শবে বরাতে ৭ প্রকারের লোকের জন্য দুঃসংবাদ
৭ ধরনের লোকের শবে বরাত ও শবে ক্বদর পালনে কোন লাভ নাই
প্রথম প্রকারের
লোক হল কাফের, আসুন কুফুরী বা কি কি করলে কাফের হয়ে যায় তা জেনে নিই
§
কুরআন-হাদীসের অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত কোন বিষয় অস্বীকার করা যেমন ; নামায, রোযা ফরয হওয়াকে অস্বীকার করা, নামযের সংখ্যা, রাকআতের সংখ্যা, রুকু সাজদার অবস্থা, আযান, যাকাত, হজ্জ, ইত্যাদি বিষয়- এর কোনটি অস্বীকার করা কুফরী।
§
কোন মুসলমানকে কাফের আখ্যায়িত করা কুফরী।
§
কুরআন-হাদীসের অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত কোন বিষয়ের এমন ব্যাখ্যা দেয়া যা কুরআন ও হাদীসের স্পষ্ট বিবরণের খেলাফ এটাও কুফরী
§
কুফর ও ভিন্ন ধম্যের কোন শিআর বা ধর্মীয় বিশেষ নিদর্শন গস্খহণ করা কুফরী। যেমন- হিন্দুদের ন্যায় পৈতা গলায় দেয়া, খৃষ্টানদের ক্রুশ গলায় ঝুলানো ইত্যাদি।
§
কুরআনের কোন আয়াতকে অস্বীকার করা বা তার কোন নির্দেশ সম্পর্কে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করা কুফরী
§
কুরআন শরীফকে নাপাক স্থানে ও ময়লা আবর্জনার মধ্যে নিক্ষেপ করা কুফরী
§
ইবাদতের নিয়তে
কবরকে চুমু
দেয়া কুফরী।
§
দ্বীন ও ধর্মের কোন বিষয় নিয়ে উপহাস ও ঠাট্রা-বিদ্রুপ করা কুফরী
§
আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের কোন হুকুমকে খারাপ মনে করা এবং তার দোষ ত্রুটি অন্বেষণ করা কুফরী
§
ফেরেশতাদের সম্পর্কে বিদ্বেষভাব পোষণ করা বা তাদের সম্পর্কে কটুক্তি করা কুফরী
§
হারামকে হালাল মনে করা এবং হালালকে হারাম মনে করা কুফরী
§
কারও মৃত্যুতে আল্লাহর উপর অভিযোগ আনা, আল্লাহকে জালেম সাব্যস্ত করা কুফরী
§
কাউকে কুফরী শিক্ষা দেয়া কুফরী
§
হারাম বস্তু পানাহারের সময় বিসমিল্লাহ বলা, যেনার লিপ্ত হওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলা কুফরী
§
দ্বীনী ইলমের প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য প্রদর্শন ও অবমাননাকর বক্তব্য প্রদান করা কুফরী
§
হক্কানী উলামায়ে কেরামকে দ্বীনী ইলমের ধারক বাহক হওয়ার দরুণ গালি দেয়া বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাও কুফরী
§
কেউ প্রকাশ্যে কোন গুনাহ করে যদি বলে যে আমি এর জন্য গর্বিত তাহলে সেটা কুফরী
§
আল্লাহ ও রাসূল সা. এর অবমাননা করা, আল্লাহ ও নবীকে পালি দেয়া এবং তাঁদের শানে বেয়াদবী করা কুফরী
§
যে যাদুর মধ্যে ঈমানের পরিপন্থী কুফর ও শিরকের কথাবার্তা বা কাজকর্ম থাকে তা কুফরী।
সুতরাং যাদের মাঝে এসব
গুন আছেন তারা তওবা করে নিতে হবে নতুবা শবে বরাত শবে ক্বদর পালনে কোন ফায়দা নাই।
২য় প্রকারের লোক হল শত্রুতা পোষনকারী
বোগজ শব্দটি আরবী। যার আভিধানিক অর্থ ঘৃণা, শত্রুতা, অবজ্ঞা, অপছন্দ ইত্যাদি। কারো সাথে অন্তরে শত্রুতাভাব পোষণ করাকে বোগজ বলা হয়ে থাকে। শরীয়াতের বৈধ হুকুম ব্যতীত কোন মানুষের সাথে শত্রুতা রাখা হারাম। মনের ভিতর শত্রুতা থাকলে তা দুর করার জন্য মহানবী সুন্দর পদ্ধতি
বলে দিয়েছেন রাসূল সা. ঘোষণা করেছেন : “আবূ হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সা. বলেছেন : তোমরা পরস্পরকে হাদিয়া দাও তাহলে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা তথা মহব্বত পয়দা হবে” (আল-বাইহাকী, শু‘আবুল ঈমান, খ. ৪, পৃ. ৪৭৯, হাদীস নং-৮৯৭৬) অপর এক হাদীসে শত্রুতা দূর করার পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে : আবূ হুরইরা রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন; রাসূল সা. বলেছেন : তোমরা ততক্ষণ বেহেশে্ত প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে না পারবে, আর ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসতে না পারবে। আমি কি তোমাদের বলে দেব যে কোন্ জিনিস তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি করবে? আর সেটি হলো তোমরা পরস্পর সালাম বিনিময় করবে (মুসলিম আস-সহীহ, খ. ১, পৃ. ৫৩, হাদীস নং-২০৩
শবে বরাতের রাতে
আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত তৃতীয় প্রকারের লোক হল যারা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে।
ইসলাম আত্মীয়তার সম্পর্ককে কতটা গুরুত্ব দিয়েছে তা কয়েকটি কুরআন ও হাদীসর ভাষ্য শুনলেই
বুঝতে পারবেন
সুরা মুহাম্মদের
২২-২৩ নং আয়াতে আল্লাহ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীকে লানতি বলেছেন।
সুরা বাকারার ২৬-২৭
নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীকে ক্ষতিগ্রস্থ ফাসেকদের অন্তভূক্ত
বলেছেন।
হাদীস শরীফে আত্মীয়তার
সম্পর্ক ছিন্ন কারীর জন্য নানান শাস্তির ঘোষনা এসেছে তার মধ্যে দেখা যায় বুখারী শরীফের
১৩৯৬ নং হাদীসে দেখা যায় হযরত আবু বকর (রাঃ) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেছেন-
আল্লাহ তায়ালা বিদ্রোহী ও আত্মিয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর ন্যায় অন্য কাউকে পৃথিবীতে
দ্রুত শাস্তি দেয়ার পরও পরকালিন শাস্তি তার জন্য জমা করে রাখেননি। অথ্যাৎ আত্মিয়তার
সম্পর্ক ছিন্নকারীর জন্য দুনিয়াতেও দ্রুত আযাব নেমে আসে আবার আখেরাতেও জমে আছে কঠিন
শাস্তি। রসুলুল্লাহ (দঃ) আরো এরশাদ করেন (লা এয়াদখুলুল জান্নাতা কাতেউন) অথ্যাৎ আত্মিয়তার
সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আত্মিয়তার সম্পককে বজায় রাখা এতই
গুরুত্বপূর্ণ যে রসুল (দঃ) দুনিয়া থেকে বেছালের সময়ও উম্মতকে সাবধান করে বলেছেন (আরহামাকুম
আরহামাকুম) অথ্যাৎ তোমাদের আত্মিয় স্বজন সম্পকে সাবধান হও।
শবে বরাতের রাতে
আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত চতুথ প্রকারের লোক হল যারা টাকনুর নিচে অহংকার বশত কাপড়কে
ঝুলিয়ে পরিধান করে।আজকাল স্বাভাবিকভাবেই টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করলেই ঢালাওভাবে জাহান্নামী
বলা যাবে না। কারন এ সংক্রান্ত বেশীরভাগ হাদীসেই অহংকার বশত শব্দটি রয়েছে যেমন
যে ব্যক্তি গর্বভরে নিজের পোশাক ভুলুন্ঠিত করে পরিধান করে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না” (সহীহ বুখারী ৩/১৩৪০; সহীহ মুসলিম ৩/১৬৫১)
রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, “যে ব্যক্তি তার পরিধানের কাপড়কে অহংকারের সাথে মাটিতে হেঁচড়ে নিয়ে চলে, শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না”। আবু বকর(রা) উপস্থিত ছিলেন, তিনি জানতে চাইলেন, “মাঝে মাঝে অসতর্কতার কারণে আমার পরিধেয় কাপড় একদিকে ঝুলে পড়ে”। রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, “তুমি তা অহংকার থেকে করোনি”। (বুখারি,৩৪৬৫)
তবে সতর্কতা ও তাকওয়া হল মনে অহংকার আসুক কিংবা না আসুক টাকনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে
পরিধান না করা।
শবে বরাতের রাতে
আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত পঞ্চম প্রকারের লোক হল যারা মা বাবার নাফরমান
পবিত্র কুরআন পাকে আল্লাহ পাক তার নিজের অধিকারের পরই পিতা-মাতার অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন। কুরআনে কারীমে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। (সূরা বনী ইসরাঈল:২৩) ইমাম কুরতুবী (রাহ.) বলেন, এ আয়াতে আল্লাহ পাক পিতা-মাতার সম্মান এবং তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করাকে নিজের ইবাদতের সাথে বর্ণনা করে সন্তানের ওপর তা অপরিহার্য করেছেন।
এ প্রসঙ্গে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, কোন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে প্রশ্ন করলেন, আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় কাজ কোনটি? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, সময় মতো নামায পড়া। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, এরপর কোন কাজটি সর্বাধিক প্রিয়? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, এরপর কোন কাজটি সর্বাধিক প্রিয়?
রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। (সহীহ বুখারী: ১/৭৬) এ হাদিস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, দ্বীনের অন্যতম স্তম্ভ নামাযের পড়া আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় কাজ হলো পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।
পিতা মাতার অবাধ্য
ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন ফিরেও তাকাবেন না, এ ব্যপারে হাদীস,
হজরত ইবনে ওমর বর্ণনা করেন, ‘তিন ব্যক্তি এমন- যাদের প্রতি কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা অপ্রসন্ন থাকবেন; তারা হলো- পিতা-মাতার অবাধ্য ব্যক্তি; মদপানে অভ্যস্ত ব্যক্তি; উপকার করে খোঁটা দানকারী।’
তাছাড়া পিতা মাতার
অবাধ্য যারা তারা এর শাস্তি দুনিয়াতেই ভোগ করে যাবে এ ব্যপারে হাদীস
হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রিয়নবি থেকে বর্ণনা করেন, ‘আল্লাহ তাআলা তাঁর ইচ্ছামাফিক অনেক গোনাহের শাস্তি কেয়ামতের দিন দেয়ার জন্য রেখে দেবেন; কিন্তু পিতা-মাতার অবাধ্যতা এমনই একটি গোনাহ যার শাস্তি আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতেই দিয়ে দেন।
শবে বরাতের রাতে
আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত ষষ্ঠ প্রকারের লোক হল যারা মদ পান করেন
মদ পানের ব্যপারে
পবিত্র কুরআনে সুরা মায়েদার ৯০ নং আয়াতে উল্লেখ রয়েছে
