আল্লাহ ৭ বার কসম করে বলেন...


আল্লাহ ৭ বার কসম করে বলেনএকটি ভয়ংকর হাসপাতাল


কাপড়কে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য পানির দরকার, আর সোনাকে খাটি করার জন্য সোনা থেকে খোট বের করার জন্য সোনাকে আগুনে জ্বালাতে হয় গলাতে হয় এতে স্বণের সব ময়লা পরিস্কার হয়ে স্বণ খাটি হয়ে যায়, আর মানুষের নফসকে কিভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ধুয়ে মুছে কিভাবে খাটি করা যায়? কথাটা খুবই গরুত্বপুন আশা করি খুব মনযোগের সাথে শুনবেন। একটা উপায় হল মানুষ এ দুনিয়ায় নিজের আত্মাকে পাক করার জন্য মেহনত করবেন। আর দুনিয়ার মেহনত হল বেশী বেশী আল্লাহর জিকির করবে, আল্লাহওয়ালাদের সাথে ছোহবত সংস্পশ রাখবে, এবং এত্তেবায়ে মোস্তাফা ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম। এ তিনটি কাজের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়ায় তার আত্মাকে পাক করতে পারে।
হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলভি রহঃ এ বিষয়ে বলেন জমিনে যখন নাপাক বস্তু পড়ে তা পাক হওয়ার ২টি উপায় আছে  হয়ত এত বেশী বৃষ্টি হবে এত বেশী বৃষ্টি হবে যে সারা নাপাক ধুয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। এবার যখন জমিন শুকিয়ে যাবে তখন পাক হয়ে যাবে। জমিন পাক হওয়ার আরেকটি উপায় হল সে নাপাক এর উপর রোদের কিরন এত বেশী পড়বে যে রোদের তাপে শুকিয়ে সে নাপাক বস্তু এমন ভাবে বিলিন হয়ে যাবে যে তার নাম নিশানাও আর দেখা যাবে না।

আর মানুষের আত্মশুদ্ধিরও ২টি তরিকা হয়ত আপনি এত বেশী আল্লাহর জিকির করবেন আর এ জিকির হল বৃষ্টির মত, জিকিরের বৃষিট এত বেশী আত্মার উপর প্রভাব ফেলবে যে সে জিকিরের নুর আত্মার সকল নাপাকিকে ধুয়ে মুছে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

আর মানুষের আত্মশুদ্ধির ২য় তরিকা হল আল্লাহওয়ালাদের সান্নিধ্য আর এটা সুর্য্যের তাপ বা কিরনের মত কাজ করে, আল্লাহওয়ালাগন এর আত্মার নুর এমনভাবে আছর করে যে আল্লাহ ওয়ালার ছোহবতে থাকলে মানুষ পাপ ত্যাগ করে পুন্য আত্মার অধিকারী হয়ে যায়। যেমন কারো রোগ হলে কেন্সার হলে থেরাপি দেয়া হয় যে সব থেরাপি আলোর দ্বারা সে ক্যান্সারের জিবানুকে ধ্বংস করে, আর তেমনি ভাবে আল্লাহওয়ালাদের কলবের নুরের থেরাপিও গুনাহগার বান্দার গুনাহের ক্যান্সরকে দুরে করে দেয়।

ইমামে রাব্বানি মুযাদ্দিদ আলফেসানি (রহঃ) উনার লিখনিতে লিখেন সুন্নতের অনুসরনেরদ্বারা মানুষের যতটুকু আত্মশুদ্ধি হয় পাহাড় পরিমান নফল এবাদতের দ্বারা তা হয় না। সুতরাং সুন্নতের অনুসরন করতে হবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাহলে আপনার আত্মা শুদ্ধ হয়ে যাবে। যে সব লোক আল্লাহওয়ালাদের ছোহবতে আসেন তাদের থেকে জিকির শিখেন আর সুন্নতের অনুসরকরা আরম্ভ করেন তাদের জীবন পরিবর্তন হওয়ার হাজারো প্রমান রয়েছে। গুনাহগার ছিল নেককার হয়ে গেল, বিপথে ছিল সোজা পথে চলে আসল, হায়ওয়ান ছিল ইনসান হয়ে গেছে। আল্লাহর নাফরমান ছিল আল্লাহর ফরমাবরদার হয়ে গেল, আমি আমার জীবনে এমন অসংখ্য লোক দেখেছি।

সুতরাং মুল কথা হল ৩টি কাজ করলে মানুষের আত্মা শুদ্ধ পাক সাফ হয়ে যায় মানুষ সত্যিকারের মানুষে পরিনত হয় (১) আল্লাহ ওয়ালাদের ছোহবত এখতিয়ার করা অথ্যাৎ আল্লাহ ওয়ালাদের সাথে সদা জড়িত থাকা (২) আল্লাহর জিকির করা (৩) প্রিয় নবীর প্রিয় সুন্নতসমুহ সকল কাজে অনুসরন করা। আর মানুষ তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার জন্য দুনিয়ার এ সহজ ৩টি পদ্ধতিকে আপন করে নেয়া উচিত। আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত আত্মাকেপরিশুদ্ধ করার ব্যপারে ৭ বার কসম খেয়ে এরশাদ করেছেন (ওয়াস সামসে ওয়া দুহাহা, ওয়াল কামারে ইজা তালাহা, ওয়ান নাহারে ইজা জাল্লাহা, ওয়াল লাইলে ইজা এয়াগশাহা, ওয়াস সামায়ে ওয়ামা বানাহা, ওয়াল আরদে ওয়ামা তাহাহা, ওয়া নাফসিও ওয়ামা সাওয়্যাহা, ফা আল হামাহা ফুজুরাহা ওয়া তাকওয়াহা, কাদ আফলাহা মান  যাক্কাহা।

সুতরাং যেসব মুসলমানরা দুনিয়ায় আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার ব্যবস্থা না করে কবরে চলে যায় তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা আখেরাতে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার এনতেজাম করে রেখেছেন, দলিল পবিত্র কোরান আজিমুশশানে, আল্লাহ তায়ালা ফরমান যারা মুশরিক (ওয়ালা ইউকাল্লিমুহুমুলল্লাহু এয়াউমাল কিয়ামাতে ওয়ালা ইউজাক্কিহিম) ইউজাক্কিহিম অথ হল আত্মা শুদ্ধ করন, মুশরিক, মুনাফিক ও কাফেরের তাজকিয়া বা আত্মশুদ্ধি আখেরাতে হবে না কিন্তু যারা মুসলমান অবস্থায় মৃত্যু বরন করেছে আখেরাতে তাদের তাজকিয়া বা আত্মশুদ্ধি হবে।

সুতরাং তাজকিয়ার ২টি অপশন একটা দুনিয়ায় আল্লাহ ওয়ালাদের সাথে হাত রেখে জিকির শিখে সুন্নতের অনুসরনে দ্বারা, আর তা না হলে ২য় অপশন হল আখেরাতের তাজকিয়া, তবে আখেরাতের শুদ্ধি অভিযান খুবই মুশকিল। আর আখেরাতের তাজকিয়া বা শুদ্ধি অভিযান বুঝাতে আমি নতুন টারমিনলজি ব্যবহার করব যাতে আপনাদের সহজে বুঝে আসে। টারমিনলজি নতুন হবে কিন্তু কথাগুলি হবে আজিমুশশান কোরান অনুযায়ী।

যখন কোন বান্দা অসুস্থ হয় তখন কোথায় যায়? হসপিটালে, রব্বুল আলামিনও মুসলমান অবস্থায় যারা আত্মশুদ্ধি ছাড়া মৃত্যু বরন করেছে তাদের জন্য আখেরাতে ভয়াবহতম হাসপাতাল বানিয়ে রেখেছেন। মানুষ যখন মৃত্যু বরণ করে তখন প্রথম স্তর হল কবর, কবরের উদাহারন হল ইমাজেন্সি রুমের মত, হসপিটালে যখন কোন মুমুষ রোগী আসে তখন তাকে প্রথমে ইমাজেন্সী রুমে রাখে সেখানের স্টাফ খুব দ্রুত ছোট ছোট কয়েকটি প্রশ্ন করে এবং সাথে সাথে চিকিৎসা শরু করে দেয়, এরপর বড় ডাক্তার আসার জন্য অপেক্ষা করে,

তেমনি ভাবে ঐসব গুনাহগার মুমিন কলমা পড়েছে কিন্তু তারা তাদের কলবকে পরিশুদ্ধ করে নি এখন সে যখনই কবরে যাবে সেখানে মুনকার নকির ২ ফেরেশতা হবে, তারা ৩টি ছোট ছোট কুইক কুয়েকশন করবে, (মান রাব্বুক মান নাবিয়্যুক মা দিনুক) আর এ ৩টি ছোট প্রশ্ন করার দ্বারা তাদের জানা হয়ে যাবে এ কোন স্তরের রোগী। আর সাথে সাথে ট্রিটমেন্ট শুরু করে দিবে। শুরু হয়ে যাবে কবর আযাব।

