জাকাত ও সদকার ৯টি বিষ্ময়কর ঘটনা
জাকাত ও সদকার ৯টি বিষ্ময়কর ঘটনা
ঈমানদারদের আলামত
বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা এ কথা এরশাদ করছেন ওয়ামিম্মা
রাজাকনাহুম ইউনফিকুন ( আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর দেয়া রিযিক থেকে খরচ করে)
আকিমুস সালাতা ওয়া আতুজ জাকাত (নামাজ কায়েম কর জাকাত আদায় কর)
কুরানে পাকে ৩২ জায়গায় জাকাত শব্দটি এসেছে,
অপর জায়গায় এরশাদ করছেন (লান তানালুল বিররা হাত্তা তুনফিকু
মিম্মা তুহিব্বুন)তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কোন প্রতিদান বা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের সর্বাধিক প্রিয় বস্তু তাঁরই কারণে ব্যয় করতে না পার
১ নং ঘটনা> শ্রেষ্ঠ সম্পদ ব্যয় করার জন্য সাহাবাদের মধ্যে
প্রতিযোগীতা
বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে যে, সূরা আল ইমরানের “তোমরা কখনো কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যতক্ষণ তোমরা যা ভালোবাস তা দান না কর” এই আয়াত নাযিল হলে সাহাবীগণের মধ্যে এ নিয়ে চিন্তাভাবনা ও প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় যে, তার সম্পত্তির মধ্যে কোন জিনিসটি বেশি প্রিয় এবং তা কত দ্রুত রাসূল(সা) এর কাছে গিয়ে দান করা যায়।
মদীনার আনসারদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ছিলেন আবু তালহা(রা)। মসজিদে নববীর বিপরীত দিকে তার একটি বাগানে “বীরহা” নামে একটি কুয়া ছিল। ক্রমে ঐ কুয়ার নামানুসারে তার বাগানটিও “বীরহা” নামে পরিচিত হয়।
রাসূল(সা) মাঝে মাঝে এই বাগানে আসতেন এবং এই কুয়ার পানি খেতেন। এই কুয়ার পানি তার কাছ খুবই প্রিয় ছিল। আবু তালহারও এই কূপসহ বাগানটি অত্যন্ত মূল্যবান, উর্বর ও সর্বাপেক্ষা প্রিয় সম্পদ ছিল।
উক্ত আয়াত নাযিল হওয়ার পর তিনি রাসূল(সা) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন যে, “ আমার সমস্ত বিষয় সম্পত্তির মধ্যে বীরহা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। তাই এটি আমি আল্লাহর পথে ব্যয় করতে চাই। আপনি যে কাজে ভালো মনে করেন এটি ব্যয় করুন।”
রাসূল(সা) বললেনঃ “এত বড় বাগান, আমার মতে তুমি নিজের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে বন্টন করে দিলেই ভালো হবে।” হযরত আবু তালহা এই উপদেশ অনুসারে বাগানটি স্বীয় আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ভাগ করে দিলেন।
ওদিকে হযরত যায়েদ বিন হারিসা তার আরোহনের প্রিয় ঘোড়াটিকে নিয়ে রাসূল(সা) এর কাছে হাজির হলেন এবং তা আল্লাহর পথে দান করার ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন। রাসূল(সা) ঘোড়াটি তার কাছ হতে নিয়ে তারই ছেলে উসমানকে দান করলেন।
হযরত যায়েদকে এতে কিছুটা দ্বিধান্বিত দেখে তাকে এই বলে আশ্বস্ত করলেন যে, তোমার দান গৃহীত হয়েছে।
শিক্ষাঃ এই দুটি ঘটনা থেকে জানা গেল যে আল্লাহর পথে দান করার অর্থ শুধু ফকীর মিসকীনকে এবং ইসলামের পথে জিহাদরত ব্যক্তি বা সংস্থাকে দান করা নয়, বরং পরিবার পরিজন ও দরিদ্র আত্মীয় স্বজনকে দান করাও আল্লাহর পথে দানের শামিল এবং বিরাট সওয়াবের কাজ।
২ নং ঘটনা
একবার এক প্রখ্যাত দানশীল সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে জাফর নিজের একটা জমি দেখতে গেলেন। সেখানে একটি গোত্রের খেজুর গাছের ছায়ায় বসলেন এবং একজন নিগ্রো ক্রীতদাসকে দেখতে পেলেন। সে বাগানটি পাহারা দিচ্ছিল।
কিছুক্ষণ পর সে খাওয়ার জন্য তিনটি রুটি বের করলো। সে রুটি খাওয়া শুরু করার আগেই একটা কুকুর এসে তাঁর কাছে ঘেঁসে বসলো। ক্রীতদাসটি একটি রুটি কুকুরকে দিল। কুকুর তা খেয়ে ফেললো। সে তাকে আরো একটি দিল।
কুকুর তাও খেয়ে ফেললো। অতঃপর সে তৃতীয় রুটিটিও দিল এবং এক নিমিষেই কুকুর তাও খেয়ে ফেললো। আবদুল্লাহ তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখতে লাগলেন।
আবদুল্লাহ বললেনঃ তুমি প্রতিদিন কয়টি রুটি খাও?
