মেয়েকে যখন পর লাগে
মেয়েকে যখন পর লাগে
মেয়ে সন্তানও
এক আযব জিনিষ,
মেয়ে যখন বিয়ের
স্টেইজ থেকে শাশুড় বাড়ী যায় তখন পর লাগেনা
কিন্তু যখন সে
বাবার বাড়ী বেড়াতে এসে হাতমুখ ধুয়ে সামনে পরে থাকা তোয়ালেটা ব্যবহার না করে নিজের বেগ থেকে ছোট রুমাল
দিয়ে মুখ মুছে তখন পর লাগে।
যখন সে পানির
গ্লাসের জন্য এদিক সেদিক খুঁজতে থাকে তখন পর লাগে
যখন কথায় কথায়
অট্টহাসি দিয়ে খুশি হওয়ার নাটক করে তখন তাকে পরপর লাগে
চলে যাওয়ার সময়
আবার কখন আসবে জিজ্ঞেস করলে- বলে দেখি কখন আসতে পারি এ জবাব দিলে পর পর লাগে।
কিন্তু যখন গাড়িতে
বসে মা বাবা ভাই বোন থেকে থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে চোখ মুছে তখন সে পর লাগা মুহুর্তে দুর
হয়ে যায়।
মা বাবা হারা
মেয়েগুলি শাশুড় বাড়ী থেকে চিৎকার দিয়ে যেন বলে- ভাইয়্যা আমি বাবার সম্পত্তি চাইনা আমার
বাবার বাড়ীতে আসার সুযোগটা বজায় রাখিও
আমাকে কিছুই দিওনা
শুধু মহব্বতটুকু বাকী রাখিও
আমি এই ঘরেই বড়
হয়েছি, বাবার এই বাড়ীতে আমার স্মৃতিগুলিকে বাঁচিয়ে রাখিও
যে মেয়ে সামান্য
আঙ্গুলে ছেকা লাগলে পুরা ঘর চিৎকার করে কান্না করে তুলে বসাতো, আজ হাত জ্বলে গেলেও
নিশ্চুপ খাবার তৈরী করে,
যে মেয়ে আগে ছোট
ছোট কারনে কেঁদে দিত, আর সে বড় বড় দুঃখকেও হজম করে ফেলে
যে মেয়ে সকাল
১০টায় উঠলেও জলদি উঠে গেছি বলত আজ ৭ টায় উঠেও বলে দেরি হয়ে গেছে।
যে মেয়ে সারাদিন
কোন কাজ কাম না করেও নিজেকে ব্যস্ত বলত, আজ সারা দিন কাজ করেও কাম চোর উপাধি অর্জন
করেছে
যে মেয়ে একটি
পরীক্ষা দেয়ার জন্য সারা বছর পড়ালেখা করত প্রস্তুতি নিত, আজ কোন প্রস্তুতি ছাড়াই প্রতিদিন
পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের দয়াল নবী
নিজের মেয়ে ফাতেমাকে খুব ভালবাসতেন, আসুন আমরাও কন্যা সন্তানদের ভালবাসি। আপন মানুষগুলিকে
ছেড়ে পরের বাড়িতে তাঁদের কঠিন মুহুতগুলিকে অনুধাবন করি। তাদের যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়ণ
করি।
কোন মন্তব্য নেই