মানুষের মাথা ব্যথা করে আর মাথা টিপে দিলে ভাল লাগে, আর যাদের দুনিয়ার গুনাহের দরদ ছিল, সে যখন সে সব গুনাহ নিয়ে কবরে যাবে তখন কবরও তার ফিজিও থেরাপি করবে। কেমন হবে কবরের থেরাপি? হাদীস শরীফে আছে কবর এমন জোরে চাপ দিবে যে এক দিকের হাড্ডি অপর দিকে চলে যাবে। কবর বলবে তুমি দুনিয়ার গুনাহ করতে রবের নাফরমানি করতে আস আজ তোমাকে কিছু থেরাপি দিই।
হাদীস পাকে আসছে যে কবরকে জাহান্নামের গত সমুহের একটি গতে পরিনত করে দেয়া হয়। যাদের শদি রোগ থাকে জ্বর থাকে তাদের জন্য হাসপাতালে ঠান্ডা না লাগার জন্য এসি বন্দ করে দেয়া হয় রুমের টেম্পরেচার একটু বাড়িয়ে দেয়া হয়, তেমনি যারা গুনাহের রোগ নিয়ে কবরে যাবে তাদেরকে শুদ্ধি করার জন্য কবরকে হায় টেম্পারেচার করে দেয়া হবে। জাহান্নামের গর্ত।

এরপর হাদীস শরীফে আছে, যদি এ বান্দা বে নামাজি হয় তাহলে তার মাথার উপর টাক মাথা ওয়ালা একটা অজগর নিযুক্ত করে দেন, সে কি করে ? ফজরের নামাজ কাজা করার কারনে ফজর থেকে জোহর পযন্ত বিষ ঢালতে থাকে, যোহর—আচর,  আচর- মাগরিব, মাগরিব- এশা, এশা-ফজর পযন্ত সে বেনাজিকে বিষাক্ত ছোবল দিতে থাকবে যেমন মারাত্মক রোগীকে সেলাইন দেয়া হয় সে সেলাইন যেমন রোগীর শরীরে ফোটা ফোটা প্রবেশ করে তেমনি বেনামাজিকে সে বিশালাকারের পায়থন ছোবলের পর ছোবল দিয়ে ফোটা ফোটা বিষ প্রয়োগ করতে থাকবে। সে ছোবলের কিযে খতরনাক যন্ত্রনা হবে সে বিষের কিযে মারাত্মক ক্রিয় হবে তাতো কল্পনার বাইরে। রোগীকে যেমন মাথার উপর একটা স্টেন দিয়ে সেলাইন দেয়া হয় তেমনি হাদীসে বলা হয়েছে মাথার দিকে এক অজগর নিযোগ করা হবে বেনামাজির জন্য।

আর এমাজেন্সিতে রোগী যতক্ষন বড় ডাক্তার না আসে ততক্ষন সে বড় ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করা হয়, আর সে রোগীর যে ফাইল বানানো হয় তা সে বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। আর বড় ডাক্তার সে ফাইল চেক করেন আর রোগীর কাছে প্রশ্ন করে খুব বিস্তারিত প্রশ্ন করতে থাকেন। যাতে পরিস্কার হয়ে যায় যে অসুস্থতার আসল কারন কি ছিল?

কেয়ামতের দিন এ গুনাহগার অসুস্থ বান্দাহে তবিবে আলার সামনে পেশ করা হবে, আর রব্বে করিমও তার ফাইল চেক করবেন আর যার নাম হল আমল নামা। এবং রব্বে করিম তাকে ৪টি বিস্তারিত প্রশ্ন করবেন  যেমন (১) তুমি জীবন কেমন কাটিয়েছ? (২) তুমি যৌবন কাল কেমন কাটিয়েছ (৩) মাল কোথা থেকে কামিয়েছ আর কোথায় কোথায় খরচ করেছ? (৪) তুমি তোমার এলম এর উপর কতটুকু আমল করেছ? এ ৪টি প্রশ্ন করার পর পরিস্কার প্রকাশ হয়ে যাবে যে সে কোন স্তরের রোগী।
আর ডাক্তার যখন দেখে নেন সে কোন স্তরের রোগী তখন তাকে আর এমাজেন্সিতে না রেখে ওয়াড বা কেবিনে শিপট করে দেন। কেয়ামতের দিন যখন তাকে তবিবে আলা দেখবেন তখন তাকে জাহান্নামের হসপিটালে শিপট করে দিবেন।

