গরুর ভুড়ি খাওয়া কি জায়েজ? পশুর ৭টি অংগ খাওয়া হারাম।
গরুর ভুড়ি খাওয়া কি জায়েজ?
গরুর ভুড়ি খাওয়া
সম্পর্কে একটি সমাধান দিয়েছেন মুফতি মুহাম্মদ আকমল (ম জি আ)
ভুড়ি খেলে গুনাহ
হবেনা এমন ফতোয়া তিনি কিসের ভিত্তিতে দিলেন তা আজ জাবন
তিনি বলেন- নবী
করিম (দ) কোন জবেহকৃত প্রাণীর ৭টি অংগ খেতে নিষেধ করেছেন। আর সে ৭টি অংগের মধ্যে ভুড়ির
কথা উল্লেখ নাই।কিন্তু ফোকাহাগন দেখেছেন যে ৭টি অংগ খেতে নিষেধ করেছেন তার প্রত্যেকটির
ভিতর ১টি বিষয় কমন তা হল সে অংগের সাথে কোন না কোন নাপাকির সাথে সম্পর্ক আছে। সে জন্য
ফকিহগন এর উপর কিয়াস করে প্রাণীর ভুড়ি খেতেও নিষেধ করেছেন। ৭টি অংগ নবী করিম (দ) সরাসরি
খেতে নিষেধ করেছেন। তবে সেখানে ভুড়ির উল্লেখ করেননি, আবার ভুড়িও কিন্তু নাপাকির সাথে
সম্পর্কিত তাই ফোকাহাগন ভুড়ি খেতেও নিষেধ করেছেন।
শরীয়তের হকুম
হল কোরআন এর সরাসরি হকুম দ্বারা যদি কোন কিছু হারাম প্রমাণিত হয় তখন সকলেই নির্বিঘ্নে
বলে এটি হারাম। আবার যখন হাদীস দ্বারা কিছু নিষেধাজ্ঞা আসে তখন তাকে বলে মকরুহে তাহরিমি।
আর ফকিহগনের এতজেহাদের দ্বারা যখন কোন কিছুর নিষেধাজ্ঞা প্রমাণিত হয় তা মাকরুহে তানজিহি
হবে। তবে কোন কোন ওলামায়ে কেরাম ভুড়ি খাওয়াকে মকরুহে তাহরিমি ফতোয়া দিয়েছেন।
কিন্তু ইদানিং
ভুড়ি খুব বেশী মানুষ খাওয়া আরম্ভ করেছেন। ফোকাহায়ে কেরাম যে জিনিষকে এজতেহাদ করে নিষেধ
করেন যদি সে জিনিষটি মানুষের মধ্যে খুব বেশী প্রচলিত হয়ে যায়, তখন অধিকাংশ ফোকাহার
অভ্যাস হল তখন সে তার ফতোয়াকে ফিরিয়ে নেয়। এবং হকুমকে হালকা করে দেয়। এখন যেহেতু ভুরি
খাওয়ার ব্যপারে খুব বেশী লোকের সংশ্লিষ্টতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সে জন্য আমি ভুড়ি খাওয়াকে
মাকরুহে তানজিহি বলে ফতোয়া দিব। অর্থ্যাৎ ভুড়ি খাওয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়, কিন্তু
যদি কেহ খায় তাহলে সে গুনাহগার হবেনা।
এটাই একজন মুফতির
শান হয়ে থাকে তারা সবসময় মানুষকে কঠিন বিধান আরোপ করবেনা, বরং মানুষের অভ্যাস লোকজনের
সংশ্লিষ্টতা এসবের দিকে গভির চিন্তা ভাবনা করে আহকামেও পরিবর্তন নিয়ে আসেন। যাতে সাধারণ
পাবলিক ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
Youtube link
https://www.youtube.com/c/jaalhaq
Blog
https://myjaalhaq.blogspot.com/
Facebook Link
https://www.facebook.com/Jaalhaqbd
https://www.facebook.com/groups/jaalhaqbd
Instagram Link
https://www.instagram.com/jaalhaq.bd/
কোন মন্তব্য নেই