নারীরা ইফতারের সময় ৪টি ভুল করবেন না, ঘরের বরকত চলে যাবে
নারীরা ইফতারের সময় ৪টি ভুল করবেন না, ঘরের বরকত চলে
যাবে
যায়েদ ইবনে খালেদ আল-জুহানি
(রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি
কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে সে রোজাদারের সম পরিমাণ সওয়াব পাবে; রোজাদারের সওয়াব থেকে
একটুও কমানো হবে না।”[সুনানে তিরমিযি (৮০৭), সুনানে ইবনে মাজাহ (১৭৪৬),
তাছাড়া একজন লোক ইফতার করে
শক্তি অর্জন করে যখন এবাদত করবেন তার এবাদতের সাওয়াবও আপনি পাবেন
মেহমান দুঃখ-কষ্ট নয়, মেহমান
আল্লাহর অনুগ্রহ এবং কল্যাণ ও প্রাচুর্যের উপকরণ। আল্লাহ যাকে মেহমান হিসেবে আপনার
নিকট প্রেরণ করেন তার রিযিকও পাঠিয়ে দেন। সে আপনার ভাগ্যের অংশ খায় না বরং তার ভাগ্যের
অংশই সে খায়। মেহমান আপনার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ হয়।
তাই ইফতারের সময় মেহমান
আসলে খুশী হওয়া দরকার। বিশেষ করে ঘরের নারিরা ইফতারের সময় কোন মেহমান চলে আসলে বিরক্ত
হয়, এটার ফলে ঘর থেকে বরকত চলে যায়। কারন মেহমান হল আপনার ঘরের জন্য আপনার পরিবারের
জন্য কল্যাণকর। বিশেষ করে রোজার সময়তো আরো বেশী কল্যাণ ও সাওয়াব কামাই করার মাধ্যম।
রোজাদারকে অনেক কিছু খাওয়াতো হবেনা বরং ঘরে যা আছে তা দিয়ে ইফতার করালেও আপনি সে সাওয়াব
পাবেন।
হজরত সালমান ফারসি (রা.)
থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার
গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে, ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ
সওয়াব সে লাভ করবে। তবে ওই রোজাদারের সওয়াবে কোনো কম করা হবে না। সাহাবায়ে কেরাম এ
কথা শুনে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য
নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, পানিমিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক
ঢোক পানি দিয়েও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও আল্লাহ তাকে সেই পরিমাণ সওয়াব
দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে
আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ
পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।
২য় হল রান্নার সময় বিসমিল্লাহ বলে রান্না শুরু করবেন, জিকির করবেন,
কুরআন তেলাওয়াত শুনবেন, ওয়াজ শুনবেন, দরুদ শরীফ পড়বেন তাহলে আপনার রান্না খেয়ে আপনার
স্বামী সন্তান ফরমাবরদার হবে।নেককার হবে, আপনার টেনশনের কারন হবেনা।
৩য় আজকাল যারা রিমোট হাতে
নিয়ে কিংবা মিউজিক শুনে শুনে রান্না করেন সে রান্নাতে কিভাবে বরকত আসবে? আরো আফসোসের
বিষয় আজকাল তালাক হওয়াটা অতি মামুলি একটা বিষয় হয়ে গেছে, এর একটা কারন এটাও যে বরকত
হিন খাবার।
৪থ মনে
রাখবেন বাজারের খাবার খাওয়া জায়েজ, এতে কোন সন্দেহ নাই, কিন্তু সালফে সালেহিনগন বলেন
যে ঘরে খাবার রান্না হয় সে ঘরে ঝগড়া হয়না, আজকাল ঘরে রান্না না হলে স্বামী বলে সমস্যা
কি? আমি হোটেল গিয়ে খেয়ে নিব, এই যে অভ্যাস হোটেলে গিয়ে খেয়ে নিব এর ফলে স্বামীর কাছে
স্ত্রীর গুরুত্ব কমে যায়। সে মনে মনে চিন্তা করে আমার খাবারেরতো সমস্যা নাই আমি হোটেল
থেকে খেতে পারি। এটা সংসার ভাঙ্গতে ভুমিকা রাখে। তাই স্ত্রীদের যখন তখন বাহিরের খাবার
বাজারের খাবার ঘরে ঢুকতে দেয়া উচিত নয়।
আগেকার
মহিলারা ঘরের লোকদের রান্না করে খাওয়ানোকে এইজন্য সৌভাগ্য মনে করত,
কারন তাদের বিশ্বাস সারাদিন কষ্ট করে যে রান্না করেছে
সে রান্না খেয়ে শক্তি সঞ্চয় করে তাঁর ঘরের লোকগুলি যে নামাজ পড়ে এবাদত করে জিকির করে
কুরান পড়ে এসব কিছুর ছাওয়াবের একাংশ রান্নাকারীর আমলনামায় যোগ হয়।
সুতরাং মেহমান এলে বিরক্ত হওয়া যাবেনা, রান্নার সময়
গান শুনা যাবেনা, বাজারের বা বাহিরের খাবার এর উপর নির্ভর করা যাবেনা। তবেই ঘরে বরকত
হবে, সুখ শান্তি থাকবে ইনশা আল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই