া একে অপরের জীবন সঙ্গী হওয়া সত্বেও যখন নিষিদ্ধ
বৃক্ষের ফল খেল প্রথম শাস্তি ছিল পোষাক ছিনিয়ে নেয়া সুতরাং পোষাক না থাকাটা মুলত
আল্লাহর আযাব। যখন তাদের শরীর থেকে পোষাক কেড়ে নেয়া হয় তখন তারা লজ্জায় গাছের পাতা
দিয়ে লজ্জা ঢাকা আরম্ভ করল যা সুরা আরাফে আল্লাহ এভাবে বণনা করেন-
فَدَلاَّهُمَا بِغُرُورٍ
فَلَمَّا ذَاقَا الشَّجَرَةَ بَدَتْ لَهُمَا سَوْءَاتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ
عَلَيْهِمَا مِن وَرَقِ الْجَنَّةِ وَنَادَاهُمَا رَبُّهُمَا أَلَمْ أَنْهَكُمَا
عَن تِلْكُمَا الشَّجَرَةِ وَأَقُل لَّكُمَا إِنَّ الشَّيْطَآنَ لَكُمَا عَدُوٌّ
مُّبِينٌ
অতঃপর প্রতারণাপূর্বক তাদেরকে সম্মত করে ফেলল। অনন্তর যখন তারা বৃক্ষ আস্বাদন করল, তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের সামনে খুলে গেল এবং তারা নিজের উপর বেহেশতের পাতা জড়াতে লাগল। তাদের প্রতিপালক তাদেরকে ডেকে বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করিনি এবং বলিনি যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। [ সুরা আরাফ ৭:২২ ]
-জাহান্নামের ২ দল
(চাবুক, নারীর পোষাক)
নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, জাহান্নামিদের মধ্যে দুটি দলকে আমি দেখিনি। (কিয়ামতের আগে তাদের আবির্ভাব ঘটবে) এক দলের কাছে গরুর লেজের মতো চাবুক থাকবে, সেগুলো দিয়ে তারা মানুষকে প্রহার করতে থাকবে। আরেক দল হলো, এমন সব নারী, যারা কাপড় পরিহিত হবে অথচ তারা প্রকৃত অর্থে নগ্ন থাকবে। তারা পুরুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাইবে, নিজেরাও পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের চুলের খোঁপা উটের চুট ও কুঁজের মতো একদিকে হেলে থাকবে। তারা জান্নাতে যাবে না। জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের ঘ্রাণ বহুদূর থেকে পাওয়া যাবে। (মুসলিম শরিফ : ৪/২১৯২)
আমাদের প্রিয় নবী (দ) ছোট বেলা
থেকেই লাজুক ছিলেন
-কাবা ঘর নির্মাণে বিশ্বনবীর লুঙ্গি ধরে চাচা আবু তালেবের টান
ঘটনা- হুজুর (দ) ১০ বছর বয়সে
কাবা ঘর নির্মানে অংশ গ্রহণ করেন, সমবয়সী সকলেই লুঙ্গি কাঁধের উপর রেখে তার উপর পাথর
রেখে নিয়ে যায়, বিশ্বনবী (দ) ও পাথর নিয়ে যায় তবে লুঙ্গি খুলে না, চাচা আবু তালেব বলেন
মুহাম্মদ কাঁদের উপর লুঙ্গিটি খুলে রাখ তাহলে কাঁধে ব্যথা লাগবে না, মহানবী রাজি হয়না,
লজ্জা পায়, কিন্তু চাচা হুজুরের লুঙ্গি ধরে টান দিতে গেলে তিনি বেহুশ হয়ে পড়ে যায়,
ফলে আর লুঙ্গী খোলা হয়না,
-হযরত ওসমানকে ফেরেশতা লজ্জা করত
একদিন হুজুর (দ) ঘরে শুয়ে ছিলেন হযরত আবু বরক আসলেন
তিনি শুয়ে রইলেন, ওমর আসলেন শুয়ে রইলেন কিন্তু যখন ওসমান আসলেন উঠে পায়ের গোছার কাপড়
টেনে দিলেন - আম্মাজান আয়শা সিদ্দিকা (রা) প্রশ্ন করেন এয়া রাসুলাল্লাহ এমন করলেন কেন?