আমরা দেখি হসপিটালে ৩ ধরনের ওয়াড হয় িএকটাকে বলে জেনারেল ওয়াড যেখানে সাধারন রোগীদের রাখা হয়, একটাকে বলে ইসিইউ (এক্সটেনসিভ কেয়ার ইউনিট যেখানে বেশী হাটের রোগীদের রাখা হয়) একটাকে বলে টিসিইউ (টারসারি কেয়ার ইউনিট) যাতে অনেক লম্বা সময় ধরে থাকা রোগীদের রাখা হয়, আর আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামের হসপিটালে ৭টি ওয়াড বানিয়েছেন। সবার উপরে যে স্তর সেটা হল জেনারেল ওয়াড, যাতে গুনাহগার মুসলমানদেরকে রাখা হবে, আর সবচেয়ে নিচের যে স্তর তা হল টারসারি কেয়ার ইউনিট বা টিসিইউ, লম্বা সময় ধরে যারা থাকবে তারা হল মুশরিক মুনাফেক ও কাফের। এ তিন ধরনের রোগী এতটাই মারাত্মক যে তারা কখনো সুস্থ হবে না সুতরাং তারা জাহান্নামের হসপিটাল থেকে কখনো ডিসচাজই হবে না।

দুনিয়ার হসপিটালে এম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়, আর জাহান্নামের হসপিটালে ফেরেশতারা ধাক্কা মেরে মেরে নিয়ে যাবে। আল্লাহ এরশাদ করেন (এয়াউমা ইউদাআউনা ইলা নারে জাহান্নামাদ্দাআ) দুনিয়ার হসপিটালে সুতার আরামদায়ক পোষাক পরিধান করিয়ে দেয়া হয়, আরা জাহান্নামের হসপিটালে জাহান্নামের কষ্টদায়ক পোষক পরিধান করিয়ে দেয়া হবে। কোরানে আছে তাদেরকে গন্ধক এর পোষাক পড়ানো হবে।
ফোকাহায়ে কেরামা ফরমান কোথায় কুকুর মরে গলে গেলে এত দুগন্ধ ছুটে যে যার পাশ দিয়ে চলাচল করা সম্ভব হয় না। আর সারা জাহানের সকল প্রানী এক জায়গায় মৃত্যু বরন করে যদি পঁচে গলে যায় সেখান থেকে যে দুগন্ধ ছড়াবে জাহান্নামীদের কাপড় থেকে এর চেয়েও বেশী দুগন্ধ ছড়াবে। দুনিয়াতেতো সবচেয়ে দামী দামী পারফিউম েইউজ করেন আর আখেরাতে হবে এ অবস্থা।

হসপিটালে ছোট ছোট কেবিন হয় তেমনি জাহান্নামীদের জন্যও কেবিন হবে আর এসব কামরা বা কেবিন কেমন হবে? কোরানে বলা হচ্ছে (মকানান দায়্যেকা)খুব কনজেস্টেট বা ছোট জায়গার কামরা হবে। সে কামড়ায় না দাঁড়াতে পারবে না শুয়ে থাকতে পারবে না ভাল করে বসতে পারবে, চিন্তা করুন জাহান্নামীদের হাসপাতালের কেবিনে তারা কতটা কষ্টে থাকবে। আর সেখানে তাদেরকে একাকিত্বের আযাবও দেয়া হবে। হাদীস শরীফে আছে জাহান্নামীদেরকে যখন িএসব ছোট ছোট কেবিনে ঢালা হবে আল্লাহ তায়ালা তাদের চারদিকে আগুনের দেওয়াল তৈরী করে দিবেন। এবং সে তখন এটাই বুঝবে যে সারা জাহান্নামী জাহান্নামথেকে চলে গেছে আমি একলাই এ জাহান্নামের আযাবে মোবতালা আছি।এমন পেরেশানি হবে যার কোন সীমা নাই।
দুনিয়ার হসপিটালে রোগীদেরকে তাদের রোগের ধরন মোতাবেক খানা দেয়া হয় আর জাহান্নাম বাসীগন ফেরেশতাদের বলবে আমার ক্ষিদে লেগেছে আমাকে খাবার দাও, (ইন্না সাজারাতায যাক্কুম তায়ামুল আছিম)ফেরেশতারা যাক্কুম বৃক্ষের ফল নিয়ে আসবে এটা এমন ফল যাতে অসংখ্য কাঁটা আর এত তিতা যে সকালে সামান্য জিহ্বায় লাগালে সন্ধ্যা পযন্ত সে তিক্ততা দুর হয় না। দুনিয়াতে আমরা তিতা করলা খায়, আর সেখানেও জাহান্নামীদেরকে যাক্কুম খাওয়ানো হবে বলবে নাও এটাই তোমার থেরাপি। যখন খাবে তা গলায় আটকে যাবে তখন পানি চাইবে, তখন তাদেরকে পান করতে দেয়া হবে (ওয়ালা তায়ামুন ইল্লা মিন গিছলিন লা এয়াকুলুহু ইল্লাল খাতিউন) জাহ্হান্নামীদের থেকে যে রক্ত ও পুঁজ হবে তা পেয়ালা ভরে ভরে তাদেরকে পান করতে দেয়া হবে। তবুও তারা তা পান করবে। আর এ ভয়াবহ আযাব ক্রমাগত চলতেই থাকবে।