ক্রীতদাস বললোঃ তিনটি।
আবদুল্লাহ বললেনঃ তুমি নিজে না খেয়ে সব ক’টা রুটি কুকুরকে দিয়ে দিলে কেন?
ক্রীতদাস বললোঃ এ অঞ্চলে কোন কুকুর নেই। এ কুকুরটা নিশ্চয়ই অনেকদূর থেকে এসেছে এবং নিশ্চয়ই সে ক্ষুধার্ত। তাই তাকে ফিরিয়ে দেয়া পছন্দ করি নি।
আবদুল্লাহ বললেনঃ আজ তুমি কী খাবে?
ক্রীতদাসঃ আজ আমি উপোষ করবো।
আবদুল্লাহ ইবনে জাফর মনে মনে বললেন, এতো আমার চেয়েও দানশীল।
অতঃপর ঐ খেজুরের বাগান এবং ক্রীতদাসকে কিনে নিলেন এবং ক্রীতদাসকে স্বাধীন করে বাগানটি তাকে উপহার দিলেন।
৩য় ঘটনা> দান সদকা জাকাত দিলে আল্লাহ এর প্রতিদানে ৭শত গুন বৃদ্ধি
করে দেন
হযরত আবু বকর(রা) এর খেলাফতকালে এক দুর্ভিক্ষ সংঘটিত হয়। খাদ্যদ্রব্য একেবারেই দুর্লভ হয়ে পড়ে এবং মানুষের দুঃখ দুর্দশা চরম আকার ধারণ করে।
সেই সময় হযরত উসমানের প্রায় এক হাজার মন গমের একটি চালান বিদেশ হতে মদীনায় পৌঁছলো। শহরের কয়েকজন ব্যবসায়ী তাঁর কাছে এল। তারা তাঁর সমস্ত গমের চালান ৫০% লাভে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দিল।
সেই সাথে তারা এও ওয়াদা করল যে, তারা দুর্ভিক্ষ পীড়িত জনগণের দুর্দশা লাঘবের জন্যই এটা কিনতে চেয়েছে।
হযরত ওসমান(রা) বললেন, “তোমরা যদি আমাকে এক হাজার গুণ লাভ দিতে পার, তবে আমি দিতে পারি। কেননা অন্য একজন আমাকে সাতশো গুণ লাভ দিতে চেয়েছেন।”
ব্যবসায়ীরা বললো, “বলেন কি? চালান মদীনায় আসার পর তো আমরাই প্রথম এলাম আপনার কাছে। সাতশো গুণ লাভের প্রস্তাব কে কখন দিলো?”