নবীজি বললেন আমি ওসমানকে এই জন্য লজ্জা করি কারন তাকে ফেরেশতারাও লজ্জা করেন।
-ওসমানের গোসল সতর না ধরার কারন
# হযরত ওসমান (রা) বলেন আমি চার দেয়ালের ভিতরও
কাপড় খুলিনা গোসল করার সময়ও উলঙ্গ হইনা, সতর খুলিনা, যেদিন থেকেনবীজির চেহেরা দেখেছি
সেদিন থেকে নিজের সতরের দিকে তাকাইনা, যে ডান হাত দিয়ে নবীর হাত ধরে বায়াত হয়েছি সে
ডান হাতে নিজের সতরে হাত লাগাইনা।
-হযরত মুসা (আ) এর
উলঙ্গ গোসল
নবীদের মধ্যে হযরত মুসা (আ) ও খুবই লাজুক ছিলেন-
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন, বনী ইসরাইলের লোকেরা উলঙ্গ হয়ে একত্রে গোসল করতো। তারা একে অপরের অঙ্গ দেখতো এ জন্য মুসা (আঃ) একাকী অবস্হায় গোসল করতেন। তখন তারা বললো- আল্লাহর শপথ! হযরত মুসা (আঃ)কে আমাদের সাথে একত্রে গোসল করতে কে নিষেধ করল, অবশ্যই তার অন্ডকোষ দ্বয় বড়, তাই তিনি একাকী গোসল করতেছেন।হযরতহ মুসা (আঃ) একদিন গোসল করতে গেলেন। কাপড় খুলে তিনি একখানা পাথরের উপর রাখলেন। গোসল শেষে যখন তিনি কাপড় পরার জন্য উঠলেন হঠাৎ উক্ত পাথরখানা তার কাপড়সহ দৌড়াতে লাগলো । এ অবস্হা দেখে, হযরত মুসা (আঃ)ও উক্ত পাথরের পিছনে দৌড়াতে লাগলেন, আর বলতে লাগলেন, হে পাথর আমার কাপড় দাও। হে পাথার আমার কাপড় দাও। পাথর খানা দেৌড়ে গেয়ে এমন স্হানে থামল যেখানে বনী ইসরা্ইলের লোকগণ সমবেত হয়েছিল। বনি ইসরাইলগণ হযরত (আঃ)-এর গোপন স্হান দেখতে পেয়ে বলল. আল্লাহর কসম! মুসা (আঃ)-এর তো কোন প্রকার দোষ নেই । অনর্থক তাকে দোষারোপ করা হয়েছে। অতঃপর সেখানেব গিয়ে মুসা (আঃ) তার কাপড় খানা হাতে নিলেন। রাগের কারণে পাথর কে পিটাতে লাগলেন।হযরত আবু হোরযারা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম হযরত মুসা (আঃ)-এর আঘাতের চিন্হ স্বরুপ উক্ত পাথরে ৬ অথবা ৭ টি দাগ পড়ে গিয়েছিল ।
এ ঘটনাকে ইঙ্গিত
করে আল্লাহ সুরা আহযাব এর ৬৯ নং আয়াতে বয়ান করেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ
آمَنُوا لَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ آذَوْا مُوسَى فَبَرَّأَهُ اللَّهُ مِمَّا
قَالُوا وَكَانَ عِندَ اللَّهِ وَجِيهًا
হে মুমিনগণ! মূসাকে যারা কষ্ট দিয়েছে, তোমরা তাদের মত হয়ো না। তারা যা বলেছিল, আল্লাহ তা থেকে তাঁকে নির্দোষ প্রমাণ করেছিলেন। তিনি আল্লাহর কাছে ছিলেন মর্যাদাবান। [ সুরা আহযাব ৩৩:৬৯ ]
-উলঙ্গ গোসল করার মাসায়ালা
একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাথরুমে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা উচিত নয়। এ বিষয়ে হাদিসে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। যে কারণে আমাদের সকলকে পরিহার করা উচিত।
হাদীস শরীফে এসেছে, লজ্জা করার ব্যপারে মানুষের চেয়ে আল্লাহ তাআলাই বেশি হকদার। তাই গোসলের সময় পুরোপুরি উলঙ্গ হয়ে যাওয়া অনুত্তম।
এক হাদিসে বলা হয়েছে, মুয়াবিয়া বিন হাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তুমি তোমার স্ত্রী ছাড়া অন্যদের কাছ থেকে তোমার লজ্জাস্থান সর্বদা হেফাজত করো (অর্থাৎ ঢেকে রাখো)।’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! যদি কোনো ব্যক্তি কোথাও একাকী থাকে! (তখনো কি
তা ঢেকে রাখতে হবে?)।’ তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, কেননা আল্লাহকে অধিক লজ্জা করা উচিত।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৬৯)
-বেহায়াপনার কারনে ধর্ষন
গুনাহ বা বেহায়াপনার
শুরু হয় কু দৃষ্টি থেকে
সে জন্য আল্লাহ বলেন (কুল লিল মুমিনিনা আইয়্যাগুদ্দু আবসারাহুম)
এক হাদীসে আছে-
الْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النّظَرُ،
وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ،
وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ
يَهْوَى وَيَتَمَنّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ.
চোখের ব্যভিচার হল দেখা। কানের ব্যভিচার শোনা। জিহ্বার ব্যভিচার বলা। হাতের ব্যভিচার ধরা। পায়ের ব্যভিচার হাঁটা। মন কামনা করে আর লজ্জাস্থান তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬৫৭
অর্থাৎ চোখ-কান-হাত-পা-জিহ্বা সবই যিনা করে- যিনার প্ররোচনা দেয়, যা পূর্ণতা পায় লজ্জাস্থানের মাধ্যমে। সুতরাং এসব অঙ্গের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
-সুন্দর সাহাবী মরসদ বিন মরসদের ঘটনা
হযরত মরসদ বিন মরসদ ইসলাম
গ্রহণের আগে আরবী নারীরা তার সৌন্দর্য়্যে পাগল ছিল, তিনিও বেশ কয়জনের সাথে লাইন মারত,
তিনি যখন ইসলাম কবুল করেন তখন হুজুর (দ) তাকে ১টি নসিহত করেন দৃষ্টিকে অবনত রাখবে।
তিনি যখন মুসলমান হয়ে গেলেন তখন
তার পুরানা প্রেমিকা ডাক দিত কিন্তু তিনি তার দিকে ফিরেও তাকাতো না, তখন প্রেমিকা
প্রশ্ন করল, কি ব্যপার হযরত মরসদ জবাব দিল আমি মুহাম্মদে আরাবীর গোলাম হয়ে গেছি,
তিনি আমাকে হকুম দিয়েছেন দৃষ্টি অবনত রাখতে সুতরাং এই দৃষ্টি আর কোন বেগানা নারীর
দিকে উঠবেনা।
- বাগদাদের মিশকি বুযুর্গের পায়খানা মাখার ঘটনা
বাগদাদে এক নওজোয়ান এক কাপড়ের
দোকানে কাজ করত, বাগদাদের এক মহিলা কাপড় কিনে সাথে সে জোয়ানকে ঘরে এ জন্য আনল যে
সব কাপড় ঘরের মেয়েদের পছন্দ হবে তা রাখবে বাকী গুলি তার দিয়ে ফেরত দিবে, কিন্তু সে
দুষ্টু মহিলা তাকে ঘরে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে কু প্রস্তাব দিল, তখন সে নওজোয়ান
আল্লাহ ওয়ালা ছিল যার অন্তরে আল্লাহর ভয় ছিল সে বলল মুহতারামা আমার খুব পায়খানার
হাজত হয়েছে আমাকে আগে টয়লেট করার ব্যবস্থা করে দিন, তাকে টয়লেট দেখিয়ে দেয়া হল
যুবকটি ট/য়লেটে গিয়ে সারা শরীরে পায়খানা লাগিয়ে বের হয়ে আসল, তখন সে মহিলা তার এই
অবস্থা দেখে তাকে ছেড়ে দিল। ঘরে এসে ময়লা ধুয়ে নিল রাতে যখন ঘুমালো হযরত ইউসুফ (আ)
স্বপ্নে আসল আর বলল হে মুহাম্মদ (দ) এর উম্মত তুমি একজন সাধারণ উম্মত হয়ে সে কাজ
করেছ যে কাজ আমি একজন পয়গাম্বর হয়ে করেছি। সেদিন থেকে তার শরীর থেকে মেশকের মত
খুশবু বের হত সকলে তাকে মিশকি হুজুর বলে ডাকত। এমনকি তার মৃত্যুর পর তার কবর থেকেও
মিশকির খুশবু ছড়াতো।
এভাবেই
ইসলাম ও মুলসানরা যুগে যুগে লজ্জাশীলতার চর্চা করে এসেছে কিন্তু আজ বিজাতীদের
দোষরেরা মুসলমানদের সে গৌরবকে বিভিন্ন লেবেল দিয়ে ধ্বংসের পায়তারা করছে
-বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বেহায়াপনা
বিশ্ব ভালবাসা দিবস নামে আমাদের দেশে ১৯৯৩ সালে যে সস্কৃতির আমদানি
হয়েছে তা ধীরে ধীরে শহর ছেড়ে গ্রামে গঞ্চে প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে, আর এসব
সংস্কৃতি যাদের কাছ থেকে আমাদের দেশে ধার করে এনেছে সেসব দেশের ধর্ষনের পরিসংখ্যান
কি একটু শুনুন
-আর এই ধর্ষণের একমাত্র কারণ হল লজ্জাহিনতা বেহায়াপনা
বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এ প্রকাশিত এক সংবাদ অনুযায়ী বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে আমেরিকায়। এ দেশে ছয়জন নারীর মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার। এখানে ১৪ বছর বয়স থেকেই ধর্ষণের মত অপরাধের প্রবণতা তৈরি হয় শিশুর মনে।
চার নম্বরে আছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো অনুযায়ী প্রতি ২২ মিনিটে ভারতে একটি করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়।
তালিকায় পাঁচ নম্বরে আছে ব্রিটেন। দেশটিতে প্রতিবছর চার লাখ মানুষ ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতি পাঁচজন মহিলার মধ্যে একজন করে ধর্ষণের শিকার হয়।
তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা জার্মানিতে দেশটিতে প্রতিবছর ৫ লাখ ৭ হাজার ৩৯৪টি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়।
সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্স। সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, এই দেশে প্রতিবছর ধর্ষণের শিকার হয় অন্তত ৭৫ হাজার নারী।
তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকা কানাডায় প্রতি ১৭ জনের মধ্যে একজন নারী এই দেশে ধর্ষণের শিকার হয়। [বাংলাদেশ প্রতিদিন (অনলাইন), ২৬ অক্টোবর ২০১৬]
-মুসলমানের ভালবাসা দিবস প্রতিদিন
# মুসলমানের ভালবাসা হবে আল্লাহ
সাথে প্রতিদিন ৫ বার নামাজের মাধ্যমে
