মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর কবর তথা রওজা শরীফের বিষ্ময়কর অজানা সকল তথ্য

 মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর কবর তথা রওজা শরীফের বিষ্ময়কর অজানা সকল তথ্য

আজকের এই ভিডিওতে হযরত মুহাম্মদ () এর কবর

মোবারক সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য জানতে চলেছি

যেগুলি সম্পর্কে হতে পারে আপনি 
এখনো পর্যন্ত একেবারে কিছুই জানেন না।

আর এর সঙ্গে সঙ্গে এমন কিছু মূল্যবান জিনিষের জেয়ারত
করাব যা দেখে আপনাদের মন একেবারে খুশিতে ভরে যাবে

এবং এমন এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যিনি নবী করিম () এর কবর মোবারকটি একেবারে কাছ থেকে দেখেছিলেন

সে জন্য ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই দেখবেন এবং ভিডিওটি লাইক করে কমেন্টে ১বার দরুদ শরীফ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিখবেন

একাদশ হিজরীর ২৯ শে সফর, রোববার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম জান্নাতুল বাকিতে একটি জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।

ফেরার পথে মাথাব্যথা শুরু হয় এবং উত্তাপ এতে বেড়ে যে,
মাথায় বাঁধা পট্টির ওপর দিয়েও তাপ অনুভব করা গেছে।

তিনি সেই অসুস্থ অবস্থায় এগার দিন নামায পড়ান।

নবীজির জীবদ্ধশায় শেষ দিকের ১৭ ওয়াক্ত
নামাজে হযরত আবু বরক (রা) ইমামতি করেন

অসুস্থতা তীব্র হওয়া পর তিনি সকল স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে মায়মুনার
গৃহ থেকে আয়শা গৃহে এসে অবস্থান করতে থাকেন

এবং হযরত আয়শা (রা) এর গৃহেই হুজুর () ইন্তেকাল করেন,
হযরত আবু বকর (রা) বললেন প্রিয় নবীজিকে

সে স্থানে দাফন করা হবে যে স্থানে তিনি ইন্তেকাল করেছেন

সে মোতাবেক কবর খনন করা হল

সোমবার দ্বিপ্রহরে নবীজির ইন্তেকাল হয়। একদিন অতিবাহিত হওয়ার পর মঙ্গলবার দিনের বেলা রাসুলকে (সা.) কাপড়সহ গোসল দেওয়া হয়।

 গোসল দেওয়ার কাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন
হজরত আব্বাস (রা.), হজরত আলী (রা.),

হজরত আব্বাস (রা.)-এর পুত্র ফজল বিন আব্বাস (রা.) হজরত কুসাম (রা.), রাসুল (সা.)-এর আজাদকৃত গোলাম শুকরান (রা.),

হজরত উসামা বিন যায়েদ (রা.) হজরত আওস খাওলি (রা.)

গোসলের সময় রাসুল (সা.)-এর দেহ মোবারকের পার্শ
পরিবর্তন করেছিলেন হজরত আব্বাস (রা.), তার ছেলে
হজরত ফজল বিন আব্বাস (রা.) হজরত কুসাম (রা.)

রাসুলের দেহ মোবারকে পানি ঢেলে দিয়েছিলেন
হজরত উসামা বিন যায়েদ (রা.) শুকরান (রা.) 

দেহ মোবারক ঘষে দিয়েছিলেন হজরত আলী (রা.) আর বুকের সঙ্গে হেলান দিয়ে রেখেছিলেন হজরত আওস খাওলি (রা.) (ইবনে মাজা : ৫২১)

হযরত মুহাম্মদ () এর পাশে হযরত আবু বকর (রা) কে দাফন করা হল,  এরপর কিছুদিন পর যখন হযরত ওমর (রা)

এর শেষ সময় চলে আসল তিনিও ইন্তেকাল করলেন তখন হযরত
ওমর (রা) কে হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (রা) এর পাশে দাফন করা হল

সুতরাং আয়শা (রা) এর গৃহে একটি হুজুর () এর ২য় টি হযরত
আবু বকর (রা) এর আর ৩য় টি হযরত ওমর (রা) এর কবর

এখানে যে ৩য় কবর সে স্থানে আয়শা ছিদ্দিকার
ইচ্ছে ছিল তাঁর কবর হবে, কিন্তু হযরত ওমর (রা) যখন

আহত অবস্থায় আয়শা (রা) এর কাছে নবীজির পাশে
দাফন হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন তখন

আম্মাজান আয়শা (রা) নিজের জন্য রাখা
সে কবরের জায়গাটুকু ওমরের জন্য ওয়াকফ করে দিলেন

পরে আয়শা ছিদ্দিকা (রা)কে
জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়েছিল।

এক সময় আয়শার (রা) ঘরের ছাদটি দূর্বল হয়ে গিয়েছিল

একবার প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারনে সে ছাদ সহ ঘরের ১টি দেওয়াল
ধসে পরে যায়,  সে সময় হযরত ওমর বিন আবদুল আজিজ

কালো পাথরের মজবুত দেওয়াল বানিয়ে দেন

৫৫০ হিজরিতে ২জন ইহুদী নবী করিম () এর রওজা
থেকে নবীজির দেহ মোবারক চুরি করে নিয়ে যেতে