ওহে যারা ঈমান এনেছ! মদ, জুয়া, মুর্তিপূজার বেদী এবং ভাগ্য নির্ণায়ক তীর তো ঘৃন্য বস্তু, শাইতানের কাজ। অতএব তোমরা সব বর্জন কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। [সূরা মায়িদা-৯০]
রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেনঃ মদ সকল মন্দ ও অশ্লীলতার মা (উৎস) এবং যাবতীয় মন্দের মধ্যে ওটা সবচাইতে লজ্জাকর। সুনামে ইবনে মাজাহ্ অধ্যায় ৩০ । হাদীস নং ৩৩৭১।
অপর বর্ণনায় আছে;
আল্লাহ এ অঙ্গীকার করেছেন যে, যে ব্যক্তি মাতালকারী বস্তু পান করবে তিনি তাকে তীনাতুল খাবাল ভক্ষন করাবেন। তারা বলল: হে আল্লাহর রাসূল! ত্বীনাতুল খাবাল কি? তিনি বললেন: জাহান্নামীদের ঘাম অথবা জাহান্নামীদের থেকে নির্গত দুর্গন্ধযুক্ত নিকৃষ্ট রস। [হাদীসটি ইমাম মুসলিম (২০০২) ও নাসাঈ (৫৭০৯) বর্ননা করেছেন।]
শবে বরাতের রাতে
আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত সপ্তম প্রকারের লোক হল যারা অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করে
অবৈধভাবে কাউকে হত্যা করা কবিরা গুনাহ
আল্লাহ তায়ালা হত্যাকারীকে চির জাহান্নামী বলে
আখ্যায়িত করেছেন এবং
তিনি তার উপর
অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। তেমনি
ভাবে তার উপর
অভিশাপ ও আখেরাতে
তার জন্য দ্বিগুন
শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা
বলেনঃ ‘’আর যে
ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কোন
মুমিনকে হত্যা করে
তার শাস্তি জাহান্নাম। যাতে সে স্থায়ীভাবে থাকবে, তার উপর
আল্লাহর ক্রোধ ও
অভিসম্পাত। আল্লাহ তার
জন্য মহাশাস্তি নির্দিষ্ট করে রেখেছেন’’ নিসা
৪/৯৩
কিয়ামতের দিন মানবাধিকার সম্পর্কে সর্বপ্রথম হত্যার বিচার করা হবেঃ
আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে
বর্ণিত। নাবী (সাঃ)
বলেছেনঃ (কিয়ামতের দিন)
মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম হত্যার বিচার করা
হবে’’ বুখারী ৬৫৩৩;
মুসলিম ১৬৭৮
মুয়াবিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ প্রতিটি গুনাহ আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন। তবে দুটি গুনাহ যা আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন না। আর তা হচ্ছে, কোন মানুষ কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে অথবা ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করলে’’ নাসায়ী ৩৯৮৪; আহমাদ; হাকিম ৪/৩৫১
নিহত ব্যক্তি হত্যাকারীকে সঙ্গে নিয়ে কিয়ামতের মাঠে উপস্থিত হবেঃ
ইবন আব্বাস (রাঃ)
হতে বর্ণিত। নাবী
(সাঃ) বলেনঃ ‘’ কিয়ামতের দিন হত্যাকারী তার
মাথার সাথে নিহত
ব্যক্তির মাথা লটকানো
অবস্থায় উপস্থিত হবে।
নিহত ব্যক্তি বলবে,
হে প্রভু! তাকে
জিজ্ঞেস করুন, সে
কেন আমাকে হত্যা
করেছে?’’ ইবন মাযাহ
২৬২১
সুতরাং আজ আমরা সংক্ষেপে ৭টি মারাত্মক গুনাহ সম্পর্কে জানলাম যে
পাপ করলে তওবা না করা পর্যন্ত তার জন্য শবে বরাত শবে কদরের নফল এবাদত কোন ফায়দা
পৌঁছাতে পারবে না। সুতরাং আসুন আমরা এসব পাপ থেকি তওবা করে শবে বরাতের আগে পাক সাফ
হয়ে শবে বরাত পালন করি। আল্লাহ পাক আমাদেরকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন।
আমিন।
কোন মন্তব্য নেই