কাকড়া খাওয়া কি জায়েজ? চিংড়ি মাছ খাওয়া কি হারাম? কাকড়া খাওয়া কি হারাম?
চিংড়ি মাছ ও কাকড়া কখন হারাম কখন হালাল?
মনে রাখবেন ফিকহে হানাফিতে
সামুদ্রিক খাদ্যের মধ্য থেকে মাছ ছাড়া বাকী সব কিছু খাওয়া হারাম।
যে এলাকায় যেটাকে
অধিকাংশ লোক মাছ বলে থাকে সেটাই মাছ বলে গন্য হবে।
যদি একটি সাপ কিন্তু
এলাকার সকলে সেটাকে মাছ নামে ডাকে তাহলে সেটা সে এলাকায় মাছ বলেই গন্য হবে।
আর যেটাকে এলাকার
মানুষ মাছ নামে ডাকেনা ফিকাহে হানাফি মতে সেটা খাওয়া নিষেধ।
আমরা যেটাকে ইসা
মাছ বা চিংড়ি মাছ বলি সেটার ব্যপারে
ফোকাহায়ে কেরামের মধ্যে মতপাথক্য আছে,
এটা কি মাছ নাকি পোকা? এখন ফিকহে হানাফি মতে যারা
এটাকে মাছ বলে ডাকে তারা এটাকে খেতে পারবে,
আর যে এলাকায় এটাকে
পোকা ভাবে তারা এটা খাবেনা।
আমাদের এলাকায় কাকড়াকে
কেহ মাছ বলে না সুতরাং যারা হানাফি মাযহাবের অনুসারী
তাদের জন্য কাকড়া
খাওয়া হারাম।
ইমাম শাফেয়ী (রহ) এর মতে
সমস্ত সি ফুড খাওয়া হালাল
সুতরাং যারা শাফেয়ী
মাযহাবের অনুসারী তারা কাকড়া সহ সামুদ্রিক সব কিছু খেতে পারবে,
আর যারা হানাফি
মাযহাবের অনুসারী
তারা মাছ জাতীয় সব খাবে,
প্রাণী খাওয়া থেকে বেঁচে থাকবে
কোন মন্তব্য নেই