রাতে ঘুমানোর আগে বাচ্চাকে ৫টি কথা অবশ্যই বলুন
রাতে
ঘুমানোর আগে বাচ্চাকে ৫টি কথা অবশ্যই বলুন
5 Sentences
before sleeping | Parenting Tips in Bangla
প্রতিদিন রাতে শোবার আগে ৫টি কথা যদি বাচ্চার
মাইন্ডে দিতে পারেন তাহলে আপনি খুব ভালো ভাবে তার মাইন্ডকে প্রোগ্রাম করতে পারবেন,
বাচ্চার সাথে একটা মজবুত সম্পক তৈরী করে নিতে পারবেন, তার ভিতর ক্রিয়োসিটি পয়দা করতে
পারবেন, অর্থ্যাৎ কোন কিছু শিখার যে আগ্রহ তা পয়দা করতে পারবেন, বাচ্চাকে একজন ভালো
প্লেনার বানাতে পারবেন, অর্থ্যাৎ আগে দেখা অর্থ্যাৎ জিন্দেগীকে প্লেন কিভাবে করবেন
তা আজ আমি এই ভিডিওতে কভার করব। ইনশা আল্লাহ
আপনি যখন বাচ্চাকে নিয়ে ঘুমাতে যাবেন বিশেষ
করে ৩/৪- ৭/৮ বছরের বাচ্চাদের উপর এপ্লাই করতে পারবেন, ইভেন বড় বাচ্চাদের উপরও এপ্লাই
করতে পারবেন
আপনি কি করবেন? ১ম কথা আপনি যেটা তাঁকে
বলবেন
১। এমন কোন প্রশ্ন যা তুমি আমাকে করতে
চাও ।
অর্থ্যাৎ আপনার বাচ্চার এটা জানা থাকতে
হবে যে প্রশ্ন করার জন্য আমার মা বা আমার বাবা আমাকে ১টি সময় দিয়ে থাকেন, তাহলে সে
সারাদিন তার ব্রেইনে চর্চা করবে কি প্রশ্ন করবে সেটা চিন্তা করবে। যেমন সে প্রশ্ন করতে
পারে মা আকাশ নীল কেন? চাঁদ বাঁকা কেন? পৃথিবী গোল কেন? আযান কেন দেয়? নামাজ ৫ওয়াক্ত
কেন? ইত্যাদি
মনে রাখবেন প্রশ্ন করার দ্বারা অর্ধেক
জ্ঞান অর্জিত হয়, যেমন বলা হয় (কুয়েশশেন ইজ হাফ লার্নিং) অনেক সময় দেখবেন স্কুলে ক্লাস
রুমে ৭০/৮০ জন ছাত্র ছাত্রী কিন্তু তাদেরকে ক্লাস শেসে শিক্ষক যদি বলে কোন প্রশ্ন থাকলে
কর তখন ১/২ জন ছাড়া অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী কোন প্রশ্নই করতে পারেনা। অনেকের মনে অনেক
প্রশ্ন থাকে কিন্তু সাহস করতে পারেনা। তাই প্রশ্ন করার সাহসটা আপনি আপনার বাচ্চার ভিতর
পয়দা করে দিয়ে পারলে সে জীবনে অনেক আগে বাড়বে।
২।২য় কথা বাচ্চাকে বলুন বাচ্চার সামনে একথা প্রকাশ করুন যে আমি খুব খুশি
কারন আমার কাছে তোমার মত একজন সন্তান আছে।
প্রতিদিন একই কথা না বরং কিছুটা ঘুরিয়ে
ফিরিয়ে পরিবর্তন করে বাচ্চাকে এই মেসেজটা প্রতিদিন পৌঁছান যে আপনি তার উপর খুশি।
যেমন বাচ্চা ভিন্ন ভিন্ন কাজ করলে সে কাজের
কথা উল্লেখ করে বলতে পারেন, তুমি পড়ালেখা করছ তাই আমি খুশি, সে যদি হোম ওয়াক ভালো করে
বলুন আমি তোমার হোম ওয়াকে সন্তুষ্ট, আপনাকে ১ গ্লাস পানি এনে দিল তা উল্লেখ করে বলুন
আমি তোমার এ কাজে খুব খুশি। এভাবে ভিন্ন ভিন্ন তরিকায় তাকে বুঝাবেন যে আপনি তার উপর
সন্তুষ্ট।
আর এর দ্বারা আপনি প্রতিদিন বাচ্চার ভিতর
একটা সু অভ্যাস পয়দা করছেন আর তা হল শোকরগোজারি।
৩। ৩য় কথা আপনার বাচ্চার সাথে করুন- যে
আমরা আমাদের আগামী কালটা আরো সুন্দর কিভাবে বানাতে পারি? অর্থ্যাৎ এই বাক্যের মধ্যে
আপনি তার সাথে প্লানিং এর ব্যপারে কথা বলছেন - আল্লাহ তায়ালা মানুষকে ২টি বড় নেয়ামত
দ্বারা ধন্য করেছেন - আমরা আমাদের অতীতকেও দেখতে পাই এবং আমাদের ভবিষ্যতের ব্যপারেও
চিন্তা করতে পারি।
যখন আমরা বাচ্চাকে এটা বুঝাই যে আজকের
দিনের চাইতে আমাকে আগামী কাল আরো ভালো ভাবে কাটাতে হবে , তখন সে আজকের দিনে কিভাবে
কাটিয়েছে তা চিন্তা করবে এবং আগামী কাল এর জন্য প্লানিং করবে। তখন সে আপনাকে ছোট ছোট
আইডিয়া শেয়ার করবে। সে হয়ত বলবে মা আমি কাল স্কুলে যাব সেখান থেকে এসে খেলাধুলা করব,
হতে পারে তার রুটিন একই তবুও সে তার আগামীর
ব্যপারে চিন্তা করছে। দুনিয়াতে অনেক লোক আছে যাদের আগামীর কোন চিন্তাই নাই। দুনিয়ার
পর আখেরাতেও চিন্তা নাই। তাই দুনিয়ার জন্য এবং আখেরাতের জন্য আগামীর চিন্তা করাটা আগামীর
প্লান করাটা খুবই জরুরী।
৪। বাচ্চাকে ৪থ যে কথাটি বলবেন- (আই এমন
লিসেনিং ইউ) আমি তোমাকে শুনছি। আপনি যখন তার সাথে কথা বলবেন তখন অণ্যমনস্ক হয়ে, কিংবা
মোবাইল ফোনে ব্যস্ততার মধ্যে বা টিভি দেখতে দেখতে করবেন না বরং তার দিকে সম্পূণ এটেনশন
দিতে হবে। তার সাথে কথা বলার সময় তাকে এটা বুঝতে দিবেন যে আপনি তার দিকে পূণ মনযোগী
এবং আপনার কাছে তার প্রতিটি কথা খুবই গুরুত্বপূণ।
৫। ৫ম কথা বাচ্চাকে এটা বুঝানো যে আমি
তোমাকে ভালোবাসি- বাচ্চাকে এই এহসাস দিতে হবে যে আপনি তার সবচেয়ে আপনজন, সে যেমনই হউক
আপনিই তার সবচেয়ে আপনজন, যে মেধাবী না হলেও ক্লাসে ফাস্ট না আসলেও আপনার কাছে আপনার
বাচ্চা সবার চেয়ে সেরা, সে যেদিন জন্ম গ্রহণ করেছে সেদিন যেমন তার কোন গুন ছিলনা তবুও
তাকে আপনি ভালোবেসেছেন তেমনি আজো যদি তার মধ্যে কোন গুন না থাকে তবুও আপনি তার প্রতি
প্রথম দিন যেমন আন কন্ডিশন ভালবাসা দেখিয়েছেন আজো সে রকম ভালোবাসা প্রকাশ করবেন।
প্রত্যেক মা বাবাই সন্তান ভালবাসে, যেমন
আপনার মা বাবা আপনাকে সারা জীবন ভালবেসেছে কিন্তু তারা যদি কোন সময় আপনাকে বলে থাকে
বেটা আমি তোমাকে খুব ভালবাসি, সে কথাটাই আপনার বেশী মনে পড়বে। এটা এই জন্য মনে আসে
কারন এই বাক্যটা খুবই পাওয়ারফুল বাক্য। এই বাক্যটি জেহেনের মধ্যে নকশা হয়ে যায়। বাচ্চা
মনে রাখবে আমার মা বাবা প্রতিদিন শোবার আগে এই বাক্য বলত। যা সে জিন্দেগী ভর ভুলতে
পারবে না।
সে জন্য প্রতিদিন শোবার আগে বাচ্চাকে নিয়ে
এ ৫টি প্রেকটিস করুন যা তার মেমোরিতে এমন ভাবে নকশা হয়ে যাবে যা সে আজীবন ভুলতে পারবেনা।
কোন মন্তব্য নেই