দুনিয়ার হসপিটোলে যেমন রোগ তেমন তর চিকিৎসা করা হয় কারো চোখের অসুখ হলে তাকে চোখের চিকিৎসা করানো হয়, জাহান্নামীদের মধ্যে যারা অশ্লিল দৃশ্য দেখার গুনাহ করেছে পর নারী দেখেছে তাদেরকে থেরাপি দিবে যে হাদীস শরীফে আছে যে লোহার শলাকে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে গরম করে তাদের চোখে এমন ভাবে চালানো হবে যেভাবে মানুষ চোখে কাঠি দ্বারা সুরমা লাগায়।
অতএব যেমন গুনাহ তেমন সাজা ভোগ করবে যাদের গুনাহ কম তারা কম সময় এসব সাজা ভোগ করবে এরপর তাদেরকে সেখান থেকে বের করা হবে, কারন যদি প্রপ্রাপ ট্রিটমেন্ট হয় তাহলে হাসপাতালে বেশীদিন থাকতে হয় না, সুস্থ হয়ে গেলে ডিসচাজ করে তাকে ঘরে পাটিয়ে দেয়, সুতরাং যে বান্দার জাহান্নামের হাসপাতালে ট্রিটেমেন্ট মিলবে তাকে সেখান থেকে রেহায় দেয়া হবে আর তাদেরকে পাঠানো হবে ঘরে আর গুনাহগার মুমিনের ঘর হবে অবশেষে জান্নাত। তবে জান্নাতে যাওয়ার জন্য একটাই শত তাহল সে বান্দার কোন ধরনের গোপন রোগ থাকতে পারবে না।

দুনিয়ায়ও এমন পদ্ধতি রয়েছে যখন কোন বহিবিশ্বে সফর করতে হয় তখন তার মেডিকেল চেকআপ করানো হয় যাতে তার ৩টি রোগ যেন না থাকে যেমন তার হেপাটাইটিস সি, টিভি, এবং এইচ আইভি পজেটিব, কারন এ ৩টি রোগ অন্যদের জন্যও ক্ষতির কারন হতে পারে। দুনিয়ার একটা দেশ যদি শত লাগাতে পারে যে এসব রোগ নিয়ে আমাদের দেশে প্রবেশ করা যাবে না, তেমনি ভাবে আল্লাহ তায়ালাও জান্নাতে প্রবেশের ব্যপারে শত লাগিয়ে দিয়েছেন জান্নাত হল পুতপবিত্র লোকদের জায়গা, সুতরাং তোমরা গোপন রোগসমুহ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই তোমাদের যদি জান্নাতে প্রবেশ করতে হয় তাহলে তার চিকিৎসা করতেই হবে। তাই আল্লাহ তায়ালা ফরমান (ওয়া জালিকা যাযাউ মান তাজাক্কা) যারা আত্মশুদ্ধি করবে তাদের বিনিময় হবে জান্নাত। মুল কথা হল জান্নাতে যাওয়ার জন্য তাজকিয়া বা আত্মার পরিশুদ্ধতা অর্জন করা শর্ত। আর তার ২টি রাস্তা আছে একটা হল দুনিয়াতে আল্লাহর জিকির আল্লাহ ওয়ালাদের ছোহবত এবং এত্তেবায়ে সুন্নতের দ্বারা তাজকিয়া অজন করে সোজা জান্নাতের হকদার হওয়া, নতুবা জাহান্নামের হাসপাতালে নানান বেদনাদায়ক থেরাপি গ্রহন করে তাজকিয়া বা পুত পবিত্র হয়ে অবশেষ জান্নাতে যাওয়া।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.