রোজা অবস্থায় ফরয গোসল করার নিয়ম
রোজা অবস্থায় ফরয গোসল করার নিয়ম
রোজা অবস্থায় যদি কারো উপর গোসল ফরয হয়ে
যায় তখন ফরয গোসল করার নিয়ম হল
প্রথমে নাপাকি ধুয়ে ফেলবেন তারপর অজু করবেন
আর
রোজা অবস্থায় অজুতে গড়গড়া করবেনা, কারন
গড়গড়া করার দ্বারা কন্ঠনালিতে পানি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, বরং ভালো ভাবে কুলি করবেন,
তাছাড়া গোসলের জন্য গড়গড়া করা ফরয নয় বরং সুন্নত।
তারপর রোজা অবস্থায় নাকে পানি দেয়ার বেলায়ও
এত বেশী শ্বাস নিবেন না যাতে পানি মগজে পৌঁছে যায়। রোজা কালিন নাকে পানি দেয়ার সময়
পানি নাকের গভীর পযন্ত পৌঁছানোর প্রয়োজন নাই।
এভাবে অজু করে সমস্ত শরীরে পানি প্রবাহিত
করে দিতে হবে।
মুল কথা স্বাভাবিক সময় যেভাবে ফরয গোসল
করা হয় রোজার হালতেও ফরয গোসল একই ভাবে করা যাবে তবে গড়গড়া করা যাবেনা এবং নাকে পানি
দেয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন মগজ পযন্ত পানি পৌঁছে না যায়।
রোজা রেখে তুথপেস্ট
ও মিসওয়াক ব্যবহারের নিয়ম
রোজা রেখে
যদি তুথপেষ্ট বা মাজন ব্যবহার করে আর তুথপেস্ট এর সামান্যটুকুও যদি কন্ঠনালিতে পৌঁছে
যায় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে, তাই রোজার হালতে তুথপেষ্ট ব্যবহার না করাই উচিত। কেহ যদি
তুথপেষ্ট ছাড়া খালি ব্রাশ ব্যবহার করে দাত সাফ করতে চাই সেটার অনুমতি আছে, আর তুথ পেষ্ট
যদি ব্যবহার করতে হয় তবে সেহরীর পর ফজরের আগে কিংবা ইফতারের পর করা উচিত। রোজা অবস্থায়
তুথপেস্ট ব্যবহার করলে রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা ৯৯% তাই এ ব্যপারে সতক থাকা খুব
জরুরী। যদি পেষ্ট যেন কন্ঠনালিতে না পৌঁছে সে রকম অতি সতকতার সাথেও কেহ পেস্ট ব্যবহার
করে তবে রোজা যদিও ভাঙ্গবে না কিন্তু বিনা কারনে রোজা অবস্থায় কোন কিছু চাটা মাকরুহ।
তাই রোজা অবস্থায় তুথপেস্ট ব্যবহার না করাই হল নিরাপদ।
রোজা রেখে মিসওয়াক করা যাবে কিনা? হ্যা* রোজা অবস্থায়
মিসওয়াক ব্যবহার করা জায়েজ,
হানাফি ফিকাতে
রোজা রেখে যে কোন সময় মিসওযাক করা জায়েজ, তবে তাজা মিসওয়াক যাতে স্বাদ ওয়ালা রস মওজুদ
থাকে তা ব্যবহার করবেন না, বরং শুকনা মিসওয়াক ব্যবহার করবেন।
রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কি করনীয়
রোজা অবস্থায় যদি স্বপ্নদোয় হয় তাহলে রোজা
ভঙ্গ হয়না, তখন রোজাদারের উচিত দ্রুত গোসল করে নেয়া, আর রোজা অবস্থায় গোসল স্বাভাবিক
নিয়মেই করবে তবে গড়গড়া করবেনা এবং নাকে পানি এত জোড়ে টানবে না যাতে দেমাগে পৌছে যায়।
কোন মন্তব্য নেই