# মুসলমানের ভালবাসা হবে নবীর
সাথে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় দরুদ শরীফ পাঠর মাধ্যমে
# মুসলমানের ভালবাসা হবে স্ত্রী
সাথে প্রতিদিন তাঁর সাথে হাসি মুখে কথা বলার মাধ্যমে তাঁকে সালাম দেয়ার মাধ্যমে,
তাঁর মুখে খাবারের লোকমা তুলে দেয়ার মাধ্যমে
# মুসলমানের ভালবাসা হবে মা
বাবার সাথে প্রতিদিন তাদের খেদমত করার মাধ্যমে।
# মুসলমানদের ভালবাসা হবে
সন্তানদের সাথে তাঁদেরকে সু শিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে
# মুসলমানদের ভালবাসা হবে
প্রতিবেশীর সুখে দুঃখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে
# মুসলমানদের ভালবাসা হবে ভাই
বোনের সাথে তাঁদের বিপদে ঝাপিয়ে পড়ার মাধ্যমে।
# মুসলমানদের ভালবাসা হবে অপর
মুসলমানের সাথে আপন ভায়ের মত আচরন করার মাধ্যমে।
-বেহায়াপনা ও লুত জাতির ভয়ানক আযাব
সবচেয়ে বড় গুনাহ হল শিরিক আর
কেহ যদি নিজেকে বড় খোদা বলে সেটা আরো বড় গুনাহ, কিন্তু যে ফেরাউন মুসা (আ) এর যুগে
নিজেকে খোদা দাবী করেছে বলেছে (আনা রাব্বুকুমুল আলা) আমি বড় খোদা নাউজুবিল্লাহ। সে
ফেরাউনকে আল্লাহ পানিতে ডুবিয়ে মেরেছে, আর সে ফেরাউন ও তার জাতি থেকেও ভয়াবহ আযাব দিয়েছেন
লুতের জাতিকে
বিকৃত পাপাচারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল লুত (আ.)-এর জাতি। ইরাক ও ফিলিস্তিনের মধ্যবর্তী স্থানে এই জাতিটির বসবাস ছিল। এই জাতির কেন্দ্রীয় শহর ছিল ‘সাদুম’ নগরী।
একদিন আল্লাহর গজব নাজিল হয় ওই পাপাচারী জাতির বিরুদ্ধে। তাদের ওপর মহাপ্রলয় নেমে আসে। এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পুরো নগরটি সম্পূর্ণ উল্টে দেয়। পাশাপাশি আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো কঙ্কর নিক্ষিপ্ত হতে থাকে। ওই মহাপ্রলয়ের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। ওই জনপদের ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান।
লুত (আ.)-এর জাতির ধ্বংসস্থলটি বর্তমানে ‘বাহরে মাইয়েত’ বা ‘বাহরে লুত’ নামে খ্যাত। এটি ডেড সি বা মৃত সাগর নামেও পরিচিত। ফিলিস্তিন ও জর্দান নদীর মধ্যবর্তী স্থানে বিশাল অঞ্চলজুড়ে নদীর রূপ ধারণ করে আছে এটি। জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ নিচু। এতে কোনো মাছ, ব্যাঙ, এমনকি কোনো জলজ প্রাণীও বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণেই একে ‘মৃত সাগর’ বলা হয়।
সাদুম উপসাগরবেষ্টিত এলাকায় এক ধরনের অপরিচিত উদ্ভিদের বীজ পাওয়া যায়, সেগুলো মাটির স্তরে স্তরে সমাধিস্থ হয়ে আছে। সেখানে শ্যামল উদ্ভিদ পাওয়া যায়, যার ফল কাটলে তার মধ্যে পাওয়া যায় ধুলাবালি ও ছাই।
এখানকার মাটিতে প্রচুর গন্ধক পাওয়া যায়। এই গন্ধক উল্কাপতনের অকাট্য প্রমাণ।
-আমাদের উপর পাথর বর্ষন হয়না কেন?
(মা কানাল্লাহু লি ইউয়াজ্জিবাহুম ওয়া আনতা ফিহিম)
হে মাহবুব আপনার কারনে আমি
এই জাতিকে আযাব দিবনা
আজ কওমে লুত থেকেও এ জাতি ভয়াবহ
বেহায়াপনায় লিপ্ত তবুও আমরা বলি আমাদের উপর রহমত নাজিল হচ্ছেনা, কখনো কি শুনেছেন
কবর থেকে লাশ বের করে মৃত লাশের সাথে বেহুরমতি করা হচ্ছে, নাউজুবিল্লাহ
আসতাগফিরুল্লাহ। এ যুগে এমন ঘটনাও ঘটছে। আমিতো বলি শোকর করুন আল্লাহ পাথর নিক্ষেপ
করে আমাদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছেনা,
আজ যারা লজ্জাশীলতাকে হায়া শরমকে ঘৃণার চোখে দেখেন মনে রাখবেন এই হায়ার
কারনেই আল্লাহ আপনাকে সম্মানের মুকুট পরিধান করাবেন।
-লজ্জাশীলতার
কারনে হযরত ইউসুফ বাদশাহি মুকুট
قَالَ سَمِعْتُ عِمْرَانَ بْنَ
حُصَيْنٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " الْحَيَاءُ لاَ
يَأْتِي إِلاَّ بِخَيْرٍ "
ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লজ্জাশীলতা কল্যাণ ব্যতীত কোন কিছুই বয়ে আনে না। (বুখারী ৫৬৮৭)
নবী হজরত ইউসুফ (আ.)-এর বাদশাহি মুকুট নসিব হয়েছে। কেননা তিনি সর্বদা লাজুকতার পরিচয় দিতেন। যখন হজরত ইউসুফ (আ.)-কে বিবি জুলাইখা গোনাহের প্রতি আহ্বান করল, কিন্তু হজরত ইউসুফ (আ.) জুলাইখার আহ্বানে অস্বীকৃতি জানালেন এমনকি তিনি আল্লাহর আশ্রয় চেয়েছেন। জুলাইখার সামনে নিজের পবিত্রতা এবং ইজ্জত বিলিয়ে দেননি।
তখন মিথ্যা এবং চক্রান্তের জালে ফাঁসিয়ে তাকে জেলে পাঠানো হয়। জেলখানার কষ্টকে তিনি হাসিমুখে বরণ করে নেন। কিন্তু লজ্জা ও অন্তরের পবিত্রতা বিকিয়ে দিতে রাজি হননি।
এ জন্য আল্লাহ পাক তাকে শুধু জেলখানা থেকে বের করেননি বরং তাকে দুনিয়ার ধনভাণ্ডারের মালিক বানিয়েছেন। বানিয়েছেন মিসর অধিপতি।
আমরাও যদি নবী হজরত ইউসুফ (আ.)-এর মতো নিজের ইজ্জত-সম্মানের হেফাজত করতে পারি। গোনাহ-পাপাচার থেকে বেঁচে থাকি। তাহলে আমাদেরকেও ইজ্জত সম্মান ও নিয়ামতের মুকুট পরাবেন মহান আল্লাহ।
শুধু রাজপ্রাসাদ এবং মুকুটই নয় বরং লজ্জাশীল ব্যক্তি আল্লাহর নিকট অনেক মাকবুল হয়ে যায়। আল্লাহ তার দোয়া ফিরিয়ে দেন না। তাকে বিপদ-মুসিবতে ফেলেন না। সর্বোপরি তাকে সব রকমের সংকট থেকে বাঁচিয়ে আগলে রাখেন।
-উমায়ের তাবেয়ীকে বন্ধ ঘরে নারীর প্রলোভন
হযরত উমায়ের (রহ) এক মুসলিম নওজোয়ান
মুসলিম সেনাপতি, তাকে রোমানরা গ্রেফতার করে নিয়ে গেল, আর তাকে প্রস্তাব দিল তুমি খ্রিষ্টান
হয়ে যাও তোমাকে মুক্তি দেয়া হবে এবং নারী বাড়ী ধন সব কিছু দেয়া হবে, কিন্তু তিনি রাজি
হলেন না, তখন তারা ষড়যন্ত্র করে তাকে এক রুমে মদ শুকরের গোস্ত একজন অত্যন্ত সুন্দরী
নারী দিয়ে বন্ধী করে রাখল, কিন্তু ৩ দিন ৩ রাত সে চোখ তুলে সে সুন্দরী খ্রিষ্টান নারীর
দিকে চোখ তুলেও তাকান নি।
সে মহিলা তাকে বলল (মান এয়ামনাউকা মিন্নি)
তোমাকে কে আমার দিকে তাকাতে বাধা দিচ্ছে? হযরত উমায়ের জবাব দিলেন আমাকে তিনি দেখছেন
যিনি তোমাকে আমাকে সকলকে দেখছেন।
সে মহিলা এই মুসলমান নেককার মুজাহিদের
ধার্মিকতা ও তাকওয়া দেখে মুসলমান হয়ে গেল এবং হযরত উমায়েরকে শত্রুদের জেল থেকে পলায়ন
হতে সাহায্য করল। তার লজ্জাশীলতা তাকে শত্রু ও বিপদ থেকে মুক্তি দিয়ে দিল।
#হে নওজোয়ান ভায়েরা আজ আপনার হাতের মুঠোয় বেহায়ায়ীর যন্ত্র,
নিচের চোখকে কন্ট্রোল করুন,
#হে আমার ভায়েরা আজ আপনি স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছেন
বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি পড়া কু দৃষ্টি দেয়া সহজ, কিন্তু হযরত উমায়ের এর মত নিজের
দৃষ্টিকে নত রাখুন
#হে আমার মুসলমান ভায়েরা আজ বাজারে মার্কেটে চাকরীতে গেলেই
বেগানা নারীর প্রতি দৃস্টি পড়লে কু দৃষ্টি দেয়া সহজ, কিন্তু আপনার সে বাকা দৃষ্টিও
আল্লাহ দেখছেন তা মনে করে কন্ট্রোল করুন।
-বাচ্চাদের মাঝে লজ্জাশীলতা সৃষ্টির জন্য অভিভাবকদের করণীয়
১। রাসুলুল্লাহ (দ) বলেছেন ১০ বছর হয়ে গেলে বাচ্চাদের
বিছানা আলাদা করে দাও। ১০ বছর হয়ে গেলে ভাই বোন ছেলে মেয়ে যেন এক সাথে একই বিছানায়
একই কম্বলের নিচে না ঘুমায়। যদি এক খাটে শুতে হলে আলাদা কম্বল দিয়ে দিতে হবে যাতে করে
একই কম্বলের নিচে না শোয়। তবে সিঙ্গেল খাট হওয়াটা উত্তম। আর ছেলে মেয়ে আরো বড় হলে একই
রুমে নয় বরং আলাদা রুমে দেয়াটা আরো উত্তম
২। বাচ্চা লাজুক হওয়া ভালো, অনেক সময় আমরা বাচ্চা
লাজুক হলে তাকে বকা ঝকা করি সে রকম এক সাহাবী তার ভাইকেও লাজুক হওয়ার কারনে বকা দিচ্ছিল
عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ،
عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى رَجُلٍ مِنَ
الأَنْصَارِ وَهُوَ يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم " دَعْهُ فَإِنَّ الْحَيَاءَ مِنَ الإِيمَانِ ".
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তাঁর ভাইকে তখন (অধিক) লজ্জা ত্যাগের জন্য নসীহত করছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ ওকে ছেড়ে দাও। কারন লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। (বুখারী-২৪)
৩। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ব্যবহারে নজরদারী
করতে হবে, কারন সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারে যদি অভিভাবকরা বাচ্চাদের নজরদারী না করে তাহলে
অল্প বয়সেই লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বেহায়া হয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪।ঘরে টিবি থাকলে মা বাবা আপনার বাচ্চাকে নিয়ে
একসাথে বিভিন্ন নাটক, সিনেমা, সিরিয়াল এসব দেখার ফলে বাচ্চারা নিলজ্জ হয়ে যায় তাই এসব
ক্ষেত্রে সতক হতে হবে।
হায়া আপনাকে সব ধরনের বিপদ আপদ থেকে হেফাজত করবে। আপনার
ঈমানকে মজবুত করবে। আপনার সম্মান বৃদ্ধি করবে। দুনিয়াতে বাদশাহি মুকুট পরিধান করাবে।
আর বেহায়াপনার দ্বারা আল্লাহর আযাব নেমে আসবে, সব ধরনের মসিবত বিপদ ধেয়ে আসবে, দুনিয়াতে
অশান্তির পাহাড় আর আখেরাতে দরদনাক আযাব হবে।


কোন মন্তব্য নেই