হযরত ওসমান বললেন, “এই প্রস্তাব আমি পেয়েছি আল্লাহর কাছ থেকে। আমি এই চালানের সমস্ত গম বিনামূল্যে গরীবদের মধ্যে বিতরণ করবো। এর বিনিময়ে আল্লাহ আমাকে সাতশো গুণ বেশি পূণ্য দিবেন বলে ওয়াদা করেছেন।”
শিক্ষাঃ পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ২৬১ নং আয়াতে এই ওয়াদার উল্লেখ রয়েছে।
مَّثَلُ
الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ
أَنبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنبُلَةٍ مِّئَةُ حَبَّةٍ وَاللّهُ
يُضَاعِفُ لِمَن يَشَاء وَاللّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ। [ সুরা বাকারা ২:২৬১ ]
৪র্থ ঘটনা
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) একদিন মসজিদে নববীতে বসে আছেন। এমন সময় এক বৃদ্ধ মুসাফির নবীজীর সামনে এসে দাঁড়াল। সে করজোড়ে ফরিয়াদ জানাল, “হে আল্লাহর রাসূল! আমি খুব ক্ষুধার্ত, আমাকে খাবার দিন; আমার পরনের জামাটাও ছিড়ে গেছে, একটা জামা দিন; আমি একজন মুসাফির, আমার কোন বাহন নাই-আমাকে একটা বাহনের ব্যবস্থা করুন।”
মহানবী খুব মনোযোগ দিয়ে লোকটির ফরিয়াদ শুনলেন। এরপর বললেন, “হে মুসাফির! আমার কাছে এখন তেমন কিছু নেই যে তোমাকে দেবো। তুমি আমার মেয়ে ফাতিমার কাছে যাও। সে হয়তো তোমাকে সাহায্য করতে পারবে।”
নবীজীর কথামতো মুসাফির হযরত ফাতিমার বাড়িতে গিয়ে দরজায় কড়া নাড়ল। ভেতর থেকে হযরত ফাতিমা আগন্তকের পরিচয় জানতে চাইলেন। মুসাফির বলল, “মা আমি এক বৃদ্ধ মুসাফির। বড়ই ক্ষুধার্ত। আমার পরনের জামাটিও ছিঁড়ে গেছে। চলার মত কোন বাহনও নেই আমার। আমাকে কিছু সাহায্য করুন মা।”
মুসাফির যখন তার ফরিয়াদ জানাচ্ছিল তখন হযরত ফাতিমার ঘরে কোন খাবার ছিল না। দেয়ার মত কোন জামাও ছিল না। কিন্তু অসহায় একজন মুসাফিরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে তাঁর মন চাইল না। তাই তিনি নিজের গলার হারটি বৃদ্ধ মুসাফিরকে দিয়ে বললেন, “এই হারটি ছাড়া দেয়ার মত আর কিছু নেই আমার। এটা নাও, বিক্রি করে যা পাবে তা দিয়ে তোমার অভাব পূরণ কর।”
হারটি পেয়ে মুসাফির খুশিতে আটখানা! সে আবার মসজিদে নববীতে গিয়ে হাজির হলো। নবীজীকে হারটি দেখিয়ে বলল, “ হে রাসূল! আপনার মেয়ে ফাতিমা তাঁর গলার হারটি আমাকে দিয়ে দিয়েছেন বিক্রি করার জন্য।”
এ কথা শুনে সাহাবীদের অনেকেই চমকে উঠলেন। হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসিরের মনটা মায়ায় ভরে উঠল। এমন ত্যাগ দেখে অবাক হয়ে গেলেন তিনি। এরপর বৃদ্ধ মুসাফিরকে বললেন, “কত পেলে তুমি ওই হারটি আমার কাছে বিক্রি করবে?”
মুসাফির জবাবে বলল, “পেট পুরে খাবার, পরনের একটি ভাল জামা আর বাড়ি ফেরার জন্য একটি বাহন পেলেই আমি খুশী।”
আম্মার বললেন, “ঠিক আছে। তোমাকে যথেষ্ট খাবার, ভাল ইয়েমেনী কাপড় এবং বাড়ি ফেরার জন্য একটি মোটাতাজা উট দেবো। আর বাড়তি আটটি সোনার মোহর ও দুশ’ রুপার দিরহামও দেব। তুমি হারটি আমার কাছে বিক্রি করে দাও।”
মুসাফির আম্মারকে হারটি দিতে রাজি হল। কথামত দাম পরিশোধ করলেন আম্মার। পেট পুরে খেয়ে দামী জামা গায়ে দিয়ে একটি মোটা তাজা উটের পিঠে চড়ে মুসাফির রওনা হল তার বাড়ির দিকে।
হযরত আম্মার হারটির গায়ে আতর মাখলেন। তারপর ওটাকে একটি কাপড়ে মুড়ে তার গোলামের হাতে দিয়ে বললেন, “নবীজীর কাছে যাও। এই হার ওনাকে দেবে। আর তুমিও তাঁর কাছে থাকবে।”
গোলাম খুশি মনে হারটি নিয়ে মহানবীর কাছে গেল। তাঁকে সবকিছু খুলে বলল। মহানবী গোলামের কথা শুনে আম্মারকে ধন্যবাদ জানালেন। তারপর গোলামকে বললেন, “ আম্মার তোমাকে আমার কাছে পাঠিয়েছে। আর আমি তোমাকে ফাতিমার জন্যে দিয়ে দিলাম। এই হারটি নিয়ে তুমি ফাতিমার কাছে চলে যাও।”
গোলাম মা ফাতিমার কাছে হারটি নিয়ে গেল এবং সব কিছু খুলে বলল। গোলামের কথা শূনে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানালেন মা ফাতিমা। আম্মার ইবনে ইয়াসিরের জন্য দোয়া করলেন। তারপর গোলামকে বললেন, “তোমাকও আমি মুক্ত করে দিলাম। আজ থেকে তুমি স্বাধীন।”
গোলাম মা ফাতিমার কথা শুনে খুশি হয়ে বলল, “ বাহ! কী দারুণ এক হার! এটি একজনকে পেট পুরে খাওয়াল, নতুন কাপড় পরাল, গরীবের জন্য টাকা ও বাহনের ব্যবস্থা করল, একজন ক্রীতদাসও মুক্তি পেল। আবার যাঁর হার তাঁর কাছেটা আবার ফিরে এলো! সত্যিই কী চমৎকার ব্যাপার!
৫ম ঘটনা> যাকাত দানকারীর সম্পদ আল্লাহ হেফাজত করেন
একজন মাদরাসার খাজেন ছিল আল্লাহ তায়ালা তাঁকে অনেক ধন সম্পদ
দান করেছেন, তিনি খুব ধামিক ছিলেন এবং প্রতিবছর জাকাত আদায় করতেন, একদিন তিনি তাহাজ্জুদ
আদায় করার জন্য যখন উঠলেন তিনি দেখলেন তার সিন্দুকের তালা এক চোর ভাঙ্গার চেষ্টা করছে,
তিনি চোরকে দেখেও না দেখার ভান করে অযু করে তাহাজ্জুদ নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন নামাজ পড়লেন
দোয়া করলেন, ফজরের আযান দিল তখন সে ধার্মিক খাজেন চোরের কাছে গিয়ে বলল ভাই সকাল হয়ে
গেল তবুও এ ছোট তালাটিও ভাঙ্গতে পারলেন না তুমি আর কিভাবে চোরি করবে? তখন চোর পালিয়ে
গেল, অবশেষে সে খাজেন মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করল আর ইমাম সাহেবকে সকল ঘটনা খুলে বলল
তখন ইমাম সাহেব প্রশ্ন করল তুমি প্রথমেই কেন চোরকে ধরলে না? তখন সে জবাব দিল হুযুর
আমি আপনার মুখে শুনেছি যে জাকাত আদায় করে তার মাল আল্লাহ হেফাজত করে, আপনার সে কথাটার
উপর আমার বিশ্বাস ছিল যেহেতু আমি প্রতিবছর পাই পাই করে আমার সম্পদের জাকাত আদায় করি
সেহেতু আমার সম্পদ কেহ চুরি করতে পারবে না। এবং সে প্রমান আমি পেয়েছি যে চোর সারারাত
ছোট একটি তালা ভাঙ্গতে সক্ষম হল না। সুবহানাল্লাহ।
হযুর (দঃ) এরশাদ করেন বান্দা বলে আমার মাল আমার সম্পদ, অথচ
তার সম্পদ মাত্র ৩ ধরনের (১) যা সে খেয়ে নিয়েছে (২) যা সে পরিধান করে পুরানা করে ফেলেছে
(৩)৩য় তার মাল সেটা যা সে দান সদকা জাকাত দিয়ে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছে, বাকী সব মাল দৌলত তার পরবর্তী ওয়ারিশগনের। সে জন্য
আমাদের উচিত বেশী বেশী আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার মানসিকতা তৈরী করা, এতে মাল কমে না
বরং মাল দৌলত বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার দ্বারা আমাদের কাছে যে অন্যান্য
মাল আছে তাও পাক ও সাফ হয়ে যায়।
৬ষ্ঠ ঘটনা> জাকাত মাল সম্পদকে পাকপবিত্র করে দেয়
হযরত হাসান বসরী (রাঃ) বর্ণনা করেন নবী করিম (দঃ) এর হাদীস
(হাসসিনু আমওয়ালাকুম বিজজাকাতে) অথ্যাৎ তোমরা তোমাদের মাল দৌলতকে জাকাত দ্বারা পাক
করা আর তোমাদের অসুস্থদের চিকিৎসা সদকার দ্বারা কর। আর যখন মসিবত আসে তখন দোয়ার দ্বারা
আল্লাহর কাছে সাহায্য তলব কর।
আগের যুগে কারো বড় ধরনের অসুখ হলে তার আত্মীয়স্বজনেরা সবচেয়ে
প্রথম যে কাজ করত তা হল সদকা করা। চিকিৎসকের কাছে যেতেন পরে। প্রথম কাজ হত সদকা করা,
কারন সদকা তকদীরকে পরিবর্তন করে দেয়। ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করা সুন্নত। শরীয়তে
ডাক্তারের কাছে যেতে নিষেধ করেনি। তবে এ কথা অবশ্যই মনে রাখবেন ডাক্তার আপনাকে ঔষদ
দিবে কিন্তু সুস্থ করে তুলতে পারবে না। সুস্থতা দান করার একমাত্র মালিক হলেন আল্লাহ
তায়ালা।সেজন্য যখনই অসুস্থ হয়ে যাও প্রথমে সদকা কর তারপর ডাক্তারের কাছে যাও। আল্লাহ
তায়ালা সে সদকার বরকতে ডাক্তারের ঔষধ দ্বারা শেফা দান করবেন।
হযরত মুসা (আঃ) এর পেটে ব্যথা শুরু হল তখন তিনি কুহে তুরে চলে
গেলেন, তিনি আল্লাহকে সরাসরি বলল হে আমার মালিক আমার পেটে প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে, (আল্লাহু
আকবর) আল্লাহ তায়ালা বললেন অমুক জঙ্গলে চলে যাও সেখানে একটা গাছ দেখবে সে গাছের পাতার
রস পান করলে তুমি সুস্থ হয়ে যাবে। হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহ হকুম মত সেখানে গিয়ে গাছের
পাতার রস পান করলেন এবং সুস্থ হয়ে গেলেন। কিছুদিন পর তিনি যখন আবার একই রকমের ব্যথা
অনুভব করলেন তখন তিনি আল্লাহর কাছে কোন শেকায়েত না করে সে জঙ্গলে সরাসরি গিয়ে সে গাছের
পাতার রস খেয়ে ফেললেন কিন্তু এবার ব্যথা দুর হল না বরং ব্যথা আরো বেড়ে গেল। তখন মুসা
(আঃ) কুহে তুরে গিয়ে আল্লাহকে বলল হে আমার মালিক আমি গতবারের মত একই ব্যথা অনুভব করলাম
গতবারে তোমার হকুমে যে পাতার রস পান করেছিলাম এবারও সে পাতার রস পান করলাম কিন্তু আমার
ব্যথা আরো বেড়ে গেল, তখন আল্লাহ তায়ালা ফরমালেন হে মুসা গতবার আমার হকুম ছিল এবার আমার
হকুম ছিল না, সে গাছের পাতায় কোন সুস্থতা নাই সুস্থতা দেয়ার মালিকতো আমি, গাছের পাতাতো
হল উছিলা মাত্র। সে জন্য অসুস্থ হলে আগে সদকা করবেন, তারপর ডাক্তারের কাছে যাবেন ডাক্তার
এর দেয়া ঔষদ আপনাকে শেফা দিবে না শেফা দিবেন একমাত্র আল্লাহ।
সে জন্য আল্লাহর রসুল খুব সুন্দর এরশাদ করেন, (হাসসিনু আমওয়ালাকুম
বিজজাকাত) তোমাদের মালসমুহকে জাকাতদ্বারা পাক কর। (ওয়া দাবু মারদাকুম বিসসাদকা) আর
তোমাদের রোগীদের চিকিৎসা সদকা দ্বারা কর।
৭ম ঘটনা> আল্লাহর নিকট দান ওজনে ও সংখ্যা বেশী হলেই কবুল হয় না নিয়ত
গুনে কম দানই আল্লাহর নিকট বেশী মকবুল হয়।
আমার নবী একদিন বললেন ১ দিরহাম খরচ করা ১ লক্ষ দেরহাম খরচ করার
চাইতে উত্তম, তখন সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করল এয়া রাসুলাল্লাহ সেটা কিভাবে? তখন নবী
করিম (দঃ) বললেন এক লোকের কাছে ২ দেরহাম আছে,
আর অন্যজনের কাছে কোটি কোটি দেরহাম আছে, যার কাছে ২ দেরহাম আছে সে ১ দেরহাম
আল্লাহর নামে খরচ করল , আর যার কাছে কোঠি কোটি দেরহাম আছে সে ১ লক্ষ দান করল, যে ২
থেকে ১ দিয়ে দিল সে তার মালের অর্ধেক দিয়ে দিল, আর যে ১ লক্ষ দিল সে তার মালের হাজার
ভাগের এক ভাগ দিল, কাল যখন মাপা হবে তখন ১ দেরহামের ওজন ১ লাখ থেকে বেড়ে যাবে।
হযরত ওমর (রাঃ) সারা জীবন এ কামনা করত যে হযরত আবু বকরের চেয়ে
বেশী দান করার, কিন্তু কোনদিন সে সুযোগ পান নি, যখন তাবুকের যুদ্ধের সময় আসল, তখন নবী
করিম (দঃ) বললেন যে যা পার যুদ্ধের জন্য দান কর, তখন হযরত ওসমান (রাঃ) একাই ১০ হাজার
সৈন্যের জন্য মালামাল দান করলেন, এমনকি সকল সৈন্যের সাওয়ারী, তাদের খাবার দাবার, এর
উপর অতিরিক্ত ৩০০ দিনার বেশী দিল, আর সে ৩শত দিনার আমাদের নবীজি হাতে নিয়ে বলল হে ওসমান
আজ থেকে তোমার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। হযরত ওমর (রাঃ) মনে মনে ভাবল আজকে সুযোগ
আমি আবু বকর থেকে দান সদকায় এগিয়ে যেতে পারব। কারন তখন হযরত আবু বকর ছিল গরীব, আর ওমর
মালদার। হযরত ওমর তার সমস্ত মালের অর্ধেক নিয়ে আসল বাকী অর্ধেক ঘরে রেখে এল, আর হযরত
আবু বকর (রাঃ) ঘরের ঝাড়ু , চুলার ছাই থেকে নিয়ে ঘরের সমস্ত মালামাল গাট্টি বেঁধে নিয়ে
আসল। যখন উভয়ের মাল হুযুরের সামনে রাখা হল তখন দেখা গেল হযরত ওমরের মাল অনেক বড় দেখা
যাচ্ছে আর হযরত আবু বকরের মাল খুব কম দেখা যাচ্ছে, তখন হযরত ওমর মনে মনে খুব খুশী যে
তিনি আজকের দানের ব্যপারে জিতে গেছেন, আল্লাহু আকবর সেখানে আমার নবী সবকিছুই জানেন
তাই সেখানে যে প্রশ্নটা করার কোন যুক্তিই নাই আমার প্রিয় আঁকা জানতেন কার দানের ওজন
বেশী তাই তিনি প্রশ্ন উল্টে দিলেন, উদাহারন স্বরুপ কেহ যদি কোন মাদরাসার এতিম ফান্ডে ১ লক্ষ টাকা দান করে তখন মাদরাসার প্রিন্সিপেল
কি এ প্রশ্ন করবেন যে ভাই ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন আপনার কাছে আর বাকী কত আছে? এমন প্রশ্ন
করার কোন যুক্তিই নাই, অথচ এখানে দেখা যাচ্ছে এমনই প্রশ্ন আল্লাহর নবী হযরত আবু বকরও
হযরত ওমরকে করে বসলেন, পেয়ারা নবী বললেন ওমর মা খাল্লাফতা? ওমর তুমি ঘর কি কি রেখে
এসেছ? এ প্রশ্ন শুনে হযরত ওমর নার্ভাস হয়ে গেল, প্রশ্ন থেকেই হযরত ওমর বুঝে গেছেন যে
আজও তিনি হেরে গেলেন আবু বকরের কাছে। ওমর মা খাল্লাফতা? অথবা মা তারাকতা লি আহলিক?
তোমার ঘরের বাসিন্দাদের জন্য কি রেখে এসেছ? হযরত ওমর বললেন জি অর্ধেক ঘরে রেখে এসেছি
অর্ধেক এখানে নিয়ে এসেছি, এরপর আবু বকরকে বললেন মা খাল্লাফতা? অথবা মা তারাকতা লি আহলিক?
