আল্লাহর রাগ ঠান্ডা করার ৪টি নিয়ম
আল্লাহর রাগ ঠান্ডা করার ৪টি তরিকা
এমন অনেক কাজ আছে যাতে আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট হয়ে যান, যেমন পেশাব পায়খানা
করার সময় দুজনে সতর খোলা অবস্থায় কথা বললে, ঘুমানোর সময় উপুড় হয়ে ঘুমালে আল্লাহ অসন্তুষ্ট
হন, আল্লাহর কাছে দোয়া না করলে আল্লাহ রাগান্বিত হয়ে যান এভাবে আরো অনেক কাজ আছে যাতে
আল্লাহ তায়ালা বান্দার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে যান, আজ আমি আলোচনা করব কিভাবে আল্লাহর রাগকে
ঠান্ডা করা যায়, আল্লাহর রাগ ঠান্ডা করার ৪টি উপায় আছে যেমন
১। আপনি যদি আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকেন, আল্লাহর কাছে চাইতে থাকেন তাহলে
আল্লাহর রাগ ঠান্ডা হয়ে যায়, নবীজি ফরমান (মান লাম এয়াস আলিল্লাহা এয়াগদাব আলাই) যে
আল্লাহর কাছে দোয়া করেনা চায়না আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন। সে জন্য সব সময় দোয়া করতে
থাকুন, আল্লাহর কাছে চাইতে থাকুন, উম্মাহাতুল মুমিনিন বলেন যখন আল্লাহর কাছে চাইবে
তখন অফুরন্ত পরিমানে চাইবে, অল্প অল্প চাইবেনা। বেশী বেশী চাইবে। আল্লাহর কাছে যত বেশী
চাইবেন যত বেশী দোয়া করবেন তিনি তত বেশী খুশি হবেন।
২।নং উপায় হল (কানা ইউকালু হুসনুল আদাবি তুতফিউ গাদাবার রাব্বি) হযরত সুফিয়ান
সাওরী (রহ) বলেন যে আদব কায়দা শিখে নেয় তার প্রতি রবের রাগ ঠান্ডা হয়ে যায়, বড়কে সম্মান
করা, ছোটকে স্নেহ করা এভাবে প্রত্যেক কাজের যে সব সুন্নত তরিকা আছে সেটাই হল সে কাজের
আদব যদি সব কাজ সুন্নত তরিকা মোতাবেক করেন তাহলে আল্লাহর রাগ প্রশমিত হয়।
৩। আল্লাহর রাগ কমানোর ৩য় উপায় হল দান সদকা করা। সুনানে তিরমিযির ৬৬১ নং হাদিস
«إِنَّ
الصَّدَقَةَ لَتُطْفِئُ غَضَبَ الرَّبِّ وَتَدْفَعُ مِيتَةَ السَّوْءِ»
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অবশ্য অবশ্য সদাক্বাহ্ (সাদাকা) আল্লাহ তা‘আলার ক্রোধকে ঠান্ডা করে, আর খারাপ মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে।
আর শুয়াইবুল ঈমানের
৩৪৪২ নং হাদীস
আবু সাঈদ (রাঃ) হতে
বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন গোপনে দান প্রতিপালকের ক্রোধ
দূরীভূত করে, আত্মিয়তার-বন্ধন অক্ষুন্ন রাখে, আয়ু বৃদ্ধি করে। আর পুণ্যকর্ম
সর্বপ্রকার খারাপ মৃত্যু থেকে রক্ষা করে।
কোন মন্তব্য নেই