সুরঙ্গ করতে করতে একেবারে রওজার পাশে
পৌঁছে যায় তখন বাদশা নুরুদ্দীন জঙ্গী (রহ) স্বপ্নের মাধ্যমে

নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে সে ২জন ইহুদীকে পাকড়াও করেন
এবং তাদেরকে মৃত্যুদন্ড দেন, পরে বাদশা নুরুদ্দীন জঙ্গী

সিসা দিয়ে গলিয়ে ১৩০ হাত গভীর থেকে হুজুর ()
এর রওয়ার চারপাশে প্রাচির নির্মাণ করে দেন

এখন হুজুর () এর জেয়ারতকারীগন
সোনালী জালির বাহির থেকে সালাম দিয়ে থাকেন

জালিতে বড় যে ছিদ্র সে বরাবর হল হুযুর ()
এর রওজা আর ২য় ৩য় ছিদ্রটি যথাক্রমে

হযরত আবু বকর ওমরের রওজা

নবী করীম সাল্লাহু সাল্লাম এর রওজা শরীফ
এবং এর থেকে পশ্চিম দিকে রাসূল সাঃ এর নিম্বর পর্যন্ত

স্বল্প পরিসরের স্থান টুকু  রিয়াদুল জান্নাত
বা বেহেস্তের বাগিচা বলে পরিচিত।

এটি দুনিয়াতে একমাত্র জান্নাতের অংশ।
এই স্থানে সতন্ত্র রঙের কার্পেট বিছানো থাকে।

এই স্থানটুকু সম্পর্কে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, আমার রওজা নিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানে বেহেস্তের একটি বাগিচা বিদ্যমান।

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য কোনো
কাজের প্রয়োজন ছাড়া শুধুমাত্র আমার কবর জিয়ারত

করার উদ্দেশ্যে আগমন করল, তার জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশ করা
আমার কর্তব্য হয়ে পড়ল।’ (মুজামে কবী, তিবরানি : . ১২, পৃ. ২২৫)

সুদীর্ঘ ৭০০ বছর ধরে নবীজির রওজার ভিতর
সাধারণের প্রবেশ নিষেধ, স্পেশাল কেহ প্রবেশ করলেও

তারা সেখানে নবীজির রওজার বাহিরে
যে দেওয়াল ঘেড়া বেস্টনি আছে তাই দেখতে পারে,

হুজুর () এর রওজার মুল অংশের কোন ছবি বা ভিডিও কারো কাছে নাই,

নেটে যে সব ছবি দেখা যায় এসবগুলি প্রকৃত ছবি নয়

মদিনায় জিয়ারতে হাজীদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। কারণ মদিনায় এসে দুনিয়ায় জীবিত থাকতে জান্নাতে ভ্রমণের সুযোগ মেলে

মসজিদে নববিতে প্রবেশের অনেকগুলো দরজা রয়েছে।
এর মধ্যে পশ্চিম পাশে রাসূলের রওজা

জিয়ারতের জন্য যে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে হয়,
ওই দরজাকে বাবুস সালামবলা হয়।

বাবুস সালাম দিয়ে প্রবেশ করে রাসূলের রওজায়
সালাম শেষে বাবুল বাকিদিয়ে বের হতে হয়।

রাসুলুল্লাহ () এর মুল রওজাটি যিনি সর্বশেষ
দেখেছিলেন সে সৌভাগ্যবান ব্যক্তিটি হলেন

৮৮১ হিজরীতে যখন নবীজির রওজার দেওয়াল মেরামতের প্রয়োজন হয়েছিল

সে সময় মদীনার এক ভাগ্যবান ব্যক্তি নুরুদ্দীন
আবুল হাসান যিনি সে দেওয়াল মেরামত করেছিলেন

তিনি লিখেন ১৪ শাবান ৮৮১ হিজরীতে
নং দেওয়ালটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছিল

সে সময় আমরা দেখলাম ভেতরে যে
দেওয়াল ছিল তাতেও ফাটল দেখা যাচ্ছিল

আর জন্য আমরা সেগুলিকেও মেরামত
করার জন্য ভেঙ্গে দিলাম,  তখন আমাদের চোখের সামনে

শুধুমাত্র নবী সাহাবীর মুকাদ্দাস রওজা মোবারক ছিল

আর আমারই সর্বপ্রথম ভিতরে প্রবেশ করার ভাগ্য
নসিব হয়েছিল, যখন আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম

তখন এমন খুশবু ভেসে আসল, যা আমি পৃথিবীতে কখনো অনুভব করিনি,

আমি ভিতরে প্রবেশ করতেই সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ () হযরত আবু বকর হযরত ওমর কে আদবের সাথে সালাম পেশ করলাম

এর পর শতাব্দি অতিবাহিত হয়ে গেল সেখানে
আজো কোন সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারেনা,

কারন নবীজির রওজার বাহিরে মোট ৪টি দেওয়াল দিয়ে বেস্টন আছে
যদিও কেহ প্রবেশ করে তারা শুধুমাত্র সে দেওয়ালই দেখতে পাই

নবীজির রওজায় যাওয়ার সুযোগ হলে  রওজার দিকে মুখ করে দাঁড়াবে। তারপর বলবে, ‘আস সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

আল্লাহ তায়ালা আমাকে আপনাদেরকে প্রিয় নবীজির রওজা
মোবারকের জেয়ারত নসিব করুন আমিন।

 

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.