তোমর ঘরে কি রেখে এসেছ? তিনি জবাব দিলেন তারাকতুল্লাহা ওয়া রাসুলুহু আমিতো আমার ঘরবাসীর
জন্য আল্লাহ ও তাঁর রসুলের হাওয়ালা করে দিয়ে বাকী সবকিছুই এখানে নিয়ে এসেছি। তখন হযরত
ওমর বললেন হে আবু বকর আমি কখনো তোমার আগে যেতে পারব না। হযরত আবু বকর নিজের গায়ের জামাটা
পযন্ত দিয়ে দিয়েছেন আর একটা বস্তা কাঁটা দিয়ে সিলাই করে পরিধান করে রাখল, তখন হযরত
জিবরাইল এসে পেয়ারা নবীকে বলল এয়া রাসুলাল্লাহ আল্লাহ তায়ালা জিজ্ঞাসা করছেন আপনার
সাহাবী আবু বকর বস্তা কে পরিধান করে আছে? তখন নবীজি বললেন আবু বকর সব কিছু আল্লাহ ও
তাঁর রসুলের জন্য খরচ করে দিয়েছে তাই সে এ বস্তা পরিধান করে আছে। তখন আল্লাহ তায়ালা
ফরমাচ্ছেন আবু বকরকে জিজ্ঞেস কর সে কি আমার উপর খুশি কিনা? সারা জাহানের মুমিন আল্লাহকে
খুশী করার জন্য সব কিছু করে, সারা দুনিয়া যে আল্লাহকে রাজি করার জন্য এত কিছু করছে
সে আল্লাহ পাকই বলছে আবু বকরকে জিজ্ঞেস কর সেকি আমার উপর রাজি কিনা? তখন আমার প্রিয়
আঁকা আবু বকরকে জিজ্ঞেস করল হে আবু বকর তোমর প্রভু জিজ্ঞেস করছেন তুমি কি তাঁর উপর
রাজি কিনা খুশি কিনা? তখন আবু বকর চিৎকার দিয়ে উঠল বলল এয়া রাসুলাল্লাহ আমি আমার রবের
উপর রাজি আমি আমার রবের উপর রাজি।
৮ম ঘটনা> দানশীল আল্লাহর গজব থেকেও বেঁচে যেতে পারে।
শয়তান বলে আমি এবাদতগুজার বখিলের কারনে ভীত নই, কারন তার কৃপনতাই
তাকে অবশ্যই জাহান্নামে নিয়ে যাবে, একজন নাফরমান কিন্তু দানশীলকে আমি শয়তান খুব ভয়
পাই এ জন্য যে এর দানশীলতা তাঁকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
সামেরীর নাম সকলেই শুনেছেন সে মুসা (আঃ) এর কওমকে গরুর পুঁজায়
লাগিয়ে দিয়েছিল, যারা পুঁজা করেছে সকলের শাস্তি হয়েছিল একে অপরকে হত্যা করা, কিন্তু
যখন সামেরির পালা আসল তখন জিবরাইল এসে হযরত মুসাকে নিষেধ করল যেন সামেরিকে হত্যা না
করে তখন হযরত মুসা (আঃ) প্রশ্ন করলেন এয়া রব যে সকলকে কাফের বানালো মুশরিক বানালো তাকে
কেন ছেড়ে দিব? তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন সে খুবই দানশীল তাই তাকে হত্যা করিও না। একজন
মুশরিক দানশীল হওয়ার কারনে আল্লাহ তায়ালা যদি তাকে দুনিয়ার মুসিবত থেকে রক্ষা করেন,
তাহলে একজন মুমিন যদি দানশীল হন তার মর্যাদা কেমন হবে একবার চিন্তা করে দেখুন।
৯ম ঘঠনা সদকা বালা-মুসিবত দূর করে
সুলায়মান (আঃ) এর যুগের এক পাখির ডিম চুরির ঘটনা
হজরত সোলায়মান (আ.)-এর
যুগের
একটি
ঘটনা। এক ব্যক্তির ঘরের
পাশে
ছিল
একটি
গাছ।
সেই গাছে ছিল একটি পাখি। পাখিটি যখনই ডিম দিত তখনই লোকটি তা নিয়ে খেয়ে ফেলত। লোকটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন পাখিটি হজরত সুলায়মান (আ.)-এর কাছে নালিশ করল। সুলায়মান (আ.) লোকটিকে ডেকে নিষেধ করে বললেন, আর কোনো দিন যেন এই পাখির ডিম খাওয়া না হয়। এর পরেরবারও লোকটি পাখির ডিম খেয়ে ফেলল। তাই পাখিটি আবার হজরত সুলায়মান (আ.)-এর কাছে নালিশ করল। সুলায়মান (আ.) এক জিনকে নির্দেশ দিলেন- লোকটি আবার যখন গাছে চড়বে, তখন খুব জোরে তাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেবে, যাতে লোকটি কোনো দিন গাছে চড়তে না পারে। এর পর একদিন লোকটি পাখির ডিমের জন্য গাছে উঠতে যাবে, এমন সময় এক ভিক্ষুক এসে হাঁক দিল বাবা! কিছু ভিক্ষা দিন। তখন লোকটি প্রথমে ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। তারপর শান্ত মনে গাছে থেকে ডিম নামিয়ে খেয়ে ফেলল। পাখিটি আবার সুলায়মান (আ.)