২০টি কারনে রিজিকের বরকত দরজা বন্ধ হয়ে যায়, অভাব নেমে আসে, বরকত চলে যায়
২০টি কারনে রিজিকের বরকত দরজা বন্ধ হয়ে যায়, অভাব
নেমে আসে, বরকত চলে যায়
আমাদের প্রিয় নবী তাঁর উম্মতদেরকে বেছাহারা ছেড়ে যাননি, যা যা
প্রয়োজন সবই তিনি আমাদেরকে বলে গেছেন, কিছু এমন কাজ আছে যাতে রিযিক বন্ধ হয়ে যায়
তা থেকে বাঁচতে হবে, কুরআন হাদীসে এসব কাজের কথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে এসব কাজের
দ্বারা রিযিক বন্ধ হয়ে যায়, যেমন
১। জাকাত ফরয হওয়া সত্বেও যাকাত না দেয়া, সম্পদ থাকা সত্বেও
আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় না করা (সুরা সাবা -৩৯)
২। অন্তরে আল্লাহর ভয় না থাকা (সুরা তালাক-২)
৩। বিয়ের সুযোগ ও সামর্থ থাকা সত্বেও বিয়ে না করা ( সুরা নুর
৩২)
৪। পরিবারের লোকদেরকে এবাদতের তাকিদ না দেয়া ( সুরা ত্বহা-১৩২)
৫। ঘরে কুরআন তেলাওয়াত না করা, কোরআনের চর্চা না করা (সুরা
আনআম- ১৫৫)
৬। সকালে দেরী করে ঘুম থেকে উঠা, অথচ নবী করিম (দ) বলেন আমার
উম্মতের জন্য সকাল বেলার সময়টাতে বরকত দেয়া হয়েছে
৭। সালাম এর আদান প্রদান না করা, ঘরের ও বাহিরের লোকদেরকে সবসময়
সালাম আদান প্রদান করাটা বরকত লাভের জন্য খুবই জরুরী।
৮। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জুতা পায়ে দিয়ে খোলা মাথায় খাবার খাওয়া
৯। বাথরুমে খালি মাথায় যাওয়া ও সেখানে কথা বলা
১০। মেহমানকে বোঝা মনে করা
১১। বিসমিল্লাহ পাঠ করা ব্যতীত হাত ধৌত করা ব্যতীত খাবার খাওয়া
১২। মসজিদের ভিতর দুনিয়াবী কথা বলা,
১৩। ফকির ভিক্ষুককে ধমক দেয়া, আল্লাহ সুরা মাউনে বলেন (ওয়া
আম্মাস সাঈলা ফালা তানহার)
১৪। মাগরিবের পর কোন কারন ছাড়া শুয়ে যাওয়া, সহিহ বোখারি ও
মুসলিমের বর্ণনায় আছে, হজরত আবু বারযা আল আসলামি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর কথাবার্তা বলাকে অপছন্দ
করতেন।’ –সহিহ বোখারি: ৫৭৪
১৫। নামাজ কাজা করা
১৬। মিথ্যা বলা- এটা এমন একটি কাজ যা খুব বেশী বেশী চর্চা
হচ্ছে,
১৭। গাজ বাজনায় মনোনিবেশ করা- আজকাল সকলের পকেটে পকেটে গান
বাজনার পাহাড়, সুযোগ পেলেই এয়ারফোন দিয়ে গান বাজনায় ব্যস্ত হয়ে যাই, আমরা নিজেরাই
রিযিকের দরজা বন্ধ করে ফেলেছি।
১৮। সন্তানকে গালমন্দ করা- এটি অধিকাংশ মহিলার স্বভাব সামান্য
সামান্য কারনে সন্তানকে গালমন্দ করতে থাকে, যার ফলে রিযিক বন্ধ হয়ে যায়।
১৯। না মাহরামকে দেখা- ফেইসবুকের দ্বারা এ গুনাহ খুব বিস্তার
লাভ করেছে।
২০। আত্মিয় স্বজনের সাথে ঝগড়া বিবাদ করা। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া
এসবই রিযিকের দরজা বন্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। একে অপরের সাথে ভালবাসার সাথে থাকুন আর
দেখুন আল্লাহর সাহায্য কিভাবে নেমে আসে।
এসব কাজ থেকে বেঁচে থাকুন ইনশা আল্লাহ রিযিকে বরকত হবে, মনে
রাখবেন আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে দিয়ে খুশী হন, বান্দা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে খুশী হননা।
কোন মন্তব্য নেই