-এর কাছে নালিশ করল। সুলায়মান (আ.) সেই জিনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নির্দেশ পালন করলে না কেন? তখন জিন জবাব দিল, আমি আপনার নির্দেশ পালন করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। এমন সময় পূর্ব ও পশ্চিম থেকে দুই ফেরেস্তা এসে আমাকে অনেক দূরে ফেলে দিল। সুলায়মান (আ.) বিস্মিত হয়ে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন, জিনটি বলল, আমি দেখলাম, লোকটি গাছে ওঠার আগে জনৈক ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। সম্ভবত এর বরকতে আল্লাহপাক তাকে আসন্ন বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। সুলায়মান (আ.) বললেন, হ্যাঁ সদকা বালা-মুসিবত দূর করে। এ কারণেই সে তখন মহাবিপদ থেকে বেঁচে গেছে।
(তাযকেরাতুল আম্বিয়া)
সেই গাছে ছিল একটি পাখি। পাখিটি যখনই ডিম দিত তখনই লোকটি তা নিয়ে খেয়ে ফেলত। লোকটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন পাখিটি হজরত সুলায়মান (আ.)-এর কাছে নালিশ করল। সুলায়মান (আ.) লোকটিকে ডেকে নিষেধ করে বললেন, আর কোনো দিন যেন এই পাখির ডিম খাওয়া না হয়। এর পরেরবারও লোকটি পাখির ডিম খেয়ে ফেলল। তাই পাখিটি আবার হজরত সুলায়মান (আ.)-এর কাছে নালিশ করল। সুলায়মান (আ.) এক জিনকে নির্দেশ দিলেন- লোকটি আবার যখন গাছে চড়বে, তখন খুব জোরে তাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেবে, যাতে লোকটি কোনো দিন গাছে চড়তে না পারে। এর পর একদিন লোকটি পাখির ডিমের জন্য গাছে উঠতে যাবে, এমন সময় এক ভিক্ষুক এসে হাঁক দিল বাবা! কিছু ভিক্ষা দিন। তখন লোকটি প্রথমে ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। তারপর শান্ত মনে গাছে থেকে ডিম নামিয়ে খেয়ে ফেলল। পাখিটি আবার সুলায়মান (আ.)-এর কাছে নালিশ করল। সুলায়মান (আ.) সেই জিনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নির্দেশ পালন করলে না কেন? তখন জিন জবাব দিল, আমি আপনার নির্দেশ পালন করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। এমন সময় পূর্ব ও পশ্চিম থেকে দুই ফেরেস্তা এসে আমাকে অনেক দূরে ফেলে দিল। সুলায়মান (আ.) বিস্মিত হয়ে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন, জিনটি বলল, আমি দেখলাম, লোকটি গাছে ওঠার আগে জনৈক ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। সম্ভবত এর বরকতে আল্লাহপাক তাকে আসন্ন বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। সুলায়মান (আ.) বললেন, হ্যাঁ সদকা বালা-মুসিবত দূর করে। এ কারণেই সে তখন মহাবিপদ থেকে বেঁচে গেছে।
(তাযকেরাতুল আম্বিয়া)
আমার নবী একদিন বললেন ১ দিরহাম খরচ করা ১ লক্ষ দেরহাম খরচ করার চাইতে উত্তম, তখন সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করল এয়া রাসুলাল্লাহ সেটা কিভাবে? তখন নবী করিম (দঃ) বললেন এক লোকের কাছে ২ দেরহাম আছে, আর অন্যজনের কাছে কোটি কোটি দেরহাম আছে, যার কাছে ২ দেরহাম আছে সে ১ দেরহাম আল্লাহর নামে খরচ করল , আর যার কাছে কোঠি কোটি দেরহাম আছে সে ১ লক্ষ দান করল, যে ২ থেকে ১ দিয়ে দিল সে তার মালের অর্ধেক দিয়ে দিল, আর যে ১ লক্ষ দিল সে তার মালের হাজার ভাগের এক ভাগ দিল, কাল যখন মাপা হবে তখন ১ দেরহামের ওজন ১ লাখ থেকে বেড়ে যাবে। রেফারেন্স জানালে উপকৃত হতাম
উত্তরমুছুন